চলারপথে রিপোর্ট :
আল আরাফা ইসলামি ব্যাংক পিএলসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আয়োজনে ১ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মসজিদ রোডে অবস্থিত এ মালেক কনভেনশন হল এন্ড কমিউনিটি সেন্টার- এ দিনব্যাপী এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মানোন্নয়নে আউটলেট অফিসিয়ালদের ভুমিকা ও কর্তব্য ব্যাচ-০২/২০২৪ শীর্ষক আউটরিচ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসইভিপি এন্ড জোনাল হেড মো. আব্দুর রহিম দোয়ারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডিএমডি আবেদ আহমেদ খান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ডিএমডি এন্ড সিআরও ফজলুর রহমান চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন, আল আরাফা ইসলামি ব্যাংক পিএলসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ম্যানেজার মো. আশেকুর রহমান।
কর্মশালায় ৩২২ জন অংশগ্রহন করেন। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সেবার মাধ্যমে ব্যাংকের সুনাম বাড়াতে হবে। সেবার মাধ্যমে নিজেদের কথা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। আর এজন্যই আজকের এই কর্মশালা, তবে এর স্বার্থকতা পেতে হলে সততার সাথে কাজ করতে হবে- কাজের কোনো বিকল্প নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সদর উপজেলা স্কাউটসের উদ্যোগে সদর উপজেলার ১৩১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় সচেতনতামূলক অভিভাবক সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সের মেডিকেল অফিসার ডঃ মোহাম্মদ ইসমাইল ভূঁইয়া, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা ও আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু জামাল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে সচেতন ও সর্তক হতে হবে। সচেতনতা ও সর্তকতাই পারবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে। তিনি বলেন, বাড়িতে কোন জায়গায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না। যদি কোন শিক্ষার্থী বা অভিভাবক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন সাথে সাথে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, বুধবার একযোগে উপজেলার উপজেলার ১৩১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় সচেতনতামূলক অভিভাবক সমাবেশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশে প্রায় দুই শতাধিক অভিভাবক অংশ গ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুল ইসলাম খোকন (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
৩ জুন শনিবার রাতে উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কুড্ডা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত খাইরুল ইসলাম খোকন কুড্ডা গ্রামের কুড়াবাড়ির আবু সাইদ মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের মলাই মিয়ার কাছে একই এলাকার শাহ আলম ১ হাজার ৯০০ টাকা পেতেন। এর মধ্যে মলাই মিয়া কিছু দিন আগে শাহ আলমকে ৫০০ টাকা ফেরত দেন। বাকি ১ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ে শাহ আলমের সঙ্গে মলাই মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য শনিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কুড্ডা গ্রামের মেহের আলী শা মাজারের সামনে সালিশ বসে। সালিশে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মলাই মিয়া গ্রুপের লোকজন শাহ আলম গ্রুপের লোকদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে খায়রুল ইসলাম খোকনের গলায় বল্লম (দেশীয় অস্ত্র) বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে। পরে রাত ১২টায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সবাই ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মাদ্রাসা থেকে পালানোর চেষ্টায় বহুতল ভবনের পাইপে আটকে পড়ে সবুজ (১৩) নামের এক মাদ্রাসা সাছাত্র।
জাতীয় জরুরিসেবা ৯৯৯-এ ফোন করে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পরে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়।
১৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের খৈয়াসার এলাকার সালমা সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় ঘটনাটি ঘটে।
উদ্ধার হওয়া সবুজ সরাইল উপজেলার রাণিদিয়া গ্রামের হাজি শামসুল হকের ছেলে। সে সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার মো. নাজমুল আলম জানান, সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসা থেকে ৯৯৯ ফোন আসে একজন মাদ্রাসা ছাত্র পাইটে আটকে আছে। তখন উদ্ধারকারী দল নিয়ে ৫ মিনিটে মধ্যে সেখানে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। দীর্ঘ পৌনে ১ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে বেলা ১২টায় ৭তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবনের ৬ষ্ঠ তলার পাইপ লাইনে আটকে থাকা মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করে আনেন ফায়ার ফাইটার আলমগীর হোসেন।
এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ বায়েজিদ আহমেদ বলেন, মাদ্রাসায় যখন সব ছাত্র ঘুমিয়ে ছিল তখন সবুজ ৬ষ্ঠ তলার পাইপ বেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে সে আর পাইপ বেয়ে নামতে পারেনি। তখন ভবনের বাইরের লোকজন এমন দৃশ্য দেখে মাদ্রাসায় এসে বিষয়টি জানায়৷ তখন ভবনের ছাদে গিয়ে দেখা মেলে সবুজের পাইপে আটকে থাকার দৃশ্য। দেখা মাত্র ৯৯৯ – এ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে সবুজকে পাইপ লাইন থেকে উদ্ধার করে উপরে তুলে আনে৷
তিনি আরো বলেন, সবুকে উদ্ধারের পর তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে বিকাল ৪টায় তার মা আসেন। পুলিশ সদস্যদের সামনে সবুজকে তার মায়ের সঙ্গে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷
এসময় জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. শরীফ নেওয়াজ ও ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাসসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ে আসেন। এ সময় তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ট্যাক্স আদায় জোরদার করার পরামর্শ দেন। তিনি সরকারী বিধিমালা অনুসরণ করে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার করার আশ্বাস প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ামিন হোসেন, পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম, শাহানা বেগম, মিনারা বেগম, নিলুফা ইয়াছমিন, কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন, শেখ মোঃ মাহফুজ মিয়া, আক্তার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোঃ আবদুল মালেক, ওমর ফারুক জীবন, ফারুক আহমেদ, মীর মোঃ শাহীন মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, মোঃ কাওসার মিয়া, মোঃ সাকিল, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামছুদ্দিন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ ৭ আগস্ট সোমবার সকালে পৌরশহরের খৈয়াসা-বিরাসার সড়কের ওই অফিসটি খোলার পর বিষয়টি নজরে আসে। এ ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের চারটি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের পেছনের গ্রিল কেটে বারান্দার খোলা দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে চোরের দল। এ সময় তারা একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর, চারটি পেনড্রাইভ ও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এরমধ্যে একটি পেনড্রাইভে ভিসা আবেদনকারীদের বায়োমেট্রিক ডাটা সংরক্ষিত ছিল। সকালে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে আসার পর স্টাফদের নজরে চুরির বিষয়টি আসে।
ওসি আরো বলেন, সকাল ৯টার পর ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে আমাদের বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই কাজ শুরু করেছে। চুরি ঘটনার পর শহরের বিরাসার, ঘাটুরা, ভাদুঘর ও শিমরাইলকান্দি শেখ হাসিনা সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ইনচার্জ সবুর আলী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা দ্রুত সময়ে চুরির রহস্য ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।