চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১ জুন শনিবার সকালে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি।
বিচার বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ কর্মকতাও বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয় বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আদালতে বর্তমানে প্রায় ৪২ লক্ষ মামলা বিচারাধীন।
মামলা পরিচালনার জটিল প্রক্রিয়ার সাথে পুরাতন মামলার চাপের ফলে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তি থেকে সাধারণ জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধাভোগী জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে।
বর্তমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে এবং দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ন্যায়বিচার সহজলভ্য ও নিশ্চিত করার জন্য ছোটোখাটো বিরোধের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি ও প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার গ্রাম আদালতকে কার্যকর ভাবে সক্রিয়করনের উপর গুরত্বআরোপ করছে।
সভায় গ্রাম আদালতের বিরোধ মিমাংসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের এখতিয়ারাধীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
যাত্রী বেশে মাদক পাচারের সময় ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সুরাইয়া আক্তার প্রকাশ স্বপ্না (২৫) নামে এক নারীকে আটক করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক সুরাইয়া আক্তার ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাদেদন্তা গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে।
৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তার সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাসী করে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল সদর থানায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিন বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের সমন্বয়ে গড়া সংগঠন জেলা অবসরপ্রাপ্ত সম্মিলিত সামরিক বাহিনী কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনটির আই সি টি সম্পাদক সার্জেন্ট বুরহানের উপস্থাপনায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ ওয়াহিদ মিয়ার সভাপতিত্বে আজ ২১ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা অবসর প্রাপ্ত সম্মিলিত সামরিক বাহিনী কল্যাণ সংস্থা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান উপদেষ্টা লেঃ কর্ণেল (অবঃ) মোঃ জি আর জাহাঙ্গীর (এইসি)।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আব্দুল মতিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আঃ কাইয়ুম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অবসরপ্রাপ্ত সম্মিলিত সামরিক বাহিনী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ক্যাপ্টেন (অবঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার (অবঃ) মোঃ এনামুল হকসহ প্রমুখ।
সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তিন বাহিনীর প্রায় ১৫০ জন অবসর প্রাপ্ত সৈনিক জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে যুক্ত হোন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার (অবঃ) মোঃ এনামুল হক (২১) সদস্যের জেলা কমিটির প্রত্যেকের নাম ঘোষণা করে তাদের পরিচিতি পেশ করেন এবং সংগঠনের কার্যক্রমকে ভবিষ্যতে আরো গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে অতি দ্রতই বিভিন্ন উপজেলার অসমাপ্ত কমিটিগুলো গঠন করার ইচ্ছের কথা জানিয়ে বক্তব্য পেশ করে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রধান অতিথি লেঃ কর্ণেল (অবঃ) মোঃ জি আর জাহাঙ্গীর (এই সি) তার বক্তব্যে বলেন, সৈনিকরা কখনো অবসরে যায়না। চাকুরী থেকে আমরা অবসর নিতে পারি কিন্তু সত্যিকার সুন্দর সমাজ গঠনে, জাতি গঠনে, একটি সুন্দর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে আমরা কখনো পিছিয়ে থাকলে হবেনা। দেশ মাতৃকার কল্যাণে এখানে আমাদের কোন অবসর নেই। বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, আপনাদের এই অনুষ্ঠানে এসে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। আপনাদের সাথে আমাদের বাহিনীরও একটা বিশেষ মিল রয়েছে আর সেটা হলো আপনাদের মতো আমরাও একদিন এমনকি আমিও একদিন চাকুরী জীবনের অবসর টেনে আপনাদের কাতারে গিয়ে শামিল হবো।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার ও সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সচেতন সৈনিক হিসেবে আপনাদের সুশৃংখল জীবন যাপনই আপনাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। সারা জীবন শৃঙ্খলতার মধ্য দিয়ে দেশ মাতৃকার প্রয়োজনে দেশের তরে শ্রম ও ঘাম ঝরিয়ে আপনারা যেভাবে নিজেদের সমর্পণ করেছেন বা সমর্পণ করেন তা আগামী নতুন প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত অনুকরণীয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কারাগারে মো. ফজলুর রহমান (৫৮) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৭ এপ্রিল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত ফজলুর রহমান আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেলার কামরুল ইসলাম জানান, গত ১১ মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে একটি হত্যা মামলায় হাজতি হিসেবে ছিলেন ফজলুর রহমান। সকালে বুকে ব্যথা উঠলে ফজলুর রহমানকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়, সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কনটেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে আপলাইনে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু হয়েছে।
১৯ নভেম্বর রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে কনটেইনার ট্রেনটিকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ঢাকায় যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কনটেইনার ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় আপলাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০০ মিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শতাধিক স্লিপার ভেঙে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামত এবং স্লিপার পরিবর্তন শেষে দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনের বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী ট্রেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনের বগিটি উদ্ধার কাজ প্রায় ১১ ঘণ্টা পর রাত ৭টা ৫ মিনিটে সম্পন্ন হয়। তবে, আপলাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় সাড়ে ১০টায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খানাখন্দে ভরা মহাসড়কে গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাক উল্টে একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোন হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ৪ জুন বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শহরতলীর বিরাসার বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়কের কাজ চলছে। এতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কিছু অংশে ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিরাসার এলাকায় মাঝেমধ্যেই যানবাহন উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোরে কুমিল্লা অভিমুখী একটি ট্রাক গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই করে যাচ্ছিলো। এসময় বিরাসার নির্মাণাধীন ফোরলেন সড়কের খানাখন্দে সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকটি উল্টে পড়লে তাতে আগুন ধরে যায়। এরপর প্রচণ্ড শব্দে একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে থাকে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কয়েকটি ভবনের জানালার গ্লাস ফেটে যায়। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল থেকে দমকল বাহিনীর দুই ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় মহাসড়কের দুই পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক নিউটন দাস বলেন, ‘আমরা ভোর ৪টা ২০ মিনিটে খবর পাই। এরপর দুটি স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট গিয়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হতাহত হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করছি, ট্রাকটিতে ২০০ থেকে ৩০০টি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিষ্ফোরণের শব্দে আশে পাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে ঘটনাস্থলে।