অনলাইন ডেস্ক :
২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন থেকেই শুরু হবে।
আজ ১ জুন শনিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ পরীক্ষা এক মাস পেছানোর যে বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে ছড়িয়েছে, তা সত্য নয় বলেও জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা কর্তৃক ইস্যুকৃত নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যানের আদেশক্রমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে পূর্বের ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে ৩১ মার্চ শুক্রবার রাতে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
অনলাইন ডেস্ক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, দুর্নীতির তথ্য তামাদি হয় না। সংসদ নির্বাচন শেষে প্রার্থীদের হলফনামায় অস্বাভাবিক সম্পদের তথ্য যাচাই করা যাবে।
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় মিলনায়তনে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক) অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দুদক কমিশনার জহুরুল হক, আছিয়া খাতুন ও দুদক সচিব মাহবুব হোসেন। সভাপতিত্ব করেন র্যাক সভাপতি আহম্মদ ফয়েজ।
অনুষ্ঠান শেষে দুদক চেয়ারম্যানের হাত থেকে র্যাক পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রিন্ট, অনলাইন পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নির্বাচিত তিন সাংবাদিক। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন প্রিন্ট ক্যাটেগরিতে দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিবেদক নুরুজ্জামান লাবু, অনলাইন ক্যাটেগরিতে ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এফ এম আবদুর রহমান মাসুম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটেগরিতে মাই টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাহবুব সৈকত। প্রত্যেককে পুরস্কারের ক্রেস্ট ও এক লাখ টাকা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সাংবাদিকদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান ফরমায়েশি কোনো প্রতিবেদন তৈরি না করে দুর্নীতির তথ্যবহুল প্রতিবেদন তৈরির আহ্বান জানান।
কমিশনার জহুরুল হক বলেন, যে পরিমাণ টাকা প্রতিবছর পাচার হয়, সে টাকায় দশটা পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যাবে। দুর্নীতির সেসব তথ্য সাংবাদিকদের প্রকাশ করার পরামর্শ দেন তিনি।
কমিশনার আছিয়া খাতুন দুর্নীতির আরও গভীরে প্রবেশ করে তা তুলে ধরার আহ্বান জানান। একই আহ্বান জানিয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন কমিশনের সহযোদ্ধা হিসেবে র্যাহক অন্তর্ভুক্ত সাংবাদিকরা কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর রায়পুরায় দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্ট টেঁটা ও বন্ধুক যুদ্ধে ২ জন নিহত ও অন্তত প্রায় ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি নিহত ও আহতদের নাম।
আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার সকালে উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলের বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে রাতুল ও আশরাফুল সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে বিগত দিনে এ দু’দলের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটেছিল। এরই জেরে আজ সকাল থেকেই উভয় গ্রুপের সমর্থকর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে দু’দলের ২ জন নিহত ও প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ জানান, নিহতের সংখ্যা ২ বা ৩ কিনা সঠিক বলা যাচ্ছে না। নিশ্চিত হয়ে জানাতে হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট :
অবৈধভাবে পণ্য মজুতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হচ্ছে। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২২-এর খসড়ায় এ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। অন্য সব অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সম্প্রতি নতুন আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত খসড়া আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধের বিশেষ আদালতে বিচার হবে।
গত বছরের ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়। খসড়াটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সবার মতামত নেওয়া হচ্ছে। এরপর এটি আবার মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে তা সংসদে যাবে। এ আইন পাশ হলে ‘ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ ও ‘দ্য ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ বাতিল হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বছরের বিভিন্ন সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এরপর ওইসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিপুল অঙ্কের মুনাফা লুটে নেয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত চক্রটি এ কাজ করলেও সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এ কারণে নতুন আইন করা হচ্ছে।
নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়- কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন তাহলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
উৎপাদন বা বিপণন সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ডের বিষয়ে বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই ধরনের জাতের উপজাত পণ্য হিসাবে উল্লেখ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করেন, খাদ্যদ্রব্যের মধ্য থেকে কোনো স্বাভাবিক উপাদান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অপসারণ করে বা পরিবর্তন করে উৎপাদন বা বিপণন করেন বা খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশিয়ে উৎপাদন বা বিপণন করেন- তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- সরকার খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহকালে সরকারি গুদামে রাখা পণ্য বৈধ বা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে, দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য বা সরকারি গুদামের পুরোনো বা বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এমন চিহ্নযুক্ত খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ সরকারি গুদামে সরবরাহ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধিদপ্তরের বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে- এমন চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামের খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বিতরণ, স্থানান্তর, কেনাবেচা করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।
খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- অপরাধের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আদালত থাকবে, যার নাম হবে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত হিসাবে নির্ধারণ করতে পারবে। একাধিক আদালত নির্ধারণ করা হলে প্রতিটি আদালতের জন্য স্থানীয় অধিক্ষেত্র নির্দিষ্ট করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হলো লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার।
আজ ২২ জুন শনিবার সকাল ৯টার দিকে নয়াদিল্লির ফোরকোর্টে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সরকারের মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার। এর পরে শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
এদিকে, আজ মোদি-হাসিনা শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি দিনভর রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন শেখ হাসিনা।
মোদি-হাসিনা বৈঠকের পর ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একাধিক মউ (সমঝোতাপত্র) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আজ শনিবার হাসিনার সম্মানে একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করার কথাও রয়েছে হাসিনার।
আজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলারপথে ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে দর্শক, অপারেটর, সরকার সবাই উপকৃত হবে। দর্শক বেশি চ্যানেল ও স্বচ্ছত্বর ছবি পাবে, অপারেটররা ব্যবসার ঠিক হিসাব এবং সরকার ঠিক রাজস্ব পাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সেট টপ বক্সগুলো যেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার সামর্থ্য অনুযায়ী কেনার সুযোগ থাকে সে বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) আয়োজিত ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এক একটি এলাকা ব্লক করে নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করাতে চাই না। ডিজিটাল করার প্রক্রিয়ার শুরুতে এনালগ পদ্ধতিও পাশাপাশি থাকতে পারে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশি-বিদেশি সব চ্যানেল আর এনালগ পদ্ধতিতে শুধু দেশি চ্যানেল দেখা যাবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। এখন প্রায় ৩৬টির মতো টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরও আসছে। এটি না হলে আজ কেউ টিভি চ্যানেল মালিক বা ক্যাবল অপারেটর থাকতেন না। সুতরাং এর নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, এর কারণে এই শিল্পের বিকাশ, তার নেতৃত্বে এই অগ্রযাত্রা বজায় রাখার বিষয়টি ভাবনায় রাখার অনুরোধ জানাই।
মন্ত্রী এ সময় কয়েক দশক ধরে টিভি চ্যানেলগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় ক্যাবল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আইনানুসারে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার ও টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক রাখার বিষয়ে সহযোগিতার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।
কোয়াব নেতাদের উত্থাপিত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ক্যাবল অপারেটররা ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া শুরু করলে যেমন এক ব্যবসা অঙ্গনে অন্যের ঢুকে পড়া হবে, সেটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং অন্য সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ওটিটি নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়াটি হাইকোর্টের অনুমোদন হয়ে এলে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
কোয়াব সভাপতি এবিএম সাইফুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী, সহ-সভাপতি রাশেদুর রহমান মালিক ও সৈয়দ হাবিব আলী, সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাবু, এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।