চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১ জুন শনিবার সকালে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি।
বিচার বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ কর্মকতাও বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয় বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আদালতে বর্তমানে প্রায় ৪২ লক্ষ মামলা বিচারাধীন।
মামলা পরিচালনার জটিল প্রক্রিয়ার সাথে পুরাতন মামলার চাপের ফলে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তি থেকে সাধারণ জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধাভোগী জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে।
বর্তমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে এবং দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ন্যায়বিচার সহজলভ্য ও নিশ্চিত করার জন্য ছোটোখাটো বিরোধের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি ও প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার গ্রাম আদালতকে কার্যকর ভাবে সক্রিয়করনের উপর গুরত্বআরোপ করছে।
সভায় গ্রাম আদালতের বিরোধ মিমাংসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের এখতিয়ারাধীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নে বজ্রপাতে শাহজাহান (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে বজ্রপাতে ৩টি গরু মারা গেছে। আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।
মৃত শাহজাহান সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত জালু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল জানান, দুপুরের পর বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় কাঞ্চনপুর গ্রামে শাহজাহান নামে এক ব্যক্তি মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। পাশাপাশি একই সময়ে বজ্রপাতে খেওয়াই গ্রামে কৃষক মনা ভূঁইয়ার ৩টি গরু মাঠে ঘাস খাওয়া অবস্থায় মারা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বজ্রপাত মাছিহাতা ইউনিয়নে এক ব্যক্তি ও ৩টি গরু মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক্টও চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনার ঘটে আজ ১২ আগস্ট সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ঘাটুরা এলাকায়। নিহতরা হলেন সাধন মিয়া (৪০) ও হিমেল (২৮)।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, নাজমুল করিম ও হিমেল সকালে অফিসিয়াল কাজে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে বিশ্বরোডে যাওয়ার পথে ঘাটুরা নামক এলাকায় তাকে একটি ট্রাক্টর চাপা দেয়। এতে নাজমুল ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং হিমেল গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত হিমেলকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আশুগঞ্জে মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টায় শহরের অন্নদা স্কুলের বর্ডিং মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি থেকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি এস.এম শান্তনু চৌধুরী, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন প্রমুখ।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দৌড়, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, গোলক নিক্ষেপসহ ১০৮টি ইভেন্টে অংশ নেয়। পরে অতিথিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির শাখা ও দলীয় আধিপত্যের অপচেষ্টা শিক্ষা ধ্বংসাত্মক- জীবন ধ্বংসাত্মক -দেশ ধ্বংসাত্মক অপরাধ ও গুন্ডাতন্ত্র মাত্র” বললেন- আল্লামা ইমাম হায়াত (মানবতার রাজনীতির প্রবর্তক)। শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির শাখা ও দলীয় আধিপত্য বন্ধ ও নিষিদ্ধের দাবিতে বস্তুর উর্ধে মানব সত্তা ও মানবতার রাজনীতির প্রবক্তা আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিকনির্দেশনায় আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার- সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন পালন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব ( humanity revolution) স্টুডেন্ট ফ্রন্ট এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে শেখ রাসেল এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন- মঞ্জু আহমেদ (আহবায়ক ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা)। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের উপদেষ্টা সদস্য আশরাফুল হক সুমন, নজরুল ইসলাম, শাহজাদ ভূইয়া, সালমা সাফিরাহ্।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এস এম শাহিন, শরীফ মৃধা, রাহিম রায়হান, সাদিয়া জাহান রিতা, শেখ রোমাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে মানবতার রাজনীতির প্রবক্তা আল্লামা ইমাম হায়াত এর দেওয়া লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, আমরা সকল বস্তুর ঊর্ধ্বে স্রষ্টার নামে স্রষ্টার আলো মহান রাসুলের আলোকে জীবনের আত্মিক সত্যভিত্তিক ও সকল একক গোষ্ঠীবাদি ধর্মবাদি জাতিবাদি অপরাজনীতি বিরোধী মানবতা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব সকল সর্বজনীন প্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনীতির শাখা মারাত্মক ক্ষতিকর ও অনধিকার অন্যায় মনে করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব মানবতার রাজনীতিকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য বিষয় এবং অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে উপলব্ধি করি।
আমাদের বিশ্লেষণ ও উপলব্ধি এই যে- প্রাকৃতিক শক্তির পর রাজনীতিই জীবন, সম্পদ ও দুনিয়ার প্রধান নিয়ন্ত্রক ও চালিকা শক্তি বিধায় মানুষ দাবি করে অরাজনৈতিক হওয়া যায়না। অরাজনৈতিক হওয়া কিম্বা মানবতা বিরোধী কোনো একক গোষ্ঠীবাদি অপরাজনীতির অংশ হওয়া দুইটাই জীবন বুঝতে অক্ষমতা। নির্দলীয় হওয়া আর অরাজনৈতিক হওয়াও এক নয় ভিন্ন বিষয়।
আরো বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব যে কোনো মানুষের জন্য জীবনের যে কোনো স্তরে অরাজনৈতিক হওয়া যেমন জীবন অস্বীকার হিসেবে উপলব্ধি করি তেমনি জীবনবিরোধী মানবতাবিধ্বংসী অপরাজনীতিকেও জীবন ধ্বংসাত্মক ও মানবতা ধ্বংসাত্মক বিষাক্ত আঁধার ও মানবতার বিরুদ্ধি অপরাধ উপলব্ধি করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবন ও মানবতার রাজনীতিকে আলাদা কেও দেখিনা এবং জীবন ও মানবতার রাজনীতি একাকার হিসেবে উপলব্ধি করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবন ও রাজনীতিকে যেমন আলাদা মনে করিনা তেমনি রাজনীতিও নাগরিকত্বকেও আলাদা মনে করিনা বরং একাকার হিসেবে উপলব্ধি করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবনের অপরিহার্য মানবতার রাজনীতি বা যে কোনো রাজনীতি আর দলীয় রাজনীতির সাংগঠনিক বিষয়কেও এক নয় উপলব্ধি করি।
আমরা সব মত পথ আদর্শের যার যার রাজনৈতিক দর্শন ও দল নিয়ে চলার অধিকার যেমন স্বীকার করি তেমনি কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান- সরকার ও রাষ্ট্রের উপর বলপূর্বক কোনো ধর্ম- মত- পথ- মতবাদের রাজনীতি বা দলীয় আধিপত্য চাপিয়ে দিয়ে দস্যুতান্ত্রিক অপরাজনীতি ও জবরদখলের অপরাজনীতিকে চরম ঘৃনার সাথে জীবন মানবতা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চরম ধ্বংসাত্মক অপরাধ মনে করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবনসত্যের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে জীবনের নিয়ন্ত্রক ও চালিকা শক্তি হিসেবে ও জীবনের ভালোমন্দের সাথে একাকার বিষয় হিসেবে রাজনীতিকে উপলব্ধি করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সব মানুষের জন্য জীবনের উদীয়মান কাল থেকেই বিশেষভাবে ছাত্রজীবন থেকেই সুরাজনীতি ও কুরাজনীতি বুঝে সুরাজনীতির ধারক হওয়া জরুরী বিশ্বাস করি।
বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ধর্মের নামে একক ধর্মরাষ্ট্রের নামে অধর্ম উগ্রবাদি হিংস্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং একক জাতিবাদি উগ্রবাদি পাশবিক রাজনীতি- এই দুই একক গোষ্ঠীবাদি রাজনীতি জীবনের স্বাধীনতা ও মানবতার বিরুদ্ধে মারাত্মক বিপজ্জনক ও সংঘাতময় এবং জীবনের সকল সংকটের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও বক্তব্যে বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব বিশেষভাবে ছাত্রজীবনকে জীবন বুঝার- জীবনের সত্য ও মিথ্যার ধারা বুঝার-জীবনের সুপথ কুপথ বুঝার-জীবনের শত্রু মিত্র চিনার-জীবন ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক বুঝার-জীবনের অধিকার স্বাধীনতা চাওয়া পাওয়া এবং শোষন- বঞ্চণা- রুদ্বতার কারন সকল অপশক্তির অপরাজনীতির ধারা বুঝার ও মানবতার মুক্তির পথ বুঝার জন্য জীবনের একাকার বিষয় হিসেবে এবং জীবন ও মানবতার সুরক্ষা হিসেবে জীবনের প্রাকৃতিক মানবতার রাজনীতির সক্রিয় একাকার ধারক দিশারী হওয়া অক্সিজেনের মত জরুরী মনে করি।
কিন্তু আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় কেন্দ্র, আদালত, রাষ্ট্রীয় বাহিনী, হসপিটাল, অফিস, কর্মস্থল, কল কারখানা, খেলাধুলা সাংস্কৃতিক অঙ্গন ইত্যাদি বিশেষ কাজের বিশেষ স্থান ও সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান গুলোতে কোনো রাজনৈতিক দলের অফিসিয়াল শাখা সংগঠন ও দলীয় সংঘাত, দলীয় আধিপত্য বিস্তার, সরাসরি প্রকাশ্য দলীয় কর্মসূচী পালন করা খুবই ধ্বংসাত্মক অন্যায় অপরাজনীতি মনে করি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের রাজনীতির চর্চা অবশ্যই থাকবে থাকতে হবে তবে সেটা হতে হবে কেবলমাত্র একাডেমিক ও সংঘাতমুক্ত এবং নিরাপদ সৌহার্দ্যমূলক।
প্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের দলীয় সাংগঠনিক মাঠের রাজনীতির কর্মসূচি ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক যা কেবল গুন্ডাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য দলীয় রাজনীতি নয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সব অবাঞ্ছিত সংঘাত ও দলীয় আধিপত্য থেকে মুক্ত না রাখলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসল উদ্দেশ্য ধ্বংস হয়ে অসৎ স্বার্থের বিপজ্জনক হাতিয়ার হয়ে যাবে।
যে কোনো বিষয় ভালো হলেও সব কিছুর যথার্থ স্থান- কাল- পাত্র না বুঝলে ভালো বিষয়ও পরিণতিতে ক্ষতিকর হয়ে যায়।
সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ লক্ষ্যের বিশেষ প্রতিষ্ঠানে পরস্পর দ্বান্দ্বিক ও সংঘাতময় দলীয় রাজনীতির শাখা হলে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা হয়।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি