চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২- প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) ঘর পাচ্ছে ৫০টি পরিবার।
আজ ৯ জুন রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ এই তথ্য জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষে “ বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” এই শ্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) ৫০টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এই ঘর গুলো নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ২শতাংশ খাস জমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় নির্মিত হচ্ছে। ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়া এলাকায় ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব ঘরের উপকারভোগীদের তালিকা নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন সদর উপজেলা প্রশাসন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলায় ৫০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের কাজ শত ভাগ শেষ হয়েছে। কোরবানির ঈদের আগেই ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ৫০টি পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেনসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস হোসেন মাতব্বর বলেছেন, গত ১৭ বছর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বিভিন্ন অন্যায়ের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। গুম, খুনের মাধ্যমে ভীতি কায়েম করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্র সমাজকে পিছপা করতে পারেনি। এই ছাত্র সমাজ তাদের রক্তের বিনিময়ে শেখ হাসিনাকে গদি ছাড়তে বাধ্য করেছে।
২২ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ জেলা শাখা আয়োজিত ছাত্র সমাগমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিয়াস হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক সংকটকালে বিএনপির সৃষ্টি হয়। যা বর্তমানে বৃহৎ দল। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র সমাজের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বৃহৎ দল হবে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। সেদিকে লক্ষ্য রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর প্রতিবেশী দেশ ভারত নানানভাবে দেশকে শোষণ করেছে। এখন তারা চট্টগ্রামকে তাদের অংশের সাথে যুক্ত করতে চায়। তাদের উদ্দেশে বলব, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণই যথেষ্ট। সবশেষে বিজেপির এই নেতা বলেন, তরুণ প্রজন্ম যেহেতু বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের হাল ধরেছে, আগামীতে (বিজেপি) সংসদ দখল করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য শাহরিয়ার হোসাইন আরিফ ও জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের জেলা শাখার প্রধান সংগঠক মেহেদী মোহাম্মদ নিশাদের পরিচালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আলম বাঁধন ও আবিদ চৌধুরী। ছাত্র সমাগম উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে পিকআপ ভ্যান ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. ফজলুল হক নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনা ঘটে ৭ মার্চ শুক্রবার সকালে উপজেলার নন্দনপুর এলাকায়।
নিহত ফজলুল হক ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বাঁশহাটি গ্রামের মো. আব্দুল লতিফের ছেলে। আহতরা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার এসআই মো. সজিব মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের নন্দনপুর বিসিকের সামনে দ্রুতগতির একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পিকআপ ভ্যানে থাকা ফজলুল হক ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আরো দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে একপক্ষের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে।
আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম ইয়াকুব মিয়া (৩৫)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নরসিংসার গ্রামে সামিউন বাসির ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ছিল শুক্রবার। বিকেলের ফাইনাল খেলায় পশ্চিম পাড়া দলকে উত্তর পাড়া দল পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে পশ্চিম পাড়া দল উল্লাস শুরু করলে উত্তর পাড়া দলের কয়েকজন বাধা দেন। পরে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় কয়েকজনের নেতৃত্বে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে ৫/৬ জন আহত হন। তাদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইয়াকুব মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক ডা. শরিফুল হক বলেন, ইয়াকবের পিঠে ছুরিকাঘাত লাগে। তার শরীর থেকে অধিক রক্তক্ষরণ হয়েছে। ধারণা করছি রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন বলেন, হত্যার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদ ভূইয়া (৫৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ২০ এপ্রিল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আগরতলা সড়কের কোড্ডা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।
এই দুর্ঘটনায় একই কার্যালয়ের প্রশিক্ষক জিয়াউর রহমানসহ (৩৮) আরো ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিকেলে একটি জরুরি সভায় অংশগ্রহণ করেন আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া।
সভা শেষে তিনি প্রশিক্ষক জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আখাউড়ায় যান। সেখান থেকে রাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেরার পথে কোড্ডায় তিতাস নদীর সেতুর আগে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তারা দু’জনসহ ৫ জন আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।