চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে রমজান (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৩১ মে শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়ভাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত রমজান বড়ভাঙ্গা এলাকার কবির মিয়ার ছেলে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা জানান, সকালে পরিবারের সবাই ঘরে ছিলো। এ সময় শিশু রমজান বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। খেলার এক পর্যায়ে সে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরে ভাসমান অবস্হায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু রমজানকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ মার্চ শনিবার বিকেল পাঁচটায় উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের পার্শ্ববর্তী ফসলি জমির মাঠে এ ঘটনা ঘটে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সোহাগ রানা। নিহত আপন বেগম (৩৫) বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর (হাজী বাড়ির) মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ শনিবার বিকেলে হঠাৎ করে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর থেকে এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে থাকে। বৃষ্টির মধ্যেই আপন বেগম বাড়ির পাশে ফসলি জমির মাঠ থেকে গরু আনতে যান। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পারিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো রুহুল আমিন বলেন, শুনেছি মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে আপন বেগম নামে এক নারী নিহত হয়েছে। তিনি বজ্রপাতের সময় ঘর থেকে বের না হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ছাত্রদল করার অভিযোগে মোঃ মামুন (২৩) নামে এক যুবককে চাকুরি থেকে ‘ছাটাই’ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও তাকে চাকুরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আজ ২৩ জুলাই রবিবার দুপুরে মামুন নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের ভবনের সামনে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ব্যানার হাতে মানববন্ধন করেছে মামুন।
চাকুরি হারানো মামুনের বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার নাসিরপুর গ্রামে। তিনি নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মামুন জানান, তিনি ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতাধীন প্রকল্পের কর্মী হিসেবে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে চাকরি করতেন। দুই বছরের ওই প্রকল্প থেকে মাসে ছয় হাজার টাকা বেতন পেতেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি অস্থায়ী ভিত্তিতে দুই বছরের জন্য কাজে যোগ দেন। সম্প্রতি ছাত্রদলের সাবেক নেতা নাসির উদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ সংক্রান্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই তার উপর নেমে আসে অফিসিয়াল খড়গ। তাকে চাকুরি ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় এবং এটা না করলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
মামুন জানান, এপ্রিল ও মে মাসে তার বেতন দেওয়া হয়নি। জুন থেকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়। তবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ বিধায় এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। এখন তিনি অফিসে যেতে পারছেন না এবং দুই মাসের বেতনও বুঝে পাননি। উল্টো তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের চাকুরিবিধিতে কোনো রাজনৈতিক দল করা যাবে না, এমন উল্লেখ না থাকলেও তার সাথে অন্যায় করা হচ্ছে। এ অবস্থায় মামুন চাকরি ফিরে পেতে চান।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নূরে আলম বলেন, ‘মামুন কোন রাজনৈতিক দল করে না করে সেটা কোনো বিষয় না।
তবে সে নিয়মিত ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতো না। তাকে এ বিষয়ে বললেও কর্ণপাত করেনি। তাকে অফিসে আসতে না করা হয়েছে এমন কোনো ডকুমেন্ট থাকলে দেখাক।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পর নাসিরনগর উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় ও মাসিক সমন্বয় সভার মধ্যদিয়েই প্রথম সরকারি কাজ শুরু করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান সুখন।
আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান সুখন।
আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোনাব্বর হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার্স ইনর্চাজ (ওসি) মো: সোহাগ রানা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগন।
প্রধান অতিথি সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান এমপি বলেন সরকারের সকল পরিকল্পনা ও সেবা তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সততা, নিষ্ঠা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আরো বলেন অপরাধ প্রবণতা বন্ধে ও আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের পাশাপাশি প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সকলের সহযোগিতায় এ উপজেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আমি এ উপজেলাকে গড়ে তুলব শান্তিময়, সুন্দর উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকল কর্মকর্তাকে জনগনের সেবক হিসেবে দাপ্তরিক সেবা প্রদানসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। এরপর সংসদ সদস্য সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় যোগ দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে নিখোঁজ হওয়ার ২০ঘণ্টা পর শিশু সুমাইয়া আক্তারের (৮) মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। আজ ৬ মে শনিবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুনিয়াউক গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের ছাদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সুমাইয়া ওই এলাকার মৃত আছমত আলীর মেয়ে।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লা সরকার।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫ মে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সুমাইয়া। আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের বাড়ি-ঘরে খোঁজাখুঁজির পর সুমাইয়াকে না পেয়ে গ্রামের মাইকে নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও তার নিখোঁজের বিষয়টি প্রচার করা হয়।
আজ শনিবার সকালে নিহতের বাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত দোকানের ছাদে আম পাড়তে যায় স্থানীয় অন্য এক শিশু। তখন সুমাইয়ার মরদেহ ছাদের ওপর পড়ে থাকতে দেখে সে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গুনিয়াউক গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মালেক মিয়া বলেন, সুমাইয়ার বাবা নেই। তার মা হোসনা বেগম নিজ বাড়িতে দোকান ঘর দিয়ে ব্যবসা করে পরিবার চালান। মায়ের দোকান ঘরের ছাদ থেকে আম পাড়তে যায় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। আজ শনিবার সকালে তার লাশ দোকানের ছাদ থেকে নামানো হয়েছে।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, জানতে পেরেছি নিজ বাড়ির ছাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুমাইয়া নামে এক শিশু মারা গেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নে ভূমি অধিগ্রহণ না করেই ব্যক্তিমালিকানা জায়গা চলছে সেতু নির্মাণের কাজ শুরুর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক জমির মালিক ঠিকাদারকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামে। আরো অন্তত ছয়টি সেতুর কাজেও জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন মামলাটি আমলে নিয়ে সেতু নির্মাণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ঠিকাদারকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলা করা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক সত্যরঞ্জন বিশ্বাস। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। অভিযুক্ত ঠিকাদার মো. কামাল মিয়া জেলা শহরের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে।
মামলা সূত্র ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ৯টি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নাসিরপুর গ্রামের সেতুটির কুকুরিয়া খালের পূর্ব পাশে ৬৯ শতাংশ জমির মালিক সত্যরঞ্জন বিশ্বাস। সত্যরঞ্জনের জমির পাশেই সরকারি খাস জায়গা রয়েছে। আদালত নির্মাণ বন্ধ রাখতে বললেও ঠিকাদার কাজ চালিয়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি নাসিরনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন সত্যরঞ্জন। পরে এসআই মো. ইছাক মিয়া কাজ বন্ধ করতে বলেন। এর পরও কাজ করছেন ঠিকাদার।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নাসিরনগর থেকে চাতলপাড় হয়ে সরাইলের অরুয়াইল পর্যন্ত তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি সেতু ও ২৩ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। সবক’টির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। এর মধ্যে কুকুরিয়া খালের ওপর সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০০ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ফুট। এটি নির্মাণে বরাদ্দ ১২ কোটি টাকা। কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মামুন এন্টারপ্রাইজ। যার মালিক কামাল মিয়া।
সরেজমিনে ঘুরে ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইছাক মিয়ার তথ্য অনুযায়ী, কুকুরিয়া সেতুর পাশাপাশি আরও ছয়টির কাজ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভলাকুট ইউনিয়নের ২ নম্বর সেতু নির্মাণের জন্য দু’পাশে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্ভর কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে ভূমি অধিগ্রহণ না করায় কাজ শুরু করতে পারেননি ঠিকাদার। ৪ নম্বর সেতুটি হওয়ার কথা বালিখোলা গ্রামে। এ অংশে প্রায় ১৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। আগামী ৭ জুলাই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০ শতাংশ কাজও হয়নি।
চাতলপাড়’র চকবাজার এলাকায় ৫ নম্বর সেতুর জন্য ৩০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। ভলাকুটের কান্দি গ্রামে ৬ নম্বরটির জন্য দুই বিঘা জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তবে ৮ ও ৩ নম্বর সেতুর অধিগ্রহণ হয়েছে। বাকি সাতটি সেতুর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। সেতুগুলোর মধ্যে ৫ ও ৭ নম্বর ছাড়া বাকিগুলোর কাজ চলমান।
ভলাকুট সেতু এলাকার জমির মালিক আব্দুল বাছির মিয়াসহ আরো চারজনের ২০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। আব্দুল বাছিরের দাবি, জমি অধিগ্রহণ না করেই উপজেলা প্রকৌশলী জোর করে সেতু নির্মাণ করতে চান। জমির মূল্য না দিলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে।
সত্যরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, নাসিরপুর মৌজার ৬৯ শতাংশ জায়গা তিনি ক্রয়সূত্রে মালিক। পাশেই খাসজমি রয়েছে। সরকার এ জমিতে সেতু করতে পারে। কিন্তু কিছু অসাধু লোকের পরামর্শে এলজিইডির কর্তাব্যক্তিরা তাঁর জায়গায় সেতুর কাজ চলমান রেখেছেন। সরকারি উন্নয়নকাজ হোক, তবে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা কারও জমিতে জোর করে সেতু নির্মাণ করার পক্ষে নই। কারও জমি সেতু এলাকায় পড়লে মূল্য পরিশোধ করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলো নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান কারও ব্যক্তিমালিকানার জমি সেতু ও সংযোগ সড়কের পাশে থাকলে তা অবশ্যই অধিগ্রহণ করা হবে।