অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি বাড়ানো নিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে সৌদি আরব। এ সিদ্ধান্ত নিলে ইসরায়েলকে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রিয়াদ। সূত্র : আরব নিউজ
স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সৌদি প্রেস এজেন্সি প্রচারিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সৌদি আরব আন্তর্জাতিক আইনের চলমান ইসরায়েলি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আপত্তি জানাচ্ছে। ’
মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, ‘যদি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা চালিয়ে যায়, তবে এর ‘ভয়াবহ পরিণতি’ হতে পারে।’
এর আগে, ইসরায়েলের কট্টরপন্থী অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, তার সরকার পশ্চিম তীরের বসতি সম্প্রসারণ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের কার্যক্রমের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৩ জন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ১৯৩ জন নিহত হন। আহত হন আট হাজার ৭৩০ জন। হামাস ইসরায়েলের প্রায় আড়াইজনকে জিম্মি করে।
ইসরায়েল পরে গাজায় হামলা শুরু করে। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৪৬৮ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত চার হাজার ৮০০জন।
জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা বলছে, যুদ্ধে নিহতদের এক তৃতীয়াংশই নারী। অন্তত ১০ হাজার নারী এ যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সূত্র : আল জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াই এক ধাপ এগিয়ে গেল। কেননা, আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার মশাবাহিত এই রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বে প্রথমবারের মতো রুটিন টিকা কর্মসূচি চালু করেছে মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন। এই টিকা আফ্রিকাজুড়ে হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী ক্যামেরুন কর্তৃপক্ষ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ক্যামেরুন প্রথম দেশ, যারা নিয়মিতভাবে শিশুদের ম্যালেরিয়ার নতুন একটি টিকা দেবে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আজ সোমবার থেকেই শুরু হওয়া এই ভ্যাকসিন প্রকল্পকে আফ্রিকা মহাদেশে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কয়েক দশকের দীর্ঘ প্রচেষ্টার একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিশ্বে ম্যালেরিয়া রোগে যত মানুষের মৃত্যু ঘটে তার ৯৫ শতাংশ ঘটে আফ্রিকায়।
টিকাটি ১৯৮৭ সালে উদ্ভাবন করে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জিএসকে। ঘানা, কেনিয়া ও মালাবিতে ২০১৯ সাল থেকে পরিচালিত একটি পাইলট কর্মসূচির ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২১ সালে এটি অনুমোদন করে।
ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের (গ্যাভি) তথ্যমতে, ঘানা ও কেনিয়ায় সফল পরীক্ষার পরে, ক্যামেরুন হলো প্রথম দেশ যারা ম্যালেরিয়ার নিয়মিত টিকা কর্মসূচি শুরু করেছে। চলতি বছরে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশে এই কর্মসূচি চালু করা হবে। এই দেশগুলোর প্রায় ৬৬ লাখ শিশুকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
গাভি’র প্রধান প্রোগ্রাম অফিসার অরেলিয়া নুগুয়েন বলেছেন, “ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী টিকার নিয়মিত ডোজ হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাবে। এটি পরিবার ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড় ধরনের স্বস্তি দেবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একটি যৌথ অনলাইন ব্রিফিংয়ে আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে, আমরা এমন একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।”
এবিসি নিউজের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন চলতি বছর ও আগামী বছর প্রায় আড়াই লাখ শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার আশা করছে।
গাভি বলেছে, এই টিকা নিয়ে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশের সঙ্গে তারা কাজ করছে। দেশগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ লাখের বেশি শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্যামেরুন সম্প্রতি অনুমোদিত ম্যালেরিয়ার দুটি টিকার মধ্যে প্রথমটি ব্যবহার করবে, যা ‘মসকিউরিক্স’ নামে পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুই বছর আগে এই টিকা অনুমোদন করেছিল। সংস্থাটির মতে, টিকাটির প্রভাব যদিও অসম্পূর্ণ, তবু এর ব্যবহার নাটকীয়ভাবে গুরুতর সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে দেবে। সূত্র: ইউএস নিউজ, এবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
লেবাননে শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এটি যুদ্ধাপরাধ হতে পারে বলে ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। ১৩ অক্টোবর রোববার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ মন্তব্য করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর তিন দফা হামলা করেছে ইসরাইল। এতে দেশটির শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রাখা ৪০টি দেশ ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানায়।
কিন্তু ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, অবিলম্বে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী যেনো লেবানন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তার মতে, শান্তিরক্ষীদের মানবঢাল হিসেবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে হিজবুল্লাহ। এ জন্য ইসরাইলের সমালোচনা করা উচিত নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
এমন আবহে জাতিসংঘ এবং ইসরাইল মুখোমুখি অবস্থানে। বিবৃতিতে জাতিসংঘ মুখপাত্র বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী এবং এর প্রাঙ্গণকে কখনই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।’
বিবৃতিতে স্টিফেন ডুজারিক আরো বলেন, ‘লেবাননে নিয়োজিত শান্তিরক্ষীরা তাদের সব অবস্থানে রয়েছে এবং জাতিসংঘের পতাকা এখনও উড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘মহাসচিব পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে ইউএনআইএফআইএলের কর্মী এবং এর স্থাপনাগুলোকে কখনোই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এই আইনের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনও অন্তর্ভুক্ত। এগুলো যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’
দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরাইল সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অন্তত পাঁচ শান্তিরক্ষী আহত হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলের আক্রমণ সত্ত্বেও ইউএনআইএফআইএল তাদের অবস্থান ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদের মুখপাত্র আন্দ্রেয়া তেনেনতি শনিবার এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ অঞ্চলে জাতিসংঘের পতাকা সমুন্নত রাখা এবং নিরাপত্তা পরিষদে রিপোর্ট করার জন্য এখানে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রায় সাড়ে ৯ হাজার সদস্য নিয়ে গঠিত ইউএনআইএফআইএল মিশন ১৯৭৮ সালে তৈরি হয়।
ডেস্ক রিপোর্ট :
বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরসে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (২০২৩-২৭) আলোচনা করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের নতুন তিনটি প্রকল্পে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন অনুমোদন করেছে।
আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার নতুন ৩ প্রকল্পে এ অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়।
সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ এ কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএফ) আওতাভুক্ত হবে। বিশ্বব্যাংকের এই অর্থ বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সহায়তা করার পাশাপাশি উচ্চ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। এছাড়া, বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। যা ফলে আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে।
কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএফ) আওতায় আটটি উদ্দেশ্যেকে গুরুত্ব দিয়ে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব করেছে। বিস্তৃতভাবে বেসরকারি খাতের উন্নয়নের জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা; দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য আর্থিক মধ্যস্থতাকে শক্তিশালী করা; উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নত কার্যকারিতা; মানব পুঁজি উন্নয়ন পরিষেবার জন্য উন্নত গুণমান এবং ন্যায়সঙ্গত অ্যাক্সেস; নারী এবং দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য উন্নত অর্থনৈতিক সুযোগ; অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির জন্য স্থানিক এবং ডিজিটাল সংযোগ শক্তিশালী করা; জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বিল্ডিং এবং স্থায়িত্বের জন্য ডেল্টা ব্যবস্থাপনার উন্নত কার্যকারিতা এবং সবুজায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে উত্পাদনশীলতা বাড়ানো।
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কটি বিশ্বব্যাংক গ্রুপ এবং বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ দশকের শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে, সেহেতু উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের চাহিদা পূরণের জন্য আরো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং নীতির প্রয়োজন হবে। এই সিপিএফ চাকরি প্রদানের জন্য সরকারের সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন করবে এবং অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিস্থাপকতাকেও সমর্থন করবে।
সিপিএফ প্রস্তুত করার জন্য, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, একাডেমিয়া, মিডিয়া এবং অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদেরসহ মূল স্টেকহোল্ডার গ্রুপগুলোর সঙ্গে দেশব্যাপী এবং অনলাইন আলোচনা করেছে বলে জানান তিনি।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘মাল্টিল্যাটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি’র (মিগা) ভাইস প্রেসিডেন্ট অব অপারেশনস জুনাইদ কামাল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য রয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য ব্যক্তিগত পুঁজি এবং বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে অ্যাক্সেস ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার জানান, বাংলাদেশ বিশ্বের অসামান্য উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির গল্পগুলির মধ্যে একটি। আরো বহুমুখী এবং প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাতের উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করার জন্য অতিরিক্ত সংস্কার রপ্তানি বাড়াবে এবং মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এছাড়া, এই অর্থ জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা এবং প্রশমিত করতে সাহায্য করার জন্য বিনিয়োগের অর্থায়ন ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বহন করবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, পুষ্টি, উদ্যোক্তা এবং টেকসই কৃষি ও গ্রামীণ রূপান্তরের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ সরকার। সবুজ এবং জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন ক্রেডিট দেশটিকে সবুজায়ন এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক উন্নয়নে উত্তরণে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে এবং ২৫০ মিলিয়ন ডলারের টেকসই মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ এবং রেসিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন প্রকল্প মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ সেক্টরকে আরো গতিশীল, কম-দূষণকারী, সম্পদ-দক্ষ, এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক বৃদ্ধির খাতে রূপান্তরে ব্যয় করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় এক হাজারের বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে। ওই ঘটনার পর ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি নাগরিকরা।
জবাবে সেই ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। সেই যুদ্ধ এখনও চলছেই।
এর মধ্যেই ভয়ঙ্কর ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইহুদিবাদী ওই ভূখণ্ডে। ইতোমধ্যে দেশটির হাসপাতালগুলোতে কয়েকশ’ মানুষ ছুটে গেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
সেফেডের জিভ মেডিকেল সেন্টারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে সেফেডের জিভ মেডিকেল সেন্টারে হাসপাতালে ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ভর্তি করা হয়। ওই শিশুর অবস্থা গুরুতর। টাইবেরিয়াসের গাই বিচ ওয়াটার পার্কে সাঁতার কাটতে গিয়েছিল।
এর আগে ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মগজ খেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনিও তাইবেরিয়ার গাই বিচ ওয়াটার পার্কে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর ইসরায়েলি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়াটার পার্কটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরিবেশ স্বাস্থ্যকর্মীরা ইতোমধ্যে ওই ওয়াটার পার্ক পরিদর্শন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। কিন্তু ওয়াটার পার্কের পানিতে ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টাইবেরিয়াসের গাই বিচ ওয়াটার পার্কে যাওয়া ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গেছেন। পরে জানা গেছে, তারা কেউই ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবায় আক্রান্ত হননি।
নেগেলেরিয়া ফাওলেরি নামে পরিচিত অ্যামিবা হ্রদ, নদী এবং উষ্ণ প্রস্রবণের মাটি এবং উষ্ণ মিষ্টি পানিতে বাস করে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্যানুসারে, অ্যামিবাযুক্ত পানি নাকের নাকের ভেতর দিয়ে মস্তিষ্কে সংক্রমণ হয়। এ কারণে এটিকে সাধারণত ‘মগজ খেকো অ্যামিবা’ বলা হয়। এই অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, জিউস নিউজ