চলারপথে রিপোর্ট :
লালমাই পাহাড়ের ঢালুতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ হয়েছে। হানিকুইন জাতের আনারসে হাসছে পাহাড়ের সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় ধর্মপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয় কৃষকরা দুই হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ করেছেন। প্রথমবারে ভালো ফলন পেয়ে খুশি তারা। এই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অন্য কৃষকরাও।
সরেজমিনে শনিবার বড় ধর্মপুরে গিয়ে দেখা যায়, উদ্যোক্তা আলী নেওয়াজ, আবদুর রশিদ ও তার সহযোগীরা বাগান থেকে আনারস কাটছেন। কেটে এনে বাগানের পাশে স্তুপ করছেন। পাহাড়ি উঁচু নিচু পথ পেরিয়ে ট্রাক্টর বাগানের পাশে এসে পৌঁছেছে। স্তুপ করা আনারস ট্রাক্টরে তুলে দেয়া হচ্ছে। সেই আনারস চলে যাবে পাহাড়ি এলাকা সংলগ্ন কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের দুতিয়াপুর ফিলিং স্টেশনের পাশে। সেখানে খুচরা পাইকারি আনারস বিক্রি করা হয়। পাহাড়ে আনারস চাষ দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। আনারস কেটে জমিতেই অনেক ক্রেতা খেতে শুরু করেন। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আনারসের মিষ্টি ঘ্রাণ। আনারসের রসে ভিজে যায় ক্রেতার মুখ ও হাত।
স্থানীয় দুতিয়াপুরের ক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, লালমাই পাহাড়ে একসাথে এতো জমিতে আর আনারস চাষ হতে দেখিনি। ভালো ফলন হয়েছে। স্থানীয়রাও সাশ্রয়ী মূল্যে আনারস ক্রয় করতে পারছেন।
দত্তপুর গ্রামের ক্রেতা আবদুল হাসান। তিনি বলেন, তিনি ভ্যানে আনারস ও পেয়ারা কেটে বিক্রি করেন। পাহাড়ের আনারসের স্বাদ ও গন্ধ ভালো হওয়ায় তিনি এখান থেকে আনারস কিনে নেন।
উদ্যোক্তা আলী নেয়াজ বলেন, অন্য সবজিতে বেশি সার ও কীটনাশক দিতে হয়। খরচ বেশি হয়। তাই আমরা এলাকার কয়েকজন কৃষক মিলে আনারসের চাষ করেছি। এটাতে খরচ কম। কৃষি অফিস আমাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। প্রথম বছরে ভালো ফলন হয়েছে। ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো ৬-৭ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। আমাদের দেখে অন্য কৃষকরাও আরনারস চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এম এম শাহারিয়ার ভূঁইয়া বলেন, এখানে হানিকুইন জাতের আনারসের ৬০ হাজার চারা লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আমরা উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়েছি। ফলন আসার পর মাঠ পরিদর্শন করে দেখেছি। ভালো ফলন হয়েছে। এতে কৃষক খুব খুশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জোনায়েদ কবির খান বলেন, লালমাই পাহাড়ের প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ হয়েছে। তাদের সফলতা দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়েছেন। লালমাই পাহাড়ের আনারস সম্প্রসারণের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় সব ধরনের অপরাধ কাজ সংঘটিত হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জায়গাগুলো ধর্মান্ধতার জন্য প্রজনন স্থান হয়ে উঠেছে।
ধর্মান্ধ গোষ্ঠীগুলোর লোকবল সংগ্রহের একটি জায়গা হয়ে উঠেছে এটি।
আজ ২৬ আগস্ট শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের উদ্যোগে ‘জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিস : বাংলাদেশ রেসপন্স টু দ্য রোহিঙ্গা ক্রাইসিস’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো ধর্মান্ধতার জন্মস্থান ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর লোকবল সংগ্রহের জায়গা হয়ে উঠেছে। এটি একটি অনেক বড় সমস্যা। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য সমস্যা নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য সমস্যা। এজন্য রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান জরুরি৷
তিনি আরো বলেন, আমাদের বুঝতে হবে কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী বাছাই করে কানাডা, ইউরোপ, আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়। এটি বরং সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলছে। কারণ মিয়ানমারে শরণার্থীরা এটি জানতে পারলে তারা বাংলাদেশে আসতে উৎসাহ বোধ করে। এই সমস্যার সমাধান হলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মর্যাদা, সম্মান ও পূর্ণ নাগরিক অধিকারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা তাদের দায়িত্ব এড়াতে না পারে। এরা তাদের নাগরিক, তাদের ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।
এ সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গারা যেই এলাকায় বসবাস করছে সেখানে নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু। সেই এলাকাগুলোতে নিয়মিতভাবে হত্যা, খুন, গুম, মানবপাচারসহ নানা রকমের অনৈতিক ও অবৈধ কার্যক্রম চলছে। সেখানে ১০টির মতো জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে৷ আমরা সেই বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবিলম্বে দেশে ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কার্যকর উপায় বের করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের সভাপতিত্বে সেমিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি জোহার ভ্যানদার ক্ল্যাও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এয়ার কমোডর (অব:) ইশফাক এলাহী চৌধুরী, মাইগ্রেশন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিজের (গবেষণা) পরিচালক ড. এম সঞ্জীব হোসেন প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. জামিলা এ চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হামলা, সংঘাত ও সংঘর্ষের প্রতিটি ঘটনার তদন্তে আবারও জাতিসংঘ (ইউএন) ও অন্যান্য দেশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাদের দক্ষতার মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই প্রত্যেকটি জিনিসের তদন্ত হোক। কারণ, এর পেছনে কী কীভাবে, কী কী ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্তে বেরিয়ে আসুক। আমি জাতিসংঘের কাছেও আবেদন করেছি, তারা যেন তাদের বিশেষজ্ঞ পাঠায়, অন্য কোনো দেশ যদি চায়, তারাও যেন বিশেষজ্ঞ পাঠায়। কারণ, আমি চাই এই ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে–ই দায়ী থাক, আমাদের তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথাগুলো বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষক লীগ (বিকেএল) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সাম্প্রতিক সহিংসতায় বহু মানুষের প্রাণহানি ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের আড়ালে জঙ্গিরা তাদের হিংসার দাঁত দেখিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর সহ্য করা হবে না। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য দেশব্যাপী তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গড়ব আর তারা সব ধ্বংস করে, লন্ডভন্ড করে দেবে, আমার দেশের মানুষকে কষ্ট দেবে, মানুষ ভুক্তভোগী হবে, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা, এটাই তো আমি দেখি তাদের সব থেকে বড় জিনিস।’
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই বলে নিজের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান হবে না।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন, জামায়াত ও শিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে এবং নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘সবাইকে এ লক্ষ্যে সতর্ক থাকতে হবে এবং আমি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন ধ্বংসস্তূপে রূপ নেওয়ার আগে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদের সঙ্গে সহনশীল আচরণ করেছে। তারা মিছিল করে যেখানে যেতে চেয়েছে, তাদের সেখানে যেতে দিয়েছে। তিনি নিজেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদরত শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ওপর সরকারি সংস্থার হামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকায় যেভাবে মেরেধরে শিক্ষকদের রাস্তার ওপর ফেলে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে হার্ডলাইনে গিয়ে আন্দোলন দমন করেছিল, তাঁর সরকার সে পথে যায়নি এবং শক্তিও প্রয়োগ করেনি; বরং তাদের দাবি মেনে নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশব্যাপী মিথ্যা অপপ্রচার সমানে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি ক্ষমতায় থেকে মানুষের জীবন নেব, সেটা তো কখনো হতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারপরও আজ বাংলাদেশে এতগুলো প্রাণ যে ঝরে গেল, এর দায়দায়িত্ব কার? একটা জিনিস গেলে আবার গড়ে তোলা যায়, কিন্তু জীবন গেলে তো আর ফিরে পাওয়া যায় না।’
এ জন্যই আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানের পাশাপাশি ঘটনাগুলোর তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট বিচার বিভাগীয় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুর নাহার লাইলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদ ও সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে। সমাজের সকলকে সঙ্গে নিয়েই আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।’
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে এক বাণীতে একথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল ১৬তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম বিষয়ক গবেষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক উপকরণ উদ্ভাবকসহ সংশিশ্লষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্রিকসকে বহুমুখী বিশ্বের বাতিঘর হিসেবে আবির্ভূত হতে হবে। আমাদের এই বহুমুখী বিশ্বে ব্রিকসকে একটি বাতিঘর হিসাবে প্রয়োজন। আমরা আশা করি আমাদের প্রতি প্রতিক্রিয়ার সময় এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হবে। আমাদের শিশু ও যুবকদের কাছে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে আমাদের জাতিগুলো সংকটে পড়তে পারে, কিন্তু কখনই পরাজিত হবে না।
জোহানেসবার্গের স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগ ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ব্রিকস’-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ প্রদানকালে তিনি একথা বলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসাও এ সংলাপে বক্তব্য রাখেন।
ব্রিকস প্লাস ডায়ালগের ফাঁকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে কুশল বিনিময় করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস, উগান্ডার ভাইস-প্রেসিডেন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-প্রধানমন্ত্রী, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুশল বিনিময় করেন।
গ্লোবাল সাউথ-এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া তথাকথিত পছন্দ ও বিভাজনকে ‘না’ বলা উচিত। সার্বজনীন নিয়ম ও মূল্যবোধকে অস্ত্রে পরিণত করার প্রচেষ্টাকে আমাদের অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আমাদের নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চক্র বন্ধ করতে হবে। আমাদের সব ধরনের হুমকি, উসকানি ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমি বিপজ্জনক অস্ত্র প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে এসে বিশ্বব্যাপী জনগণের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে শান্তি, ন্যায়বিচার ও স্থিতিশীলতার জন্য আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। সকলকে একসাথে অবশ্যই আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও প্রযুক্তির জন্য প্রত্যেকের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং জলবায়ু, ন্যায়বিচার, অভিবাসীদের অধিকার, ডিজিটাল ইক্যুইটি এবং ঋণ স্থায়িত্বের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান ব্রিকস চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ২২ আগস্ট জোহানেসবার্গে পৌঁছেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিকস দেশগুলোর ঐতিহাসিক ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
এর সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মিথ্যার আর হত্যার। ১৯৭৫ সালের পরে বিএনপি যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছিল তখন থেকেই বিএনপি হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। হত্যার রাজনীতি এবং মিথ্যা কথা বলার রাজনীতি এটাই বিএনপির আদর্শ। ঠিক সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০০১ সালে বিএনপি যখন আবারও ক্ষমতা দখল করে তখন বাংলার জনগণের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ভাই-বোন পরিবার কাউকে তারা বাদ দেয়নি।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সমবেত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের ঘটনা সবাই জানেন। বিএনপি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ১৯ বার চেষ্টা করে। আল্লাহর রহমতে প্রতিবারই তিনি বেঁচে যান। ২০০৬ সালে বিএনপি প্রহসন করে। এইসবই বিএনপির আদর্শ। তারা এটা ছাড়া অন্য কিছু করতে পারে না।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরো বলেন, আমরা র্ধয্যহীন ভাষায় বলতে চাই, বাংলার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু উন্নয়নই দেখে নাই রাজনৈতিক শান্তিও দেখেছে। আমরা এই রাজনীতিক শান্তি অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা জনগণের কাছে জনগণের প্রাপ্য ভোটের অধিকার পৌঁছে দিয়েছি। ইনশাল্লাহ ২০২৪ সালে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সেটা আবারও প্রমাণ করবে।
এসময় তিনি নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয় তা নস্যাত করে দেওয়ার আহবান জানান। কেউ যেন জনগনের ক্ষতি করতে না পরে সে জন্য জনগণের পাশে থাকার আহবান জানান।
এর আগে তিনি ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে সকাল সোয়া দশটায় আখাউড়া এসে পৌঁছেন। এসময় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।