চলারপথে রিপোর্ট :
পিতার দেওয়া অভিযোগে মাদকাসক্ত ছেলেকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল ৩০ মে বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেন এ সাজা প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার শেরপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, আশরাফুল ইসলাম মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্য সে প্রায়ই বাড়িতে অত্যাচার করত। সম্প্রতি তার অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। কিছুদিন ধরে সে নেশা করে বাড়ির পাশাপাশি বাইরে মানুষের উপর লাঠি-দা নিয়ে হামলা করতে যায়। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার পিতা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ করেন। পরে তাকে পুলিশ দিয়ে আটক করে রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদকাসক্ত আশরাফুলকে তিন মাসের সাজা দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেন জানান, ঐ যুবক মাদকাসক্ত হয়ে অত্যাচার চালাত। তার পিতা এ অভিযোগ করলে তাকে রাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের (৩৬)(৫) ধারায় তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সে নিজেও মাদক সেবন ও অত্যাচারের কথা স্বীকার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণ মানুষের নেতা, নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমরা কোন অপরাধীকে পশ্রয় দেইনা। আইন সবার জন্য সমান, আইনের অধিকার সবাই সমানভাবে ভোগ করবে।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলার মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সদর উপজেলার আইন-শৃংখলার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে কেন শহরে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।
তিনি আইন-শৃংখলা বাহিনীকে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আরো দায়িত্বশীল ও মনযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সবাইকে দেশের কথা ভাবতে হবে। আমরা সবাই যদি সরকারি বিধিবিধান মেনে চলি তাহলেতো কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান। তিনি ঈদমুখী মানুষ যাতায়তে যেন কোন ভোগান্তিতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
সভায় আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা কাউতলী মোড়ের অবৈধ টেম্পুস্ট্যান্ডটি অপসারণ, শহরে অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার, মহাসড়ক ফোরলেনে সম্প্রসারনের জন্য জনগনের ভোগান্তি দূরীকরন ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট নাসির, সদর উপজেলা ইউসিসিএর সভাপতি আবু কাউছার, ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, কামরুল ইসলাম, মোঃ শাহআলম, মোঃ নাছির উদ্দিন, আব্দুর রশীদ, আবদুল হাকিম মোল্লা ও আলামিনুল হক পাবেল প্রমুখ। সভায় সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগন ও সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কার ও মেধাবীদের কর্মসংস্থানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ-মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের” ব্যানারে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে এক বিক্ষোভ মিছিল কুমারশীল মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শাহ আলম পালোয়ান বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে আমাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। আমরা কোটা বা সরকারের বিরুদ্ধে নই। আমরা চাই কোটা সংস্কার করে পাঁচ ভাগে নামিয়ে আনা হোক।
ফাহিম মুনতাসির বলেন, আমরা হাইকোর্টের রায়কে সবসময় সম্মান জানাই। আমরা কোটা বাতিল চাই না, কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই। আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে না, আমাদের অবস্থান কোটা সংস্কারে পক্ষে। আমরা চাই কোটাকে সংস্কার করে মেধাবীদের কর্মসংস্থান করা হোক।
চলারপথে রিপোর্ট :
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বুধবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এমন দাবি জানান তারা।
এর আগে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পুস্পস্তবক অর্পণ করার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নেতারাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের সূচনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক মহান ব্যাক্তি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের মাধ্যমে। পাকিস্তান সংসদ সভায় তিনিই প্রথম বাংলা ভাষার কথা উত্থাপন করেছিলেন। তারপর রাষ্ট্র ভাষার আন্দোলনের মাধ্যমেই মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীন বাংলা অর্জিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের অবদান ছিল অতুলনীয়। তাই মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি।
‘ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছর পেরোলেও বাংলার সর্বত্রে পুরোপুরি বাংলা ভাষার মর্যাদা পৌঁছায়নি, কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে জাপান, চীন কিন্তু নিজের মাতৃভাষার ব্যবহার নিয়েই বেশ প্রশংসিত, কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা নেই বললেই চলে। সেখানে বর্তমান শিক্ষার্থীরা বাংলার ভাষার সঠিক ব্যবহার ও বাংলা ভাষাকে শ্রদ্ধা কীভাবে করবে, এমন প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি ও ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি আ.ফ.ম কাউসার এমরান, সদস্য ও সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আবদুন নুর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি দীপক চৌধুরী বাপ্পি, দ্য ডেইলি পোস্টের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, প্রেস ক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও আজকালের খবরের জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সদস্য ও মাছারাঙা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আশেক মান্নান হিমেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় অসহায় বাবার পিতৃ স্নেহের প্রতি সম্মান জানিয়ে ও অন্তত একটি শিশুকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন হয়েছে।
“বিবেকের আদালত থেকে মানবতার দিক থেকে বাবার আশা এবং বেঁচে থাকুক অন্তত একটি মেয়েকে নিয়ে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সচেতন নাগরিকদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. হেলিম আহম্মেদ, কবি ফয়েজ আহমেদ, হৃদয় দেবনাথ, মোবাশ্বের ইসলাম, মাহমুদুল হাসান রিফাত, নাহিদ মো. সাদিক প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আদালত বাবার করা মামলা খারিজ করে দেওয়ায় দুই শিশু এখন থেকে মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। এতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অসহায় বাবার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে অন্তত এক সন্তানকে তার কাছে সমর্পণের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন ইমরান শরীফ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি কালীবাড়ি মোড় প্রদক্ষিণ শেষে কালীবাড়ি মোড়ের মোল্লা প্লাজার সামনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম গোলাপের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন ও আনিছুর মঞ্জু, সদর উপজেলা যুবদরেল আহবায়ক জিয়াউল হক প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, গ্রেপ্তার না করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পুলিশ জেলা কারাগারের ফটক থেকে বারবার মিথ্যা মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েমকে গ্রেপ্তার করে। বক্তারা অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানান।