অনলাইন ডেস্ক
দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে।
আজ ৭ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়। সেই হিসেবে আগামী ১৭ জুন সোমবার পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন হবে।
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এর আগে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখা যায়। সেই হিসেবে সৌদিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ১৬ জুন। আর ১৫ জুন পবিত্র আরাফাত দিবস।
চলারপথে ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে। এমন কথা বলবো না, আইনটির কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই। যদি দেখি যে, আইনটির সংশোধন করা প্রয়োজন, সেটা করতেও আমরা পিছপা হবো না। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেই কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।
আজ ৬ মার্চ সোমবার রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘শেপিং অব থার্ড সেক্টরল’স এন্ড পলিসিস’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুক্তিসঙ্গত সব পরামর্শ সরকার শুনতে চায়। সুশীল সমাজের বক্তব্য বন্ধ করার উদ্দেশ্য সরকারের নেই। সুশীল সমাজের পরামর্শগুলো সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিবে।
আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আবার বসা হবে, সেখানে যে কেউ মতামত দিতে পারবেন। কেন এই আইন করতে আমরা বাধ্য হয়েছি, তার প্রেক্ষাপট সকলেই জানেন। এটা ব্যাখ্যা করে বলার দরকার নেই। অনেকেই বলেছেন, এই আইন করে কোন উপকার হয়নি, আমার মনে হয় কিছু উপকার হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সব আইনেরই কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা থাকে। আবার কিছু বাস্তবায়নের সমস্যা থাকে। যখন বাস্তবায়নে সমস্যা হয়, তখন আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান করা হয়। সেকারণেই বলছি, এই আইন নিয়ে আমরা আবারও বসবো। যদি বিধি পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা সেদিকে যাবো। যদি তারপরেও আমরা দেখি যে, আইনটির সংশোধন করা প্রয়োজন আছে, সেটা করতেও আমরা পিছুপা হবো না। কিন্তু সম্পূর্ণ আইনটিকে বাতিল করে দেওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না। সেজন্য আসুন আমরা আইনটি নিয়ে আবার বসি এবং সেখানে আইনটির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা করি।
তিনি বলেন, এই বৈঠক রমজানের আগেই হতে পারে।
অনুষ্ঠানে ইউএসএইড-এর অ্যাক্টিং অফিস ডিরেক্টর, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, অধ্যাপক সি আর আবরার ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে নাগরিক সমাজের পক্ষে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজকর্মী খুশী কবিরসহ দেশের শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহকর্মীকে (৪০) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ডাসার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে বিষয়টি আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে সংবাদকর্মীদের কাছে জানান এই ভুক্তভোগী নারী।
অভিযুক্তরা হলেন বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর গ্রামের এসকেন্দার হাওলাদারের ছেলে দুলাল হাওলাদার (৩০), একই এলাকার কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. ইদ্রিস হাওলাদার (৫০), মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার পূর্ব ডাসার গ্রামের রকমান শেখের ছেলে মো. মানিক শেখ (৩০), ঢাকা জেলার মিরপুর এলাকার চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিক (৪০)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহকর্মীর স্বামী মারা যাওয়ার পরে সন্তান নিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ওই সুবাদে তার বাসার সামনে চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিকের সাথে পরিচয়। চায়ের দোকানদার বাবু জানান, মো. মানিক শেখ (৩০) এর কাছে ভালো একটি ছেলে আছে। সেই ছেলের বাড়ি ঘর দেখে আসতে পারো যদি পছন্দ হয় তাহলে আমরা সবাই মিলে তার সাথে তোমাকে বিবাহ দিবো। বাবুর কথায় ভুক্তভোগী নারী রাজি হয়। পরে আসামি মানিক শেখের মোটরসাইকেলে করে গত (৬ সেপ্টেম্বর) বুধবার দুপুরের ঢাকার মিরপুর এলাকার থেকে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর এলাকার উদ্দেশ্য রওনা দেন। পরে বরিশাল গৌরনদী পৌছালে মানিক শেখ বলেন, দুলাল হাওলাদারের সাথে তোমার বিয়ে হবে। তার বাড়ি ঘর তুমি দেখে ও চিনে নাও। পরে সেখান থেকে তারা রাত নয়টার দিকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কালাম ব্যাপারীর বাড়িতে নিয়ে আসে ভুক্তভোগীকে। কালাম বেপারি আসামি ইদ্রিসের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে চারজনকে তাদের ঘরে থাকতে দেয়। এরপরে কালাম ব্যাপারীর স্ত্রী তাদেরকে খাবার দেয়, খাবার খাওয়া শেষ করে যে যার মত করে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। তারপরে দুলাল হাওলাদার, মানিক শেখ, ইদ্রিস ও ভুক্তভোগী নারী টেলিভিশন রুমে বসে টেলিভিশন দেখে। এসময় মানিক শেখ ভুক্তভোগী নারীকে দুলাল হাওলাদার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে প্রস্তাব দেয়। এতে ওই নারী রাজি না হলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চারজন তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই রাইতেই তারা পালিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বাড়ির মালিক কালাম ব্যাপারীসহ ভুক্তভোগী নারীর স্বজনদের জানান। পরে স্বজনদের পরামর্শে মাদারীপুরের ডাসার থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমাকে তারা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ঢাকা থেকে মাদারীপুরে নিয়ে এনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। আমি এদের সঠিক বিচার চাই।
কালাম বেপারি জানান, ইদ্রিস আমার আত্মীয় সুবাদে তাদেরকে আমি এখানে থাকতে দিয়েছি। কিন্তু তারা এই মেয়েটার সাথে এরকম খারাপ কাজ করবে কখনো ভাবতে পারিনি। যারা মেয়েটির সাথে খারাপ কাজ করেছে তাদের কঠিন বিচার হোক।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, মামলা নেয়া হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেল প্রধানমন্ত্রীর উপহারের হাড়ি ভাঙ্গা আম। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নামে ২৪০ কার্টুনে ১২শ কেজির আমের চালানটি আজ ১২ জুন সোমবার দুপুরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
বাংলাদেশ কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট আমের চালানটি হস্তান্তর করেন। এ সময় উভয় দেশের কাস্টমস এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান রবি ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমস বন্দরের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পাদনায় সহযোগিতা করেন বলে কাস্টমস সূত্রে জানা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পদ্মা সেতুতে এক দিনে রেকর্ড ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময় যানবাহন পারাপার হয়েছে ৪৩ হাজার ১৩৭টি। সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত এই পরিমাণ টোল আদায় হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু সাইড অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান, মাওয়াপ্রান্তে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৫৩ হাজার ৯৫০ টাকা ও জাজিরাপ্রান্তে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছিল স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে।
আমিরুল ইসলাম আরো জানান, পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরুর পর থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত ৮০৯ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ২৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৮ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এস কে সাকিল আহমেদকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনীর একটি দল।
গ্রেফতার এস কে সাকিল আহমেদ (৩১) খুলনা সদর উপজেলার আরাজী ভবানীপুরের পাইকগাছা গ্রামের শায়েক তফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (আইটি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৭ বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার এক মামলায় ওই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন সেনাসদস্যরা। তাঁরা বিষয়টি খিলক্ষেত থানা-পুলিশকে জানিয়েছেন। তাঁকে ওই থানায় হস্তান্তর করা হবে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আরইবিতে যোগদান করেন সাকিল আহমেদ। ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর তাঁকে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়। চলতি বছরের গত ১৫ জুলাই বদলি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ে আসেন তিনি।
সাকিলের স্ত্রী মেহজাবিন রহমান বলেন, চলমান দাবি আদায়ের জন্য ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে চেয়ারম্যানের কাছে ই-মেইলে একটি স্মারকলিপি পাঠানোর কারণে তাঁর স্বামীকে গত ২৯ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ১৪ জুলাই সেই আদেশ বাতিল করা হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর স্বামীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে সেনাসদস্যরা এসে তাঁকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। এটা কী ন্যায়বিচার হলো, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরইবির আইন শাখার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আরশাদ হোসেন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলায় করেন। মামলায় সাকিলসহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চার কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (8৮), নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর এজিএম প্রকৌশলী মো. জাফর সাদিক খান (৩২) ও নরসিংদীর বেলাব উপ-আঞ্চলিক কার্যালয়ের লাইন টেকনিশিয়ান মো. মইনুল হাসান (৪৪)।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আরইবির অধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। গত ২৮ জানুয়ারি বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালীদের মদদে অযৌক্তিক দাবিদাওয়ার যড়যন্ত্র করে বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। গত ৮ আগস্ট বেলা ১১টায় মামলার চার আসামির নেতৃত্বে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় সমিতির প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী আরইবি সদর দপ্তর ঘেরাও করেন। তাঁরা আগের জারি করা বদলি আদেশ স্থগিতসহ নানা দাবিতে হুমকি, আন্দোলন ও প্রাণনাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর আবার ঘেরাও কর্মসূচির হুমকির দেওয়া হয়। ১ অক্টোবর আরইবি ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন এবং বেলা ১১টার দিকে তাঁদের কর্মস্থলগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ শাটডাউন করে গ্রাহকদের হয়রানি করেন। এতে জনমনে ক্ষোভ ও অস্বস্তি দেখা দেয়। এর মাধ্যমে তাঁরা বিদ্যুৎ খাতে অচল অবস্থা তৈরি করে জনমনে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করেছেন। তাঁরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা চলাচ্ছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।