অনলাইন ডেস্ক :
অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনের একটি গ্রুপ হত্যার জন্য মাঠে নেমেছে। নিজ নির্বাচনী এলাকার থানার ওসির মারফত বিষয়টি জানতে পেরে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ ৩০ জুন রবিবার সকালে তিনি বলেন, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আমাকে জানান, সিরিয়াল কিলারের একটি গ্রুপ বর্তমানে সক্রিয়। তারা আমাকে হত্যা করতে চান। আমি যেন আগামী ২-৩ দিন বাসা থেকে বের না হই।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সংসদে থাকাকালীন আমার এলাকার যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন, তিনি আমাকে কল করে জানান, গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। তাই বাড়ি আসার পর তার সঙ্গে যেন আমি একটু বসি।
পরে শুক্রবার বাড়ি যাওয়ার পর দুপুরে আমার সঙ্গে বসেছিলেন ওসি। তখন ওসি আমাকে একটি ম্যাসেজ দেখালেন। সেখানে ওসিকে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ২-৩ দিন কল করেছেন। কিন্তু কলটি আমলে না নেয়ায় ওই ব্যক্তি ওসিকে একটি ম্যাসেজ করে জানান, তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেতে চান। এছাড়া ম্যাসেজে দেখা গেছে, একটি কন্ট্রাক্ট কিলার গ্রুপ হায়ার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে অ্যাক্টিভ।
তিনি আরও বলেন, ওসির ফোন দিয়ে আমি পরে অজ্ঞাত সেই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলি। তখন অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি জানায়, তিনি নিজের পরিচয় এবং ঠিকানা দিতে চান না। এছাড়া তিনি নিজেও ওই কিলার গ্রুপের একজন সদস্য ছিলেন। যখন আমাকে হত্যার জন্য তার কাছে নাম আসে এবং সেই কাজ তাকে করতে হবে এমন নির্দেশনা আসে, তখন তিনি ওই কাজে অস্বীকৃতি জানান। কারণ, তার বাড়িও সিলেটে। তিনি আমার কাজকর্ম সম্পর্কে সব জানেন, তাই তিনি রাজি হননি বলেও আমাকে জানিয়েছেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ফোনকলে ওই ব্যক্তি জানান, আমি যেন আগামী ২-৩ দিন বাসা থেকে বের না হই। কিন্তু এর আগেও আমি মৌখিকভাবে এবং পিএসের মাধ্যমে হুমকি পেয়েছি। কিন্তু সেগুলো আমলে নেইনি। তবে এবার যখন ওসির মাধ্যমে এসেছে, তখন আমার কাছে মনে হয়েছে এবার সিরিয়াসভাবে আমলে নিতে হবে।
তিনি জানান, ওই ঘটনার পর আমি শনিবার ঢাকায় চলে আসি। এরমধ্যে আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেছি। পরে আমি শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি একজন সংসদ সদস্য। যখন আমার এলাকার ওসি কোনো এক মাধ্যমে জেনেছেন আমার লাইফ রিস্কে আছে, তখনই কিন্তু তার এসপি বা ডিআইজির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। এটা কি সত্যই হুমকি নাকি ভুয়া সেটি আমার কাছে আসার আগেই তাদের তদন্ত করে দেখা উচিত ছিল। আমাকে কেন জিডি করতে হলো?
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন হলো- আমার থ্রেট তো আমি জানি না, আমার আগে জেনেছেন ওসি। এরপর এটা এসপি বা ডিআইজিকে জানানো দরকার ছিল এবং আমি জানার আগেই আমাকে প্রোটেকশন দেয়ার কথা ছিল। এরপর আমাকে জানাতে পারতেন যে, ওই থ্রেটটা (হুমকি) রিয়েল নাকি ফেইক। কিন্তু ওসি আমাকে বলেছেন, আমার জিডি করতে হলো। এখন তো আমার জীবনের নিরাপত্তা নিজেকেই দিতে হচ্ছে। আমি বুঝি না, এই রাষ্ট্রযন্ত্র আসলেই কি আমাকে বাঁচায় রাখতে চায় কি না। কারণ, আমি যেখানে জিডি করেছি বা পুলিশ বিভাগকে জানিয়েছি, তারাই তো আমার আগে এ ঘটনা জেনেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে বসতঘরে আগুন লেগে নারী-পুরুষ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৩০ জুলাই রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ইমরান হোসেন (২৬) ও নাছরিন আক্তার (২৩)। সম্পর্কে তারা ভাবি ও দেবর বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৌলতলী এলাকার কাজিরপাড়া গ্রামে নূর ইসলামের বসতঘরে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুন্সিগঞ্জ লৌহজং উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আব্দুল মতিন জানান, সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে বিচ্ছিন্ন এলাকায় রাস্তা না থাকায় নৌকাযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়েছে। প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় দু’টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণ করে সেখান থেকে দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারী অপরজন পুরুষ।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে বসতঘরে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনাস্থলটি স্বাভাবিক লোকালয় থেকে একটু দূরে এবং বর্ষার পানির কারণে বিচ্ছিন্ন বলে জানান স্থানীয়রা।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা বিএনপি নেতাদের হিপোক্রেসি বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৩১ মার্চ রবিবার রাজধানীর পূর্ত ভবনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপির একজন নেতা গায়ের চাদর খুলে ফেলেছেন, কিন্তু উনি ভারতীয় কিসমিস, জিরা, এলাচ, দারুচিনি, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য ঠিকই ব্যবহার করছেন এবং করবেন। তাহলে জনসমক্ষে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা হিপোক্রেসি ছাড়া আর কি হতে পারে।’
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি বিশেষ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কখনো সম্মুখ সমরে যাননি, তিনি মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায়ও বিশ্বাস করতেন না। শোষণহীন, বৈষম্যহীন, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল জিয়াউর রহমান তার কোনোটিতেই বিশ্বাস স্থাপন করেননি। তিনি তার মন্ত্রিসভায় এমন লোকদের স্থান দিয়েছিলেন যারা ভারতে গিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য, যারা জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওকালতি করতে গিয়েছিলেন এমন লোকদেরকে।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দুজনেই স্বৈরশাসক ছিলেন।
অনেকেই জিয়াউর রহমান ও এরশাদকে এক পাল্লায় মাপতে চান না। এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। জিয়াউর রহমান জীবনে একটা ভালো কাজও করেননি। অনেকে বলে থাকেন জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক।
কিন্তু এটাও সঠিক না। জিয়াউর রহমান নিছক একজন স্বৈরশাসক ছিলেন। পক্ষান্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায?িক চেতনায় বিশ্বাস করতেন বলে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন।’
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যে বিতর্কের অবতারণা অনেকে করতে চান তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্ধারিত হয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার কার। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার ঘোষক এ নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই।’
বর্তমান বাজার ব্যবস্থা এবং দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই, যারা একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায়, এমনকি সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে, তারাই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে অধিক মুনাফা অর্জন করে এবং সে মুনাফার টাকা খরচ করে আবার হজ করতেও যায়। মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থে কোন ধর্মীয় কাজই সিদ্ধ হবে না।’
হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। হিন্দু ধর্মেও রয়েছে যে, স্বর্গের দেবীর চেয়েও দেশ মহিমামণ্ডিত।’ তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যাণে সঠিকভাবে নিজের কাজ করার জন্য সবার উদ্দেশ্যে তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আক্তারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ নবীরুল ইসলাম ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান। অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন প্রকল্পে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে পিডি হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কোনো দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন হয় না। তিনি বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে শুধু দালান তৈরি না হয়। সেদিকে নজর রাখতে হবে। কেননা বিল্ডিং তৈরির পর দেখা যায় লোকবল নেই, যন্ত্রপাতি নেই ফলে বিল্ডিং কোনো কাজে লাগে না। ভবিষ্যতে এসব কাজ করা যাবে না।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গ্রাম আদালত সক্রিয়করণসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে । এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ১ হাজার ৯৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
আজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনার কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ইমদাদউল্লাহ মিয়ান এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বৈঠকে দেশীয় মাছ চাষে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুরের মতো মাছ চাষ বাদ দিয়ে দেশীয় পুঁটি, খলিসা, টেংরা ও চিংড়ি চাষ বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে চিংড়ি ঘেরে যদি বালু পড়ে যায় তাহলে বালু অপসারণ বা অন্য কোনো ফসল চাষ করা যায় কিনা- সে বিষয়ে চাষীদের পরামর্শ দিতে হবে। পাশাপাশি জমি পতিত ফেলে না রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।
‘এ ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি গাড়ি না কিনে প্রগতির গাড়ি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রগতির জিপ ব্যবহার করলে দেশীয় কোম্পানি লাভবান হবে। এখন থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ না বলে বলতে হবে মানবসম্পদ উন্নয়ন। নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার বাদ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ডাল চাষ বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন।’
ব্রিফিং এ পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে একটু বেড়েছে। মার্চেও বাড়বে। তবে তারপরে কমে যাবে। রোজার আগে অনেকে তেল, ডাল, পেঁয়াজ ও চিনি মজুত করে রাখে। যার কারণে দাম বাড়ে। এর প্রভাব পরে মূল্যস্ফীতিতে।
তিনি বলেন, কার্তিক ও চৈত্র মাসে আমাদের দেশে খাবারের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে একটু সংকট থাকে। তবে বোরো ধান যদি ভালোভাবে ঘরে তোলা যায় তাহলে সমস্যা থাকবে না। এ ছাড়া রেমিট্যান্স এবং রিজার্ভ ভালো থাকলে আমাদের আর কোনো চিন্তা নেই। এ সবই এখন ভালোর পথে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প। এ ছাড়া ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১১২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প, পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের সমীক্ষা, দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প, ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন, প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন এবং গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমার কাছে আলাদিনের কোনো প্রদীপ নেই, আমি দুর্নীতি, নীতি কোনোটার বিষয়ে তেমন বুঝি না। আমি বুঝি আইন অনুযায়ী, বিধি–বিধান অনুযায়ী কাজ করা। আইন ও বিধি-বিধান অনুসারে কাজ করলে কোনো দুর্নীতি হবে না। আর আইন ও বিধি অনুযায়ী যাতে কাজ হয় তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আমি কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। আইন কানুন ও বিধি বিধান মেনে যেভাবে কাজ করা যায়, সেভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সিডিএর সঙ্গে বসিনি।
কাজের প্রোগ্রেস নিয়েও বসিনি। আমি কিছু নীতিগত কথাবার্তা বলেছি। আমরা সকলে যেন দেশপ্রেমের সাথে কাজ করি, আইনের বিধান মেনে কাজ করি। কাজের ব্যাপারে গৃহায়ণ গণপূর্ত, সিডিএ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সংসদ সদস্যসহ সকলের সাথে যেন সমন্বয় থাকে সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
কাজে যেন সমন্বয় থাকে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। বৈঠকে কোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়নি।’
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জলাবন্ধতার সমস্যা আমার নজরে থাকবে। এটা সিওর থাকেন চট্টগ্রামে আজকেই শেষ না, বার বার আসব। যখন প্রয়োজন পড়বে তখনই আসব না, অন্য সময়ে এসেও কাজের মনিটিরং করব। কাজ এগিয়ে যাচ্ছে কি না তা দেখা হবে।’
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অবৈধ দখলদার হটানোর প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখলদারের উচ্ছেদের বিষয়টি সিডিএ চেয়াম্যান দেখবেন।’
বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহরুল আলম দোভাষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন সাবেক বিএনপি নেতা ও মন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে ব্যারিস্টার অন্তরা সেলিমা হুদা। বাবার মৃত্যুতে তার প্রতিষ্ঠিত দলটির চেয়ারম্যানের শূন্য আসনে বসতে যাচ্ছেন অন্তরা।
নাজমুল হুদার প্রেস সচিব তারেক হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা যাওয়ায় তার পদটি শূন্য হয়ে আছে। এমতাবস্থায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৯০ দিনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের শূন্য পদটি পূরণ করার বিধান রয়েছে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ২২ মার্চ এক জরুরি সভা ও আজ ৫ মে শুক্রবার সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদটি পূরণ করা হয়। আগামীকাল (শনিবার) এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে দেশবাসীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাম প্রকাশ করা হবে।
দলীয় সূত্র বলছে, বৈঠকে সবাই চেয়েছিল নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদা দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হোন। কিন্তু সিগমা হুদা চান, মেয়ে বাবার প্রতিষ্ঠিত দলের চেয়ারম্যান হোক।
তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ১২টায় সাইনপুকুর, স্যুট, বাসা নম্বর-৮/সি, রোড নম্বর-১৪৩, গুলশান-১ (শ্যুটিং ক্লাব ও এসিসিএল ক্লাবের সামনে) তৃণমূল বিএনপির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলটিকে প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ‘সোনালি আঁশ’। তখন নাজমুল হুদা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দলটি নিবন্ধন পাওয়ার পরই মারা যান তিনি।