চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলায় ছিল ক্রীড়ামোদী উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড়। গতকাল ১ মে শনিবার বিকালে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে উক্ত লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সাদা ধুতি কাপড় পড়ে ভিন্ন রকম সাজে সজ্জিত হয়ে ঢোলের তালে তালে হেলে দোলে ও নেচে গেয়ে লাঠি খেলার মনোমুগ্ধকর নানা কসরত প্রদর্শন করেন লাঠি খেলোয়ারগণ। বিভিন্ন এলাকার ৭ টি টিম উক্ত লাঠি খেলায় অংশগ্রহন করেন। এ সময় উৎসব মুখর পরিবেশে খেলা উপভোগ করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার উৎসুক লোকজন।
সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন সুরুজের সভাপতিত্বে লাঠি খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শের আলম মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু।
খেলার বাড়তি আকর্ষণ ছিল সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন সুরুজ এর মধ্যকার লাঠি খেলা।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই লাঠি খেলা এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে হলেও মাঝে মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ঢোলের শব্দের তালে তালে এই খেলা অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায় যা ক্রীড়ামোদী মানুষকে বিশেষ আনন্দ প্রদান করে বলে স্থানীয় লোকজনের ধারনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে প্রয়াত শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবরু মাষ্টারকে মরণোত্তর সম্মাননা ও ৩০ শিক্ষার্থীকে উপহার দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘সভ্যতার পথে’।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উচালিয়াপাড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার এই সংঘঠনটি গত শনিবার সন্ধ্যায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহৎ এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন। সমাজসেবক মো. ফজল মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক।
ক্বারী মো. জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সমাজসেবক মো. জাকারিয়া, মো. সোনা মিয়া ও মো. আলমগীর মিয়া। সংগঠন সূত্র জানায়, ওই গ্রামের কৃতি সন্তান উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক গুণী শিক্ষক প্রয়াত জহিরুল ইসলামকে সম্মানসূচক মরণোত্তন স্মারক প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষায় গ্রামের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে সংগঠনটি ৫ম থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ও মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া গ্রামের ৩০ জন শিক্ষার্থীর হাতে উপহার সামগ্রি তুলে দিয়েছেন। সকল অতিথিকে দেয়া হয়েছে সম্মাননা ক্রেষ্ট।
প্রধান অতিথি বলেন, যে দেশে গুণীর কদর নেই, সেই দেশে গুণী জন্মাতে পারে না। জ্ঞানার্জন ধনার্জনের চেয়েও বড়। আমাদের সন্তানরাই বড় সম্পদ। এই সম্পদকে কাজে লাগাতে হলে পড়ালেখার কোন বিকল্প নেই। তিনি সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলার কাজে আরো মনযোগি হওয়ার জন্য গ্রামের সকল অভিভাবকদের অনুরোধ জানান। মহৎ ও সময়োপযোগি আয়োজনের জন্য তিনি ‘সভ্যতার পথে’ সংগঠনের সাথে জড়িত সকল যুবককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সাথে এই ধারা অব্যাহত রাখারও অনুরোধ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সরাইল উপজেলার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রোপা আমন এর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের চাষাবাদে সহায়তায় জন্য বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও নারিকেলের চারা, হাইব্রিড মরিচের বীজ,আমের চারা, লেবু চারা, সবজি বীজ, এছাড়া ফলজ, বনজ, ওষুধী গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সরাইল উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরাম হোসেনের সভাপাতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও মোঃ মোশারফ হোসাইন ১৪০০ জন কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ৫কেজি করে আমন ধানের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং ২০০ জন কৃষক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০০০টি নারিকেল গাছের চারা বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও ৭০ জন কৃষক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৫০টি আমের গাছের চারা,৭০ জন কৃষক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৫০টি আমের গাছের চারা,৭০ জন কৃষক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৫০টি লেবুর গাছের চারা, ৭০ জন কৃষক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৫০টি মরিচের বীজ, ৭০ জন কৃষক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৫০টি মরিচের বীজ, ৭০ জন কৃষক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৫০টি সবজি বীজ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে
এসময় সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মজিবুর রহমান, উপজেলা টেলিভিশন জেনালিষ্ট এসোসিয়েশন সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, উপজেলা উদিচির সভাপতি মোজাম্মেল পাঠান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবুল মিয়া (৪০) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের দুবাজাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবুল মিয়া অরুয়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত হাজী ধন মিয়ার ছেলে।
নিহতের একমাত্র ছেলে মামুন মিয়া ও অরুয়াইল ইউপি ১ নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল ইসলামের কাছ থেকে জানা যায়, বাবুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইরাক ছিলেন। গত চার-পাঁচ মাস আগে ইরাক থেকে দেশে আসেন। মঙ্গলবার দুপুর বারোটার দিকে নিজের বসত ঘরের চালে জিগার গাছ কাটার জন্য উঠেন। এ সময় তার মাথায় বিদ্যুতের তার লেগে তিনি মারা যান।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিদ্যুতের লাইন এলোমেলো ভাবে থাকার কারণে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। আর ওই লাইনে কোন প্লাস্টিক মোড়ানো কোন কাভার ছিলনা যার কারণে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুবাজাইলে এক ব্যক্তি মারা গেছে। লাশ থানায় আনা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় আজ ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশের অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সায়মা শাবরীন, প্রধান শিক্ষক পাকশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রেভা দাস, সমাজ কর্মী মোঃ শিব্বির আহমেদ শাওন এবং সমাজ কর্মী হাজী আইয়ুব আলী। শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড আখ্যা দিয়ে প্রধান অতিথি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান বলেন, দারিদ্র পীড়িত আমাদের দেশে শতকারা ৯৭% শিশু প্রতি বছর শিক্ষা অর্জনের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হচ্ছে যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।
তিনি আরো বলেন শুধু শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ব রাখলে চলবে না তারা যাতে যথার্থ বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে দেশের কাজে এগিয়ে আসতে পারে তার জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি মায়েদের অনস্বীকার্য ভুমিকা পালন করতে হবে। মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন বর্তমান যুগ মোবাইলের যুগ, মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে বাচ্চাদের ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। তাই আমাদের সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে।
তিনি আরো বলেন অশিক্ষাই সকল অজ্ঞতার মূল। আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মুলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সর্ম্পূন শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সর্ম্পূণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।
উক্ত নারী সমাবেশে বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকি স্বরুপ।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তৃতার মাধ্যমে নারী সমাবেশ সমাপ্তি হয়। উক্ত নারী সমাবেশে প্রায় চার শতাধিক নারী উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আন্তঃজেলা অটোরিকসা চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আঁখিতারা বাজার থেকে একটি অটোরিক্সা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজন ও পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার রাতে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া (২৩), একই এলাকার মোঃ পায়েল মিয়া (২৩) ও জসিম উদ্দিন (১৮), বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা গ্রামের মোঃ মিলন মিয়া (২৫), একই ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের মোঃ সোহেল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের জোৎস্না বেগম (৩০)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, শনিবার বিকেলে উপজেলার আঁখিতারা বাজারের রাজীব অটোরিক্সা গ্যারেজের সামনে থেকে একটি অটোরিকসা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা চোর চক্রের তিন সদস্য রুবেল, পায়েল ও জসিমকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে বিজয়নগরের চান্দুরা থেকে অপর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা জেলা সদর,বিজয়নগর, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলায় থেকে পরস্পর যোগসাজসে অটোরিক্সা, ব্যাটারি, সিএনজি ইত্যাদি চুরি করে অন্যত্র নিয়ে ক্রয়-বিক্রয় করে।
এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার সকালে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।