চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নারুই গ্রাম থেকে জামায়াত ইসলামী ও শিবিরের ৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৩১ মে শুক্রবার সকাল ১১টায় ওই এলাকার আব্দুর রশিদের বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: নবীনগর উপজেলার আব্দুর রশিদ (৬৫), বাদল মিয়া (৪৮), শাহিন ইসলাম (২৪), সদর উপজেলার ডা. আবু হানিফ (৬৫), সাহেদ আলম (২১), বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আলম (৫৩) ও আশুগঞ্জ উপজেলার মো. মামুন মিয়া (৩৭)।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, এলাকায় নাশকতা সৃষ্টি ও আসন্ন নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য উপজেলার নারুই গ্রামের রশিদ মিয়ার বাড়িতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা জামায়াত-শিবিরের নেতারা একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠক করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়েত ইসলামী ও শিবিরের ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে কয়েকজন পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে বৈঠকর ব্যানার, নির্বাচন বিরোধী লিফলেট জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সাঈদকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকার উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে সাঈদ গ্রেফতারের খবরটি ২৩ মে শুক্রবার ফেসবুকে তার ছবিসহ ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে আবারও গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা সাঈদকে ঢাকার উত্তরা থানার একটি হত্যা মামলায় সেখানকার পুলিশই তাকে গ্রেফতার করেছে। নবীনগরে বিভিন্ন মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যেসব নেতার নাম রয়েছে, আবু সাঈদ তাদের অন্যতম। কিন্তু সাঈদসহ বেশিরভাগ নেতা আত্মগোপনে থাকায় নবীনগরের পুলিশ তাকে এতোদিন গ্রেফতার করতে পারেনি।
মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ও শিকানিকা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষকে। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির অধীনে যমুনা নদীর উপর ৮১ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
দরপত্র অনুযায়ী সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনুছ আল মামুন ও মেসার্স জাকির এন্টার প্রাইজ (জেভী) কে ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালে ৪ জুলাই পর্যন্ত ৫৪০ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দেড় বছরে মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর দুপারে সামান্য পাইলিংয়ের কাজ শেষ করেই প্রায় ৮ মাস পূর্বে বাকি কাজ ফেলে পালিয়ে যান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
যার ফলে প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ রাস্তায় চলাচলকারী রসুল্লাবাদ, সাতমোড়া, জিনদপুর, ইব্রাহীমপুর ও লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক সাধারণ মানুষ। দ্রুত সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ করে ভোগান্তি নিরসনের দাবি এ এলাকার সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যমুনা নদীর উপর সেতুর দুই পাড়ে সামান্য পাইলিং করা হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয়দের উদ্যোগে সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে, যেটা দিয়ে এলাকাবাসী ও পথচারীরা পারাপার হয়।
নদীর তীরে স্থানীয় দোকানদার সবুজ মিয়া বলেন, একটি সেতু না হওয়ায় আমাদের দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পুহাতে হচ্ছে। এখানে সেতু হলে চলাচলেও যেমন পরিবর্তন আসবে তেমনি আমাদের আয়-উপার্জনও বৃদ্ধি পাবে।
এ রাস্তায় চলাচলকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, সেতু না থাকায় মানুষের যে কষ্ট তা বলে বোঝানো যাবে না। স্কুল কলেজে যাওয়ার সময় অনেক শিক্ষার্থী সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়। এই সেতুটি নির্মাণ হলে পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবে।
রসুল্লাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন জানান, আমাদের জন্য অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি। তিনি বলেন, স্বপ্নের এই সেতুটি নির্মাণ হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী আশেপাশের ৫ টি ইউনিয়নের অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। তাই পুনরায় দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদারের মাধ্যমে সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে বিষয়টি নিয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নবীনগর উপজেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব হোসেন বলেন, দরপত্রের চুক্তির শর্ত না মানায় পূর্বের ঠিকাদারদের সাথে কার্যাদেশ বাতিল প্রক্রিয়াধীন। নতুন করে রি-টেন্ডার করে অচিরেই সেতুটির কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১০ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাইতলা বাজার প্রাঙ্গনে দলীয় নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মোঃ মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ন আহবায়ক কেএম মামুনুর অর রশিদ।
উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য সাইফুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক জহিরুল হক জরু, যুগ্ম আহবায়ক মোজাম্মেল হক, যুগ্ম আহবায়ক রমজান হোসেন, পৌর কৃষকদলের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জুবায়ের আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি সৈয়দ আমিনুল ইসলাম তপন, সহ-সভাপতি আবু জামাল সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুর রউফ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আবু নাসিম সরকার, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ ইমাম হোসেন সরকার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এর মুখপাত্র ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ট্রাষ্ট্রের চেয়ারম্যান কাজী মামুনূর রশিদ বলেছেন- জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে জাতীয় পার্টি। নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারি হউক কিংবা ফেব্রুয়ারিই হউক, তখনই প্রস্তত আছে জাতীয় পার্টি। তবে একটি অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার সকল প্রস্ততি নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেন কাজী মামুন। এ সময় তিনি আরো বলেন- জাতীয় পার্টি সন্ত্রাস নৈরাজের রাজনীতি বিশ্বাস করে না।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে নবীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত দলীয় কার্যলয়ে বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ সব কথা বলেন। উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি রজব আলী মোল্লার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন মৃধা, উপজেলা যুবসংহতি আহবায়ক মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন রানা, পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ। বিশেষ এই বর্ধিত সভায় জাতীয় পার্টিও উপজেলা ও পৌরসভা সহ প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ফসলি জমি রক্ষার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাইতলা, গোয়ালী এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে কসবা উপজেলার ইশাননগরের ফরহাদ মিয়ার ২টি কাইতলার শফিক মিয়ার ১টি ,কসবা উপজেলার মেহেরীর আইয়ূব নবীর ১ টি সহ ৪ টি অবৈধ ড্রেজার জব্দ করেন।
এ সময় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সবাই ড্রেজার শ্রমিক তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের দোবাওরা।
জানাযায়, উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ফসলী জমি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে ভূমিদস্যুরা নির্বিঘ্নে শত শত একর জমির মাটি কেটে অন্যত্রে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
মাটি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘন করে অনুমতি বিহীন জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর করে মাটি কাটায় আশেপাশের ফসলি জমিগুলো এমনিতেই ভেঙে পরে। এতে করে বেশির ভাগ সাধারণ কৃষক বাধ্য হয়ে কম মূল্যে ফসলি জমি বিক্রি করে নিঃস্ব হচ্ছে।
বিগত কয়েক বছরে উপজেলায় অন্তত কয়েক হাজার একর ফসলি জমি ধ্বংস করে দিয়েছে ভূমিদস্যুরা। সাধারণ কৃষকের অভিযোগ ও কৃষি জমি রক্ষার্থে প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে জেল জরিমানা সহ ড্রেজার জব্দ করলেও কোন কাজে আসছে না। কারণ প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় অবৈধ ড্রেজার পরিচালনা করেন।
ইতিমধ্যেই নবীনগরের বেশ কয়েকজন রাঘববোয়ালদের অবৈধ ড্রেজার জব্দ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল সিদ্দিক বলেন উপজেলায় আর কোন অবৈধ ড্রেজার চলবেনা, কৃষি জমি রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন এখন থেকে নিয়মিত মাঠে থাকবে। অবৈধ ড্রেজার পরিচালনার দায়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ছয়টি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে।