চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রিজের নিচ থেকে অজ্ঞাত এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ।
আজ ৫ জুলাই শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলার শেখ হাসিনা সড়কের ২য় ব্রিজের পাশ থেকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বনিক জানান, বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ শেখ হাসিনা সড়কের ২য় ব্রিজের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ব্রিজের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবতির লাশ উদ্ধার করে। তার বয়স আনুমানিক ২৫ হবে। তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান, বর্ষা মৌসুমে এই মরদেহ কোথাও থেকে ভেসে এসেছে কিনা বা আত্মহত্যা করেছে কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। সে বোরখা পরিহত অবস্থায় ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাসচাপায় রিপা বেগম (৫০) নামে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রিপা বেগমের দুই ছেলে আকছির (১৯) ও আপন (১৫) আহত হয়েছেন। এরমধ্যে আকছিরের অবস্থা গুরুতর।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আখাউড়া সড়কের সুলতানপুর যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিপা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিনপাড়ার মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের ছেলে আহত আপন জানান, মায়ের সঙ্গে বোনের শ্বশুরবাড়ি সদর উপজেলার চিনাইরে যাচ্ছিলেন তারা দুই ভাই। তারা কাউতুলী থেকে সিএনজিতে ওঠেন। পথিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আখাউড়া সড়কে সুলতানপুরে যুব উন্নয়ন অফিস এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দিগন্ত পরিবহনের একটি বাস সিএনজিটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা রিপা বেগম নিহত হন। আহত অবস্থায় তাদের দুই ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে রাখা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজায় ইসরাইলী গণহত্যা ও ইরানে বোমা হামলা প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৪ জুন শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে স্থানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর এর সভাপতিত্বে এবং অপর সংগঠক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসিরের সঞ্চালনায় গাজায় বর্বরোচিত এ গণহত্যা এবং ইরানে বোমা হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বণিক, ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সদস্য আহমেদ হোসেন, মোঃ নাসির মিয়া ও কামরুল চকদার, জেলা উদীচীর সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসির, রিয়াজুল মোর্শেদ, মাসুদ আশেক সমর, নার্সিং ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থী শাহরিয়ার এঞ্জেল, কলেজ শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিকী, মাহদী রহমান, তাওফিকুর রহমান রিদওয়ান, স্কুল শিক্ষার্থী মেহেদী প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাজায় অব্যাহত গণহত্যায় মুসলিম বিশ্বের যেসব দেশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন তাদেরও এমন পরিণতি হবে। তাই মানবতাবিরোধী এ গণহত্যা বন্ধের জন্য বিশ্ববিবেককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। গাইতে হবে মানবতার জয়গান।এর কোন বিকল্প নাই।
বক্তারা বলেন, আমরা চাই একটি সুন্দর পৃথিবী। যে পৃথিবীতে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ এক আকাশের নীচে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করবে। কিন্তু এর প্রধান বাঁধা হচ্ছে বিশ্ব পূুঁজিবাদের মোড়ল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আমেরিকা। আমেরিকা দেশে দেশে যুদ্ধ বাধিঁয়ে সমরাস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে মুনাফা লুণ্ঠন করছে। মার্কিন মদদে ইজরাইল গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করতে নির্বিচারে শিশু ও নারীদের হত্যা করছে। বিতর্কিত জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণ শিবিরে ত্রাণ আনতে গেলে ক্ষুধার্ত ফিস্তিনিদের গুলি করে হত্যা করে পৃথিবীতে বর্বরতার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে ইজরাইলীরা।
বক্তারা অনতিবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং ইরানে বোমা হামলার পুনরাবৃত্তি রোধের জন্য বিশ্বনেতৃবৃন্দকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণশেষে শহরের তোফায়েল আজম মন্যুমেন্টের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি। আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
সিপিবি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ জামালের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম। ৮ দফা দাবিগুলো হচ্ছে :
১। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এমআরআই, সিটি স্ক্যান, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ও আইসিইউ ব্যবস্থা চালু।
২। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো। ৩। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল কলেজ ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা।
৪। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার দেয়া অবৈধ রিকসার লাইসেন্স বাতিল করে প্রকৃত রিকসা চালকদের লাইসেন্স দেয়া ও স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।
৫। পৌর এলাকার যানজট নিরসনে শহরের মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মান, শহরের মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরন এবং শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন।
৬। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিবতি দেয়া সকল আন্তঃনগর ট্রেনে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত একটি কমিউটার ট্রেন চালু।
৭। তিতাস নদীর সীমানা নির্ধারণ করে পুনঃখনন ও আশুগঞ্জ সেচ প্রকল্পের জন্য ড্রেন নির্মান।
৮। ভ‚মি অফিসের দুর্নীতি ও পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানী বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ১৫৪ বছরের পুরানো এই পৌরসভার নাগরিক সেবা নেই। পৌরসভা একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এক রাস্তার শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন কোন রাস্তা নির্মিত হয়নি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের প্রতিটি রাস্তায় পানি জমে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংস্কৃতির রাজধানী হলেও নানাভাবে সংস্কৃতিকে গলা টিপে ধরা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন টিকেট কালোবাজারীদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে।
তিনি বলেন, পৌর সভার পক্ষ থেকে প্রকৃত রিকসা চালকদেরকে লাইসেন্স না দিয়ে বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে একাধিক লাইসেন্স প্রদান করেছেন। কোন কোন ব্যক্তি শতাধিক ও অর্ধশতাধিক লাইসেন্স প্রদান করেছেন। যার দরুন প্রকৃত রিকসা চালকরা কোন লাইসেন্স পায়নি। তিনি বলেন, অবৈধ রিকসার লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে তারা আগামী ২১ আগষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান করবেন ও পৌরসভার সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনের জেলা সিপিবির সহ-সাধারণ সম্পাদক আছমা খানম, জেলা সিপিবির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অসীত রঞ্জন পাল, আহমাদ হোসেন, জেলা সিপিবির সদস্য মোঃ শাহজাহান ও আল- মামুন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
হারানো ব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে তার শিশু সন্তানকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৫ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় শহরের আল খলিল হাসপাতাল থেকে সাউদা হোসেন সারা নামে চার বছরের ওই শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত এক নারী। নিখোঁজের দুই ঘণ্টা পর এক সিএনজি অটোরিক্সা চালক শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় শহরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বাড়ঘরিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইমাম হোসেনের ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে আল খলিল হাসপাতালে যান শিশুটির মা স্মৃতি চৌধুরী ও নানী সাহানা আক্তার। তাদের সাথে স্মৃতি চৌধুরীর মেয়ে সাউদা জাহান সারাও ছিলেন। সেখানে স্মৃতি চৌধুরীর একটি ব্যাগ হারিয়ে গেলে তা খুঁজে দেয় অজ্ঞাত এক নারী। এরপর তাদের সাথে ওই নারী সখ্যতা গড়ে তোলেন। কথা বলার একপর্যায়ে শিশু সাউদাকে দেখে রাখার কথা বলে তার মা ও নানীকে ডাক্তারের কক্ষে যেতে বলেন। ছেলেকে ডাক্তার দেখিয়ে বেরোনোর পর তারা সাউদার খোঁজ পাচ্ছিল না।
পরে সিসিটিভি ফুটেজে অজ্ঞাত ওই নারীকে শিশুটিকে তার সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে রাত পৌনে আটটার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে আনিস মিয়া নামে এক অটোরিক্সা চালক।
অটোরিক্সা চালক আনিস বলেন, ‘ওই নারী আশুগঞ্জ থেকে আমার অটোরিক্সা রিজার্ভ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে নিয়ে আসে। সেখানে তিনি নেমে যান এবং বাচ্চাটিকে আল খলিল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরে আমি শিশুটির সঙ্গে কথা বলি সে ওই নারীকে চেনে কি না। কিন্তু বাচ্চাটি ওই নারীকে চেনে না বলে জানায়। এরপর শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসে তার পরিবারের লোকজনদের কাছে বুঝিয়ে দেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এরই মাঝে একজন অটোরিক্সা চালক শিশুটিকে উদ্ধার করে ওই হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ওসি বলেন, শিশুটির কানে থাকা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো উদ্ধার এবং ওই নারীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।