ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে জুনায়েদ নামে ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৩ জুন সোমবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর আরিফাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত জুনায়েদ (৬) উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর আরিফাইল এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাস জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিশু জুনায়েদ বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসলের একপর্যায়ে পুকুরের পানিতে ডুবে যায় জুনায়েদ। পুকুরে তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবারে লোকজন। একপর্যায়ে পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় জুনায়েদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় সড়ক মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া কৌশলী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের সরাইল অংশের দু’পাশের ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন তিনি। দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে নিয়মিত পরিদর্শনও করছেন। স্বস্তি প্রকাশ করছেন সড়কে চলাচলকারী চালক যাত্রী ও পথচারীরা।
সূত্র জানায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বাড়িউড়া পর্যন্ত দু’পাশের ঝোপঝাড়ে সন্ধ্যার পর ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে ওঁৎ পেতে বসে থাকে। সুযোগ পেলেই যাত্রীবাহী গাড়িতে ডাকাতি করে। নিজেদের রক্ষায় আবার ওই ঝোপঝাড়ের সহায়তায় সটকে পড়ে ডাকাতদল। অনেক সময় যাত্রীবেশে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে এসে যাত্রীর সর্বস্ব লুটে মারধর করে ঝোপঝাড়ে ফেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। একই কায়দায় সরাইল-নাসিরনগর সড়কের ধর্মতীর্থ এলাকা থেকে ভূঁইয়ার ঘাট পর্যন্ত সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে ওই ঝোপঝাড়েই আশ্রয় নেয় ডাকাতরা। উভয় সড়কের ঝোপঝাড় ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের নিরাপদ সহায়ক। তাই ওই দুই সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে তাদের আশ্রয় ও নিরাপদ জায়গা ঝোপঝাড় ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছেন ইউএনও।
সরাইল সদরের চেয়ারম্যান ও কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহায়তায় রাজস্ব ফান্ডের টাকায় উভয় সড়কের দু’পাশের ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন। কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়মিত কাজ পরিদর্শন করছেন। ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্নতার কাজ দেখে স্বস্তি প্রকাশ করছেন চালক যাত্রী ও সাধারণ পথচারীরা।
সিএনজি চালক মো. খালিদ বলেন, সন্ধ্যার পর এই সড়কে আমরা আতঙ্কে থাকি। ঝোপঝাড়ের ভেতর থেকে হঠাৎ বের হয়ে ইটা বা কাঠের টুকরা ফেলে গাড়ি আটক করে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়। পরিচ্ছন্নতার ফলে ডাকাতদের নিরাপদে ওঁৎ পেতে বসে থাকার জায়গা থাকবে না। খুবই ভালো লাগছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, সড়কে চলাচলকারী চালক ও জন সাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই আমরা দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহায়তায় এই পরিচ্ছন্নতার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। ঝোপঝাড় না থাকলে সড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধ হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পারিবারিক কলহের জেরে মণি রানী নাগ (৩৮) নামের এক স্কুলশিক্ষকের আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ১৩ আগস্ট রবিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি মারা যান।
মণি নাগ উপজেলার শাহবাজপুরের অজিত নাগের মেয়ে। তিনি উপজেলার কালিশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার স্বামী উপজেলার অরুয়াইলের ফটো স্টুডিও ব্যবসায়ী অনিক রায়। ঘটনার পর পুলিশ তার স্বামীকে আটক করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ১৮ বছর আগে মণি রাণী নাগকে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের সাহাপাড়ার জিতু ধরের ছেলে অনিক রায়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসাবে মণির বাবা অনিককে ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র দিয়েছিলেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মণির ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন স্বামী অনিক। তারপরও সংসার করে যাচ্ছিলেন মণি।
বিয়ের দুই বছর পর মণি কালিশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। এরই মাঝে তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তারপরও স্বামী অনিকের নির্যাতন থেমে থাকেনি। বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি ছিল তাদের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। এসব ঘটনায় তাদের মধ্যে মামলা মোকদ্দমাও হয়। দুই মেয়ের কথা ভেবে সেই মামলা সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেন মণি নাগ।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দুপুরের পর আত্মহত্যা করতে চালে দেওয়ার কেড়ির বড়ি খান মণি নাগ। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে স্বামী অনিকসহ মণিকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মণির চিকিৎসা শুরু করলে পালিয়ে যান স্বামী অনিক। এর কিছুক্ষণ পর মণি রানী নাগ মারা যান।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। তার স্বামী অনিক রায়কে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি বাটযুক্ত স্টিলের চাপাতি, ১টি লোহার হাতল কুড়াল ও ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়।
২ এপ্রিল রবিবার গভীর রাতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কাংকুরপাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে সফিক মিয়া (২৭), একই গ্রামের মৌলভী পাড়ার মোঃ রহিম মিয়ার ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া (৩০), উপজেলার ধর্মতীর্থ গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে মোঃ ইদ্রিস মিয়া (৪০) ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার নিটাওল গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার ছেলে মোঃ জালাল (২৫)।
পুলিশ জানায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশ অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, রবিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় আরো ৮/১০ জন ডাকাত পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ইদ্রিস মিয়ার বিরুদ্ধে ৬টি ও মোঃ সফিক মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। সোমবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা দিবস তথা মহান ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ওঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ, কলেজ শিক্ষক, শিক্ষক, গণমাধ্যম কর্মী, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদসহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইউএনও বলেন, মহান ২১ ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সরকারি ভাবে দেয়া কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে পরিবর্তন বা প্রস্তাব এসেছে। নতুন নিয়মে জাতীয় অর্ধনমিত করতে হবে ব্যবহৃত খুঁটি বা লাঠির চার ভাগের এক ভাগ নীচে। অর্থাৎ খুঁটিকে মেপে সমান চার ভাগ করে উপরের অংশের এক ভাগের শেষ সীমানায় নীচের অংশে পতাকার উপরের অংশের ফিতা বাঁধতে হবে। এরপর টান দিয়ে নীচে যতটুকু যায় বেঁধে ফেলতে হবে। শহিদ মিনারে পুষ্ফস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা পূর্বের মতই আছে। সভায় সরাইল মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুব খান প্রস্তাব করেন, ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পরও সরাইলে কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রসা ও কলেজসহ মোট ২২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদৌ নির্মাণ হয়নি শহিদ মিনার। সরকারি/ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ/ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি/ বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছোট করে হলেও দ্রুত শহিদ মিনার নির্মাণ করা হউক। ফলে নতুন প্রজন্ম খুবই উপকৃত হবে।
অন্যান্যের মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নৌশাদ মাহমুদ, বিআরডিবি কর্মকর্তা মাসুদ রানা, মৎস্য কর্মকর্তা মুকসুদ হোসেন, সরাইল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. আইয়ুব খান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৬ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া এলাকায় যাত্রীবাহি দিগন্ত সার্ভিসের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে হাজেরা খাতুন নামে এক নারী নিহত হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত হাজেরা খাতুন সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোগলটুলা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার স্ত্রী। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাধবপুর দিকে যাচ্ছিল দিগন্ত পরিবহনের একটি লোকাল বাস। বাসটি সরাইল উপজেলার বৈশামুড়া নামক স্থান এলাকায় পৌঁছালে বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে ঢাকা-সিলেট মহা সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাসটি। এতে ঘটনাস্থলে এক মহিলা যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হয়।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আর্শীষ কুমার সান্যাল দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, চালক-হেলপার পালিয়ে যান ও ঘাতক বাসটিকে পুলিশ আটক করেছে। তিনি বলেন, একজন নারী নিহত ও ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।