চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া থানা পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি আরজু মিয়া (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৩ জুলাই বুধবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে সোমবার দুপুরে থানা থেকে পালিয়ে সে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আসামি আরজু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। সে ওই কক্ষের জানালার গ্রীল ভেঙে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, ধরখার ফাঁড়ি পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর মো. মোবারক হোসেন আরজু মিয়াকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করেন। আরজু মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারাদেশে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে পৌর শহরের মসজিদ পাড়া উপজেলা সদর ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এই নামাজ শেষে মুসল্লিরা রহমতের বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহ দরবারে প্রার্থনা করেন।
ইসতিসকার নামাজের ইমামতি করেন মসজিদ পাড়া সদর জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা ইয়াকুব হাসান। নামাজে পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসল্লিরা স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে ইমাম আরবিতে খুতবা দেন। এরপর তিনি তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে গরম থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করা হয়।
নামাজে অংশগ্রহণকারীরা জানান, বৈশাখের শুরু থেকে তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র গরমে কষ্ট ভোগ করছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর সাহায্য চেয়ে এই নামাজ আদায় করেন তারা।
মাওলানা ইয়াকুব হাসান বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়।
উপজেলা সদর মসজিদ পাড়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: মনির হোসেন বাবুল বলেন, তীব্র তাবদাহে মানবজাতিসহ অন্যান্য প্রাণিকূল অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আমরা মনে করি এটা একটি আল্লাহ তাআলার গজব। আমাদের পাপাচারের কারণে অনেক সময় মানবজাতিকে দুর্ভোগে ফেলেন। আমরা এই তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে এখানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। এ সময় মুসল্লিরা নিজেদের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। একই সঙ্গে রহমতের বৃষ্টির জন্য আল্লাহ দরবারে প্রার্থনা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭০ কেজি গাঁজা, ৩১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ এবং ১৬২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ ইয়ার হোসেন (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা। এ সময় মাদকদ্রব্য বিক্রির নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা ও মাদকদ্রব্যবাহী একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
আজ ৫ মার্চ রবিবার সকালে র্যাব-১৪-এর সদস্যরা ও বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা (২৫ ব্যাটালিয়ন) জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
রবিবার দুপুরে র্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকাল ১০টায় র্যাব ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ইয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ইয়ার হোসেন আখাউড়া উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা, মাদকদ্রব্য বিক্রির নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা ও মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
অপর দিকে বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা (২৫ বিজিবি) রবিবার সকালে জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ এবং ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সারা দেশের ন্যায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ৫ টি কেন্দ্রে এসএসসি, ১ টি কেন্দ্রে দাখিল ও ১ টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল কারিগরি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের পরীক্ষায় ২৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, প্রথম দিনের এসএসসির বাংলা পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ২৫২ জন, অনুপস্থিত ছিল ১০ জন, দাখিলে কোরআন মজিদ বিষয়ের পরীক্ষার্থী ছিল ৩২০ জন, অনুপস্থিত ১৩ জন এবং ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৬৬ জনের মধ্যে ১ জন অনুপস্থিত ছিল।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মেঃ আবুল হোসেন বলেন নকলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি সমমান প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
এস আলম গ্রুপকে অর্থপাচারে সহায়তা করার অভিযোগ থাকা সুজন কান্তি দে (৪৪) নামের এক ব্যক্তি আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সুজন কান্তি চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মালঘর গ্রামের সঞ্জিত কান্তি দে’র ছেলে। তিনি ২৩ বছর যাবৎ এস আলম গ্রুপে চাকরি করছেন। তার বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় নিয়মিত মামলা রয়েছে। তাকে ধরতে আনোয়ারা থানা পুলিশ রিকুইজিশন দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুজন কান্তি নামে ওই ব্যক্তিকে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে তারা বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা রয়েছে। তাকে নেওয়ার জন্য আনোয়ারা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে যেতেন মুক্তিযোদ্ধা ও শরনার্থীরা। ওই স্মৃতিকে ধরে রাখার উদ্যোগ গ্রহন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ওই স্থানে স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করার কথা জানিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
তিনি আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে ঘাগুটিয়া এলাকার সেই স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, আগামী বর্ষার আগেই পরিকল্পনা মাফিক কাজ শেষ করা হবে।
আল-মামুন সরকার জানান, ঘাগুটিয়ার বর্তমান বিজিবি ক্যাম্পের পাশ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যাতায়ত করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শরনার্থীরা। তিনি নিজেও এ পথে বহুবার ভারত গেছেন। যে কারণে স্থানটি স্মৃতিবিজরিত ও গুরুত্বপূর্ন। এছাড়াও এর পাশে পদ্মবিল থাকায় জায়গাটিতে অনেক লোকের সমাগম হয়। এসব ভাবনাকে মাথায় রেখে এখানে স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত জায়গার মালিকের সাথে এ নিয়ে কথা হয়েছে। জায়গা দিতে তাঁর সম্মতি পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা হবে।
এ সময় আল মামুন সরকারের সাথে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন শফিক আলেয়া, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।