চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-৯৫ এর উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শের আলম মিয়াকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মো: শের আলম সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ৯৫ ব্যাচের ছাত্র হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে ৯৫ ব্যাচের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অন্নদা এসএসসি ব্যাচ ৯৫ এর আহবায়ক মো: রফিক মিয়ার সভাপতিত্বে আজ ২৯ জুন শনিবার বিকালে সরাইল উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত অডিটোরিয়ামে উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: বিল্লাল মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু, জেলা পরিষদ সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সরাইল রিপোর্টার ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মো: তাসলিম উদ্দিন।
সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-৯৫ এর প্রাক্তন ছাত্র, একই বিদ্যালয়ের অন্যান্য ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র ও অন্যান্য শ্রেণি পেশার লোকজন উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে নির্বাচিত ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), বগুড়া-৪ আসনের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ), বগুড়া-৬ আসনের রাগেবুল আহসান রিপু (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মু. জিয়াউর রহমান (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. আব্দুল ওদুদ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঞা (স্বতন্ত্র) শপথবাক্য পাঠ করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার তাঁর সংসদ ভবন কার্যালয়ে তাদের শপথ পাঠ করান।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু, শিরীন আখতার, ফখরুল ইমাম, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) ও ফেরদৌসী ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শপথ গ্রহণ শেষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুর ব্রিজের পূর্ব পাশে একটি চেকপোস্ট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আব্দুল্লাহ (২৯), আবুল কালাম (৪৭) এবং শাহ আলম (৪২)। তারা সবাই সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযানের সময় চেকপোস্টে সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তাদের তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘মাদক নির্মূলে সরাইল থানার পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। আমরা মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি।” গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘মাদক ব্যবসা বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং জনগণের সহায়তায় সমাজ থেকে মাদক নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’
স্থানীয়রা পুলিশের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং মাদক নির্মূলে এমন অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
সরাইল প্রতিনিধি:
শ্রমিক নেতা ছায়েদ মিয়া হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ ২১ জানুয়ারি সরাইলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্টাপাডা গ্রামের ভিতরের রাস্তায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান।আজ শনিবার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকার জনপ্রতিনিধ সাদেক মেম্বার, বিশিষ্ট সরদার আহাদ আলী, আনারুল্লা, সানাউল্লা, দানু মিযা আলমাস মিযা, সিদ্দিক মিযা শেখ আবুল কালাম, আক্কি মিয়া, ওসমান মিয়া, হামিদ মিয়া, আবুল ফয়েজ, ওসমান মিযা, জামির আলী, আবেদ আলী, নিহতের সন্তান মোহাম্মদ আসমত আলীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ এলাকা সাধারণ নারী পুরুষ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মামলার আসামিরা জামিনে এসে বাদিসহ অন্যান্যদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। বক্তারা এর প্রতিবাদ করে অবিলম্বে শ্রমিক নেতা ছায়েদ মিয়া হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। বক্তারা মানববন্ধনে এ হত্যাকা- ও জামিনে এসে হুমকি-ধমকির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচারসম্পন্ন করে দোষীদেরকে কঠোর শাস্তির দাবি দেয়ার দাবী জানান। বক্তারা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর জেলার সদর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড়ে শ্রমিক নেতা ছায়েদ মিয়াকে মারধর করে দুষ্কৃতিকারীরা। পরে ২৭ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হতাহতের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এরা হলেন ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার (৪৫), তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৫), দুই মেয়ে সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া (১৫) ও সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর (১২) এবং ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৭)।
তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে।
তারা ঢাকার মগবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সৈয়দ মোবারক হোসেন ইতালির সাবুনা শহরে ব্যবসা করতেন। সেখানে ৪টি কসমেটিক দোকান পরিচালনা করতেন। তার বড় মেয়ে সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর ইস্পাহানী স্কুলে এবং সৈয়দ আব্দুল্লাহ মগবাজারের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার তাদের গ্রামের বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা লাশ হয়ে একে একে এ্যাম্বুলেন্স করে গ্রামের নিজ বাড়ির উঠোনে ফিরলেন।
নিহতদের স্বজনরা জানান, সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মগবাজারে থাকতেন। গত বৃহষ্পতিবার রাতে বেইলী রোডে অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হওয়া ভবনটিতে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। সেখানেই আগুনে পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ বাড়িতে আসার পর বাদ আসর খন্দকার মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে বাড়ির পাশে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে। তাদের মৃত্যুর খবরে শাহবাজপুর ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ইতালিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশি সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার। পরিবারের সবাই ভিসাও হয়েছিল। চলতি মাসে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পুরো পরিবার আর ইতালিতে পাড়ি জমানো হলো না। সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান।
নিহত মোবারকের খালাতো ভাই আলমগীর হোসেন জানান, মোবারক প্রথমে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন। প্রায় ২০ বছর আগে তিনি ইতালি পাড়ি দেন। তার দেশে আসা যাওয়া ছিল। গত দেড় মাস আগে প্রায় দুই বছর পর ইতালি থেকে দেশে ফিরেন মোবারক। স্ত্রী-সন্তানদের ইতালি নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিসা ও টিকিটও সংগ্রহ করেছিলেন। আগামী ২০ মার্চ ইতালিতে যাওয়ার দিন নির্ধারিত করেছি।
নিহত মোবারের স্বজন মো. ফয়সাল বলেন, ইতালিতে স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল পরিবারটি। ভিসাও হয়েছিল। পরিবারের সকলে খেতে যাওয়াটাই কাল হলো তাদের। ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন অপূরণীয় রয়ে গেলো। ওই পরিবারে আর কেউ বেঁচে রইল না।
নিহত সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসারের শ্বশুর একই গ্রামের মুন্সী বাহার উদ্দিন জানান, তার মেয়ের জামাই মোবারক ঢাকার মগবাজার এলাকায় থাকতেন। তার মেয়ে স্বপ্না আক্তার, দুই নাতনি সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া ও সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর এবং একমাত্র নাতি সৈয়দ আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে রাতের খাবার খেতে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সবাই পুড়ে মারা গেছেন। পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খানকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন স্থানীয় পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি অবসরে চলে যাবেন তিনি।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিদ্যালয়ের মাঠে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া।
সহকারী শিক্ষক গাজী আবদুল মাজিদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও সরাইল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. আইয়ুব খান, শাহবাজপুর বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, ব্যবস্থাপনা পরিষদের সাবেক সদস্য গাজী আবদুর রাজ্জাক, কাজী আমিনুল ইসলাম শেলভী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রধান অতিথি বলেন, সহিদ খালিদ জামিল অত্যন্ত দক্ষ, বিচক্ষণ ও মেধাবী অফিসার। ওঁর অবসর জনিত বিদায় আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ আমরা এমনই একজন কর্মকর্তাকে হারাতে যাচ্ছি উপজেলার ২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি শিক্ষকের নাম যার মুখস্থ। যিনি প্রত্যেক শিক্ষকের আচার আচরণ পাঠদানের ক্ষমতাসহ বিভিন্ন গুরূত্বপূর্ণ তথ্য জানেন। যেকোন সমস্যার তড়িৎ সমাধানে পটু ছিলেন তিনি। আমরা ওঁর সুস্থতা ও দীর্ঘ হায়াত কামনা করি। সবশেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা মিলে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।