চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আযহার আর মাত্র দুদিন বাকি। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের ছুটি। টানা ৭ দিনের ছুটি পেয়ে অনেকেই ছুটছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। সেই জেরে আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ছিল ভারতগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
আখাউড়া চেকপোস্টে ইমিগ্রেশনে আজ ১৪ জুন দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপেক্ষা করছেন কয়েকশ মানুষ। তাদের সেই লাইন ডেস্ক থেকে বারান্দা পেরিয়ে পৌঁছেছে ইমিগ্রেশন ভবনের বাইরের প্রধান সড়কে। তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। অন্যদিকে যাত্রীদের চাপে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের।ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদে টানা ৭ দিনের সরকারি ছুটি পাওয়ায় ভারতে ভ্রমণকারী এবং চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। যশোরের বেনাপোল বন্দরের ভিড় এড়াতে অনেক যাত্রী আখাউড়া চেকপোস্ট ব্যবহার করছেন। তবে এখানে এসেও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটি শুরুর দিন শুধু শুক্রবারই প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গিয়েছেন।
ভারতগামী কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন পর ভিসা পেয়েছেন। তাই ঈদের ছুটিতে ভারতের দর্শনীয় স্থান ঘুরতে যাচ্ছেন। তবে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনটি ছোট এবং জরাজীর্ণ হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ খায়রুল আলম জানান, ঈদের ছুটির কারণে চাপ অনেকটা বেশি। সাধ্যমতো যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌরসভার সরু সড়কের ওপর ফুটপাত দখল ও অটোরিক্সা স্ট্যান্ড থাকায় প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়তে হয় জনগণের। রেলস্টেশন, পৌর কার্যালয়, পোস্ট অফিস ও মায়াবী সিনেমা হলের সামনে থাকা অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের কারণে সড়ক বাজারের প্রধান সড়কটিতে নিয়মিতই লেগে থাকে যানজট।
সম্প্রতি ড্রেন নির্মাণের কারণে এ সড়কের পৌর কার্যালয়ের সামনে চলাচল দায়। কয়েকমাস ধরেই অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন গুলোর নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। আর এসব বিষয় ধরা পরে এই এলাকার সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের চোখে।
জনগণের ভোগান্তি দূর করতে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। এরপর ৩ জুলাই সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী ভার্চুয়ালি মত বিনিময়ের সময়ও মন্ত্রী প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি আখাউড়া পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মেয়র সাহেব, জনগণ রেলস্টেশনে নামার পর খুব বিরক্ত হয়। কারণ একপাশে বাজার, আরেক পাশে সিএনজি স্ট্যান্ড। আমি ওসি সাহেবকে বলেছি, স্টেশনের পাশে মাইক্রোবাস যেখানে থাকে সেখানে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে যেতে। যেন সড়কটা ফাঁকা থাকে। এই সড়কটি সংস্কার করতে এরই মধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। কসবা-আখাউড়া জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার অনুরোধ সেখানে বাজার বসাবেন না। আপনি এখানে প্রতিনিধি আমি জানি। আপনি ব্যবস্থা না নিলে আমি ব্যবস্থা নিবো।’
মন্ত্রীর এমন নির্দেশনার কয়েক ঘণ্টা পরই সন্ধ্যা থেকে যানজট নিরসনে উদ্যোগ নেয় পুলিশ। এতে করে স্বস্তি ফিরে এসেছে এলাকায়। অনেক দোকানি নিজ থেকে অস্থায়ী দোকানগুলো সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘স্টেশন থেকে বেরুনোর পথটি যেন পরিষ্কার থাকে সে বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতি বিশেষ আহবান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি।
সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি সম্বলিত একটি লিফলেটে ‘রমজানের বিশেষ আবেদন’ শিরোনামে রমজান মাসে জিনিষপত্রের সরবরাহ, সংকটের গুজব ছড়িয়ে মূল্য বৃদ্ধির প্রবনতা এবং অতিরিক্ত জিনিষ ক্রয়ের ব্যপারে সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শনেরও আহবান মন্ত্রী। আজ ৩ মার্চ রবিবার সকালে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল দলীয় নেতাকর্মী ও পৌর কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে পৌরশহরের সড়ক বাজারে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে আইনমন্ত্রীর এই বিশেষ প্রচারপত্রটি বিতরণ করেছেন।
‘রমজানের বিশেষ আবেদন’ শিরোনামে আইনমন্ত্রীর প্রচারপত্রে লেখা আছে, ‘রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর যাতে কোনো ধরণের ঘাটতি বা সংকট না দেখা দেয়, এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্যসামগ্রী দেশ-বিদেশ থেকে সংগ্রহ করে যথাসময়ে আপনাদের হাতের নাগালে সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো লিখেছেন, ‘রোজা শুরুর পূর্ব মুহুর্তে আমাদের মধ্যে অনেকেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কিংবা ঘাটতির আশঙ্কা করে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত, প্রচুর পরিমাণ নিত্য পণ্যসামগ্রী একসাথে ক্রয় করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই সুযোগে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ি বাজারে কৃত্রিম ঘাটতি ও সংকটের গুজব ছড়িয়ে অযৌক্তিভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে দেয়। ফলে সাধারন জনগণকে অনেক সময় কষ্ট ভোগ করতে হয়। তিনি আহবান জানান, রমজান মাস আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস। শুধুমাত্র পানাহার করে বিরত থাকাই রমজানের শিক্ষা নয়। প্রতিক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করাই রমজানের আদর্শ।
আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য আমরা যার যার অবস্থান থেকে প্রকৃত সংযম প্রদর্শণ করে আত্মশুদ্ধি লাভে ব্রত হওয়ার আহবান জানান তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল। ‘রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে একটা বিভ্রান্তি ছড়ায়। এছাড়া অনেকে একসঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস কিনে জিনিসের দাম বাড়াতে নিজের অজান্তেই সহযোগিতা করে। এসব থেকে উত্তোরণে আইনমন্ত্রী সাধারন মানুষের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার ও জনবহুল স্থানে লিফলেট বিতরন করা হবে। মাইকিং আকারেও প্রচার করা হবে।
লিফলেট বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মোঃ বাবুল মিয়া, বাহার মিয়া, শিপন হায়দার, সফিকুল ইসলাম স্বপন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মিলি আক্তার, নার্গিস বেগম, রেখা খানম, উপজেলা আওয়ামীলীরে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ হান্নান মেম্বার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় শীতার্ত অসহায় ও দুস্থ মানুষের উষ্ণতা দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পাশে দাঁড়াল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য ও সাংবাদিক মো: সাইফুল ইসলাম। আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে তার নিজস্ব অর্থায়নে দুইশত কম্বল অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এই সময় জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আখাউড়ায় ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে শীত জেঁকে ধরেছে সবাইকে। হিম ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় নাকাল জনজীবন। শীতের এই তীব্রতা বেশি কাবু করে নিয়েছে মানুষকে।
কম্বল বিতরণকালে সকলের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের ঘরের সন্তান। এই শীতে আপনারা কষ্ট করবেন, তা মেনে নেয়া যায় না। আপনাদের প্রতি বুকভরা ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, সম্মান ও সহমর্মিতা নিয়ে আমি এখানে এসেছি, পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে। এ সময় তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কাঁচা মরিচের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সবজি বাজারে অভিযান চালিয়েছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৫ জুলাই বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টায় আখাউড়া পৌরসভার সড়ক বাজারের সবজি বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কাঁচা মরিচ ছাড়াও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামের বিষয়েও তদারকি করা হয়।
এ সময় চড়া দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করার অপরাধে তিন ব্যবসায়ীকে ও পণ্যের মূল্য কারচুপি, মূল্যতালিকা ও ভাউচার না থাকায় দুই মুদি দোকানিকে বিভিন্ন অংকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, কাঁচা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকির লক্ষ্যে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের ফলে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, সরবরাহের সংকটের কারণ দেখিয়ে ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে এখানের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৫৫০ টাকায়ও বিক্রি হয়। আর খুচরা বাজারে মরিচের দাম বেড়ে কেজিতে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
আখাউড়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ দলের সহযোগিতায় ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৫ ব্যবসায়ীকে এ জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আখাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ চারজনের নামে মামলা হয়েছে। ২০১৮ সালে হওয়া আমীর খা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার উপজেলার চানপুর গ্রামের আমীর খার স্ত্রী লাকী বেগম বাদী হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য দু’জন আসামী হলেন আখাউড়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার ও এস. আই আব্দুল হালিম। আদালত এক আদেশে এ সংক্রান্ত কোনো মামলা থানায় আছে কিনা এর নথি তলব করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তাকজিল খলিফা কাজল চানপুর এলাকার তার মালিকাধীন একটি বাড়িতে প্রায়ই অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতেন। এ ঘটনায় বাঁধা দেন আমীর খা। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। ২০১৮ সালের ২১ মে আনিসুল হক ও তাকজিল খলিফার নির্দেশে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসে আমীর খানকে নিয়ে যান। ২৫ মে উপজেলার বনগজ এলাকায় আমীর খার লাশ পাওয়া যায়। দুই পুলিশ কর্মকর্তা গুলি করে এ হত্যাকান্ড ঘটায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।