অনলাইন ডেস্ক :
পাঁজরের চোটে ব্র্যান্ডন কিং ছিটকে না গেলে এই ম্যাচে হয়তো খেলাই হতো না শাই হোপের। সেই হোপ ঘরের মাঠ বার্বাডোজে সুযোগের সদ্ব্যবহার কী দারুণভাবেই না করলেন! ওপেনিংয়ে নেমে একাই মারলেন ৮ ছক্কা। ৩ ছক্কা মেরে তাতে যোগ দিলেন নিকোলাস পুরান।
এবারের বিশ্বকাপে দারুণ ক্রিকেট খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপপর্বের চার ম্যাচের চারটিতেই জয় পেয়েছে তারা। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচেও দারুণ ক্রিকেট খেলেছিল দলটি। যদিও শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে জয় পাওয়া হয়নি তাদের। সেমির রেসে টিকে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জিততেই হতো তাদের। সেই কাজটিই এবার করে ফেলেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রকে ১২৮ রানে থামিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচে জয় তুলেছে ৫৫ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে। তাতে সেমির রেসে রান রেটেও অনেকটা এগিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই স্বাগতিকের লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন ছক্কা-বৃষ্টিতেই উড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। কেনসিংটন ওভালে আজ টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৮ রানে অলআউট হয় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য টপকে গেল।
এ জয়ে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে রইল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর টানা দুই হারে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
হোপ ৩৯ বলে ৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বার্বাডোজের আরেক সন্তান রোস্টন চেজ। এই অফ স্পিন অলরাউন্ডার করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহকে বড় হতে দেননি।
সেন্ট লুসিয়ায় গত বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮০ রান করেও বাজেভাবে হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জন বাটলারের দল রান তাড়া করে ৮ উইকেট আর ১৫ বল বাকি রেখে। ওই হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রানরেটেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আজ তাই আগের ম্যাচের ক্ষতিই যেন পুষিয়ে দিতে নেমেছিল ক্যারিবীয়রা। হোপ-পুরানের ব্যাটিং–তাণ্ডব সেটা পুষিয়ে তো দিয়েছেই; সঙ্গে সুপার এইটের গ্রুপ ২-এ নেট রানরেটেও সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। এই গ্রুপে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সমান ২ পয়েন্ট করে হলেও নেট রানরেটে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে দুইয়ে উঠে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রান তাড়ায় আজ জনসন চার্লসকে নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ৫৮ রান এনে দেন হোপ। সপ্তম ওভারের শেষ বলে চার্লস ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হলেও এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের ওপর দিয়ে ‘মহাপ্রলয়’ বইয়ে দিয়েছেন হোপ ও পুরান। ৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ১ উইকেট ৭৫। জয়ের জন্য দরকার ৭২ বলে ৪৯। হোপ-পুরান এখান থেকে বাকি কাজ সেরেছেন মাত্র ১৭ বলেই।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা যুক্তরাষ্ট্র শুরুতে স্টিফেন টেলরকে হারালেও আন্দ্রিস গুস ও নীতীশ কুমারের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৪৮ রান। কিন্তু সপ্তম ওভারে এ জুটি ভাঙতেই মার্কিনদের ইনিংসে মড়ক লাগে। সব ব্যাটসম্যান যেন আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। শেষ পর্যন্ত ১২৮ রান করতে পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না।
ছক্কা মারা ক্যারিবিয়ানদের নেশা—তা সবার জানা। এ ম্যাচ সেটাই নতুন করে মনে করিয়ে দিল। চারের (৭টি) চেয়ে তাদের ছক্কার (১১টি) সংখ্যাই বেশি।
এই গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা টানা দুই ম্যাচ জিতে অনেকটাই সেমি নিশ্চিত করে ফেলেছে। কাজেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এখন সেমির জন্য লড়তে হবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। যেখানে নিজেদের শেষ ম্যাচে সেমি নিশ্চিত করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়তে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড তাদের শেষ ম্যাচটি খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। যেখানে দু’দলই জয় পেলে তখন হিসেবে আসবে নেট রান রেট। তবে আপাতত দারুণ জয়ে নেট রান রেটে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
যুক্তরাষ্ট্র: ১৯.৫ ওভারে ১২৮ অলআউট
(গুস ২৯, নীতীশ ২০, মিলিন্দ ১৯, শালকভিক ১৮; চেজ ৩/১৯, রাসেল ৩/৩১, জোসেফ ২/৩১, মোতি ১/১৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০.৫ ওভারে ১৩০/১
(হোপ ৮২*, পুরান ২৭*, চার্লস ১৫; হারমিত ১/১৮)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রোস্টন চেজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
অনলাইন ডেস্ক :
লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্তিনেজের মতো তারকারা খেলোয়ার ছাড়াই আর্জেন্টিনাকে জয় উপহার দিলেন থিয়াগো আলমাদা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে গতিময় শটে খুঁজে নিলেন জালের ঠিকানা। তাতে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের পথে এক পা দিয়ে রাখল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আজ ২২ মার্চ শনিবার লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে উরুগুয়ের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। নিয়মানুযায়ী, কনমেবল থেকে আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপে সরাসরি সুযোগ পাবে ৬ দল। পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বর দলের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট এগিয়ে থাকায় পরের পাঁচ ম্যাচ থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট পেলেই আর্জেন্টিনা নিশ্চিত করবে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট।
এদিন ৫৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ছয়টি শট নেয় উরুগুয়ে, এর দুটি ছিল লক্ষ্যে। অন্য দিকে আর্জেন্টিনার ১২ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে। তবে দলকে সাফল্যের মুখ দেখতে অপেক্ষা করতে হয় ৬৮তম মিনিট পর্যন্ত। জুলিয়ান আলভারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন আলমাদা। জাতীয় দলের হয়ে সাত ম্যাচ খেলে নিজের তৃতীয় গোল করলেন লিঁওর এ মিডফিল্ডার।
অবশ্য ঘরের মাঠ সেন্টেনারিও স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনাকে শুরু থেকে চেপে ধরে উরুগুয়ে। তবে গোলের জন্য প্রথম শট নেয় আর্জেন্টিনাই। ১৯তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে চেষ্টা করলেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি লিয়ান্দ্রো পারেদেস। আট মিনিট পর এনজো ফার্নান্দেজের দুর্বল বাঁকানো শট গ্লাভসে নেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক সার্জিও রোচেত। দুই দল মিলিয়ে লক্ষ্যে এটাই প্রথম শট।
সফরকারীদের জমাটরক্ষণে একের পর এক আক্রমণ ব্যর্থ হয় উরুগুয়ে। ৩৩তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেন উরুগুয়ে মিডফিল্ডার জর্জিয়ান দে আরাকায়েস্তা। সতর্ক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ঝাঁপিয়ে গ্লাভসে নেন বল। ছয় মিনিট পর দুরূহ কোণ থেকে জুলিয়ানো সিমেওনের দারুণ শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন রোচেত।
ম্যাচের প্রথম কর্নারে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মেসির অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা দলকে নেতৃত্ব দেওয়া নিকোলাস ওতামেন্দি। ৪৩তম মিনিটে আলমাদার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক রোচেত। ফিরতি বলে ফার্নান্দেজের শট স্লাইড করে ব্যর্থ করে দেন হোসে মারিয়ে হিমেনেস। নষ্ট হয় প্রথমার্ধের সবচেয়ে ভালো সুযোগ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণে সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ৪৮তম মিনিটে আলমাদার চমৎকার শট কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন রোচেত। তিন মিনিট পর ৩৫ গজ দূর থেকে ফেদে ভালভের্দের শট যায় মার্তিনেজের গ্লাভসে। ৬২তম মিনিটে জিয়ালিয়ানো সিমিওনের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনার গোলের অপেক্ষা বাড়ান রোচেত।
পরের মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের দুর্দান্ত রক্ষণ চেরা পাসে আলমাদা একটু বাড়তি সময় নেওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেরিয়ে এসে ক্লিয়ার করেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক। কিন্তু ছয় মিনিট পর আর দলকে রক্ষা করতে পারেননি রোচেত। আলভারেজের কাটব্যাকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে তীব্র গতির শটে জাল খুঁজে নেন আলমাদা। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি উরুগুয়ে গোলরক্ষক।
বাকি সময়ে গোলের পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে অহেতুক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড নিকো গঞ্জালেস। শেষ মুহূর্তে ১০ জনের দল নিয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। অথচ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগের দেখায় মেসিদের নিয়েই ঘরের মাঠে উরুগুয়ের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। সে দিক থেকে এটা প্রতিশোধেরও ম্যাচও ছিল। যেটা খুব ভালোভাবেই আদায় করলেন স্ক্যালোনির শিষ্যরা।
এ জয়ে শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনা দুইয়ে থাকা ইকুয়েডরের সঙ্গে ৬ আর সাতে থাকা বলিভিয়ার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ালো ১৫। আগামী বুধবার ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচে ১ পয়েন্ট পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বিশ্বকাপের পরের আসরে তাদের খেলা। অথবা বলিভিয়া পয়েন্ট খোয়ালেই নিশ্চিত হয়ে যাবে আলবিসেলেস্তেদের টিকিট।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১০ দলের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে আলবিসেলেস্তেরা। ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে একুয়েডর। ২১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে ব্রাজিল। ২০ পয়েন্ট নিয়ে পরের দুটি স্থানে যথাক্রমে উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। এদিকে টানা তিন হারে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে নেমে গেছে কলম্বিয়া। সাতে থাকা বলিভিয়ার ১৩ পয়েন্ট।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও পাঁচটি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন ছিল আজ। যেখানে মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ সেঞ্চুরিতে ভর করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রান করে বাংলাদেশ। ২১৭ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।
এরপর মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি জাদুর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে জিম্বাবুয়ে। মিরাজের ৫ উইকেট আর তাইজুলের ৩ উইকেটে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে পাঠানো তো দূরের কথা, থামে ১১১ রানে। এতে বাংলাদেশ জিতল ইনিংস ও ১০৬ রানে। এতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
আজ বুধবার ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৪৪৪ রান করে টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১২০ রান করেন সাদমান ইসলাম। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন মিরাজ।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ২২৭ রানে অলআউট হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তা ইকরাম চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। আজ ২৩ এপ্রিল বুধবার ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ঘটনাটি ঘটে। ইকরাম চৌধুরী স্টেডিয়ামে দায়িত্ব পালন করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুতই তাকে সিলেটের আল হারামাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে বিসিবির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
ইকরাম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে বিসিবির নিরাপত্তা কমিটির সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি একজন অভিজ্ঞ ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতেও জয় পেয়েছে টাইগাররা। এতে ৩-০ তে এগিয়ে থেকে সিরিজ জিতল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
আজ ৭ মে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তোলে টাইগাররা। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের জুটিতে প্রথম ৩ ওভারে ২২ রান আসে বাংলাদেশের। কিন্তু চতুর্থ ওভারে গিয়ে লিটন দাস রীতিমতো পাগলামি শুরু করেন। ব্লেসিং মুজারাবানির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়েও সেটি ঠিকঠাক করতে পারেননি। টানা তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন লিটন। ১৫ বল খেলে ২ চারে কেবল ১২ রান করেন তিনি।
পরের ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৪ বলে ৬ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর উইকেটে এসে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৪২ রান। দু’জনের ২৬ বলে ৩১ রানের জুটিতে আশা খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই জুটি ভেঙে যায় ফারাজ আকরামের বলে। মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ২২ বলে ২১ রান করে ফেরেন তানজিদ।
এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর হৃদয়ের সঙ্গী হয়ে দলকে টেনে নেন জাকের আলী অনিক। শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে খেললেও আস্তে আস্তে হাত খোলেন জাকের ও হৃদয়। ৩৪ বলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পান তাওহীদ হৃদয়। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্লেসিং মুজারাবানিকে স্কুপ করে চার হাঁকান হৃদয়। কিন্তু পরের বলেই তার ইয়র্কারে হয়ে যান বোল্ড। ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন হৃদয়।
হৃদয়ের এক বল পর মুজারাবানির আরেক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান জাকের আলি অনিকও। ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ১৬ রান নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন। রিয়াদ ৯ ও রিশাদ ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মুজারাবানি। একটি করে উইকেট পান ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা।
রান তাড়ায় নেমে পাওয়ার প্লের ভেতরে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৬ রানের মাথায় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার জয়লর্ড গাম্বিকে (৯)। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান তানজিম হাসান সাকিব। নিজেই ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ব্রায়ান বেনেটকে (৫)।
পরের ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে (৭) বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (১) গ্লাভসবন্দী হন উইকেটরক্ষক জাকের আলীর কাছে।
একপ্রান্তে উইকেট যাওয়ার মিছিলে আরেক প্রান্ত আগলে ছিলেন তাদিওয়ানাসে মারুমি। ২৬ বলে ৩১ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আগের ম্যাচের অভিষিক্ত জনাথন ক্যাম্পবেল এ ম্যাচেও ঝড়ো শুরু করেন। ১০ বলে ২১ রান করেন তিনি। টানা তৃতীয় বলে তানভীর ইসলামকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে বাউন্ডারির কাছে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
ক্যাম্পবেলের বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের হয়ে শেষ লড়াই করেন ফারাজ আকরাম। বাংলাদেশের মনে ভয়ও ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। শেষ ছয় ওভারে ৭৫ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। সেখান থেকে শেষ ওভারে ২১ রানের সমীকরণে নিয়ে আসেন তারা। যদিও শেষ ওভারের প্রথম বলেই ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ইয়র্কারে বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। পরে টানা দুই বলে বাউন্ডারি হজম করার পর স্লোয়ার বাউন্সারে ডট দেন তিনি। এরপর সিঙ্গেলস নিয়ে আকরামকে স্ট্রাইক দেন মুজারাবানি। শেষ বলে দুই রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি। ১৯ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন আকরাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২৪ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, সিভিল সার্জন ডা: মোঃ নোমান মিয়া, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আমির আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিসহ ফাইনাল খেলায় আগত ক্রীড়ামোদি ব্যক্তিদেরকে স্বাগত এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানান জেলা ক্রীড়া অফিসার ও টুর্ণামেন্টের সদস্য সচিব মাহমুদা আক্তার।
ফাইনাল খেলা বালিকা গ্রুপে কসবা উপজেলা বনাম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কসবা-০ বাঞ্ছারামপুর-৭ গোলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অপরদিকে, বালক গ্রুপের শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় কোনো গোল না হওয়ায় ট্রাইব্রেকারে সরাইলকে পরাজিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ খেলাধূলায় ছেলেমেয়েদের মেধার বিকাশ ঘটায়। তিনি আশাবাদী, আজকের খেলোয়াড়রা বিভাগীয় পর্যায় এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলবে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাম উজ্জ্বল করবে।