চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখায় দুই পোলিং এজেন্টকে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। চতুর্থ ধাপ ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ৫ জুন বুধবার সকালে উপজেলার ৪৮ নম্বর ছতরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মহিলা ভোট কেন্দ্রে এ সাজা দেন নাসিরনগর ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নাসিরনগর ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, জেলার বিজয়নগর উপজেলার ৪৮ নম্বর ছতরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মহিলা ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশ অফিসার বারবার না করা সত্ত্বেও দুই পোলিং এজেন্ট মোবাইল নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। পরে দুই এজেন্ট হারুন মিয়া ও শাহানা বেগমকে মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে হারুন মিয়া ও শাহানা বেগমকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ও জেলা কমিটির সমন্বয়ে এক আলোচনা সভা আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার স্থানীয় সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন পিপিএম।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিতোষ রায় এবং সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল শ্রেনী পেশার মানুষ একযোগে কাজ করতে হবে। যানজট নিরসন সহ শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দুর্গোৎসবে পুলিশের পাশাপাশি আনসারগণ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে বক্তারা জানান।
সভায় বিভিন্ন মন্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশবিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ।
আজ ১৫ জুলাই সোমবার বিকেলে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করে।
জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরিন ফাতেমা, জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি শহীদুল আলম জীবন, রাশেদুল ইসলাম, নাসিম সরকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিকাইল হোসেন হিমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদী, নাহিদ হক নাজমুল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সামী আহমেদ নাবিল।
এসময় জেলা, সদর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে ঈদের বেচা কেনা। শহরের প্রতিটি মার্কেট, শপিংমল ও বিপনী বিতানগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা।
মাকের্টের দোকান গুলোতে রয়েছে সব বয়সী মানুষেরই কাপড়-চোপড়ের বিপুল সমাহার। ক্রেতারাও পছন্দসই কাপড় কিনে হাসি মুখে বাড়ি ফিরছেন।
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতারা যাতে কোন ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন সে জন্য মার্কেট কমিটিগুলোর পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশী ছাউনী। এছাড়াও সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দোকানগুলো।
প্রতিটি মার্কেটেই নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশী লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের নিউ মার্কেট, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, আশিক প্লাজা, ফরিদ উদ্দিন আনোয়ারা টাওয়ার, গ্রীণ সুপার মার্কেট, সিটি সেন্টার, বি-বাড়িয়া টাওয়ার, গোলাপ সুপার মার্কেট, সড়ক বাজার, পৌর হকার্স মার্কেটসহ প্রতিটি মার্কেটেই এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এছাড়াও পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠা বিভিন্ন কাপড়ের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
দোকানগুলোতে দেখা গেছে মেয়েদের জন্য ডিসপ্লেতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে স্কার্ট, টপস, থ্রিপিস, জিন্স প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, বেনারশি, কাতান, সিল্ক, জর্জেট শাড়ী, জয়পুরি শাড়ী, লেহেঙ্গা, পার্টি গাউন, সফট কাতান, বেনারসি, ঢাকাই জামদানি, ভারতীয় জামদানি, রাজশাহী সিল্ক ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি।
ছেলেদের জন্য শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, নবাবী পাঞ্জাবী, শেরওয়ানী, ফতুয়া, কাতুয়া, বিভিন্ন ধরনের গেঞ্জি।
সরজমিনে মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টার পর থেকেই মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে ভীড়। বিকেল ৫টার পর ভীড় একটু কমলেও ইফতারের পরে আবার বাড়তে থাকে ভীড়। বেচা-বিক্রি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
শহরের সড়ক বাজারের শাড়ীর দোকান কমলালয়, ইলোরা, জান্নাত ফ্যাশন, শাড়ি বিচিত্রা, নীলাচল, আঁচল নামের দোকানগুলোতে দেখা গেছে মহিলাদের উপড়েপড়া ভীড়।
নিউ মার্কেটের পাঞ্জাবীর দোকান “পাঞ্জাবী ফ্যাশন” এ গিয়ে দেখা যায় হরেক রকমের পাঞ্জাবীর সমাহার।
শহরের কান্দিপাড়ার বাসিন্দা বরকত উল্লাহ ও রুমা আক্তার বলেন, ছেলে-মেয়েদের জন্য কাপড় কিনতে মার্কেটে এসেছি। এ বছর কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
সদর উপজেলার সুহিলপুরের বাসিন্দা, ফরিদ মিয়া বলেন, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এসেছ কাপড় কিনতে। কয়েকটা দোকান ঘুরে মেয়ের জন্য একটা থ্রি-পিস ও ছেলের জন্য একটা শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট কিনেছি। তিনি বলেন, এ বছর কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
মধ্যপাড়ার রুবি বলেন, প্রচন্ড গরম ও দিনের বেলা মার্কেটগুলোতে অনেক ভীড় থাকায় রাতের বেলা কিনতে এসেছি। তবে এবার কাপড়ের দাম বেশী। ফরিদ উদ্দিন আনোয়ারা টাওয়ারের সুপার সপ লাইক ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী মোঃ এমরানুল হক বলেন, গত কয়েক বছরে করোনার কারনে বেচা-কেনা কম হয়েছে।
তবে এবার বেশ ভালো হচ্ছে, আগামী দিন গুলোতে আরো ভালো হবে বলে আশা করি। তিনি জানান, তার শো-রুমে শার্ট, গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট ও মহিলাদের থ্রি-পিস ও বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।
নিউ মার্কেটের এলিগেন্স গার্মেন্টসের মালিক মাসুম শেখ জানান, আলহামদুলিল্লাহ বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে। আগামীদিন গুলোতে আরো ভালো হবে বলে আশা করি।
নিউ মার্কেটের পাঞ্জাবীর দোকান পাঞ্জাবী ফ্যাশনের মালিক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। গরমের জন্য সূতি পাঞ্জাবির চাহিদা একটু বেশী।
শহরের অভিজাত শাড়ীর দোকান কমলালয়ের মালিক আশিষ সাহা বলেন, পোশাক তৈরির সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এবার ঈদের বেচাকেনা ভালো। বিশেষ করে থ্রি-পিসের বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। এছাড়াও তার দোকানে সব ধরনের শাড়ীই বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সদর ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ কাজ করছে। ঈদ বাজারের নিরাপত্তায় পুলিশের ১৫ টি পেট্রোল টিম, ৫ টা হোন্ডা টিম কাজ করছে।
পাশাপাশি জরুরি সেবার জন্য ৪টি টিম সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পৌর মার্কেটের সামনে পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাতে মার্কেটে আসা কোন মানুষের যাতে কোন ধরনের কষ্ট না হয় সেজন্য পুলিশ টহল দিচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আয়োজনে আগামী রবিবার বাদ যোহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তমঞ্চে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার; দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা; সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রবর্তন এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ ভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনুষ্ঠেয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই। এতে সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। উক্ত গণসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলা ও অধিকাংশ ইউনিয়নে যথাক্রমে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক সফর করেছেন এবং অব্যাহত আছে। জেলার সর্বত্র পোস্টার, হ্যান্ডবিল, লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুন ও মাইকিংয়ের দ্বারা প্রচারণা চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ফ্ল্যাশিং প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী শনিবার প্রতিটি উপজেলায় দাওয়াতি মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গণসমাবেশ সর্বাত্মক সফল করার জন্য জেলাবাসীকে আহবান জানিয়েছেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিম।