চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ও রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য উপহার হিসেবে রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম, ইলিশ মাছ ও রসগোল্লা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম, ৫০ কেজি ইলিশ মাছ ও ৫০ কেজি রসগোল্লা হস্তান্তর করা হয়।
স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় উপহারগুলো গ্রহণ করেন আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক চৌধুরী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কার্গোওয়ার্ল্ড লজিস্টি নামে ঢাকার একটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপহারসামগ্রীগুলো হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৫০০ কেজি আনারস উপহার পাঠান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
এই শুভেচ্ছা উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধুর সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকে। আমাদের মধ্যে সহমর্মিতা-সহাবস্থান বজায় আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে যোগাযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর উপহারগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে।
এ সময় স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম তালুকদার, আগরতলা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা দিব্যেন্দু ভৌমিক ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের পরিদর্শক খাইরুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্বকর্মাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিন বন্ধ থাকবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে বন্ধের সময় স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বিশ্বকর্মাপূজা উপলক্ষে ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর দুইদিন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন। পূজার ছুটি শেষে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তরপূর্ব ভারতে। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. মনির হোসেন চেয়ারম্যান এবং শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু ও মোছা. রোকসানা আক্তার বেসরকারিভাবে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় সবাই নতুন। মো. মনির হোসেন মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিন বারের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি এবং রোকসানা আক্তার যুব মহিলালীগ নেত্রী।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী মো. মনির হোসেন (ঘোড়া) প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু (মাইক) প্রতীকে ১৫ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান এবং মোছা. রোকসানা আক্তার (কলস) প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে টানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার দিনব্যাপী স্কুল প্রাঙ্গণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
‘পিড়িতের তাবিজ লাগবে গো তাবিজ’, বেদের মেয়ের সাজে এক শিক্ষার্থীর এমন হাঁক শুনে হাসিতে ভেঙ্গে পড়েন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহিসহ অতিথিরা। দু’দিকে মাথা নাড়িয়ে লজ্জায় ইউএনও ‘না’ বোধক ইঙ্গিত করেন তিনি। তবে, এসময় পাশে দাঁড়ানো উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আব্দু হাসতে হাসতে বলেন- লাগবে লাগবে। সাথে সাথে আরেক দফা হাসির রুল উঠে। পরে হাত বাড়িয়ে বেদের মেয়ের কাছ থেকে তাবিজ (!) নেন ইউএনও।
আখাউড়া উজেলার অন্যতম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। রং বেরংয়ের পোষাক ও বাহারি সাজ আর দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে পিড়িতের তাবিজ ফেরি করে সবাইকে চমকে দেয় ওই শিক্ষার্থী। সকালে পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে স্কুল মাঠে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, বিভিন্ন খেলাধুলা, যেমন মানায় তেমন সাজোসহ শিক্ষা ও সচেতনতামূলক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। দৌড়, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, মিউজিকেল চেয়ার, রশি লাফ খেলাধুলায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বাল্য বিবাহ রোধ ও ইভটিজিং বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটিকায় অভিনয় করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বাল্য বিবাহ রোধ এবং ইভটিজিং বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটিকা প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের শেষে এক শিক্ষার্থীর গানের সাথে গলা মেলান ইউএনও গাজালা পারভিন রুহি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ খোরশেদ আলম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফকরুল আলম হানিফ, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ সেলিম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তার খাঁন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ বোরহান উদ্দিন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ ইকবাল, বিএনপি নেতা মোঃ শাহনেওয়াজ খান, আবুল ফারুক বকুল, জালাল উদ্দিন জালাল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক কাজী সাফিয়া খাতুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে মাছ রফতানি করে ১ দশমিক ৬৮ কোটি ইউএস ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি ১৯০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। রফতানি হওয়া মাছের মোট পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার ছয়শ’ ৬১ মেট্রিক টন।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার আখাউড়া মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরো জানানো হয়, আখাউড়ায় গত বছর পাঁচ হাজার ৩২৫ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে তিন হাজার ৬৮০ টনের চাহিদা মিটিয়ে এক হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন মাছ উদ্বৃত্ত থেকে যায়। আখাউড়া মোট পুকুরের সংখ্যা দুই হাজার ৩৪৮ টি যার আয়তন ৬১৩ দশমিক ৬০ হেক্টর। এছাড়া নদী আছে তিনটি। খালের সংখ্যা তিনটি। বিলের সংখ্যা ১৩টি যার আয়তন ১৬৫ হেক্টর। আটটি প্লাবন ভূমির আয়তন ১ হাজার ৪০০ হেক্টর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহবুদ্দিন বেগ, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা বেগম, কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাফিকুল ইসলাম। মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের উপস্থাপনায় এতে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান, সাংবাদিক জুটন বনিক, চাষী আবুল হাসেম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে অতিথিবৃন্দ উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছের পোণা অবমুক্ত করেন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল বর্বরতার সব জঘন্য রেকর্ড ভেঙেছে। প্রায় ৯ মাস ধরে অনবরত ফিলিস্তিনের গাজায় তারা বোমা ফেলছে। এরই মধ্যে নারী, শিশুসহ ৩৭ হাজার ৬০০ জনের বেশি বাসিন্দাকে হত্যা করেছে তারা। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ক্ষুধা-অনাহারে ধুঁকছে অধিকাংশ বসতি।
এবার নৃশংসতার আরেক অধ্যায় দেখিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনি এক নারীর ওপর লেলিয়ে দিয়েছে প্রশিক্ষিত কুকুর। এই হিংস্র জানোয়ারের হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন ৬৬ বছর বয়সী ওই নারী। এমন একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিজ অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জুমলত। খবর আল-জাজিরার।
কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়ার এই বাসিন্দা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। সে সময় ইসরায়েলি সেনা সদস্যরা আসেন এবং তাঁর ওপর কুকুর লেলিয়ে দেন। এতে তাঁর শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষত তৈরি হয়েছে। এতেই ক্ষান্ত থাকেনি সেনারা। তারাও হামলায় চালিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেঁতলে দিয়েছে তারা।
এদিকে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া দুর্ভিক্ষে গাজায় আরও চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ডব্লিউএফপির প্রধান অর্থনীতিবিদ আরিফ হুসাইন বলেন, গাজার অধিবাসীদের রক্ষায় বিশ্বকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে ২৩ লক্ষাধিক বাসিন্দা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি ২০১১ সালে সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের উদাহরণ টেনে বলেন, সে সময় দেশটিতে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যার অর্ধেকই মারা যায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণার দেওয়ার আগেই। মঙ্গলবার হুসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় যে শুধু খাবারের সংকট, তা নয়। এখানে পরিষ্কার পানি, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধেরও চরম সংকট রয়েছে।
তবে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ এড়ানো গেছে। সেখানে বাইরে থেকে ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে পারছে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক সরবরাহও প্রবেশ করতে পারছে। অপরদিকে দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা অব্যাহত থাকায় সেখানে কোনো প্রকার সহায়তা বা ত্রাণ ঢুকতে পারছে না। এমনকি মিসর থেকে প্রবেশের প্রধান পথ রাফা ক্রসিংও বন্ধ আছে।