অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে নতুন করে কোনো আবেদনও আসেনি।
আজ রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, যতটুকু আমি জানি আজকে কিছুক্ষণ আগ থেকে, খালেদা জিয়ার হার্টে পেসমেকার লাগানের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কিডনির বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কথা আসেনি, আমি সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেব না।
প্রধানমন্ত্রী মানবিকভাবে দেখেছেন বলেই খালেদা জিয়া বাসায় থেকে ওনার ইচ্ছেমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাজা স্থগিত রেখে ওনার মুক্তির নির্বাহী আদেশটি একটা আইনের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে। সেই আইনে তাকে এখন বিদেশে যেতে দেয়া যায় না।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলার মাটিতে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার তারুণ্যের রোড মার্চ রংপুর থেকে দিনাজপুর অভিমুখে যাওয়ার পথে সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আয়োজিত পথসভায় তিনি একথা বলেন।
রোডমার্চটি ওই দিন বেলা দেড়টায় সৈয়দপুর পথসভায় এসে মিলিত হয়। তিনি বলেন, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যে মামলা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতে গেলে জামিন দেওয়া হয় না। মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখা হয়েছে।
আজকে রোডমার্চ শুরু হলো, আর এ কর্মসূচি সেদিন শেষ হবে যে দিন এ সরকারের পদত্যাগ ঘটবে।
সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে চায়। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ, বিদ্যুৎ থাকছে না, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
সেচ ও কৃষিকাজ করতে পারছে না কৃষকরা। ব্যাংক খালি করে দিয়েছে, রিজার্ভ থেকে টাকা চুরি করছে তারা।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, শুধু বিএনপি নয়, দেশের সবগুলো রাজনৈতিক জোট ঘোষণা দিয়েছে এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকার বার বার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি সেখানে অংশ নেবে।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, চলচিত্র অভিনেতা ও জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শিবা শানু এবং স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ২০ বার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে। জনগণ যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে না থাকে তাহলে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হবে।
আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার নবীনগরের কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ বছরের শেষে বা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই বাংলাদেশে যারা বিশ্বাস করে না, জনগণকে শোষণ করতে রাজনীতি করে এবং অগ্নি সন্ত্রাস করে তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ও নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন তারা নাকি সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়বেন না। বিএনপিও সংবিধানের বাইরে যাবে না। তবে সেটা কোন সংবিধান? খায়রুলের সংবিধান নাকি বাংলাদেশের সংবিধান। আমরা চাই অখণ্ড সংবিধান, যে সংবিধানে এক চুলও কাটাছেঁড়া করা হয়নি।
আজ ১৯ জুলাই বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে আব্দুল্লাহপুরের পলওয়েল মার্কেটের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, যে সংবিধান থেকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে, ওই সংবিধান আমরা চাই না। আমরা চাই যে সংবিধানে কাটাকাটি ছিল না, পোস্টমর্টেম ছিল না। বাংলাদেশের জনগণ যে সংবিধান তৈরি করেছিল, সেই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো। এছাড়া আপনাদের তৈরি, খায়রুল হকের তৈরি ওই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভোটের অধিকার আদায় করে নেবে। গত ১৫ বছর আপনাদের অত্যাচার আমরা সয়েছি। এ অত্যাচার আর সইবো না। আমরা আপনাদের অত্যাচারের জবাব দেবো। মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরে আমাদের লোক মেরেছেন। আপনারা শান্তি মিছিলের নামে অশান্তি তৈরি করছেন। আমাদের মিটিং-মিছিলে ঝামেলা হয় না। আর আপনারা ঝামেলা তৈরি করতে চান।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা যেদিন মিছিল মিটিং করি সেদিন আপনারা কর্মসূচি দিয়েন না। আপনারা যেদিন করবেন আমরা দেবো নো। গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা মিছিল মিটিং করবো। আপনারা বাংলা কলেজ থেকে ইট মারবেন পাথর মারবেন আমরা ছেড়ে দেবো এটা হবে না। ছেড়ে দেওয়ার দিন শেষ। এখন খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। আর কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। আমাদের অধিকারকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এয়ারপোর্ট থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে ঢাকাকে মনে হয় ইউরোপ। আর নামলেই আমাদের বাসগুলো দেখলে মনে হয় গরিব গরিব চেহারা। জীর্ণ, মুড়ির টিন চলছে। গায়ে লেখা- আল্লাহর নামে চলিলাম। মালিক সমিতিকে বলব, এসব গাড়ি কীভাবে চলে ঢাকা শহরে?’
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সড়ক পরিবহন বাস্তবায়নের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন করলাম। কিন্তু বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া এত বিলম্বিত করেছি, দুঃখজনক। আইন আছে, প্রয়োগ নাই, এমন আইনের দরকার কী?’
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান, বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-র চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ১৬ বছর পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসলেন (সাবেক ছাত্রনেতা, যুবদল নেতা), বর্তমান যুক্তরাজ্য কৃষকদলের সদস্য সচিব শাহ্ মোঃ ইব্রাহিম মিয়া। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঢাকা থেকে সড়ক পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফিরলে ঘাটুরায় উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেন স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মী ও এলাকাবাসী।
এসময় থাকে বরণ করে নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আতিকুল ইসলাম জালাল, শামিম, আলিফ, ইমন, সাংবাদিক আবু সুফিসহ বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে কিছুদিন পর হামলা-মামলার কারণে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে থেকে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর বিরোধিতা করেন। যুক্তরাজ্য বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলনের ভূমিকা পালন করেন। শাহ ইব্রাহিম মিয়া বলেন, স্বৈরচারী খুনি হাসিনার সরকারের সময় বিরোধী মতের যারা ছিলেন কেউ দেশে আসতে পারেনি। বিমানবন্দরের পাসপোর্ট ব্লক করে রেখেছিল। বিগত ১৬ বছর দেশে স্বৈরাশাসক থাকায় তিনি দেশে আসতে পারেননি, ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ায় দেশ আবার নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। তাই তিনি নির্ভয়ে দেশে আসতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা প্রবাসী ও কলম যুদ্ধা অবস্থান করছি সবাই গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মানবাধিকার বিষয়ক এক সেমিনার যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম মালিক এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরে এনে সকল হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি তুলে ধরি। আমরা আশা করি নতুন করে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগণের প্রতিনিধি হতে দেশ গড়ার দায়িত্ব তুলে দিবেন। আমাদের দলের তারুণ্যের অহংকার বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যাবার আশাব্যক্ত করেন। ব্রাহ্মণবাডিয়া জেলা শহরের কাজীপাড়ার কৃতি সন্তান, (সাবেক ছাত্রনেতা, যুবদল নেতা), বর্তমান যুক্তরাজ্য কৃষকদলের সদস্য সচিব, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশ্বস্ত ও অত্যন্ত কাছের মানুষ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম মালিক, প্রিয়ভাজন স্বৈরাচার খুনী হাসিনার আতংক শাহ্ মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, স্বৈরাচার খুনী হাসিনার মামলা-হামলায় দীর্ঘ ১৫ বছর পর তার নিজ বাড়িতে আসেন। তিনি যুক্তরাজ্যের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন, লন্ডন শহরে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন। যুক্তরাজ্যের সদ্য বিদায়ী ক্ষমতাসিন দলের (ইলিং সাউথহল) ডিপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন, লন্ডন চেম্বার অব কমার্সের সদস্য। তাছাড়াও তিনি লন্ডনের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।