চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে মো. সোহাগ (২৮) নামে এক সৌদি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১০ জুন সোমবার দুপুরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বাইশমৌজা বাজারের পাশে আব্দুল্লাহ্ চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সাতঘর হাটির আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি তিনমাস আগে ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করেছিলেন।
পরিবারের লোকজন জানায়, সোহাগ বাইশমৌজা বাজারের পাশে আব্দুল্লাহ্ চরে ১০/১৫টি মহিষকে ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর উপজেলায় নিখোঁজের পরদিন শিশু সাইমনকে (৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। আজ ২৩ জানুয়ারি সোমবার উপজেলার জিনোদপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাইমন উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের ইলেকট্রিশিয়ান ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। সে বাবা-মায়ের সাথে পাশের ইউনিয়নের জিনোদপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাইমন গতকাল রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিল। তার পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজেও তার সন্ধান পাননি। অবশেষে সোমবার সকালে ওই শিশুকে মৃত অবস্থায় বাড়ির পাশের পুকুরে পাওয়া যায়।
নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শিশুটি নিখোঁজ ছিল বলে জানতে পেরেছি। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামে ১৯৭১ সালে ১০ অক্টোবর পাক হানাদার বাহিনী মহান মুক্তিযোদ্ধে ৪৩ জনকে একসাথে নির্মমভাবে হত্যার ৫৪তম দিবস উপলক্ষ্যে এক স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ১নং বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের আত্নদানকারী শহীদদের স্মরণে গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি আয়োজনে পাগলা নদীর তীরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের ৭১ স্মৃতিসৌধ এবং খারঘর গণকবর জামে মসজিদ ও মাদরাসার সামনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
খারঘর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্টানে খারঘর গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ ইমরুল কায়েস সুমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম।
গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ জীবনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ডা. আসাদুজ্জামান রিফাত, নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু মুছা, নবীনগর থানা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) সজল কান্তি দাস,নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এডভোকেট রেজাউল করিম সবুজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোখলেছুর রহমান, খারঘর যুদ্ধে যুদ্ধাহত রিনা বেগম,সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রজব আলী মোল্লা, বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার, বড়াইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দীন মীর, বড়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার শিকার বাংলাদেশে যতগুলো গণকবর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম খারঘর গণকবর। এটি বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী জায়গা। এই জায়গাটি স্বাধীনতা পরবর্তী অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কাছে এই এলাকা মুক্তিযোদ্ধা ও তরণ প্রজন্মের ও খারঘর গণকবর সংরক্ষণ কমিটির দাবি একটি গণকবর কমপ্লেক্স নির্মাণ ও অবহেলিত ৪৩ জন শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন করা।
বক্তারা আরো বলেন, খারঘর অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রয়েছে যাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করতে গিয়ে শহীদ ও আহত হয়েছেন। সেই শহীদ ও আহত পরিবার সদস্যদের প্রতি সরকারের মানবিক দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ১০ কেজি গাঁজাসহ ৪ নারী মাদক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে নবীনগর থানা পুলিশ।
১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলার শিবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আক্কাস আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ শিবপুর সিএনজি স্টেশনে রাস্তার উপর চেক পোষ্টে ডিউটি করার সময় বিশেষ অভিযানে তাদের গাঁজাসহ আটক করে।
আটককৃত আসামিরা হচ্ছে, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার উত্তর কান্দা গ্রামের মো.রুবেল মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ বৃষ্টি আক্তার প্রঃ সনিয়া (১৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার চর চন্নিপুর গ্রামের সোহেল ওরফে সোহাগের স্ত্রী, সিমা আক্তার (২০), আখাউড়া উপজেলার রাজাপুর (আশ্রয়ন প্রকল্প) গ্রামের মো.শাকিল ওরফে রুবেলের মেয়ে মোসাঃ তামান্না আক্তার (১৪) এবং মো.আবুল কাশেমের মেয়ে মোসাঃ সাদিয়া আক্তার (১৭)।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, তাদের হেফাজত হতে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার পূর্বক নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বজ্রপাতে আব্দুল আওয়াল (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৬ এপ্রিল বুধবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর বিলে এই ঘটনা ঘটে। তিনি কুড়িঘর গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে। নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বুধবার দুপুরে কুড়িঘর গ্রামের পার্শ্ববর্তী বিলের ফসলি জমি থেকে ধান কাটতে যান আব্দুল আওয়াল। ধান কাটা শেষ করে বিলে গোসল করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধান কাটার পর বিলে বজ্রপাতে একজন কৃষক মারা যান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরী বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে কৃষকের পরিবারকে সহযোগীতা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সন্ত্রাসী হামলায় জামালপুরের বকশীগঞ্জের ৭১ টিভি ও বাংলা নিউজের নির্ভীক সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুন শুক্রবার শেষ বিকেলে নবীনগর প্রেসক্লাব চত্বরে নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নবীনগর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, মাহাবুব আলম লিটন, আসাদুজ্জামান কল্লোল, কান্তি কুমার ভট্টাচার্য্য, তাজুল ইসলাম, মেহাম্মদ হোসেন শান্তি, মিঠু সূত্রধর পলাশ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য টিটন দাস, সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় শীল, সাধারণ সম্পাদক কয়েছ আহম্মেদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন- সাংবাদিক গোলাম রব্বনী সহ ইতোপূর্বে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার বিচারসহ অধিকাংশ সাংবাদিক হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়নি। ধারাবাহিক ভাবে সাংবাদিক হত্যাও নির্যাতনের বিচার না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সকল সাংবাদিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।
সভায় এ হত্যকান্ডের প্রতিবাদে তিন দিন কালো ব্যাজ ধারণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।