অনলাইন ডেস্ক :
অস্ত্রোপচারের সময় রোগীকে অচেতন করার জন্য ব্যবহৃত নিষিদ্ধ হ্যালোথেন গ্রুপের ওষুধ হ্যালোসিন যেখানে পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
আজ ১৫ জুন শনিবার বিকালে রাজধানীর মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ওষুধটি সরকার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, যা ব্যবহার করার অধিকার কারো নেই। এটি বিক্রির দায়ে রাজধানী থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চেতনানাশক এ ওষুধের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি বন্ধে অধিদপ্তরের অভিযান চলমান থাকবে।
এটি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার সঙ্গে মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে দেওয়া হবে না বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি আরো বলেন, এ নিষিদ্ধ চেতনানাশক ব্যবহার করা হলে ক্লিনিকগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পরিপত্র জারি করে এ ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা যেখানেই পাবো সেখানেই আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আসল নকল পরের কথা ব্যানড মানে ব্যানড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেখানে অনিয়ম চোখে পড়বে, সেখানেই অ্যাকশনে যাবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন চলাকালে যেকোনো অনিয়ম দেখলেই অ্যাকশনে যাওয়া হবে। প্রয়োজনে ভোট বাতিল করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না।
দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে কি-না – এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
ভোটের পরিবেশ কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট এখন যেটা হচ্ছে সেটা উৎসবমুখর ও সুন্দর হবে, এটা আমি বলতে পারি। ১৯৯৬ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়ার কারণে সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তাই আমরা এবারের নির্বাচনে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাই না। আমরা আমাদের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। ভালো নির্বাচন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মিডিয়া, পত্রিকা দেখে আমার মনে হচ্ছে সরকার চাইছে একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হোক।
ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার বিষয়টি। সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের প্রাণ, ভোটাররা না থাকলে নির্বাচন নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে। তবে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি তাতে আমরা আশাবাদী ভোটকেন্দ্রে অনেক ভোটার আসবে।
একটি বড় দলের (বিএনপি) নির্বাচনে না আসার বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলগুলোর জন্য ভোটে আসা না আসা তাদের স্বাধীন ইচ্ছা। কিন্তু সেজন্য তো ভোট থেমে থাকবে না। আর ভোটকে কোনোভাবে প্রতিহত করা যাবে না এবং কোনো নাশকতামূলক কাজ করা যাবে না। এগুলো যদি তারা করে, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। তবে সব দল নির্বাচনে এলে একটা স্বস্তির বিষয় হতো, একটা উৎসবের বিষয় থাকত। এখন সেটা অতটা নেই সেটা তো আর অস্বীকার করার কিছু নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজার থেকে টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণের শিকার হন তিন বন্ধু। অভিযোগ উঠে, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় পাহাড়ি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করেছে। এরপর অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তিন বন্ধুকে হত্যা করা হয়। আজ ২৪ মে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তিন বন্ধুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব ও পুলিশ।
নিহতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়ার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান।
আজ বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব বিভিন্ন পাহাড়ে যৌথ অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে বাহারছড়ায় পাহাড় থেকে সন্ধ্যায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, টেকনাফ থেকে তিন বন্ধু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বুধবার বিকেলে টেকনাফ দমদমিয়াসংলগ্ন গহীন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আমাদের অভিযান চলমান।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল তিন বন্ধু কক্সবাজার থেকে টেকনাফে পাত্রী দেখার উদ্দেশ্যে রওয়া দেন। তাদের টেকনাফে সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুর বিল এলাকার রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ শফির ছেলে হেলালের বাড়িতে যাওয়ার দেখার কথা ছিল। টেকনাফে পৌঁছানোর সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি থামিয়ে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর দুদিন পর তাদের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার একটি ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাদের হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
নিহত ইমরানের বাবা ইব্রাহিম বলেন, গত ২৫ দিন আগে আমার ছেলেসহ তিন বন্ধু টেকনাফে বেড়াতে এসে অপহরণের শিকার হয়। ঘটনাটি শুনে টেকনাফ থানায় জানাই। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, আজ পাহাড় থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ছেলের মুখ দেখিনি।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, আমি এখনও পাহাড়ে অবস্থান করছি। র্যাবসহ আমরা বাহারছড়া গহীন পাহাড় থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। কিন্তু উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো কঙ্কাল হয়ে গেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদকে বদলি করা হয়েছে।
তাকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামানকে গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিনকে ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগ থেকে বদলি করে লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান প্রকিউরমেন্ট বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এ আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী পারভেজ রেজা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার নামে মামলা করা হয়।
এ মামলায় আদালতে হাজির হন আরিফুল হক চৌধুরী। মামলার অন্যতম আসামি বাবর ঢাকায় কারাগারে বন্দি থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি। পরে আদালতের বিচারক বাবরের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে বিএনপি সরকারের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে ২০০৭ সালের ২৮ মে লুৎফুজ্জামান বাবরকে আটক করা হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে নগরীর বান্দ রোড কেন্দ্রীয় হেমায়েতউদ্দীন ঈদগা ময়দানে বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান ক্বারীদের নিয়ে বরিশাল নগরীতে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আল কুরআন একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মাহফিলে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন।
আল কুরআন একাডেমি বরিশালের আয়োজক কমিটির আহবায়ক মো. আব্দুল হাই জানান, বরিশালে আন্তর্জাতিক এই ক্বিরাত মাহফিলে ক্বিরাত পরিবেশন করেন মরক্কোর ক্বারী ইলিয়াস আল মিহয়াউঈ, পাকিস্তানের ক্বারী হাম্মাদ আনওয়ার নাফীসী, ইরানের ক্বারী হামীদ রেজা আহমাদী ওয়াফা, মিশরের শাইখ ইয়াসির শারক্বাউঈ এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত ক্বারী শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী। আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংগঠন ‘ইক্বরা’র আমন্ত্রণে এসব বিদেশি ক্বারী বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন- আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
বক্তব্য রাখেন বরিশাল আল কুরআন একাডেমির প্রধান উপদেষ্টা মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলতাফ উদ্দিন আহমেদ।
আল কুরআন একাডেমি বরিশালের সভাপতি ও বিএম কলেজ ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসাইন ও প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুর রব জানিয়েছেন- আল-কুরআনের মোহময় সুরে প্রকম্পিত হয়েছে বরিশালের ময়দান।
ক্বিরাত মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক তৈয়বুর রহমান আজাদ জানান, শুক্রবার বিকেল থেকে ইসলামী সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিলো ঢাকার সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী ও হ্যাভেন টিউন নাশিদ ব্যান্ড, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংসদ, হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী ও সূচনা সাংস্কৃতিক সংসদ।
মাহফিলে মহিলাদের জন্য ছিলো আলাদা প্যান্ডেল। বিশাল এলইডি ডিসপ্লেতে তিলাওয়াত শোনার সুযোগ পেয়েছেন তারা।
মঞ্চের ব্রাকগ্রান্ড ও মাঠের দুই প্রান্তে বিশাল ডিসপ্লেবোর্ডের মাধ্যমে বিদেশি ক্বারীদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন আগত কুরআন প্রেমী হাজার হাজার দর্শক।
বর্ণিল আলোর ঝালকানি আর কুরআনের মোহনীয় সুর একাকার হয়ে তৈরি করে এক নৈসর্গিক পরিবেশ। যা বরিশালবাসী মনে রাখবেন অনেক দিন।