অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যে একটি সুপারমার্কেটে বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি ছুড়েছে। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে দুই পুলিশ সদস্যসহ আরো অন্তত ১০ জন। এ ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বলে অঙ্গরাজ্যটির পুলিশ জানিয়েছে।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে সন্দেহভাজন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের পুলিশ পরিচালক মাইক হাগার।
অঙ্গরাজ্যটির লিটল রক এলাকা থেকে প্রায় ৭০ মাইল বা প্রায় ১১২ কিলোমিটার দক্ষিণে ফোর্ডসি শহরের ম্যাড বুচার গ্রোসারিতে এ ঘটনা ঘটে। শহরটিতে প্রায় ৩ হাজার ২০০ মানুষ বসবাস করে।
পুলিশ কর্মকর্তা মাইক বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনায় ১০ জন বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন তিনজন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যও আছেন। গোলাগুলির সময় তাঁরা আহত হন।’
মাইক আরো বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। দুই পুলিশ সদস্যসহ আহত ব্যক্তিরা সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আরকানসাসেস গভর্ণর সারাহ হুকাবি স্যান্ডার্স এক এক্স পোস্টে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে তিনি হতাহত ব্যক্তিদের প্রতিও সহানুভূতি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোট ২৭৭ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
৫ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে আজ ৬ নভেম্বর বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় গণনা। ভোটগণনার প্রথম থেকেই ইলেক্টোরাল ভোটের লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যখন ম্যাজিক ফিগারের কাছাকাছি, মোট ২৬৭ ইলেকটোরাল ভোটে ভোটে এগিয়ে ছিলেন, তখনই ট্রাম্পের জয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হয়।
সব ভোট গণনা শেষের আগেই প্রাথমিক ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য জানিয়েছে ফক্স নিউজ। তাদের হিসাব-নিকাশ মতে, আর কোনোভাবেই কমলা হ্যারিসের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
সর্বশেষ খবরে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের প্রাপ্ত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ২৭৭। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬টি ভোট।
দেশটিতে মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। জিততে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। তা ইতিমধ্যে ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন এবং আরও কিছু রাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ ভোট তার দখলে যাওয়ার খুব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ট্রাম্পের জয়ের খবরে বিভিন্ন রাজ্যে উৎসবে মেতেছেন তার সমর্থকরা। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের প্রধান কার্যালয় থেকে বিবিসি জানিয়েছে, ফক্স নিউজ যখন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের অনুমান ঘোষণা করছিল তখন হলরুমে উপস্থিত সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তাদের কান ফাটানো জয়ধ্বনিতে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেক সমর্থক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ট্রাম্পের নামে স্লোগান দিতে থাকেন।
অপরদিকে, কমলা এখনও হাল ছাড়ছেন না। তার প্রচারশিবিরের সহসভাপতি সেড্রিক রিচমন্ড বলেন, ‘আমাদের এখনও ভোট গণনা করা বাকি আছে। আমাদের এমন রাজ্য রয়েছে যেগুলোর ফল এখনও নিশ্চিত নয়। আগামীকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাষণ দেবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তদন্তে নাম এসেছে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকেরও। এ ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প থেকে নিজের পরিবারকে প্রায় চার বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করতে সহায়তা করার অভিযোগে মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
টিউলিপ ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া। তবে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তার খালা ও বাংলাদেশের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার সাথে একটি দুর্নীতির চুক্তিতে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।
অবশ্য টিউলিপ সিদ্দিককে গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও খবরটি সামনে এসেছে ২২ ডিসেম্বর রবিবার। অভিযোগ অনুযায়ী, রূপপুরের এই প্রকল্প থেকে চার বিলিয়ন পাউন্ড সরিয়ে নেয় শেখ হাসিনার পরিবার ও তার মন্ত্রীরা।
টেলিগ্রাফ বলছে, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসার পর টিউলিপ সিদ্দিক দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় এবং নৈতিকতা দলের (পিইটি) প্রতিনিধির সাথে বৈঠকে যোগ দিতে সম্মত হন। গত বৃহস্পতিবার পিইটি’র ওই কর্মকর্তা টিউলিপ সিদ্দিকের অফিসে যান। পরে ওই কর্মকর্তার কাছে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেন টিউলিপ।
উল্লেখ্য, শেখ রেহানা-কন্যা টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে বিতর্ক চলছেই। বাংলাদেশে একটি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে নেতিবাচকভাবে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে তিনি সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন গত ১৯ ডিসেম্বর। তবে এবারই প্রথম না, চারবারের নির্বাচিত এমপি ও বর্তমান সরকারের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ ব্রিটিশ গণমাধ্যমে এর আগে আরো বেশ কয়েকবার হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে উত্তরের পাহাড়ি অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নতুন একটি দাবানল। এতে এরই মধ্যে প্রায় ২১ বর্গকিলোমিটার এলাকার গাছপালা ও ঝোপঝাড় পুড়ে গেছে। ২২ জানুয়ারি বুধবার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কাস্টেইক লেক এলাকায় এই দাবানলের কারণে হাজারও বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষ জরুরি আদেশ জারি করেছে।
দমকলকর্মীরা জানান, কাস্টেইক লেক এলাকায় শুরু হওয়া ‘বিশাল আগুন’ স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি তৈরি করেছে। ওই এলাকায় প্রায় ১৮ হাজার ৬০০ মানুষ বসবাস করেন। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুন সেখানে গাছপালা ও ঝোপঝাড় ধ্বংস করে দিচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ বিভাগের রবার্ট জেনসেন স্থানীয়দের দ্রুত এলাকা ত্যাগ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এর আগে পলিসেডস ও ইটন দাবানলে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ধরনের বিপর্যয় এই এলাকায় আমরা দেখতে চাই না। আপনাকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়ে থাকে, দয়া করে এখনই চলে যান।
সান্তা আনা নামক শুকনো ও শক্তিশালী বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমির পাশাপাশি পানিবাহী উড়োজাহাজ থেকেও কাজ করছেন।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে আবহাওয়াবিদদের মতে, এই সময়ের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ পরিস্থিতি, অর্থাৎ শক্তিশালী বাতাস ও কম আর্দ্রতার কারণে দাবানলের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।
লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলের ইটন ও পালিসেডস দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ইটন দাবানল ৯১ শতাংশ এবং পালিসেডস দাবানল প্রায় ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ঘরবাড়ি।
পরিস্থিতি দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য অভিষিক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেস সফর করবেন বলে জানা গেছে।
বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা আকুওয়েদার জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বিতীয় মেয়াদে আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া এই মূল প্রতিশ্রুতিটি দ্রুত পূরণ করার অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প।
ক্ষমতা গ্রহণের একদিন আগে রবিবার ওয়াশিংটনে এক সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে এ কথা জানান।
ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনাতে আয়োজিত ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বিজয় সমাবেশে সমবেতদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, “কাল (সোমবার) সূর্যাস্তের সময় থেকে আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ থামবে।”
নির্বাচনী প্রচার চলার সময় ট্রাম্প বারবারই বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হলে তিনি অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন তৎপরতা শুরু করবেন। এই পদক্ষেপের আওতায় লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করা হবে।
ট্রাম্প বলেন, “এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক আন্দোলন। ৭৫ দিন আগে, আমরা ঐতিহাসিক রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করেছি। আমাদের দেশ কখনও এমনটা দেখেনি। সোমবার থেকে, আমি ঐতিহাসিক শক্তি প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেব এবং আমাদের দেশের প্রতিটি সংকটের সমাধান করব।”
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি পর এটি ওয়াশিংটনে দেওয়া ট্রাম্পের প্রথম বড় ভাষণ। ওই ভাষণের পর ট্রাম্পের সমর্থকেরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। এবার ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষকে ক্ষমা করে দেবেন।
আজ সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ভাষণ দেবেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প কী কী পরিকল্পনা করছেন, তার আভাস তিনি ওই ভাষণে দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
আমেরিকায় কখোনো যা ঘটেনি, সেটাই ঘটতে যাচ্ছে মেক্সিকোতে। নারী নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিকট-প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। কারণ দেশটির নির্বাচনে প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর শীর্ষস্থানীয় দু’জনই নারী।
আজ ২ জুন রবিবার (বাংলাদেশ সময় রবিবার দিবাগত রাত) মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন।
এতে ক্ষমতাসীন মরেনা পার্টির প্রার্থী ক্লাউডিয়া শেইনবাম এবং ‘ফোয়েরজা ওয়াই কোরাজন ফর মেক্সিকো’র যোসিটি গ্যালভেজ হচ্ছেন সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী। এ দুজনই জুইশ বংশোদ্ভূত মেক্সিকান এবং সাম্প্রতিক সব কটি জরিপে তাদের একজনের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা গেছে।
বর্তমান প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ক্লাউডিয়া হচ্ছেন একজন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং মেক্সিকো সিটির মেয়র হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তকে নিরাপদ করতে কয়েক বছর থেকেই কাজ করছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোরের সহযোগী হিসেবে।
বিশেষ করে সীমান্তরক্ষীদের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে মেক্সিকানদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়া এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচার রোধে ক্লাউডিয়ার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার কথা হোয়াইট হাউসের বিবেচনায় রয়েছে।
অপর নারী প্রার্থী যোসিটি গ্যালভেজ হচ্ছেন সাবেক সিনেটর এবং ব্যবসায়ী। সব জরিপে দ্বিতীয় শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন পুরুষ প্রার্থী জর্জ অ্যালভারেজ ম্যাইনেজ।
হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে অন্যতম বৃহত্তম ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পেয়েও ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান। অর্থাৎ উন্নয়নের শীর্ষে এবং মানবাধিকার নিয়ে সদা মুরব্বিয়ানায় ব্যস্ত আমেরিকা তার নেতৃত্ব নারীর কাছে সঁপে দিতে চায়নি। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা মেক্সিকোতে নারী ক্ষমতায়নে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে-এমন অভিমত পোষণ করেছেন ওয়াশিংটন ডিসির থিংকট্যাংক ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স’র সিনিয়র ফেলো শ্যানন ও’নীল।
শ্যানন মনে করছেন, মেক্সিকোতে এমন কিছু বাজে কাণ্ড ঘটে-যার ফলে সুধীজনের পক্ষে দেশটিতে নিরাপদে অবস্থান করা কঠিন। তবে নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং প্রকারান্তরে প্রভাবিত করতেও যাচ্ছে।
মেক্সিকোর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট সত্যি অন্যতম একটি ইস্যুতে পরিণত হতে যাচ্ছেন। নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মেক্সিকোর ইতিহাসের গতি-প্রকৃতি পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র : এনডিটিভি