অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে আফগানিস্তান তুলেছিল ১৪৮ রান। ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পর আকস্মিক ধস না নামলে সেটা হতে পারত আরও বড়। কিন্তু যা হয়েছে বোলিং সহায়ক উইকেটে সেটাই ছিল যথেষ্ট। বল হাতে পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই তিন উইকেট তুলে নেন আফগান বোলাররা। মাঝে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হলেও, শেষদিকে আরেকবার নিজেদের বোলিং কারিশমা দেখান এশিয়ান দেশটির বোলাররা।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট আবারও চোখ রাঙাচ্ছিল। আফগান সমর্থকদের কেউ কেউ হয়তো সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ম্যাক্সওয়েলের অমন ইনিংসের কথাই ভাবছিলেন। সেই ম্যাচে ৯১ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়েও ম্যাক্সওয়েলের ডাবল সেঞ্চুরিতে হারতে হয় আফগানিস্তানকে। তবে আজ আর তেমনটা হয়নি। ম্যাক্সওয়েলকে ৫৯ রানে থামিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান।
সেন্ট ভিনসেন্টে আজ অস্ট্রেলিয়াকে ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২১ রানে হারিয়েছে আফগানরা। আফগানিস্তানের বোলারদের দাপটে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ১২৭ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি আফগানিস্তানের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে একা হাতে লড়াই করে আফগানদের জেতা ম্যাচ হারিয়ে দিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। টি-টোয়েন্টিতেও সেই শঙ্কা জাগিয়ে তুলছিলেন ম্যাক্সি। আফগান বোলিংয়ের বিপক্ষে বাকি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা যেখানে অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন; সেখানে দলকে জয়ের পথ দেখাচ্ছিলেন তিনি। তবে এদিন গল্পের শেষটা দেখে আসতে পারেননি ম্যাক্সি। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে দলীয় ১০৬ রানে ব্যক্তিগত ৪১ বলে ৫৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংসের শেষ হয় ম্যাক্সির। সেই সঙ্গে শেষ হয় অজিদের জয়ের স্বপ্ন। ম্যাক্সিকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরা আফগানরা শেষমেশ বিশ্বমঞ্চে অজিদের বিপক্ষে পেয়ে যায় প্রথম জয়টা। তাও ২১ রানের ব্যবধানে। আর তাতেই সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা টিকে আছে তাদের। ঝুঁকিতে পড়ে গেছে অজিদের সেমিতে খেলা।
অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছেন মূলত গুলবদিন। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। তিনি আউট করেছেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, টিম ডেভিড ও প্যাট কামিন্সকে। বোলিংয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আফগানিস্তানের অন্য বোলাররা। ট্রাভিস হেডকে শূন্য রানে ফেরানো নাভিন উল হকও ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
প্রথম ওভারে হেডকে ফেরানো নাভিন তৃতীয় ওভারে ফেরান অধিনায়ক মিচেল মার্শকে। এরপর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ডেভিড ওয়ার্নাকে আউট করেন মোহাম্মদ নবী। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৩৯ রানের জুটি গড়েন ম্যাক্সওয়েল ও স্টয়নিস। এরপরই মুলত গুলবদিন ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন। তাঁর বাউন্সারে ইনিংসের ১১তম ওভারে আউট হন স্টয়নিস। টিম ডেভিডও উইকেটে থিতু হতে পারেননি। তাঁকেও আউট করেছেন গুলবদিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ টানা ৮ ম্যাচ জেতার পর হার দেখল অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে শুরুটা দারুণ করে আফগানিস্তান। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ওপেনিংয়ে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। যদিও তুলনামূলক কঠিন উইকেটে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের সামনে খুব একটা দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেননি তাঁরা। দুজনে ১১৮ রানের জুটি গড়েছেন ৯৫ বলে। ৪৮ বলে ৫১ রান করেছেন ইব্রাহিম। গুরবাজ করেছেন ৪৯ বলে ৬০।
এমন জুটির পর বড় একটা সংগ্রহই হওয়ার কথা ছিল আফগানিস্তানের। তবে শেষ ৫ ওভারে মাত্র ২৯ রান করতে পারে তারা। এর কারণ প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিক। বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবারও হ্যাটট্রিক করেছেন এই পেসার। এবারও দুই ওভার মিলিয়ে তাঁর হ্যাটট্রিক। উইকেট নিয়েছেন ১৮তম ওভারের শেষ বল এবং ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে।
আজ কামিন্সের হ্যাটট্রিকের শুরুটা হয় ১৮ ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করে। এরপর ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে আউট করেন করিম জানাত ও গুলবদিন নাইবকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা দুই ম্যাচে কোনো বোলারের হ্যাটট্রিকের ঘটনা এই প্রথম। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয়। এর আগে ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান : ২০ ওভার ১৪৮/৬
অস্ট্রেলিয়া : ১৯.২ ওভার ১২৭/১০
ফল : আফগানিস্তান ২১ রানে জয়ী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মরহুম আব্দুস সালাম স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ১২ টি দল নিয়ে জমকালো আয়োজন মধ্য দিয়ে ডে-নাইট সার্কেল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট গতকাল ২৫ জানুয়ারি শনিবার রাতে উদ্বোধন হয়েছে।
ফুলবাড়িয়া মাঠে ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৈমুর।
মরহুম আব্দুস সালাম স্মৃতি পরিষদের পরিচালক তারেকুল ইসলাম তারেকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড. আব্দুল মতিন সেলিম।
আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, দেশের নবীন তরুণ যুব সমাজকে খেলাধুলাতে বেশি বেশি অংশগ্রহণ করতে হবে। তাহলে যুব সমাজ মাদক থেকে মুক্ত থাকবে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। প্রতিটি মানুষকে মাদকবিরোধী সোচ্চার হতে হবে। যুব সমাজ হচ্ছে আগামী দিনের ভবিষ্যত। মাদক থেকে সকলকে দূরে থাকতে হবে। এ আয়োজনকে অতিথিরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট আরো উপস্থিত ছিলেন, বিলাল উদ্দিন, সুমন মিয়া, মো. তুহিন, মো. রানা, সবুজ মিয়া, মোঃ নাসিম, আরাফাত মিয়া, ওসমান গণি, শেখ আশিকুর রহমান পিয়াস ও মো. উৎস প্রমুখ। উদ্বোধনীয় খেলায় উত্তর শেরপুর যুব সংঘের সাথে কুটি ইউনিয়ন একাদশ মুখোমুখি হন।
কুটি ইউনিয়ন প্রথমে ব্যাট করে উত্তর শেরপুর যুব সংঘকে ৬৭ রানের টার্গেট দিলে তারা ব্যাট করে ৮ উইকেটে জয় লাভ করে। এ টুর্ণামেন্টে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১২টি দল অংশগ্রহণ করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) শাস্তির মুখে পড়েছেন ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত। ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যকার চলমান হেডিংলি টেস্টের তৃতীয় দিনে এই ঘটনা ঘটেছে। ম্যাচ শেষে আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পন্ত ‘লেভেল ওয়ান’ পর্যায়ের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ঘটনাটি ঘটে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৬১তম ওভারের পর।
আম্পায়াররা বলের আকৃতি পরীক্ষার জন্য ‘গেজ’ ব্যবহার করে বলের আকার যাচাই করছিলেন। পরে তারা বল পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত নেন। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে পন্ত বল মাটিতে ছুড়ে দেন—যা সরাসরি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অসন্তোষ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
আইসিসির আচরণবিধির ২.৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ওই অনুচ্ছেদ ভাঙার দায়ে তারা পন্তের শৃঙ্খলা রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। গত দুই বছরে পন্তের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা।
হেডিংলি টেস্টের ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় পন্তকে আলাদা শুনানির মুখে পড়তে হয়নি। মাঠের আম্পায়ার পল রেইফেল ও ক্রিস গ্যাফানে, তৃতীয় আম্পায়ার বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবন শহীদ এবং চতুর্থ আম্পায়ার মাইক বার্নস—সবাই এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, আইসিসির ‘লেভেল ওয়ান’ পর্যায়ের অপরাধে সর্বনিম্ন শাস্তি হলো তিরস্কার। সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও দুই ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়ার সুযোগ থাকে।
পন্ত এই টেস্টে ভারতের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন। এর মাধ্যমে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের পর ইতিহাসে তিনিই টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির বিরল কীর্তি গড়েছেন।
এদিকে হেডিংলি টেস্টে আজ পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা। গতকাল দিন শেষে বিনা উইকেটে ২১ রান সংগ্রহ করেছে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য শেষ দিনে স্বাগতিকদের প্রয়োজন আরো ৩৫০ রান।
অনলাইন ডেস্ক :
লিওনেল মেসি ম্যাজিকে আরো একবার ইন্টার মায়ামি উদ্ধার হলো। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের শেষ আটের দ্বিতীয় লেগে ১ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে জয় পায় দলটি। যেখানে প্রথমে লেগে ১-০ গোলে হেরে আসা মায়ামি দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জিতে আসরে সেমিফাইনালে উঠল।
আজ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার চেজ স্টেডিয়ামে খেলার শুরুতেই এলএএফসির অ্যারন লং গোল করে বসেন। নবম মিনিটে তার করা এ গোলে মায়ামি অ্যাগ্রিগেটে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। তখন মনে হচ্ছিল, মায়ামির পক্ষে ফিরে আসা বুঝি কঠিনই হবে।
ম্যাচের নবম মিনিটে গোল খেয়ে বসে মায়ামি। অ্যারন লংয়ের গোলে এগিয়ে যায় লস অ্যাঞ্জেলেস। তবে প্রথম হাফেই মেসি মায়ামিকে সমতায় ফেরান। ৩৫তম মিনিটে গোল করেন এই আর্জেন্টাইন। দ্বিতীয় হাফে শুধুই মায়ামি শো। দুই লেগ মিলিয়ে মেসিরা সমতায় ফেরে ৬১ মিনিটে।
অ্যালেন চিপ করে বল দেন রেদোনদোকে। বল পেয়ে গোল করেন তিনি। তবে অ্যাওয়ে গোল নিয়মের কারণে তখনও কার্যত এগিয়ে ছিল এলএএফসি। ৬৭ মিনিটে সুয়ারেজের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
৮৪তম মিনিটে পেনাল্টি পায় মায়ামি। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি। শেষ দিকে মায়ামির গোলরক্ষক অস্কার দুইটি দুর্দান্ত সেভ করেন। যার ফলে মায়ামির জয় নিশ্চিত হয়। সেমিফাইনালে মেসিদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ মেক্সিকান ক্লাব পুমাস অথবা এমএলএসের কানাডিয়ান ক্লাব ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস।
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারিয়েছে চিটাগং কিংস। এর মধ্য দিয়ে টুর্ণামেন্টে জয়ের খাতা খুললো চিটাগং কিংস।
৩ জানুয়ারি শুক্রবার মিরপুরে চিটাগা কিংসের দেয়া ২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতেই ১১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী।
২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রান তোলায় গতি থাকলেও নিয়মিত উইকেটও হারায় রাজশাহী। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করে তারা। বেশির ভাগ রানই আসে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ৩২ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন তিনি।
রাজশাহীর হয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৯ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ হারিস, সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। এর বাইরে ইয়াসির আলী ও আকবর আলী ২০ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন। ইয়াসির ১৫ বলে ১৬ ও আকবর ১২ বলে ১৮ রান করেন।
বাকি ব্যাটাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। চিটাগংয়ের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম। তিন উইকেট নেন ৪ ওভারে ২৩ রান দেওয়া আরাফাত সানিও।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল চিটাগং কিংস। তাসকিন আহমেদের বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। এরপরের দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার উসমান।
উসমান খানকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন। যদিও ২৫ বলে ৪০ রানে সোহাগ গাজীর বলে ফিরতে হয়েছে ক্লার্ককে।
তবে রানের গতি বাড়ানোর সঙ্গে ইনিংসও বড় করেছেন উসমান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২১ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রান তোলার গতি কমেনি তার। যদিও সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই ফিরতে পারতেন উসমান।
সোহাগ গাজীর শর্ট ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি সাব্বির হোসেন কিংবা শফিউল ইসলামের কেউ। জীবন পেয়ে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কার মারে ১২৩ রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন উসমান।
বিপিএলের ইতিহাসে এটি ৩৩তম সেঞ্চুরি। এছাড়া ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২১৯ রানের পাহাড় গড়েছে চিটাগং। এর আগে ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও উসমান সেঞ্চুরি করেছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভুটানকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। ১১ মে রবিবার ভারতের অরুনাচল স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে ওঠে লাল-সবুজের জার্সিধারিরা।
ম্যাচ শেষে কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, আমি প্রথমেই অভিনন্দন জানাই আমার ছেলেদেরকে দুর্দান্ত একটা ম্যাচ খেলার জন্য। আজকের ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যেহেতু মালদ্বীপের সাথে দুর্ভাগ্যবশত আমরা ড্র করেছি। তো ছেলেরা তাদের শতভাগ দিয়ে আজকে ৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে। এটা আমার বিশ্বাস ছিল যে, ছেলেরা আসলে এটা করতে পারবে। এবং ছেলেরা তাদের দেশপ্রেম থেকে তারা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলে নাইন্টি মিনিটস গেমস ডমিনেট করেই তারা জয়লাভ করেছে।