চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে সাদেক মিয়া (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনা ঘটেছে আজ ৩ জুলাই বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের কলেজ গেইট এলাকায়। নিহত সাদেক মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত বিশ্বাস জানান, চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহ অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর দেড়টায় জেলা শহরের কলেজ গেইট এলাকায় পৌঁছালে সাদেক মিয়া ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পেশাদার তিনজন অটোরিকসা ছিনতাইকারী ও একজন গাড়ি চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে সদর উপজেলার রামরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার কুরগাও গ্রামের মৃত গোলাম মাহমুদের ছেলে মেহেদী শেখ হীরা-(৩২)। সে একজন আন্তঃজেলা গাড়ি চোর।
অটোরিকসা ছিনতাইকারীরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের তালশহর গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে শান্ত প্রকাশ বাপ্পি-(২৪), একই এলাকার বাজাইন্না বাড়ির মান্নান প্রকাশ মন্নর মিয়ার ছেলে মেহেদুল-(২২), একই এলাকার মৃত মাহবুব মিয়ার ছেলে মিঠন প্রকাশ লিটন। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারীও চোর। বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোঃ কামরুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক মোঃ আরজু, জেলা হোটেল এন্ড রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ শাহআলম, সাংবাদিক নিয়াজ মোঃ খান বিটু, শিহাব উদ্দিন বিপু, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন, সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, মোশাররফ হোসেন বেলাল, মোজাম্মেল চৌধুরী, মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হোটেল রেস্তোরার কিচেনে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
সভায় বক্তারা শহরের বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরায় ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, বরফকল ও আইসক্রীম ফ্যাক্টরীগুলোতে নিয়মিত অভিযান, শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে পশু জবাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত কসাইখানা ও গবাদি পশু জবাইয়ের আগে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার দাবি জানান।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, সু-স্বাস্থ্যের জন্যই নিরাপদ খাদ্য দরকার। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে হোটেল রেস্তোরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, শিশু খাদ্যের বিষয়ে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটর সাইকেলের লাইসেন্স না থাকা ও হেলমেট না পড়ায় ১৭ মোটর আরোহীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ৯জন মোটর সাইকেল আরোহীকে আরোহীকে ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা ও বিজয়নগরে ৮জন মোটর সাইকেল আরোহীকে ১৩ হাজার ১০০টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।
আজ ৫ জুলাই বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন শহরের থানা ব্রীজের সামনে অভিযান পরিচালনা করে ৯ মোটর সাইকেল আরোহীকে ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেন।
অপর দিকে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮ মোটর সাইকেল আরোহীকে ১৩ হাজার ১০০টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, সবার আগে নিজের নিরাপত্তা। হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালানো অপরাধ ও ঝুঁকিপূর্ন। রাস্তায় চলাচলের সময় বেশিরভাগ সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হেলমেট না থাকায় মাথায় আঘাত পায়। এই দুর্ঘটনা থেকে নিরাপত্তার জন্য হেলমেটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, দুপুরে থানা ব্রীজের পাশে অভিযান পরিচালনা করে হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালানো ও মোটর সাইকেলের লাইসেন্স না থাকায় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ধারায় ৯ মামলায় ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অপর দিকে বিজয়নগর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, সড়কে নিরাপত্তা আনয়নের লক্ষ্যে, দুর্ঘটনা এড়াতে এবং মোটর সাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ আইনের ধারা মতে হেলমেট ও লাইসেন্স বিহীন মোটরসাইকেল চালানোর অপরাধে মঙ্গলবার ৮জনকে ১৩ হাজার ১০০টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার নিহত নাইমা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রাম থেকে নাইমা আক্তার (১৩) ও মাইমুনা আক্তার (১৫) নামের দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষক হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার (২৮) ও হাফেজ রায়হান খন্দকার (২৬) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের আব্দুল খায়ের খন্দকারের ছেলে।
মামলার পর পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গত ৬ মাস যাবত নাইমা আক্তার ও ২০২১ সাল থেকে মাইমুনা আক্তার পড়াশুনা করে আসছে। অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর মাদ্রাসা এক সপ্তাহের জন্যে বন্ধ থাকায় তারা দুইজন বাড়িতে চলে যায়। মাদ্রাসা খোলার পর গত ২৩ আগস্ট তাদের দুইজনকে যার যার পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় এনে শিক্ষকদের কাছে দিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে মাদ্রাসা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হয় নাইমা ও মাইমুনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই খবরে মাদ্রাসায় গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়নি। তাদের দুইজনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট ভোরে সাদেকপুরে নাইমা ও মাইমুনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর দুইজনের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। মরদেহের অবস্থা ও বর্ণিত আলামতের প্রেক্ষিতে বাদী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে দুই শিক্ষক সহোদর হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, হত্যা মামলার পর মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিঃ এর উচ্চ চাপ ক্ষমতাসম্পন্ন সরবরাহ লাইনের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের পাঁয়তারা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভাদুঘর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর এলাকার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফের ছেলে ইমতিয়াজ মোহাম্মদ বাবুল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, জেলার ১৭ ও ১৮ নং গ্যাস কূপের আওতায় শহরের শিমরাইলকান্দি থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত গ্যাস ফিল্ডের নিজস্ব জায়গার মাটির ৬ ফুট নীচ দিয়ে উচ্চ চাপক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাসের উৎপাদন লাইন নির্মাণ করে এবং দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলার জন্য বিজিএফসিএল এর পক্ষ থেকে সাইন বোর্ড ও মাইকিং করে প্রচার করে। অথচ স্থানীয় হারুন মিয়া, রফিকুল ইসলাম, খোকন মিয়া, বশির মিয়া ও জালাল মিয়াসহ একটি স্বার্থন্বেষী ভূমি খেকো মহল প্রভাব খাঁটিয়ে এই পাইপ লাইনের উপর দিয়ে পায়ে হাঁটা এবং ভারীযান পরিবহনের জন্য রাস্তা নির্মাণের পায়তারা করছে। ওই রাস্তা দিয়ে ভারীযান চলাচল করলে যেকোন সময় গ্যাস পাইপ লাইনের বিষ্ফোরণের আশঙ্কার পাশাপাশি শহরের ঘনবসতি মানুষের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিস্ফোরণে তা যেন মাগুরছড়া ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মতো ভয়াবহ বিপর্যয় না ঘটে। যেকোন ধরণের বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সেলিম মিয়া, মোকলেছ মিয়া, আব্দুর রহিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানীর লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এডমিন) মাহমুদুল নবী মিলন বলেন, সেখানের রাস্তা নির্মানের কোন সুযোগ নেই। আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা প্রতিনিয়ত দেখাশুনা করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।