চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় কার্টনে মোড়ানো এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১২ জুন বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী এলাকায় ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী এলাকায় ব্রিজের নিচে কার্টনে মোড়ানো এক নবজাতক দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে একদিনের মেয়ে বাচ্চার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, কেউ হয়তো অবৈধ গর্ভপাত করে বাচ্চার মরদেহ কার্টনে করে ফেলে যায়। বাচ্চার পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে অজ্ঞাত এক পরিবহনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আশিষ চন্দ্র দাস (২০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সরাইল নোয়াগাঁও গোগদ (ইসলামাবাদ) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলটি আশিষ নিজেই চালাচ্ছিল। আশিষ চন্দ্র দাস সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বড় ধীতপুর গ্রামের দাসপাড়া এলাকার শচীন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে ও পুলিশ জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোগত (ইসলামাবাদ) এলাকায় অজ্ঞাত এক পরিবহনের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় আশিষ চন্দ্র দাস গুরুতর আহত হয়। তারপর রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা পিকআপের চালক আলম আহত আশিষ চন্দ্র দাসকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আওয়াতিফ ইবনে মাতিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক মো. আওয়াতিফ ইবনে মাতিন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশিষ চন্দ্র দাস মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছি। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে স্বর্গীয় ‘আশুতোষ চক্রবর্তী স্মারক শিক্ষাবৃত্তি-২০২৪’ পেল ১০০ মেধাবী শিক্ষার্থী।
আজ ১৩ জুলাই শনিবার ইউনিভার্সেল কলেজ হাসপাতাল ঢাকা এর শিক্ষা সামাজিক উদ্যোগে সরাইল উপজেলা কমপ্লেক্সের স্বাধীনতা হলে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরাইল ও আশুগঞ্জের ১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে এ শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়েছে। তাদের দশম আয়োজনে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জনকারীদের পাশাপাশি অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীরাও স্থান পেয়েছে। উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় স্থানীয় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাও দেয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আশুতোষ চক্রবর্তীর স্ত্রী পুষ্ফ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা।
জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, প্রভাষক ও বাচিক শিল্পী মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন-বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-২ মো. শহীদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাথাওয়াত হোসেন বিপিএম (সেবা), প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. নজরুল ইসলাম, সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. রাকিবুল হাসান, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ও সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি এমন একটি মহৎ আয়োজনের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান করে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষা ছাড়া পৃথিবীতে কোন জাতিই উন্নতি করতে পারে না। তাই আমাদেরকে অবশ্যই শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আরো গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে পাঠ গ্রহন ও পড়ালেখায় অধিক মনোযোগি হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাদক ও বাল্যবিয়েকে না বলতে হবে।
সরাইল উপজেলায় একটি অটোরিকশার গ্যারেজে ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (মধ্যপাড়া) এলাকায় আটোরিকশার গ্যারেজে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মৃত আমির খানের ছেলে। সে পেশায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের (মধ্যপাড়া) সুমন মিয়ার রিকশার গ্যারেজে তার রিকশার ব্যাটারিতে চার্জ দিতে যায়। এ সময় গ্যারেজে পরে থাকা বিদ্যুতের তার অসাবধানতাবশত জহিরুল ইসলামের বাম পায়ে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী জীবন মিয়াসহ কয়েকজন লোক মিলে তাকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সোহাগ রানা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার অরুয়াইল বাজার এলাকায় তিতাস নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন সেট, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নৌকার যাত্রী ও ভুক্তভোগী মোকাদ্দেস এবং হাবিব মিয়া জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের কাশেম মিয়ার যাত্রীবাহী ট্রলারটি ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার অরুয়াইল বাজার নৌ-ঘাট থেকে বারপাইকা গ্রামে যাচ্ছিল। ট্রলারটি তিতাস নদী দিয়ে উপজেলার পাকশিমুল ও বারপাইকা এলাকায় আসার পর আরেকটি ট্রলারে করে ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালায়। যাত্রীবাহী ট্রলারের কয়েকজনকে মারধরও করে ডাকাতেরা। আহতদের মধ্যে কয়েকজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ট্রলারের মালিক মো. কাশেম মিয়া বলেন, ট্রলারটি অরুয়াইল স্পিডবোট ঘাট থেকে ছেড়ে পাকশিমুল ও বারপাইকা গ্রামের মাঝামাঝি যাওয়ার পর নৌকায় করে একদল ডাকাত আমাদের নৌকাটি আক্রমণ করে যাত্রীদের মারধর করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল নিয়ে যায়। যারা চিৎকার দিতে চাইছে তাদেরকে বেশী করে মারধর করে করেছে।
সরাইল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) ও অরুয়াইল বিটের বিট কর্মকর্তা নুরুল করিম বলেন, আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের সাথে কথা বলেছেন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ডাকাতরা ডাকাতি করে সব নিয়ে যায় তাহলে আমরা যাবো কোথায়? অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ৮৩টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ৩ হাজার ৭০০ ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ মার্চ সোমবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া ও কুট্টাপাড়া (পশ্চিম) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। একটি চক্র বিভিন্ন বাসা বাড়িতে এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা কালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া ও কুট্টাপাড়ার (পশ্চিম) এলাকা থেকে ৮৩ টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ৩ হাজার ৭০০ ফুট অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তারা ও সরাইল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলন।