অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশে আরো সৌদি বিনিয়োগের বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে।
আজ ১ জুলাই সোমবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় বাংলাদেশে বিশেষত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং দেশের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সৌদি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মু. নজরুল ইসলাম, মহাপরিচালক (পশ্চিম এশিয়া) মো. শফিকুর রহমান ও মহাপরিচালক (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর) মো. আরিফ নাজমুল হাসান এবং সৌদি কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদকে (জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল-জেবিসি) দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। সৌদি আরব থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।
সৌদি আরবে ৩০ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিতে আরো স্বচ্ছতা আনা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সৌদি আরবে ব্যবসারত বাংলাদেশি প্রবাসীদের রেজিস্ট্রেশনের বিশেষ সুযোগ প্রদানের অনুরোধ জানান।
পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা চাইলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে গাজাতে ইসরায়েলের বর্বরতা নিরসনকল্পে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী হৃদ্যতাপূর্ণ বৈঠকে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি আগামী বছর সৌদি-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর যথাযথ উদযাপনে যৌথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ কমিশনের বৈঠককে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
ফ্রান্সের প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে এক ব্যক্তি বোমা নিয়ে ঢুকে পড়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ফরাসি সশস্ত্র পুলিশ। হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের কনস্যুলেটটি বন্ধও করে দিয়েছে পুলিশ। এসময় কনস্যুলেটের আশপাশ ঘিরে ফেলে তারা।
আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, কনস্যুলেটের পক্ষ থেকেই তাদের জানানো হয় এক ব্যক্তি গ্রেনেড অথবা বিস্ফোরক বেল্ট নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা। ওই সময় তাদের কাছে সাহায্য চান কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা। এরপর ফ্রান্সের পুলিশের একটি ইউনিট চারপাশ ঘেরাও করে ফেলে।
জানা গেছে, কনস্যুলেটের আশেপাশের ১৬ এলাকা পুরো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেসব স্থানে অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্যারিস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি আরএটিপি মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে জানায়, কনস্যুলেটের দিকে যাওয়া দুটি লাইনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে রয়টার্স জানায়, হামলার হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি কোনো বিস্ফোরক বহন করছিলেন না। তিনি আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নিজের কাছে বিস্ফোরক থাকার ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি কনস্যুলেটের ছাদে একটি পতাকা স্থাপন করেন। গ্রেফতারের পর তিনি জানান, তার ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে কনস্যুলেটে হামলা চালাতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
সকালে ইরানের ইসফাহানে ড্রোন হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্যারিসে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হট্টগোলের তথ্য শোনা যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভিন্ন খাতের সংস্কারে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস। আজ ২২ সেপ্টেম্বর রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ প্রতিনিধি এ আশ্বাস দেন। বৈঠকে গোয়েন লুইস বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের পুলিশ ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং বন্যা পুনর্বাসন ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করবে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় পুনর্গঠনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে তাতেও সহায়তার কথা বলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী। বৈঠকে সংস্কার, দুর্নীতি, বন্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিষয় উঠে আসে।
গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং তিনি ড. ইউনূসকে বিপ্লব-পরবর্তী প্রশাসনের প্রধান হিসেবে ‘অসাধারণ ভূমিকা নেয়ার জন্য’ ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিপ্লব ও পরবর্তী সময়টি সমগ্র জাতির জন্য ‘সর্বাধিক ঐক্যবদ্ধ মুহূর্ত’। তার সরকারের প্রধান কাজ ছিল প্রত্যেকের জন্য ‘একটি উদাহরণ স্থাপন করা’। এটি দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ঠিক করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার একটি সমন্বিত জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা গড়ে তুলতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের ঝামেলা কমিয়ে দেবে এবং দুর্নীতি কমাতে সহায়ক হবে। সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করতে একটি কমিশনও গঠন করেছে, যাতে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াই এক ধাপ এগিয়ে গেল। কেননা, আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার মশাবাহিত এই রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বে প্রথমবারের মতো রুটিন টিকা কর্মসূচি চালু করেছে মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন। এই টিকা আফ্রিকাজুড়ে হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী ক্যামেরুন কর্তৃপক্ষ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ক্যামেরুন প্রথম দেশ, যারা নিয়মিতভাবে শিশুদের ম্যালেরিয়ার নতুন একটি টিকা দেবে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আজ সোমবার থেকেই শুরু হওয়া এই ভ্যাকসিন প্রকল্পকে আফ্রিকা মহাদেশে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কয়েক দশকের দীর্ঘ প্রচেষ্টার একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিশ্বে ম্যালেরিয়া রোগে যত মানুষের মৃত্যু ঘটে তার ৯৫ শতাংশ ঘটে আফ্রিকায়।
টিকাটি ১৯৮৭ সালে উদ্ভাবন করে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জিএসকে। ঘানা, কেনিয়া ও মালাবিতে ২০১৯ সাল থেকে পরিচালিত একটি পাইলট কর্মসূচির ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২১ সালে এটি অনুমোদন করে।
ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের (গ্যাভি) তথ্যমতে, ঘানা ও কেনিয়ায় সফল পরীক্ষার পরে, ক্যামেরুন হলো প্রথম দেশ যারা ম্যালেরিয়ার নিয়মিত টিকা কর্মসূচি শুরু করেছে। চলতি বছরে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশে এই কর্মসূচি চালু করা হবে। এই দেশগুলোর প্রায় ৬৬ লাখ শিশুকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
গাভি’র প্রধান প্রোগ্রাম অফিসার অরেলিয়া নুগুয়েন বলেছেন, “ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী টিকার নিয়মিত ডোজ হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাবে। এটি পরিবার ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড় ধরনের স্বস্তি দেবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একটি যৌথ অনলাইন ব্রিফিংয়ে আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে, আমরা এমন একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।”
এবিসি নিউজের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন চলতি বছর ও আগামী বছর প্রায় আড়াই লাখ শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার আশা করছে।
গাভি বলেছে, এই টিকা নিয়ে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশের সঙ্গে তারা কাজ করছে। দেশগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ লাখের বেশি শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্যামেরুন সম্প্রতি অনুমোদিত ম্যালেরিয়ার দুটি টিকার মধ্যে প্রথমটি ব্যবহার করবে, যা ‘মসকিউরিক্স’ নামে পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুই বছর আগে এই টিকা অনুমোদন করেছিল। সংস্থাটির মতে, টিকাটির প্রভাব যদিও অসম্পূর্ণ, তবু এর ব্যবহার নাটকীয়ভাবে গুরুতর সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে দেবে। সূত্র: ইউএস নিউজ, এবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের নতুন প্রতিকৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরদিন এই প্রতিকৃতি ধারণ করা হয়। সাদাকালো এই ছবিতে তাকে কালো বিজনেস স্যুট এবং সাদা শার্টে দেখা যায়। তিনি একটি টেবিলে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে তার পেছনে ওয়াশিংটন মনুমেন্টের দৃশ্য প্রতিফলিত হয়েছে। ছবিটি তোলেছিলেন বেলজিয়ামের ফটোগ্রাফার রেজিন মাহাক্স। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবারের ছবি তুলছেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মেলানিয়ার আনুষ্ঠানিক প্রতিকৃতিও তার তোলা। এবারও মেলানিয়ার ছবি তোলার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সম্মানিত মনে করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রথম মেয়াদে তোলা মেলানিয়ার প্রতিকৃতির তুলনায় এবারের ছবিতে অনেক ভিন্নতা দেখা গেছে। পোশাকের রঙ, শারীরিক ভঙ্গি এবং ছবির সামগ্রিক উপস্থাপনা পুরোপুরি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রথম ছবিটি হোয়াইট হাউসের সমর্থকদের কাছে পরিচিত ছিল। তবে এবারের ছবি মেলানিয়ার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ফার্স্ট লেডি হিসেবে তার ভূমিকার প্রতি প্রস্তুতির বার্তা দেয়।
টেবিলের ওপর রাখা তার হাত ইঙ্গিত করে, তিনি ফার্স্ট লেডি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। তার বিজনেস স্যুট এবং অবস্থান সাধারণ নাগরিকদের চোখে প্রেসিডেন্সি আরও সহজতর এবং মানবিক রূপ দেওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। এই লুক করপোরেট শক্তি এবং শালীনতার মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হয়। এটি শপথ গ্রহণের দিন পরা সামরিক ধাঁচের পোশাকের তুলনায় ভিন্ন।
ধারণা হচ্ছে, দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব পালনের জন্য মেলানিয়া ট্রাম্প আগের চেয়ে আরও বেশি প্রস্তুতি নিয়েছেন। সমালোচকদের মতে, তার পোশাক, ভঙ্গিমা এবং প্রতিকৃতিতে থাকা ছোটখাটো উপাদানগুলো গভীর অর্থ বহন করে। একজন সাবেক ফ্যাশন মডেল হিসেবে মেলানিয়া সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন, আর তার নতুন ছবিটি সমালোচকদের দৃষ্টি আরো বেশি আকর্ষণ করেছে।
বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবেশেষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে সবজি রপ্তানি শুরু হয়েছে। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার তৃতীয় ধাপে পাঁচ মেট্রিক টন সবজি রপ্তানি হয়েছে ভারতে। এদিন দুপুরে বিভিন্ন সবজিবোঝাই একটি ট্রাক স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় প্রবেশ করে। রপ্তানি পণ্য হিসেবে সবজিকে সম্ভাবনাময় মনে করছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রথমবারের মতো সবজি রপ্তানি শুরু হয় ভারতে। এরপর বুধবার পর্যন্ত তিন ধাপে মোট ১৫ মেট্রিক টন সবজি রপ্তানি হয়েছে। প্রতি টন সবজি রপ্তানি হচ্ছে ৪০০ মার্কিন ডলারে। রপ্তানিকৃত সবজির মধ্যে আছে কচুর লতি, গাজর, পেঁয়াজ পাতা এবং উস্তা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দিন সবজিগুলো রপ্তানি করেছেন। তিনি মোট ২০ মেট্রিক টন সবজি রপ্তানি করবেন আগরতলায়।
নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের বন্দর দিয়ে আগে থেকেই সবজি রপ্তানির অনুমতি ছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সবজি রপ্তানির জন্য আগরতলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে আসছিলাম। এর প্রেক্ষিতে পরীক্ষামূলকভাবে ২০ টন সবজি রপ্তানি হচ্ছে। আশা করছি অন্যান্য পণ্যের মতোই নিয়মিত সবজি রপ্তানি হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম বলেন, রপ্তানি পণ্যের তালিকায় নতুন করে সবজি যুক্ত হয়েছে। এটি ব্যবসায়ী এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য ইতিবাচক। নিয়মিত রপ্তানি হলে বন্দর কর্তৃপক্ষের রাজস্ব বাড়বে এবং সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা পাবে।