চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে দি কালচারালাল পার্টিক্যাল নামে একটি অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন এ আয়োজন করে।
বিকাল ৫ টায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ¦লনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
দি কালচারালাল পার্টিক্যাল সভাপতি মোস্তফা জাফরি হামিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অর্পা মিত্র ভৌমিকের সঞ্চালনায় স্বাগত জানান সহসভাপতি মোহাম্মদ হাসিবুল মেহরাব।
এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক আসিফ ইকবাল খান ও সময় টেলিভিশন ব্যুরো প্রধান উজ্জল চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, আবৃত্তি উপস্থাপন করেন।
দি কালচারালাল পার্টিক্যাল সভাপতি মোস্তফা জাফরি হামিম জানান, আমরা অনলাইনে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। মাঝে মাঝে আমরা অনলাইনে নাচ-গান-আবৃত্তি পোস্ট করি। এবার আমরা অনলাইনে যুক্তরা বন্ধুরা সম্মিলিত হওয়ার প্রত্যাশায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, শিশু-কিশোরদের নিজস্ব উদ্যোগে এমন বর্ণিল সাংস্কৃতিক আয়োজন খুবই ব্যতিক্রম এবং আশা জাগানিয়া। এভাবেই যদি শিশুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ভাবনা ছড়িয়ে দেয়া যায় তবে অবশ্যই অপরাধ কমে আসবে। সমাজ সুন্দর হতে বাধ্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শহরের কাউতলী মোড় থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক জলফিকা হায়দার রাফি, ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিবির কর্মীরা যোগদান করেন। এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা করতে পেরেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১২ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পাডায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সহ মূখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসনের কার্যালয়সহ কয়েকটি সরকারি দপ্তরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সহ মূখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ বলেন, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। বলেছে সকল রাজনৈতিক দল সহ অংশিজনের মাধ্যমে তারা জুলাই বিপ্লবে ঘোষণা পত্র ঘোষণা করবে। আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই জুলাই আন্দোলনকে বেগবান করেছে এবং সমর্থন দিয়েছে আমাদের ছাত্রজনতা, দেশের খেটে-খাওয়া মানুষ সহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষের কথা যেন এই ঘোষণাপত্রে থাকে। এই নতুন বাংলাদেশ হবে সকলের। এখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ছিল। এই উদ্দেশ্যে আমরা গণসংযোগ চালাচ্ছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী বুশরা আক্তার বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা এই প্রচারণা শুরু করেছি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর রাষ্ট্রীয় ভাবে ঘোষণাপত্র স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০২৪ কেন পাবে না? ২০২৪ তো ২২ হাজার আহত ভাই-বোন আছে, আড়াই হাজার শহীদ হয়েছেন। দেখা যাবে আগামী ৫ বছর পর তা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম আর জানতে পারবে না এই বিপ্লব গণঅভ্যুত্থানের কথা। আমরা চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের শহীদ ও আহত ভাইদের কথা জানুক। তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক। তাই আমরা সবার মতামত চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রামকানাই হাই একাডেমির এসএসসি-৯৭ ব্যাচের বন্ধুদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক আজিজুর রহমান পায়েল ও আইনজীবী ইয়াছিন মিয়াকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন জেলা থেকে আগত একই ব্যাচের বন্ধুদেরও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।
গতকাল ৭ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় শহরের সিও অফিস সংলগ্ন গ্রীণ ফুড কর্নারে এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রামকানাই হাই একাডেমির এসএসসি-৯৭ ব্যাচের এডভোকেট ইয়াছিন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (নারী শিশু ট্রাইবুনাল-২) হিসেবে যুক্ত হওয়া এবং সাংবাদিক আজিজুর রহমান পায়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় এ সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত এসএসসি ৯৭ ব্যাচের বন্ধু কিশোরগঞ্জ জেলার তানভীর আহমদ (পুলিশ পরিদর্শক, সদর থানা), কুড়িগ্রাম জেলার মো. রেজাউল করিম (উপ পুলিশ পরিদর্শক, সদর থানা), কুমিল্লা জেলার মো. মাহবুবুল আলম (উপ পুলিশ পরিদর্শক, সদর থানা), একই জেলার মো. আবদুল হালিম (উপ পুলিশ পরিদর্শক, সদর থানা), ফেনী জেলার মো. নূরুল ইসলাম মজুমদার (উপ-পুলিশ পরিদর্শক, ডিএসবি ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও টাঙ্গাইল জেলার এনএস সোহেল (অধ্যক্ষ, শাহীন স্কুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া)কে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। আয়োজন সফল করতে সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন সাঈদ উদ্দিন, মোফাজ্জল হক, সোহেল আহাদ, এনামুল হক, আলমগীর হোসেন ও এমরান হোসেন। অন্যান্য বন্ধুদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, আল সাঈদ রুবেল, উজ্জ্বল, আল আমিন, ফায়জুল, সজল, অলক, আশিক, শহিদুল, বিশ্ব, কবির প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, খাদ্য ঘাটতি কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে দেশে এখন আর কোন মানুষ অভুক্ত থাকেনা। মানুষ যাতে কোন ধরনের কষ্ট না করে সেজন্য করোনা মাহামারীর সময়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিয়েছেন।
তিনি আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের নতুন ভবনের নির্মান কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
পরে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণী সম্পদের প্রতি খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাণী সম্পদ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পদ মর্যাদা দিয়েছেন। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসাইন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম শেখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩- (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫৫-৬০ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলার সময় হাফেজ মোঃ মাসুদ আহমেদ নিহতের ঘটনায় তার খালাতো ভাই নবীনগর উপজেলার বগডহর গ্রামের বাসিন্দা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট শনিবার রাতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত হাফেজ মোঃ মাসুদ আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদারাসার ছাত্র ছিলেন। তিনি নবীনগর উপজেলার সেমন্তঘর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তানজিল বারী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লেলিন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আবু মুছা আনছারি, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মালেক চৌধুরী, শহর যুবলীগের সভাপতি আল-আমীন সওদাগর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য খোকন আচার্য, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সামি আহমেদ নাবিল, সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার হাসান, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল জব্বার মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জুম্মান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ আলী আজম, ঠিকাদার হামদু মিয়া, শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরে মাওলা ফারানিসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৫৫-৬০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদি মাওলানা মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উল্লেখিত আসামীরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলা করে। এসময় হামলাকারীদের ছোড়া গুলি মাসুদের পেটে বিদ্ধ হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাসুদের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।