অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, খুব দ্রুতই আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ চালু হবে। এই রেলপথের ভারতীয় অংশের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশের অংশের কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলছে। এই রেলপথ চালু হলে ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষ লগ্নে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার আগরতলায় যান তিনি। বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে এদিন রাজধানীর আস্তাবল ময়দানে এক জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগরতলা আখাউড়া রেলসংযোগ এর বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
পাশাপাশি আরো জানান ফেনী নদীতে সেতু হওয়ায় ত্রিপুরা এবং সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে উন্নীত হবে আগামীতে। এর ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন ত্রিপুরার মানুষ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি সরকারের জন্যই ত্রিপুরা রাজ্যে একের পর এক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে।
নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এবার প্রচারে এসে ত্রিপুরাবাসীর কাছ থেকে যে সাড়া পাচ্ছি তা অভূতপূর্ব। মানুষের উৎসাহ বলে দিচ্ছে রাজ্যবাসী দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপি সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন। তাই পূর্ণ সমর্থন নিয়ে রাজ্যে আবার বিজেপি সরকার গঠিত হবে। মানুষ বিজেপি সরকারের উন্নয়ন কাজ দেখে খুশি, তাই বিজেপি আবার সরকার গঠন করবে।
বিরোধী কংগ্রেস এবং বামদের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি দলগুলোকে চান্দা এবং ধান্দাবাজ বলে আখ্যায?িত করেন। তাদের এসব কর্মকা-ের জন্য মানুষ তাদেরকে লাল কার্ড দেখিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় করেছে বলেও মন্তব্য করেন মোদি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেব বর্মন ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য প্রমুখ নেতারা। সভাকে ঘিরে এদিন মাঠে প্রচুর সংখ্যক বিজেপি কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য এর আগে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে গত শনিবারও (১১ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপুরায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। সেদিন মোট দুটি সভা করেন। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথসহ এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও চলচ্চিত্র অভিনেতাও এবার ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক
পবিত্র কোরআন অবমাননার দায়ে প্রথমবারের মতো মামলা হয়েছে ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের দেশ ডেনমার্কে। গতকাল শুক্রবার রাজধানী কোপেনহেগেনের একটি আদালতে দুই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলাটি হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা গত জুনে কোপেনহেগেনে একটি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পবিত্র কোরআনের অবমাননার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। যেখানে তারা এ কাজটি করেছিলেন, সেখানে বিশ্বের নানা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকজন ছিলেন। অভিযুক্তদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তাদের ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ডেনমার্কের জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে এই সংবাদ। তবে কোপেনহেগেনের কোন আদালতে মামলা হয়েছে তা জানানো হয়নি। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয়ও গোপন রেখেছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
কোপেনহেগেনের শীর্ষ প্রসিকিউটর লাইস-লোটে নিলাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এ ঘটনা ঘটেছিল একদম প্রকাশ্যে এবং বহুসংখ্যক মানুষের সামনে। পাশাপাশি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ ঘটনার লাইভ সম্প্রচারও হয়েছিল। মামলার মূল কারণ এটিই।”
তবে কোন আদালতে এ মামলা হয়েছে, তা তিনিও নিশ্চিত করেননি।
২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাসে ডেনমার্কে একাধিক কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। তবে দেশটির প্রচলিত আইনে এ ধরনের তৎপরতা অপরাধের তালিকাভুক্ত না হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা সে সময় সম্ভব হয়নি।
কিন্তু এ ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা শুরুর করার পর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয় ডেনমার্ক সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর একটি আইন পাস ডেনমার্কের পার্লামেন্ট। সেই আইনে প্রকাশ্যে ও জনসমক্ষে কোরআন পোড়ানো, ছেঁড়া বা কোনও ধরনের অবমাননা করা এবং তার ভিডিওধারণকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, ব্যারন’স, দ্য ট্রুথ ইন্টারন্যাশনাল, এএফপি, ডন
অনলাইন ডেস্ক :
জাপানের নাগানো প্রিফেকচারে গুলি ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নাগানোর প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে গুলি ও ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। হামলাকারী ব্যক্তি একটি ভবনের ভেতরে লুকিয়েছেন।
হামলাকারী একটি ক্যাপ, সানগ্লাস এবং একটি মাস্ক পরা অবস্থায় ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
নাকানো সিটি পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানায়, ঘটনার দিন বিকালে তাদের কাছে খবর আসে নাগানোর একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই দুর্বৃত্ত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং একজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় পুলিশ ওই এলাকার লোকজনকে আপাতত বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন অত্যন্ত কঠিন হওয়ায় জাপানে বন্দুক হামলার মতো ঘটনা বিরল। দেশটিতে কেউ অস্ত্র কিনতে চাইলে কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লাইসেন্স পেতে হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ব্যাপক আকারে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নারী-শিশুসহ নিহত ২৩২ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ভয়াবহ এ হামলায় আহত হয়েছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি। আজ ১৮ মার্চ মঙ্গলবার সকালে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজা কর্তৃপক্ষ জানায়, উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ২৩২ ছাড়িয়েছে। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্থানীয় সময় ১৭ মার্চ সোমবার রাতে গাজার কেন্দ্রীয় শহর দেইর আল-বালাহ, গাজা সিটি, খান ইউনিস ও রাফাহ অঞ্চলের একাধিক স্থাপনায় ব্যাপক আকারে বিমান হামলা চালায় নেতানিয়াহুর বাহিনী। এতে আবাসিক ভবনসহ বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি হতাহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। যুদ্ধবিরতির চুক্তির পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করা হয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুমোদনেই এই হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আলোচনা করেই ইসরাইল এ হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজার সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চলছিল। তবে বন্দি বিনিময়সহ গুরুত্বপূর্ণ শর্ত নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় আলোচনায় সাফল্য আসেনি। এতে সামরিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, তারা আগের চেয়ে আরো শক্তিশালী সামরিক অভিযান পরিচালনা করবে। স্থল অভিযানেরও হুমকি দিয়েছে তেল আবিব। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সংঘাতের এই নতুন ধাপে গাজায় মানবিক পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছয় দিন বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ ৩ জুলাই সোমবার সকাল থেকে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। তবে ছুটির সময় বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে গত ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনের ছুটি ঘোষণা করে। ছুটি শেষে আজ ৩ জুলাই সোমবার থেকে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য উত্তর-পূর্ব ভারতে রপ্তানি হয়। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।
অনলাইন ডেস্ক :
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা অব্যাহতের ঘোষণা দিয়েছেন। ৩ মে শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি সমর্থন ও গাজায় মার্কিন-সমর্থিত ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী অধিকৃত ইয়াফা (তেল আবিব) এলাকার একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এই অভিযানে ‘ফিলিস্তিন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
ইয়াহিয়া সারিয়ি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সমগ্র মুসলিম উম্মাহ নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তার পরিণতি ভোগ করবে। গাজায় যা ঘটছে, তার প্রভাব আগে বা পরে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়বে। শত্রু তার আগ্রাসন বিস্তৃত করবেই। তাই সকলের উচিত নিরাপত্তার জন্য, হুমকি আসার আগেই গাজাকে সমর্থন করা।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজায় আগ্রাসন ও অবরোধ অবসান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
গতকাল ভোরে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানায়, ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইসরায়েলের ১০০টিরও বেশি এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে। জেরুজালেম, তেল আবিব ও নেগেভ অঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয় এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় তৎপর হয়ে ওঠে।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিক সশস্ত্র বাহিনী গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি জাহাজ ও ইসরায়েল-সমর্থক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে আসছে। এই হামলা ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী ও ইসরায়েলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সূত্র : পার্সটুডে