চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্যোগে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৩জুলাই বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ১০০ জন কৃষকের মধ্যে সার ও বীজ বিতরণ করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুমা আক্তার।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু আহমেদ মোঃ কামরুল হুদা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিটা আক্তার, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিম আরেফিন, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল চৌধুরী ও প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মামুন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল-মামুন জানান, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে/২০২৪-২৫ খরিপ-২ মৌসুমে রোপা আমন ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৮০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে রোপা আমন উচ্চ ফলনশীল(উফশী) জাতের ৫ কেজি বীজ,১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
তার মধ্যে বুধবার উপজেলার ১টি ইউনিয়নের ১০০ জন কৃষককে দেয়া হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে। এসব বীজ উপজেলার প্রায় ১০৬ হেক্টর জমিতে বপন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থায়ীভাবে চাকুরি চাকরিচ্যুৎ করা হয়। এরই প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে না বলে নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাকরি বিধি ১৯৯২ (সংশোধিত, ২০১২) অনুযায়ী চাকরি হতে অব্যাহতি দেয়া হলো।
চাকরি হতে স্থায়ী বহিস্কৃতরা হলো- ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. সালাহ উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ম্যানেজার মনির হেসেন, মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রাহাত, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল হাকিম, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৪ এর সিনিয়র সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওয়্যারিং পরিদর্শক সালাম জাবেদ, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারমো. হুমায়ুন কবীর, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস ও কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দিপক কুমার সিংহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ৪৭ বছর ধরে চলমান আছে। তাদের শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব অনিয়মিত ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি তোলা হয়। বিদ্যুৎ সচিবসহ প্রধান উপদেষ্টার দাবি তাদের দাবিকে যৌক্তিক বললেও বাস্তবায়ন না করে উল্টো আমাদের ১০ কর্মকর্তাকে চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং একজনকে আইসিটি আইনে গ্রেফতার করা হয়। যা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আরইবির লোকজনের কেনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য নির্মাণসামগ্রী থেকে শুরু করে সব মালামাল খুবই নিম্নমানের। এসবের কারণে ভূতুড়ে বিল আসে। এর দায় আসে আমাদের ওপর। আমরা এসবের প্রতিবাদ করায় আমাদের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চাকরি থেকে বহিষ্কার করা ১০ কর্মকর্তার সব মামলা বাতিল করে সসম্মানে চাকরিতে পূনর্বহালসহ আমাদের যৌক্তিক সকল দাবি না মানলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আটকে গণডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপড়তলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা কমপক্ষে ৩০টি অটোরিক্সা আটকে এর যাত্রীদেরকে মারধোর করে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও প্রায় নগদ ৩ লাখ টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতদের মারধোর ও দায়ের কোপে মহিলাসহ কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি ডাকাতদের হামলায় ৪/৫ জন আহত হয়েছে। ডাকাতরা কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নিতে পারেনি।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের খান্দুরা গ্রামে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াজ মাহফিল শুনতে সেখানে হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হন। ওয়াজ শুনে ভোর রাত ৪টার দিকে মুসল্লীরা অটোরিক্সায় করে বাড়িতে ফেরার পথে চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌছলে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল যাত্রীবাহী ৩০টি অটোরিক্সা আটক করে। পরে যাত্রীদেরকে নামিয়ে সড়কের পাশের জমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয়।
যাত্রীদের চিৎকার শুনে তাদেরকে উদ্ধার করতে গেয়ে ডাকাতরা সাদ্দাম মিয়া নামে এক যুবকের হাতে রামদা দিয়ে কোপ দিলে তার হাতের চারটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ডাকাতদের মারধোরে আহতদের মধ্যে আলফাজ মিয়া, ফয়েজ মিয়া, ছোয়াব মিয়া, আলাল মিয়া, রমজান মিয়া, জোবাইদ মিয়া, আনালক মিয়া, আবু কালাম মিয়া, ভুট্টু মিয়া, হৃদয় মিয়া, আনাল হক, সাদ্দাম মিয়া, আনোয়ারা বেগম, শরিফা বেগম, ইন্তেজ আলী, লায়েছ মিয়া, ফায়েজ মিয়া ও আব্দুল মালেক মিয়ার নাম জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এর মধ্যে আঙ্গুল হারারো সাদ্দামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত আলফাজ মিয়া ও আলাল মিয়া বলেন, খান্দুরা গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনে শুক্রবার ভোররাতে অটোরিক্সা যোগে বাড়িতে আসার সময় চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌছলে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল আমাদের অটোরিক্সা গুলো আটক করে। পরে আমাদেরকে অটোরিকসা থেকে নামিয়ে পাশের জমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে আমাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও নারীদের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে সাদ্দাম নামে এক যুবক এগিয়ে আসলে ডাকাতরা রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে তার হাতের ৪টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে। তিনি বলেন, তাদের সাথে প্রায় একশত যাত্রী ছিলো। ডাকাতরা সবার মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। তাদের মারধোরে কমপক্ষে ৩০জন যাত্রী আহত হন। তিনি বলেন, শুনেছি এই রাস্তায় প্রায়ই অটোরিক্সায় ডাকাতি হয়। এই রাস্তায় রাতের বেলা টহল পুলিশ থাকলে ডাকাতির ঘটনা ঘটতোনা।
এ ব্যাপারে চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনসুর আলী ও ইউপি সদস্য মোঃ হাবিব মিয়া আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, শুনেছি ভোররাতে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রীবাহী ৩০টি অটোরিক্সা ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, শুক্রবার ভোররাতে বড়ইউরি গ্রামের পাশে অটোরিক্সায় ডাকাতি হয়েছে বলে শুনেছি। এ সময় ডাকাতদের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। ডাকাতরা কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নিতে পারেনি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত ৪০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্তসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ১০টির মত খুঁটি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু ট্রান্সমিটার। অনেক গাছ ভেঙে সঞ্চালন লাইনের ওপর পড়ায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ৬৫ হাজর গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
৫ মে রবিবার রাত থেকে নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, নাসিরপুর, দাতমন্ডল, ধনকুড়া, কুলিকুন্ডা ও মন্নরপুর এলাকার উপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ে বাড়িঘরের টিনের চালা উড়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে আছড়ে পড়েছে। এছাড়া বেশকিছু দোকানপাট ও হাঁস, মুরগির খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর ঝুলে আছে। কিছু কিছু এলাকায় কয়েকটি শতবর্ষী কৃষ্ণচুড়া গাছের গোড়া ওপড়ে গেছে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে সদরে ৯টি, কুলিকুন্ডা ৩টি, দাতমন্ডল ১০টি, নাসিরপুর ৫টি, ধনকুড়া ৪টি মন্নরপুর গ্রামে ৮-১০টি ও বুড়িশ্বর গ্রামে ৩টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে বড়ঘাট এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ কেবি লাইনের ১০টির মত খুঁটি ভেঙে বিদ্যুতের তারসহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। অনেক গাছ বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার অপসারণের কাজ শুরু করেছে।
নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, রবিবারের কালবৈশাখী ঝড়ে খুঁটি ও মিটারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জেলা অফিসে যোগাযোগের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খুঁটি মেরামতের কাজ করছি। ঝড়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবারহের চেষ্টা করা হলেও সে লাইনটি কাজ করছে না। ফলে রাত থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশব্যাপী ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে নাসিরনগর উপজেলা অডিটরিয়াম হল রুমে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা গাউছিয়া কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন- জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন, প্রথমবারের মতন ইমাম সাহেবদের তালিকা করে ভাতা দেওয়া চালু করেছেন। এছাড়াও তার বক্তব্যে তিনি ইসলামের খেদমতে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের নানান কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
গাউছিয়া কমিটি নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মো. এখলাছুর রহমানের সভাপতিত্বে সভার প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা হাফেজ মুফতি নেছার উদ্দিন।
উপজেলা গাউছিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, গুণিয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিতু মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু, খান্দুরা দরবার শরীফের পীর সৈয়দ আহমদ বখত মতিন ও পীর সৈয়দ জোবাইর কামাল, নাসিরপুর দরবার শরীফের পীর সৈয়দ আশ্রাফুল আবদাল মুকাল্লিদ, নাসিরনগর নূরে মদিনা দরবার শরীফের পীর মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ খান, দাঁতমন্ডল আজিজিয়া দরবার শরীফের পীর মাওলানা আনোয়ারুল আজিজ, নাসিরনগর সদর খানকায়ে গাউছিয়া চকদার মঞ্জিল এর পীর শাহজাহান হোসাইন চকদার প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় মাওলানা সৈয়দ অলি হায়দার, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা হুসাইন আশ্রাফী, মাওলানা নূর আলম রেজা, মুহাম্মদ মতিউর রহমান, মাওলানা ক্বারী মনিরুল ইসলাম শান্তিপুরীসহ উপজেলার অন্যান্য পীর মাশায়েখ, আলেম-ওলামা ও স্থানীয় মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।
নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
সাবেক ইউপি সদস্য মধু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়া। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, কৃষকলীগ নেতা আলী আশরাফ ও আমির হোসেন ফারুক ।
বক্তব্য রাখেন কৃষকলীগ নেতা এম.এ কাশেম, মোহাম্মদ গোলাম আলী, মো: ইলিয়াছ মিয়া, গৌরদাস ভোমিক, নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
সম্মেলনে মোঃ গোলাম হোসেনকে সভাপতি ও ইউনুস মিয়া ও সোহরাব হোসেনকে সহ-সভাপতি, মোঃ ইলিয়াছ মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া,শাহেদ মিয়াকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , মোখলেছুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট সদর ইউনিয়ন কৃষকলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।