চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় দুই শতাধিক কবি সাহিত্যিকদের আনন্দঘন অংশহগ্রহনের মাধ্যমে ২৯ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অদ্বৈতমল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন। কয়েকটি পর্বে বিভক্ত এই কবিতা উৎসবে ছিলো উদ্বোধনী আলোচনা। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, আবৃত্তি গান ও সম্মাননা প্রদান।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এসময় তিনি এই ধরণের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্যের সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে দেবার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁর সকল ভালো কাজে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সূচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব কবি আসাদ মান্নান। এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক সাবেক যুগ্ম সচিব কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কবি জয়দুল হোসেন ও কবি মো. আ. কুদদূস। মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এ পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, অনুষ্ঠানের আহবায়ক কমিটির সমস্য সচিব কবি আব্দুর রহিম, উপাধ্যক্ষ একেএম শিবলী।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠণ ও আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এসময় অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনির মোড়ক উন্মোচন ও বিতরণ করা হয়। তাছাড়াও কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস এর সদ্য প্রকাশিত ছিন্নপক্ষ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর আবৃত্তি পরিবেশন করেন তিতান আবৃত্তি সংগঠণের নাওমী।
কয়েকটি পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানমালায় কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, আলোচনা, আবৃত্তি আর গানের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন আমন্ত্রিতরা। দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি জয়দুল হোসেন। এই সময় সভাকবির বক্তব্য প্রদান করেন ফরিদ আহমেদ দুলাল, আলোচনা করেন কামরুল হাসান, মজিদ মাহমুদ, মামুন মোস্তফা প্রমুখ। উপস্থাপনা করেন কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়। এসময় আবৃত্তি পরিবেশনা করেন- ভাষা সাহিত্য ও অনুশীলন কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এসময় সঙ্গীত পরিবেশন করেন কবি আসাদ মান্নানের সহধর্মিনী নাজমা মান্নান।
তৃতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি জয়দুল হোসেন। এই সময় সভাকবির বক্তব্য প্রদান করেন সম্পাদক-অধ্যাপক ও কবি মাহমুদ কামাল, আলোচনা করেন রানা কুমার সিংহ, কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের ডিন ডক্টর জিএম মনিরুজ্জামান। এ পর্বে উপস্থাপনা করেন কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। এসময় আবৃত্তি পরিবেশনা করেন- তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রোকেয়া দস্তগীর।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায় দুই শতাধিক কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।
বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসবে বক্তারা বলেন, বর্ষা ঋতু বাংলার অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কাজেই বর্ষা ও পানিকে সুরক্ষ করতে হবে। তারা বলেন, এদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি বর্ষার পানির উপর নির্ভরশীল। এজন্য আমাদের জলবায়ূ নিয়ে কথা বলতে হবে। প্রকৃতির সব ঋতুর যেনো সুরক্ষা হয়-তা নিয়ে ভাবতে হবে। তারা আরও বলেন, সাহিত্যে বর্ষা নিজস্ব মহিমায় বিস্তৃত। সাহিত্যের প্রাচূর্য বৃদ্ধি পাক। তরুণ প্রজন্মকে সাহিত্যের দিকে টেনে আনার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তারা বলেন, তরুণরা এখন কবিতা লিখছেনা, এটা ভাববার বিষয়। তরুণদের কবিতা পড়ায় উৎসাহ দিতে হবে।
বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসব শিরোনামের প্রশংসা করে তারা বলেন, কবিতার জন্য অবশ্যই বিষয় থাকতে হবে। একটা সময় বর্ষা ছিলো আমাদের জন্য আশির্বাদ। বাংলা সাহিত্যে এমন কোনো কবি নেই যিনি বর্ষা নিয়ে কবিতা লিখেন নাই। অথচ আজ প্রকৃতি যেমন বদলে যাচ্ছে তেমনি আমাদের কবিরাও বর্ষা নিয়ে তেমন কবিতা লিখছে না।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আগত কবিদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ওয়েলকাম ড্রিংকস, চা, মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন ছিলো। পুরো অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি ও গীতিকার এবং কবিতাবিষয়ক গবেষক মো. আ. কুদদূস ও সাবেক যুগ্ম সচিব কবি সানাউল হক।
দিনব্যাপী এই বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কয়েকজন কবি অংশগ্রহন করেন এবং তাদের মাতৃভাষায় রচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবিদের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট, পাবনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, নোয়াখালি ও ঢাকার কবিরা অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুল্লাহ, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যাপক এসআরএম ওসমান গণি সজিব উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মদিনে আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায় ও দরিদ্র শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছে জেলা যুবদল।
বিকেলে পৌর এলাকার পুনিয়াউটে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের বাসভবনে জেলা যুবদলের উদ্যোগে ৩ শতাধিক মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।
জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সদস্য জহিরুল হক খোকন, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, এবিএম মমিনুল হক, আসাদুজ্জামান শাহীন, জেলা যুবদল নেতা আতিকুল হক জালাল, রাশেদুল হক, রাশেদ কবির আখন্দ, নাসির উদ্দীন, জোবায়ের আহমেদ মানিক, মোঃ শরীফ, সৈয়দ তৈমুর, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রুবেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৩৫০জন অসহায় ও দরিদ্র শীতার্তের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহড়া দিয়েছেন কোর কমিটির সদস্যরা।
আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলা সার্কিট হাউজ থেকে এ মহড়া শুরু হয়েছে। এতে অংশ নেন বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা। মহড়াটি জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কোর কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসন মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ, র্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর জানিস মোহাম্মদ খান এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম বলেন, ‘জেলা কোর কমিটির সবাই মিলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেছি। মানুষের জানমালের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’
এদিকে, তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচ শতাধিক পুলিশ, পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘কেউ যাতে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারেন সেজন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। সারা জেলায় পাঁচ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ জানান, ২৫ ব্যাটালিয়নের তিন প্লাটুন সদস্য এরইমধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী আরো মোতায়েন করা হবে।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজ থেকে কসবা উপজেলা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে আমাদের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টাকা পাওনার ঘটনাকে নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা কমপক্ষে ১৫টি বাড়িরঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ১৭ আগস্ট শনিবার রাতে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া ও চান্দিয়ারা গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেতবারিয়া গ্রামের বাচ্চু সরদারের ছেলে গাড়ির ড্রাইভিং শিখতে চান্দিয়ারা গ্রামের মেম্বার (ইউপি সদস্য) বাবুল মিয়ার ছেলেকে ৫ হাজার টাকা দেয়। তবে বাবুল মিয়ার ছেলের নিজস্ব কোন গাড়ি না থাকায় সে গাড়ি চালানো শিখাতে বিলম্ব করছিল।
সম্প্রতি বাচ্চু সরদারের ছেলে তার ওই টাকা ফেরত চাইলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি উভয়পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করার জন্য শনিবার বিকেলে গ্রামে সালিশ হয়। ঘটনার সমাধান না করে সালিশ সভাটি শেষ হয়। রাতেই উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। আহতরা গ্রেফতার আতংকে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। সংঘর্ষের সময় দাঙ্গাবাজরা উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুটপাট চালানো হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সুমন চন্দ্র বনিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থলে টহল জোরদার করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজ এর আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ আবদুল কবির তপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, কলেজের উদ্যোক্তা হারুন অর রশিদ, শাহীন মৃধা, শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মোট নয়টি স্টলে পাটিসাপটা, পাক্কন পিঠা, মাশরুম পিঠা, মালপোয়া, ভর্তা পিঠা, চকলেট ভেজিটেবল, তালের পিঠা, দুধ পলি, বিবিখানা পিঠা, বেøইড পিঠা, হৃদয় হরণ, গোলাপফুল পিঠা, চিতই, নারকেল পুলি, খাজা পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের ৫৪ জাতের পিঠা প্রদর্শন করা হয়। প্রতিটি স্টলে গড়ে ২২ থেকে ৫৪ ধরণের বাহারি পিঠা প্রদর্শন করা হয়।
পিঠা উৎসবে ঘুরে দেখা যায়, কলেজর নিচ তলায় চোখে পড়ে অর্কিড স্টল। সেখানে টেবিলে ৩০ ধরণের বাহারি পিঠা সাজানো হয়েছে। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি রানী দাস ও আফিফুল ইসলাম বলেন তারা ৩০ ধরণের পিঠা তৈরি করেছেন।
দ্বিতীয় তলায় বাটার কাপ স্টলের আকরাম মিয়া, সাইমা সরকার ও মারিয়া আক্তার বলেন, তারা ১১জন মিলে এই স্টল সাজিয়েছে। ২২ধরনের পিঠা রয়েছে তাদের স্টলে। বেলা ১১টা পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৫০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
অপরাজিতা স্টলের সূবর্ণা আক্তার ছোঁয়া, বন্যা আক্তার ও জান্নাত আক্তার বলেন, তাদের স্টলে ৩৩ ধরণের পিঠা রয়েছে। সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা সাড়ে ৩ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।
ফাল্গুনের পিঠা বিলাস স্টলের উম্মে মাইশা আফরিন, তাহসিন মিম, সাইফুল ইসলাম ও জেবুন্নেছা ইসলাম বলেন, আমরা ২২ধরণের পিঠা নিয়ে এসেছি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার টাকা বিক্রি করেছি।
ক্যামেলিয়া স্টলের জান্নাতুল হাসান বলেন, ২৬ থেকে ২৭ ধরণের বাহারি পিঠা তাদের স্টলে রয়েছে। পৌনে ১২টা পর্যন্ত তারা ৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
টিউলিপের স্টলে রয়েছে ২০ ধরণের পিঠা। লুবাবা আক্তার, মোঃ এমরান ও তানভীর সরকার বলেন, ১৬জন মিলে স্টল সাজিয়েছি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৩০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
গ্রুপ বেলির স্টল সাজিয়েছে ১৬জন শিক্ষার্থী। মিনহাজুল হক, মানসুরা আক্তার ও তাসফিফা তাবাসসুম বলেন, ৫৪ ধরণের পিঠা রয়েছে তাদের স্টলে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা ১০ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল মামুন সরকার বলেন, পিঠা উৎসব এর আয়োজন দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেছে। মা-চাচিরা আগে এসব পিঠা বানাত। এখন আর সেই আমেজ নেই। আয়োজনে খুশি হয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের ২০হাজার টাকা দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সাড়ে ৩শ’ অসহায় প্রবীণকে ঈদি হিসেবে শাড়ি-লুঙ্গি ও ঈদসামগ্রী দিয়েছে ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ‘বাউনবাইরার কতা’।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রবীণদের হাতে ইতি তুলে দেয়া হয়। এছাড়া সংগঠনের সদস্যদের দেওয়া যাকাতের অর্থে ২০টি দরিদ্র পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন, ভ্যানগাড়ি, রিকশা, ছাগল, মুদি দোকান ও আইসক্রিম গাড়ি এবং ঘর প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস. এম. শান্তনু চৌধুরী।
বাউনবাইরার কতা’র এডমিন ডা. মাহবুর রহমান এমিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন,নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ওসমান গণি সজিব, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো. মনির হোসেন, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।
পরে আলোচনা শেষে স্বাবলম্বী প্রজেক্টের আওতায় উপকারভোগীদের হাতে রিকশা, ভ্যান ও সেলাই মেশিন এবং প্রবীণদের হাতে ঈদি তুলে দেন অতিথিরা।