চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের ভূবন আব্দুল্লাহ নগর সংলগ্ন বড়ধলিয়া হযরত শাহ্; সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) এর মাজার পরিচালনা আংশিক নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে হযরত শাহ্ সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) এর মাজার পরিচালনা কমিটি গঠনকল্পে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে উপজেলা চেয়ারম্যান রুমা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউস সারোয়ার, মাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, বুড়িশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী, গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান মো: ফারুকুজ্জামান ফারুক, পূর্বভাগ ইউপি চেয়ারম্যান মো: আক্তার মিয়া, ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন ভূইয়া, ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান মো: রুবেল মিয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তীসহ হযরত শাহ্ সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) এর সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পূর্বভাগ ইউপি চেয়ারম্যান মো: আক্তার মিয়াকে সভাপতি, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়াকে সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক কাজী আলাউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলাউদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ সেলিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট আশিকুর রহমান সুমন ও মো: মন্টু মিয়া, আমির হোসেন মোল্লাকে সহ-কোষাধ্যক্ষ করে আংশিক শাহ্; সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) মাজার পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
সভায় মাজারের পরিচালনা পর্ষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন এবং গঠণতন্ত্র তৈরিসহ সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোট :
নাসিরনগরে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে একটি র্যালি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ চত্বরে শান্তি সমাবেশে মিলিত হয়।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক ভানু চন্দ্র দেবের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম ভূঁইয়া সায়েম, নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম চৌধুরী বকুল, তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া, আমির হোসেন, জাসুক ভূঁইয়া, রতন শাহাজী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। বিএনপি-জামাত যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয় করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করেই ঘরে ফিরবে যুবলীগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দৈনিক যায়যায়দিনের ১৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের উদ্যোগে নাসিরনগর প্রেসক্লাবে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যায়যায়দিনের নাসিরনগর প্রতিনিধি একেএম আমিনুল ইসলাম।
দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি মনির হুসাইনের সঞ্চালনায় নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার, নাসিরনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহাগ রানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক সবুজ, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি আজিজুর রহমান চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক নয়া দিগন্ত প্রতিনিধি মোঃ আসমত আলী, দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, দৈনিক আজকের পত্রিকা প্রতিনিধি বরুণ কান্তি সরকার, দৈনিক বর্তমান প্রতিনিধি আব্দাল মিয়া, দৈনিক রূদ্র বাংলা প্রতিনিধি আব্দুল কাদের সেন্টু, দৈনিক নবচেতনা প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম, গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হক, ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল মিয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আগত অতিথিরা যায়যায়দিনের সাফল্য কামনা করে বলেন, পূর্বের ন্যায় আগামীতেও যায়যায়দিন নিরপেক্ষ, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকবে। দেশের উন্নয়নে অংশীদার হয়ে পিছিয়ে পড়া অধিকার বঞ্চিত জনতার ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলায় গ্রাম পুলিশদের মাঝে বাই-সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১২ জুন বুধবার দুপুরে ১৩টি ইউনিয়নের ১০ জন মহিলা ও ৪০ জন পুরুষ গ্রাম পুলিশের মধ্যে সাইকেল বিতরণ করা হয়। নতুন বাইসাইকেল পেয়ে ভীষণ খুশি এ সকল গ্রাম পুলিশরা। নতুন সাইকেল পাওয়ায় তাদের কাজের গতি আরো বেড়ে যাবে এমনটাই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেয়া বাইসাইকেল বিতরণ করেন উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইমরানুল হক ভূইয়া।
এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাইসাইকেল পাওয়া একাধিক গ্রাম পুলিশ সদস্যরা জানান, এ সাইকেল বিতরণের ফলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশদের কাজ আরও গতিশীল হবে। সময় বাচঁবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সব তথ্য তারা গ্রামে গ্রামে দ্রুত পৌঁছে দিতে পারবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বালুবাহী ঠেলাগাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা লেগে সঞ্জিত দেব (৫৬) নামের এর চালক নিহত হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের আধুনিক হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সঞ্জিত দেব উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরনগর নমসুদ পাড়ার সরাজ দেবের ছেলে।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সঞ্জিত দেব দীর্ঘদিন ধরে ঠেলাগাড়ি চালিয়ে আসছিল। বিকেলে বালু নিয়ে সদর ইউনয়নের আধুনিক হাসপাতালের এলাকার মাটির রাস্তা দিয়ে নিচে নামার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে সঞ্জিত গুরুত্বর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল মৃত ঘোষণা করে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহাগ রানা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার শেষ হলো সপ্তাহব্যাপী বইমেলার সমাপনী, বিকালে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উৎসকৃষ্ট বই মানুষকে দেয় অনাবিল আনন্দ। আর এই বইয়ের যোগান দেয় বইমেলা। তাইতো পছন্দের বই কিনতে বইপ্রেমীরা মুখিয়ে থাকেন অমর একুশে বইমেলার দিকে। কিন্তু সেই বইমেলা যদি বাসার পাশেই হয় তবে তো কথাই নেই। গ্রন্থের সাহচর্যেই মানুষ অগ্রসর হয়ে চলে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্রম-অগ্রযাত্রার পথে। এর ধারা অব্যাহত রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন আয়োজন করে ৭দিন ব্যাপী প্রাণের বইমেলা। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বইমেলা মঞ্চে প্রতিদিন আলোচনা সভা,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে,কবিতা আবৃত্তি,সাধারণ জ্ঞান,কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রায় এক যুগ পর অনুষ্ঠিত বইমেলায় উচ্ছ্বাস দেখা গেছে অনেকের মাঝেই। প্রতিদিনই পাঠকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল বইমেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরাও মেলায় বই কিনতে আসে।মেলায় শিশুদের উপযোগী বইও এনেছেন বিক্রেতারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রাফিউদ্দিন আহমেদ। গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ বইমেলায় দেশের প্রখ্যাত লেখকদের বই দিয়ে সাজানো ছিল ২০টি বইয়ের স্টল। মেলায় সকাল থেকে শতশত বইপ্রেমী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বইপ্রেমীরা এসে পছন্দের বই কিনে ঘরে ফিরেছেন। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে বইমেলা। বইমেলায় বিক্রি সন্তোষজনক ছিল বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তবে গত সাতদিনে ২০টি স্টলে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার বই বিক্রি হয়েছে। শেষদিন ছিল ক্রেতাদের অনেক সমাগম। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিবলী চৌধুরী বলেন বই কিনতে আগে ঢাকায় যেতে হতো। ঢাকা যাওয়া কষ্টকর। এখানে ঘরের পাশেই পছন্দের বই পাওয়া যাচ্ছে আমাদের প্রাণে বইমেলায়। তাই দীর্ঘ একযুগ পর নাসিরনগরে বইমেলার আয়োজন করায় নবাগত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম বলেন,বই হচ্ছে প্রাণের খোরাক। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের মাসে অন্তত ১টি বই কেনা উচিত এবং সেটা পড়া উচিত। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়াকে আমার বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন এমন চমৎকার বইমেলার আয়োজন করার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ তৈরী ও অভ্যাস গড়ে তোলার জন্যই বইমেলার আয়োজন করা। কিন্তু এত মানুষের ভালবাসা ও আগ্রহ বইমেলার প্রতি এটা আমার ধারণা ছিল না। সবাই পছন্দের বই কিনছে এটা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। ভবিষ্যতেও আমরা এই বইমেলা অব্যাহত রাখবো।