চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান ইজাজকে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা হাসান আল ফারাবী জয়।
৮ জুন শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ফারাবী।
পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ফারাবীকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে নতুন করে আর কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেফতার ফারাবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি কলেজপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক দম্পতি ইয়াকুব আলী ও রোকেয়া বেগমের একমাত্র ছেলে।
মামলায় মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার ভোরে ফারাবীকে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৫ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় খান টাওয়ারের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজ খুন হয়।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার পর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কৃত হাসান আল ফারাবী তাকে গুলি করে কোমরে পিস্তল রেখে ঘটনাস্থল থেকে সরে যাচ্ছে। এ ঘটনায় আশরাফুল রহমানের বাবা আমিনুর রহমান বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুতগতির মোটর সাইকেলের ধাক্কায় নিলুফা আক্তার (৫০) নামে এক মহিলা নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় বিরাসার-লালপুর আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার নাটাই এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নিলুফা সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের নাটাই গ্রামের সফর বাড়ির আকবর মাস্টারের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, রাত ৯টার দিকে নিলুফা আক্তার বাড়ি থেকে বের হয়ে সামনের দিকে যাওয়ার পথে হঠাৎ দ্রুতগতির একটি মোটর সাইকেল তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা নিলুফাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ঘাতক মোটর সাইকেল চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটর সাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো দু’জন আহত হয়েছেন।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাদুঘর ফাঁটা পুকুর পাড় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাদাত হোসেন (১৭) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, ভাদুঘর থেকে তিন বন্ধু মোটর সাইকেল যোগে জেলা শহরের দিকে আসার পথে পথিমধ্যে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাদুঘর ফাঁটা পুকুর পাড় এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে মোটর সাইকেল চালক শাহাদাত ছিটকে ট্রাকের নিছে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি আরো জানান, শাহাদাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বে-সরকারি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই শতাধিক রিক্সা চালক ও পথচারীর মধ্যে ইফতার বিতরণ করেছে “আমরা বন্ধু” নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই ইফতার বিতরণ করা হয়। পরে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে বন্ধুদের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে. ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রামকানাই হাই একাডেমী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৬,১৯৯৭ এবং ১৯৯৮ সালের এসএসসি ব্যাচ নিয়ে আমরা বন্ধু নামের গঠনটি গঠন করা হয়। এই সংগঠনের সদস্যরা দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন স্থানে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। এই সংগঠনে রয়েছে প্রায় সাড়ে চারশত বন্ধু।
সংগঠনের সদস্য মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমরা প্রতি বছরেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। আজ দুই শতাধিক মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করেছি। তিনি বলেন, এটি একটি সামাজিক সংগঠন। এই সংগঠনে সকলেই সমান। এই সংগঠনে কোন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নেই।
সংগঠনের সদস্য সিকদার আশা বলেন, আমি দুবাই থাকি। পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ-উল ফিতর উদযাপনের জন্য কিছুদিন আগে দেশে এসেছি। আজ বন্ধুরা মিলে দুইশতাধিক পথচারী ও রিক্সা চলককে ইফতার করাতে পেরে ও সকল বন্ধুরা একসাথে ইফতার করতে পেরে ভালো লাগছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬৪তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আজ ৪ মার্চ শনিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দি ব্লুমিং ফ্লাওয়ার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবক তাজুল ইসলাম বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামাল, রামকানাই হাই একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আশিকুর রহমান পাঠান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রকিব।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিজেদের আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হয়ে ওঠতে হবে। তিনি বলেন, খেলাধুলা করলে মনের পরিতৃপ্তির পাশাপাশি সুস্থ সবল থাকা সম্ভব। আজ যারা বিজয়ী হবে তারা আগামীতে আরো ভালো করার চেষ্টা করবে, আর যারা বিজিত হবে তারা বিজয়ী হরার চেষ্টা করবে।
উল্লেখ্য, ৬৫টি ইভেন্টে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ৪০ দিনে মোট ৪২২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। অবশ্য এসব ডেঙ্গু রোগীদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা। তবে জেলায় এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইজন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজন, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন, আখাউড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ভর্তি হয়েছেন। ২৪ ঘন্টায় চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি, সবচেয়ে বেশি ২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ২১ জন ভর্তি আছে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জেলায় মোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা ৬৯ জন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম ডেঙ্গু রোগী ধরা পড়ে। আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চতুর্থ তলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নতুন একটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে। তবে, তাদের জন্য কোনো শয্যা নেই। নিজেদের আনা শয্যা মেঝেতে বিছিয়ে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। সব রোগীর উপরেই মশারি টানানো রয়েছে।
ওয়ার্ডটিতে ঢোকার পথে চোখে পড়ে এক যুবকের মাথায় পানি দেওয়া হচ্ছে। জানা গেলো তার নাম সোলেমান। বাড়ি সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের বাকাইল গ্রামে। মা-বাবা মিলে তার মাথায় পানি ঢালছেন। ঘিরে আছেন অন্য স্বজনরাও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাকাইল গ্রামের যুবক সেলুনকর্মী সোলেমান ৮/১০ দিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন বলে জানান তার বাবা জয়নাল মিয়া। বাড়িতে আসার দিন থেকেই তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব। পরীক্ষা করিয়ে ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাকে এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কসবার উপজেলার ধর্মনগর গ্রামের সুফিয়া বেগম নামে এক নারী জানান, তার মেয়ে নাসিমা কয়েকদিন ধরে জ¦রে আক্রান্ত। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে শনিবার তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জ¦রসহ বমির উপক্রম আছে নাসিমার।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, জেলার সব কয়টি সরকারি হাসপাতালেই প্রতিদিন নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসা বিষয়ে সার্বিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আসা বলে জানান তিনি।