চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় চার কেজি গাঁজাসহ মো. বিশাল ভূঁইয়া (২৩) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গতকাল ৬ জুন বৃহস্পতিবার রাতে সরাইল থানাধীন বিশ্বরোড মোড়ের পশ্চিম পাশে সাফকো সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক বিশাল ভূঁইয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আবুদাবাত গ্রামের বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আশিস কুমার স্যানাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিশাল ভূঁইয়াকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চার কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তারুণ্যের যে রোড মার্চ শুরু হয়েছে তা সরকার পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
তিনি বলেন, “দেশ বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে তরুণ সমাজ আজ জেগে উঠেছে। শেখ হাসিনা সরকারকে আর কোন অশুভ শক্তিই রক্ষা করতে পারবে না। এই আন্দোলন ডু অর ডাই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আজ ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কিশোরগঞ্জ জেলার জেলার ভৈরব থেকে সিলেট অভিমুখে তারুণ্যের রোড মার্চের যাত্রাপথে দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে উপস্থিত বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থেকে শুরু হওয়া রোড মার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা হয়ে সিলেট গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই রোড মার্চের নেতৃত্ব দেন।
এদিকে রোড মার্চকে স্বাগত জানাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেরর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, সরাইল বিশ্বরোড ও কুট্টাপাড়া এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হয়। বিক্ষুদ্ধ নেতা কর্মীরা শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
বিশ্বরোড মোড়ে গাড়ি থেকেই নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এদিকে রোড মার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌছলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম ও কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এস.এন তরুন দে সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংসদীয় আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা রোড মার্চকে স্বাগত জানিয়ে শোডাউন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপনির্বাচনে আইনি প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। আজ ১৫ অক্টোবর রবিবার বিকালে সরাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম। বক্তব্যে তিনি বলেন, সব নিয়ম কানুন মেনে উপনির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত ১১ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে জমা দেন। পরদিন জেলা রিটার্নিং অফিসার এর কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভূয়া স্বাক্ষর ও মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর দেওয়ার অভিযোগে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
আইনগত প্রক্রিয়ায় তার প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার কথা স্বীকার করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সমর্থন দিয়ে বলেন, আমার দাদা জাতীয় পার্টি করতেন। এর ধারাবাহিকতায় আমার বাবাও জাতীয়পার্টি করে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টিতে আমার পদ পদবী নেই। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। আগামীতে জাতীয় পার্টির পদ-পদবী নেওয়ার চেষ্টা করে পরবর্তীতে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইব।
এ সময় জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এডভোজেট আব্দুক হামিদ খান ভাসানীসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ৬ বার এমপি ছিলেন। এছাড়াও একবার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুতে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আসনটি শূন্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে যাছাই বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, স্বতন্ত্র পদে সাবেক দুইবারের এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী, এনপিপি’র রাজ্জাক হোসেন ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম এই ৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম মিয়া এর প্রার্থীতা অবৈধ বলে ঘোষনা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর এ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে ফলাফলের গেজেট স্থগিত রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনে আছে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ইসি প্রকাশিত গেজেট স্থগিত রেখে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবে। সে অনুযায়ী তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে তদন্ত প্রতিবেদনে ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইসি নির্বাচন বাতিল বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করতে পারে।
জাহাংগীর আলম বলেন, গণমাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ও লক্ষীপুরের একটি ভোট কেন্দ্রের কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। ইসি সেটির বিশ্লেষণ করেছে। এটার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। সরেজমিন তদন্তের পর তারা যে প্রতিবেদন দেবে, তারপরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে, ৫ নভেম্বর রবিবার লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে একের পর এক সিল মারছেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, যিনি সিল মেরেছেন তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ। পরে বিষয়টি ইসির নজরে আসে।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ রাকিব হোসেন, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. সামছুল করিম ও আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন। ১১৫টি ভোট কেন্দ্রের ৮২৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু এক লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। ভোট পড়ে ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪৬ ভোট।
আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহজাহান আলম ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। এ উপনির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ‘ওপেন ভোট’ নেওয়ার পাশাপাশি ‘জাল ভোট’ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের পানিশ্বর ইউনিয়নের দেওবাড়িয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক পরিবার দীর্ঘদিন থেকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে একই এলাকার হাবিবুর রহমান ও তার সঙ্গীরা। ২১৬ শতাংশ জয়গায় বন্টননামা একটি ভূয়া দলিল করে শতবর্ষ পুরনো একটি পুকুর জবরদখলের পায়তারা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান। হাবিবুর রহমান এলাকায় বিভিন্ন লোকের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ৮টি মামলা করেন, বর্তমানে ৭টি মামলা মিথ্যা বলে তদন্তকারি সংস্থা প্রতিবেদন প্রদান করেন। তারা আরও জানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবং গত (০৩ ডিসেম্বর) শনিবার দুপুর ২টার সময় হাবিবুর রহমানের পক্ষে মহামান্য আদালতের রায় পেয়েছে তা গ্রামে ঘোষণা করা হবে বলে সহজ সরল মানুষের মাঝে মাইকিং এর মাধ্যমে অপপ্রচারণা চালান অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান ও তার সঙ্গীরা। এই নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীরা জানান দীর্ঘদিন থেকে এই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন এবং দখলে রয়েছেন তারা। তারা আরও বলেন বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে হাবিবুর রহমান ও তার সংঙ্গীরা, যেকোন সময় তাদের পরিবারের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলেও অভিযোগে বলা হয়। এছাড়াও হাবিবুর রহমান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে জবর দহলের পাঁয়তারা করে বেড়াচ্ছেন। এই নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. এলাই মিয়া বাদী হয়ে, হাবিবুর রহমানসহ ৪ চার জনকে আসামী করে সরাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকার দুস্কৃতিকারীদের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারের উদ্বর্তন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানিয় ভুক্তভোগীরা।
তবে এ বেপারে অভিযোগ তদন্ত কারি সরাইল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক পংকজ দাস জানান, এই পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদী বিবাদীগণকে বলা হয়েছে কোন অপপ্রচার বা দাঙ্গা সৃষ্টি করলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বাস চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিক্সার যাত্রী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ ২১ আগস্ট সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল ইসলামাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো দুই যাত্রী আহত হন।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম আবু হানিফ (৬০)। তিনি আখাউড়া উপজেলার ধরখার গ্রামের আবদুল হাসেমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী বাসটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটিকে চাপা দিলে অটোরিক্সার তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নোমান মিয়া জানান, হাসপাতালে আনার আগেই হানিফের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনেরা হাসপাতাল থেকেই তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে।