চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপারসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার সৈয়দাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার টিক্কলহাটি গ্রামের তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে বাস হেলপার সাইফ (২০) ও একই গ্রামের বাসযাত্রী কাশেম মিয়ার ছেলে রাজু (২০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লামুখী বিসমিল্লাহ্ পরিবহনের একটি যাত্রী বাস একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সাইফ ও রাজুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার সান্যাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত দুইজনের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। বাস ও ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চকবস্তা গ্রামের জাজিয়ারা-রেললাইন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে চকবস্তা গ্রামের জাজিয়ারা-রেললাইন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী আলম মিয়া, রবিন ও রায়হান মিয়া পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা উল্টে সায়মুন (১২) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
আজ ৮ মার্চ বুধবার দুপুরে উপজেলার কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের কসবা-নয়নপুর আঞ্চলিক সড়কের আকছিনা বটতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সায়মুন কসবা পৌর এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, দুপুরে উপজেলার আকছিনা এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সায়মুন মারা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ সিএনজি চালককে আটক করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে শাহ আজিজুর রহমানের মতো কুখ্যাত রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনিদের পুনর্বাসন করেন। তিনি তাদের চাকরি ও রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে আয়োজিত শোকসভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কসবা সরকারি পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পরই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেন, এই স্বাধীনতা দিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তি আসবে না। তাই তিনি অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম এবং জেল-জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। কখনও পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেননি। তাঁর ডাকে আমরা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছি।
আনিসুল হক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে হত্যা করতে চেয়েও বিশ্ববাসীর চাপে তারা তা করতে পারেনি। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ক্ষমতালিপ্সু সেনা সদস্যরা সপরিবারে হত্যা করে তাঁকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। দেশটাকে আবারও মিনি পাকিস্তান বানাতে তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন।
কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকতিয়ার আলম রনির পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, পৌর মেয়র এমজি হাক্কানী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় রাসেল মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।
আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে রাসেল মিয়ার সঙ্গে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় অটোরিক্সাসহ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও ১ ভড়ি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকত। ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে ডিভোর্স দেয় সুমা। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বাবার বাড়িতে থাকার সময় রাসেল সুমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন দুই মাসের মধ্যে একই বছর ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে, সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার রাসেলকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। তবে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী ছিল না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি, সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান বলেছেন, যে আওয়ামীলীগ এতদিন বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে মেরেছে। যাদের জন্য বিএনপির নেতা কর্মীদের চাকরী হয়নি, কাজ পায়নি। তারা এখন আমাদের আপন হতে চাইবে। আমাদের (বিএনপি) ঘাড়ে চরে ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসবে। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। বহু কষ্টের পরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তা যেন নস্যাত না হয়। আজ ২১ সেপ্টেম্বরশনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর শহরের শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় কয়েক হাজার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছর বিএনপির নেতা কর্মীরা অনেক কষ্ট করেছে। তারা চাকরী পায় নাই। আমাদের কথা বলার সুযোগ ছিল না। আমরা কথা বলতে পারতাম না। ছাত্র-জনতা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদেরকে কথা বলার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আজ আমরা স্বাধীন। গত ১৫ বছর বিএনপির বহু নেতাকর্মী আওয়ামীলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মৃত্যু বরণ করেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
মুশফিকুর রহমান আরো বলেন, গত ১৫ বছর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কিভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে তা আপনারা দেখেছেন। উনাকে তিলে তিলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল সরকার। বিদেশে যেতে দেয়নি। আল্লাহর রহমতে জনগণের ভালোবাসায় তিনি বেঁচে আছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে আছে। দেশে আসতে পারছেনা। আল্লাহর রহমতে এই অত্যচারী সরকার চলে গেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আজকে স্বাধীনতা এসেছে। এখন আমাদেরকে ঐকবদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। কাজের প্লাট ফরম হলো বিএনপি। বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে।
এসময় তিনি বহুদিন পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসতে পেরে আনন্দিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আখাউড়া-কসবা ছাড়া আমার আর কোথায়ও যাওয়ার জায়গা নাই। অন্য কোথায়ও যাওয়ার ইচ্ছা নাই।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বিল্লাল খন্দকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রধান উপদেষ্ঠা সৈয়দ শাহ আমানুল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন প্রমুখ।
সভা শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১৫০ টি পরিবারের মাঝে ১টি তোষক ও ২টি করে বালিশ উপহার দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল ১১ টায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমান। এসময় বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীরা শুভেচ্ছা জানান।