অনলাইন ডেস্ক :
উরুগুয়ের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে স্বাগতিকরা। কানসাস সিটিতে আজ ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেষ আটে উঠেছে ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।
উরুগুয়ে জিতেছে ডিফেন্ডার মাতিয়াস অলিভিয়েরার ৬৬ মিনিটে করা একমাত্র গোলে। আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলেও কোচ মার্সেলো বিয়েলসা সবাইকে চমকে প্রথম একাদশই নামান।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত যুক্তরাষ্ট্র। এন্থনি রবিনসনের হেড রুখে দেন উরুগুয়ের গোলকিপার সার্জিও রখেত।
আগের দুই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার নিশ্চিত করলেও এই ম্যাচে অনেকেই ধারণা করেছিল দ্বিতীয় সারির দল নামাবে উরুগুয়ে। কিন্তু সবাইকে চমকে প্রথম একাদশই নামান বিয়েলসা।
৬৬ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল পায় উরুগুয়ে। ডি বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক থেকে বাড়ানো বলে রোনাল্ড আরাউজোর হেড ম্যাট টার্নার রুখে দিলেও রিবাউন্ডে গোল করেন ম্যাথিয়াস অলিভিয়েরা। গোলটি নিয়ে অবশ্য বিতর্ক আছে। টিভি রিপ্লেতে মনে হয়েছে অফসাইড পজিশনে ছিলেন অলিভিয়েরা।
তবে ভিএআর ভেবেছে অন্যরকম। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রকে কখনোই মনে হয় এই ম্যাচটি জিততে পারে।
শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয়ে টানা তিন জয় নিয়েই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টারে উঠলো উরুগুয়ে। অন্যদিকে মাত্র ১ জয় নিয়েই কোপা থেকে বিদায় নিল যুক্তরাষ্ট্র। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে খেলবে ‘ডি’ গ্রুপের রানার্সআপ দলের বিপক্ষে।
অন্যদিকে পানামার প্রতিপক্ষ হবে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল।
অনলাইন ডেস্ক :
রাঙামাটি রিজিয়ন টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে ভোলকান ক্লাব বিজয়ী হয়েছে। রাঙামাটি রিজিয়নের পৃষ্টপোষকতা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় মারি স্টেডিয়ামে আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার দুপুর ২টায় এ টুর্ণামেন্টে বিজয়ীদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেন রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ’র সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমীন, রাঙামাটি সদর সেনা জোনের কমান্ডার লে. কর্ণেল এরশাদুল হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের লে. কর্ণেল মো. মাহাতাব, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ মামুন ও রাঙামাটি জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি রিজিয়ন টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টকে দু’টি গ্রুপে বিভক্ত করে মোট- ২০ দল অংশগ্রহণ করেন। এরই মধ্যে ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভোলকান ক্লাব ও আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ। অবশেষে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদকে হারিয়ে বিজয়ী হয় ভোলকান ক্লাব। এ সময় চ্যাম্পিয়নদের ট্রফির পাশাপাশি নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। একই সাথে রানার আপদের দেওয়া হয় ট্রফিসহ নগদ ৪০ হাজার টাকা।
এছাড়া সেরা বোলারকে ৫ হাজার, সেরা ব্যাটসম্যানকে ৫ হাজার ও ম্যান অব দ্যা সিরিজকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রাইম ব্যাংক ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট বিভাগীয় পর্যায়ে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ১২৭ রানে রাঙ্গামাটি গভ: হাই স্কুলকে পরাজিত করেছে।
১ম ব্যাট করে আইডিয়াল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে আশিকুর রহমান শিমুল ৭৪ ও আনাছ ৩৭ রান করে। বিরতির পরে ব্যাট করতে নেমে রাঙ্গামাটি ১০.২ ওভারে ৬২ রানে অলআউট হয়। বাঁমহাতি স্পিনার ইয়াছিন আরাফাত ৫টি উইকেট ও ডানহাতি লেগ স্পিনার অধিনায়ক তপু দত্ত ৩ টি উইকেট পায়।
আগামী ২ মে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মুখোমুখি হবে কুমিল্লা হাই স্কুল এর বিপক্ষে।
১৭ সদস্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া দল তপু, তারেক, শিমুল, আরাফাত, আনাছ, নওশাদ, নাইফ, সাদাত, হাসিবুল, আদিল, আব্দুর রহমান, মিনার, সাব্বির, শোয়াইব, অনন্দ, রাজীব রায় গেইম টিচার ও সিনিয়র শিক্ষক আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, জেলা ক্রিকেট কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও কার্যনির্বাহী সদস্য জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১১ বছর পর দেশে এসে নিজ গ্রামে হাজারো ভক্তের উঞ্চ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১৭ মার্চ সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে এ উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা জানায় গ্রামবাসী। এ সময় লাল সবুজের হয়ে জার্সি গায়ে দেয়ার অপেক্ষায় থাকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরীসহ তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
এর আগে সিলেট থেকে সড়ক পথে পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জ আসেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। হামজার গাড়ি বহরটি স্নানঘাট বাজারে পৌঁছলে সেখান থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে বাড়ি নিয়ে যায় ভক্তরা। পরে নিজ বাড়িতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চে যান হামজা। এ সময় ভক্ত ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শকদের মধ্যে হামজা হামজা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
মাত্র বিশ সেকেন্ডের দেয়া বক্তব্যে হামজা দেওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘আমার খুভ ভালা লাগছে আপনারা যে আইছেন আমারে দেখার লাগি।’
পরে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ-বলে শ্লোগান দেন লেস্টার সিটির হয়ে মাঠ মাতানো এই তারকা ফুটবলার।
হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে দেখতে আসা হবিগঞ্জ অনুর্ধ্ব ১৫ দলের কয়েকজন খেলোয়াড় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে এখানে এসেছি। আমরা তার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে একদিন দেশের হয়ে খেলব এবং হামজা চৌধুরী দেশের হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন এই প্রত্যাশা করি।
হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, হামজা শুধু আমাদের জেলার নয়, আমাদের দেশের গর্ব। আমরা চাই তার হাত ধরে আমাদের জেলাসহ দেশের ফুটবলের প্রসার হোক।
স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আজিজ সিদ্দিকী বলেন, ‘হামজা দেশের প্রতি টান থেকেই এবং দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা থেকেই দেশের জার্সি গায়ে দিতে চলছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি সে যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে।’
এদিকে হামজার আগমনকে ঘিরে পুরো এলাকায় নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কে সড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
মেয়ে ও নারীদের খেলাধুলায় ট্রান্স নারীদের (রূপান্তরিত নারী) অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ আদেশে গতকাল বুধবার তিনি সই করেন।
নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ট্রান্সজেন্ডার (রূপান্তরিত নারী–পুরুষ) খেলোয়ারদের মেয়ে ও নারী শাখায় বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ এবং নারীদের লকার রুম ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়, সেসব প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার বিরত থাকবে। খবর- আল জাজিরা
শিক্ষা খাতে ১৯৭২ সালে প্রণীত লৈঙ্গিক বৈষম্য দূরীকরণ আইনের (টাইটেল নাইন) কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমরা করদাতাদের কাছ থেকে ডলার গ্রহণকারী প্রতিটি বিদ্যালয়কে নোটিশ দিচ্ছি, যদি আপনারা নারীদের খেলার দলে পুরুষদের (ট্রান্স নারী) নিয়ন্ত্রণ করতে দিতে চান এবং আপনাদের লকার রুমে প্রবেশ করতে দিতে চান, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে টাইটেল নাইন লঙ্ঘনের তদন্ত হবে। কেন্দ্রীয় তহবিল পাওয়া ঝুঁকিতে পড়বে।
ট্রাম্প আরো বলেন, মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা তিনি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সাথে কথা বলবেন যাতে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ২০২৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আগেই লিঙ্গভিত্তিক অংশগ্রহণকে স্পষ্টভাবে সমর্থন করা যায়। অলিম্পিক কমিটি খেলাধুলায় ট্রান্স নারী–পুরুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে। আমরা চাই, তারা অলিম্পিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ও পুরোপুরি হাস্যকর এই বিষয়ের (মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ) সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু বদলে ফেলবে, যোগ করেন ট্রাম্প।
ট্রান্স নারীদের খেলায় অংশগ্রহণের বিষয়টি সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে; যদিও মেয়েদের খেলায় অংশ নেওয়া ট্রান্স নারীদের সংখ্যা বেশ কম।
ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিএএ) প্রেসিডেন্ট চার্লি বেকার গত ডিসেম্বরে সিনেট প্যানেলের সামনে এক শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। তখন চার্লি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫ লাখ ২০ হাজার খেলোয়াড়ের মধ্যে ১০ জনেরও কম ট্রান্স নারী খেলোয়ারের কথা তিনি জানেন।
অনলাইন ডেস্ক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারের মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু করেছিল উগান্ডা। তবে ৬ জুন বৃহস্পতিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়েছে তারা। এতে ইতিহাসে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পেল দলটি।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। উগান্ডার বোলিং তোপে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে পাপুয়া নিউগিনি। রানের খাতা খোলার আগেই অধিনায়ক আসাদ ভালাকে হারায় তারা।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পিএনজি। মাত্র ৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন হিরি হিরি। ১৯ বল খেলে করেন ১৫ রান। আর সিয়াকা ও ডোরিগা দুইজনই করেছেন ১২ রান। উগান্ডার হয়ে সব বোলারই উইকেট পেয়েছেন। তবে সবার চেয়ে ভালো বোলিং করেছেন জুমা মিয়াগি। তিনি ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। আলপেশ রামজানি, কসমাস কায়েটা এবং ফ্রাঙ্ক সুবুগাও পেয়েছেন দুইটি করে উইকেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উগান্ডাও বিপদে পড়ে। স্কোরবোর্ডে ৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় তারা। এরপর ছোট ছোট জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখে জয় পায় উগান্ডা। রিয়াজত আলী শাহ উগান্ডার হয়ে ৩৩ রান করেছেন। উগান্ডা তাদের পুরো ইনিংসে মাত্র দুইটি বাউন্ডারি হাঁকাতে পেরেছে।
পিএনগি’র হয়ে ৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন আলেই নাও। নরম্যান ভানুয়া ৪ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন।