চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। আজ ৫ জুন বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পাইকপাড়ার আব্দুস সামাদ মেরাজ ও স্বপন মিয়া, মধ্যমেড্ডার কামাল মিয়াকে সাতদিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাহেদ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নাসিরনগরের ইউএনও জানান, ওই প্রার্থী মহেশপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার আনার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করেছিলেন। একই কেন্দ্রে ওই প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট আনোয়ার হোসেনকে তিনদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি বিধি না মেনে মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখেন।
অপরদিকে বিজয়নগরের কালীসীমা কেন্দ্রে ভোট দিয়ে ব্যালটের ছবি তোলার অভিযোগে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনকে তিনদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আশুগঞ্জের অ্যাসিল্যান্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুলাল মিয়া :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস) প্রতীক ৯২,৫৫২ ভোট পেয়ে বে-বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট।
এছাড়া, কাজী সেলিম রেজা (দোয়াত কলম) প্রতীক ২৭২৮, আব্দুল করীম (মোটর সাইকেল) প্রতীক ২৮২, মোহাম্মদ লোকমান হোসেন (কাপ-পিরিচ) ১৯৬ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে রবিউল আলম (চশমা) প্রতীক ৩৬ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ ইলিয়াছ চৌধুরী (আইসক্রিম) প্রতীক পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৩৩ ভোট।
এছাড়া, শফিকুল ইসলাম (মাইক) প্রতীক ১৯ হাজার ৮১৭, মো: আনিছ খাঁন (টিউবওয়েল) ১৫ হাজার ২১৬, মোঃ আজহারুল ইসলাম (তালা) ৭হাজার ৫৯০, মোস্তাক আহমেদ খোকন (বই) ৬ হাজার ৬৮২, তফাজ্জল শিকদার (উড়োজাহাজ) ৫ হাজার ৫১৫ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আফরিন ফাতেমা জুঁই (ফুটবল) প্রতীক ৩৯,১৩৪ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শামীমা আক্তার (পদ্ম ফুল) প্রতীক পেয়েছেন ৩৩ হাজার ২৬ ভোট।
এছাড়া, উম্মে হানি সেতু (কলস) প্রতীক ২৭ হাজার ৯২৬ এবং নাসিমা আক্তার (প্রজাপতি) প্রতীক পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৫৯ ভোট।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের একমাত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চের সামনে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে নির্বাচনী সভায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তার সমর্থনে প্রতিবন্ধী ঐক্য ফোরাম নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করে। সভায় হাজারও প্রতিবন্ধী অংশ নেন। সকাল ৯টা থেকেই কাউকে হুইলচেয়ারে করে কেউবা সাদা ছড়ি হাতে আসতে দেখা যায়।
এ সময় উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের যে প্রার্থী আছেন তিনি জয়ী হবেন বলে আশা করি। ভবিষ্যতে শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও সংসদে যাবেন বলে মনে করি।
রংপুর-৩ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী। এ ছাড়া এই আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক (ডাব), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সহিদুল ইসলাম (মশাল) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম (আম) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বক্তব্য দিতে গিয়ে খেলু নামের একজন হিজড়া বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আমাদেরকে ভোটের অধিকার দিয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। মোকতাদির চৌধুরীর এমন আয়োজন বাংলাদেশে প্রথম বলে উল্লেখ করেন তিন। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা মো. হেলাল উদ্দিন, হাজি হেলাল উদ্দিন, মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, মাহবুব আলম খোকন, মো. লোকমান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ডা. সাইফুদ্দিন খান শুভ্র। সঞ্চালনায় ছিলেন মো. হেদায়েতুল আজিজ মুন্না।
চলারপথে রিপোর্ট :
খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়া দরগা মহল্লা (পশ্চিমপাড়া) ঘরোয়া লীগ ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ১ যুগ পুর্তি উপলক্ষে জেলা ঈদগাহ মাঠে খেলাটি আয়োজন করেন কাজীপাড়া শৈশব গ্রুপ।
ফাইনাল খেলায় শৈশব লাল দল বনাম শৈশব নীল দল অংশগ্রহণ করেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাজীপাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাংবাদিক মীর মোঃ শাহীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাজীপাড়া সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার শাহ আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়িক নাদিম মিয়া, আরাফাত হোসেন মিল্লাত, এডভোকেট মাসুদ পারভেজ, এডভোকেট কাউসার, দলিল লেখক রুবেল প্রমুখ।
খেলা পরিচালনা করেন মোঃ রাব্বি মিয়া।
খেলায় শৈশব নীল দলকে হারিয়ে বিজয় হয় শৈশব লাল দল। পরে অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাড়ির গেট-দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকদের হাত-পা বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় ডাকাতরা ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া হামলায় নারীসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- বাড়ির কর্তা সাইদুল ইসলাম (৭০), তার স্ত্রী জুৎস্না চৌধুরী (৬০), ছেলে মাইনুদ্দিন ইসলাম (২৬) ও মেয়ে আয়েশা আক্তার মুক্তা (২৮)। এর মধ্যে আয়েশা আক্তার মুক্তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যাওয়ায় ও মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
সাইদুল ইসলামের আরেক মেয়ে সাদেকা ইসলাম রত্না বলেন, আমার দুই ভাই ও এক বোন দেশের বাইরে থাকে। বোন সম্প্রতি সুইডেন থেকে বেড়াতে দেশে আসে। সোমবার সন্ধ্যায় সে আবার প্রবাসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে চলে গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে আমার বোন আয়েশা আক্তার মুক্তা ঘরের বাইরে টয়লেটে যায়। এই ফাঁকে ২৫/৩০ জনের একটি ডাকাত দল আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এর মধ্যে ১০/১২ জন আমাদের বাড়ির বাউন্ডারির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। বাউন্ডারির ভেতরে ঢুকে ভবনের কলাপসিবল গেট ও দরজা ভেঙে সাতজন ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমার বাবা, মা ও ভাইকে মারধর করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরই মাঝে আমার বোন টয়লেট থেকে ঘরে ঢুকলে তার মাথায়ও আঘাত করে মেঝেতে ফেলে দিয়ে মারধর করে। এতে তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যায়। ডাকাত দল আমাদের ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমার মায়ের কান ছিড়ে স্বর্ণের দুল দিয়ে যায়।
আহত আয়েশা আক্তার মুক্তা বলেন, আমি টয়লেট থেকে এসে দেখি সাতজন লোক আমার ভাইকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমার দুই শিশুর গলায় ছুরি ধরে রেখেছিল। তাদের সবার মুখে মাস্ক পরা ছিল। তারা আমার মাথায় আঘাত করে। এরপর আমি লুটিয়ে পড়ি। দুই হাতে কখন আঘাত পেলাম বলতে পারিনি। জ্ঞান ফেরার পর দেখেছি দুই হাতে ব্যান্ডেজ।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় তিন লাখ টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ডাকাতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ হওয়ায় যখন বারবার ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে, তখন একজন শিক্ষকও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ায়নি।
আজ ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মীসভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় রাকিবুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৫ বছর ছাত্রদল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, জেলা ও উপজেলায় প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে গেছে। এসব সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ছাত্রদলের সাড়ে পাঁচশ নেতাকর্মীকে খুন, গুম ও পঙ্গু করা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর শিক্ষাজীবন বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, জেলা ও বিভিন্ন ইউনিটে আমাদের ওপর যত অত্যাচার ও স্টিমরোলার চালানো হয়েছে, কোনো ছাত্রসংগঠনকে এত নির্যাতন করা হয়নি।
এসময় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সহ-সভাপতি হাসান বিন সোহাগ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আশিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, সদস্য সচিব মোল্লা সালাহউদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীন, সদস্যসচিব সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।