চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
১১ জুন মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার মাওলানা আবু আহমেদ কল্যাণ ট্রাষ্ট নামে একটি শিক্ষা ও সেবামূলক সংস্থার উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কল্যাণ ট্রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবু আহমেদের সভাপতিত্বে সাংবাদিক মনিরুল হোসাইন ও তম্ময় আহমেদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী রবিউস সারোয়ার, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য এম.বি কানিজ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আজহারুল ইসলাম ভূইয়া, তুরস্কের মানবিক সেচ্ছাসেবী সংস্থা রিভাত এর প্রতিনিধি মোস্তুফা ইরোগলু, বিল্লাল ইরোগলু, হাফেজ মোহাম্মদ যুগনিউল হাসান ও প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবু আহমেদ কল্যাণ ট্রাষ্টের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক।
অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল ব্যাগ, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত চারজনের পাশাপাশি বিএনপি সমর্থক একজন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের চারজনের মধ্যে তিনজনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা এ কে একরামুজ্জামানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা।
আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। আজ ২২ সোমবার শেষ দিনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলার গুনিয়াউক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত গোলাম সামদানি ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়া পাঠান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ইয়াছিন প্রবাসী হুমায়ুন কবীরকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, আওয়ামী লীগের সমর্থক উপজেলার ধরমন্ডলের বাসিন্দা প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধর এবং কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের টানা চারবারের (২০১৬ সাল পর্যন্ত) চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ওমরাও খান।
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন। এই আসনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ নেতা রোমা আক্তার, মনিরুজ্জামান সরকার ও প্রদীপ কুমার রায় একরামুজ্জামানের পক্ষে নির্বাচন করেছিলেন। অন্যদিকে উপজেলার ধরমন্ডলের প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের অনুসারী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসিম কুমার পাল বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত হলো কাউকে সমর্থন দেওয়া হবে না। আর দলের যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা কেউই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি। তাঁরা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতার কলার ছড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করেছে। নির্বাচন যেহেতু উন্মুক্ত। তাই কে প্রার্থী হলো বিবেচ্য বিষয় নয়।
বিএনপির নেতা ওমরাও খান বলেন, ‘সারা দেশেই দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেসব নেতা-কর্মী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন, বিএনপি তাঁদের বহিষ্কার করবে। নেতা-কর্মীরা বহিষ্কার হবেন। এতে কিছু যায়-আসে না। এখানে নির্দলীয় নির্বাচন হবে। আর কোনো প্রার্থীকে আমি প্রভাবশালী মনে করি না। কেউ কোনো প্রভাব বিস্তার করতেও পারবে না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
চিরাচরিত বাংলা পঞ্জিকার নিয়ম অনুযায়ী যুগ যুগ ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে চলে আসছে ঐতিহ্যবাহী “শুঁটকি মেলা ও বিনিময় প্রথা”। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো কুলিকুন্ডা গ্রামে জমে উঠে এ শুটকি মেলা। মেলার নির্ধারিত দিন নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় এবার রবিবার ও সোমবার দুই দিনব্যাপী বসে এ শুটকি মেলা।
স্থানীয় জনগণের ভাষ্য অনুযায়ী প্রায় দুইশ বছরেরও অধিক সময় ধরে এ মেলা বসছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শুঁটকি ব্যবসায়ী ছাড়াও বাহারি শুঁটকির আকর্ষণে দূর-দূরান্ত থেকে ভোজন রসিকরা মেলায় আসেন শুটকি কিনতে। পছন্দের শুঁটকি ক্রয় করে তারা তৃপ্ত হন। প্রায় দুই শতাধিক নানান জাতের শুঁটকির পসরা নিয়ে বসেন দোকানিরা। এসব পসরায় ছিল বোয়াল, গজার, শোল, বাইম, ছুড়ি, লইট্টা, পুটি ও টেংরাসহ নানান জাতের দেশীয় মাছের শুঁটকি। এমন কোন জাতের শুঁটকি নেই যা পাওয়া যায় না।তবে দেশী মাছের শুঁটকির প্রাধান্যই বেশী। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও আমদানি করা বিভিন্ন প্রজাতির শুটকি উঠে। মেলায় নাসিরনগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট ও সুনামগঞ্জের ব্যবসায়ীরা শুঁটকি নিয়ে আসেন। সামুদ্রিক অনেক বিরল জাতের মাছের শুঁটকি ছাড়াও ইলিশ ও কার্প জাতীয় বিভিন্ন মাছের ডিমের শুটকি উঠেছে এই মেলায়। শুঁটকি ছাড়াও এ মেলায় আরেকটি বৈশিষ্ঠ্য হচ্ছে “বিনিময় প্রথা” অথ্যাৎ পণ্যের বিনিময়ে পণ্য। ভোরে এ মেলা বসার পর সকাল ১০টা পর্যন্ত বিনিময়ের মাধ্যমে বিক্রি চলে। আর এ কারণেই ধারণা করা হয় এই মেলার ইতিহাস অনেক পুরনো। কুলিকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো: মুখলেছুর রহমান জানান, দুইশ বছরের বেশী সময় ধরে নিয়মিত ভাবে এই মেলা বসছে। এখনো বহু পুরনো প্রথা প্রচলন থাকায় আমরা ধারণা করছি, এ মেলা আদিম কালের। এই মেলা আমাদের কুলিকুন্ডা গ্রামের ঐতিহ্যবহন করে। মেলা আয়োজনের কোন কমিটি নেই। তারপরও মেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মেলায় দুইদিনে লাখ লাখ টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়েছে। শুঁটকি বিক্রির লাখ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যায়। এছাড়াও মেলায় গৃহস্থালী পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা বিক্রি হয়। এবারের মেলায় প্রায় দুইশতাধিক নানা জাতের শুঁটকির পসরা সাজিয়ে বসে দোকানীরা। তবে এবার শুটকীর আমদানি বেশী হলেও দাম ছিল চড়া। স্থানীয়দের মতে ব্যতিক্রম ধর্মী শুটকি মেলার পাশাপাশি পণ্যের বিনিময়ে পণ্য যুগ যুগ ধরে চালু রয়েছে। এই মেলা নাসিরনগরের ঐতিহ্যকে প্রদর্শন করে। এদিকে উপজেলা সদরের লঙ্গণ নদীর তীরেও একই দিনে বসে “বিনিময় প্রথা” অর্থাৎ পণ্যের বিনিময়ে পণ্য। ভোরে এ মেলা বসার পর সকাল ১০টা পর্যন্ত বিনিময়ের মাধ্যমে বিক্রি চলে। আলু, ডাল, সরিষা, পেয়াজ, রসুন, মরিচসহ এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত নানা পণ্যের বিনিময়ে শুঁটকি ক্রয় করেন। তবে রীতি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এখানে বিক্রি হয় মৃৎশিল্পীদের হাতের তৈরি মাটির হাঁড়ি ও তৈজসপত্র। স্থানীয় কুমারদের হাতের তৈরি হাড়িঁ, পাতিল, কলস, ঝাঁঝর, থালা, ঘটি, বদনা, বাটি, পুতুল ও প্রদীপ মেলায় মানুষের নজরকাড়ে। গ্রাম্য মেয়েদের সামান্য পয়সা সংগ্রহের জন্য নানা ডিজাইনের মাটির ব্যাংকও বিক্রি হয় এ মেলায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের ভূবন আবদুল্লাহ নগর সংলগ্ন বড়ধলিয়া হযরত শাহ্ সূফী আবদুল্লাহ শাহ্(রহ.) এর নব-গঠিত মাজার পরিচালনা কমিটির পরামর্শ ও মতবিনিমিয় সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মাজার প্রাঙ্গণে নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মোঃ নিয়ামত উল্লাহ নিয়ামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পূর্বভাগ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার মিয়া, কমিটির উপদেষ্টা প্রভাষক মাঈনুদ্দিন ভূইয়া শান্তু, কমিটির উপদেষ্টা সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, কমিটির সহ-সভাপতি সফিকুর রহমান, আলাউদ্দিন, আমিনুর রহমান ইয়ামিন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া বিল্লাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ দূর্বাজ মিয়া, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আশিকুর রহমান সুমন, সহ-কোষাধ্যক্ষ অলি মেম্বার, আমির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরানুল বারী মঞ্জু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহজাহান চকদার, মুহিবুর রহমান(মুরাদ), আবদুস ছালাম, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান রিপন, সহ-দপ্তর সম্পাদক জুনায়েদ রহমান,আহসান হাবিব (শতদল), রুকন উদ্দিন ও প্রচার সম্পাদক শাহজাহানসহ মাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় হযরত শাহ্ সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্(রহ.)এর কমিটির নেতৃবৃন্দসহ আশেকান জাকেরান ও ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের উৎসব‘২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে নাসিরনগরে “তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিনের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০টি গ্রুপ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিটি গ্রুপে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দের ভাবনায় উঠে আসে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে করণীয় বিভিন্ন বিষয়। “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই প্রতিপাদ্যে তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ কর্মশালায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন কর্মশালায় অংশগ্রণকারীরা।
কর্মশালায় জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলার বিভিন্ন কলেজ, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিন বলেন আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের উদীয়মান শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে এবং দেশ ও জাতীয় কল্যাণে কাজ করতে হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: মাজহারুল হুদার সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী রবিউস সারোয়ার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ইমরান হোসাইন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: সামিউল বাছির,থানার ওসি তদন্ত হাসান জামিল খান, উপজেলা প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহাবুব উল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল কাদির, বুড়িশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক সবুজ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি সাইফুজ্জামান জনি প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।