চলারপথে রিপোর্ট :
ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রীতির স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আজ ১৩ ফেব্রুয়ারিসোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লা-আল শাহীন।
সংলাপে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস চলন্ত অবস্থায় দু’ভাগে ভাগ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন পার হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। মেরামত শেষে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
আখাউড়া, রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্র জানা যায়, ট্রেনের ১৩১০ ও ১৩০৫ নম্বর বগি চলন্ত অবস্থায় আলাদা হয়ে যায়। পিছনের দিকের ওই দু’টি বগির সংযোগস্থলের যন্ত্র ভেঙে খসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের টিএক্সআর কার্যালয়ে দায়িত্বরতরা বগি দু’টি সংযোগ করলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকাররী প্রকৌশলী (হেড টিএক্সআর) মো. শামীম আহমেদ জানান, ট্রেনের দুই বগির মাঝখানের বাফার শেঙ্ক ভেঙে যায়। মেরামত করতে ২০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
“রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ২ এপ্রিল রবিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে স্থানীয় আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, অটিজমে আক্রান্তরা সমাজের বোঝা নয়, তাদেরকেও প্রশিক্ষিত করে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এক্ষেত্রে সবার সচেতন ও আন্তরিক ভূমিকা রাখতে হবে।
পরে অসচ্ছল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ৫৫ জন শিশুর মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মো. ওয়ালী উল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. একরাম উল্লাহ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ে থাকা ১২টি গাছ কেটে ফেলেছেন প্রকৌশলী। সম্প্রতি অফিস চত্বরে থাকা আকাশি, মেহগনি ও কড়ই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহরের পুনিয়াউট বাইপাস সড়কের মোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়টি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠার পর স্টাফরা নিজ খরচে অফিস চত্বরে নারিকেল, আকাশি, মেহগনি ও কড়ই গাছ রোপণ করেন। দীর্ঘদিনে গাছগুলো অনেক বড় হয়। পরবর্তী সময়ে অফিসটি সম্প্রসারণ করে সংস্কার করা হয়। এসময় বেশকিছু গাছ কাটা পড়ে।
সম্প্রতি এ অফিসের আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কারের জন্য দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে মৌখিক অনুমোদন নেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছগির উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু তিনি ঝোপঝাড় পরিষ্কারের পাশাপাশি অফিস চত্বরে থাকা ১২টি বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ গাছ কেটে ফেলেন।
সরকারি কোনো অফিসের গাছ কাটতে গেলে বনবিভাগে লিখিত আবেদন করতে হয়। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর গাছ কাটা যায়। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ে গাছ কাটতে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছগির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্যারেরা বলেছেন ছোট ছোট গাছগুলো কেটে ফেলতে। আমি ছোট গাছগুলো কেটেছি। বড় কোনো গাছ কাটা হয়নি।’
দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. এ বি এম খান মোজাহিদী বলেন, ‘আমাকে অফিস পরিষ্কারের জন্য ছোট ছোট গাছগুলো কাটার কথা বলা হয়েছিল। বড় কাছ কেটেছে কি না জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহকারী বন সংরক্ষণ কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ জাহান বলেন, সরকারি অফিসের ছোট বা বড় যে কোনো গাছ কাটতে গেলে আমাদের কাছে আবেদন করতে হয়। আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি আছে। উনারা এ আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। গাছের মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে কোনো আবেদন আমরা পাইনি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি রাজনেতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা বহু চেষ্টা করেও নির্বাচন বন্ধ করতে পারে নাই। মঞ্চে উপবিষ্ট দু:জন বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীও বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে যে কোন মিছিল, মিটিং করলে কোন আপত্তি নাই। যদি অশান্ত হন, আগুন সন্ত্রাস করেন, জনগণের অশান্তি হয় এমন কোন কাজ করলে তা সহ্য করা হবে না। জনগনের শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজ করতে দেওয়া হবেনা।
তিনি আরো বলেন, রমজানুল মোবারককে সামনে রেখে যেসব লোকেরা কালো ধান্ধায় আছেন, তাদেরকে আমরা সতর্ক করতে চাই আমরা কোন রকমের মজুদদারীকে সহ্য করবো না। রমজানে যারা দ্রব্য মূল্য নিয়ে যেসকল বন্ধুরা খেলাধূলা করবেন তাদেরকে খেলাধূলা না করার অনুরোধ করবো। খেলাধূলা করলে কেউ রেহাই পাবেন না। আমি আজকে বলে দিয়েছি একজন মন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে, কোন জরিমানার ব্যাপার স্যাপার নাই, সরাসরি কারাগারে পাঠানোর জন্য আমি অনুরোধ করেছি। তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিন সচেষ্ট আছেন আমরাও তার সাথে আছি। সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে একটি দেশ দিয়ে গিয়েছেন। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। জননেত্রী শেখ হাসিন আমাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তার প্রতিটা আমি পালন করবো ইনশাল্লাহ। আগেও আমিও চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ছিলাম আজও আছি। মাদক ব্যবসায়ীদের বলতে চাই, আপনাদের কারণে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে, আমি তাদের ধ্বংসের পথে যেতে দিতে পারি না। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সাংসদ সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাংসদ মঈন উদ্দিন মঈন, মন্ত্রীর সহধর্মিণী মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনানুষ্ঠানশেষে ব্যান্ডদল নগর বাউলের জেমস সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে হাজারো দর্শককে মুগ্ধ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই বলেছেন, জোর করে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় বসা এই সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায়না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া কোন নির্বাচন এই দেশের মানুষ মেনে নেবেনা। রাতের ভোট আর বাংলাদেশে চলবেনা।
তিনি আজ ২১ আগস্ট সোমবার বিকেলে পৌর এলাকার কাউতলীতে স্বপ্নতরী কনভেনশন হলরুমে আয়োজিত ওলামা ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই আরো বলেন, সরকারের ছত্রছায়ায় রাঘব বোয়ালরা হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। এস.আলম গ্রুপ ৮টি ব্যাংক থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
সূধী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সম্পাদক গাজী নিয়ামুল করীম, মাওলানা আলী আযম কাসেমী, মাওলানা শরীফ উদ্দীন, মাওলানা হারুনুরর রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।