চলারপথে ডেস্ক :
মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। এর পরদিনই (২৪ এপ্রিল) নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা রয়েছে।
এর আগে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ ঘোষণা দেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ওই ধারায় উল্লখ করা আছে, মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর মাত্র একজনের মনোনয়ন বৈধ থাকলে নির্বাচন কমিশনার উক্ত ব্যক্তিকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন।
সিইসি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে একজনই মনোনয়ন দাখিল করেন। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিলের সময়ের মধ্যে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর মাত্র একজনের মনোনয়ন বৈধ থাকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
সিইসি আরো বলেন, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে মো. সাহাবুদ্দিনের নামে দুটি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। আজ মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় একটি মনোনয়নপত্র সম্পূর্ণরূপ বৈধ হয়েছে। সেক্ষেত্রে আরেকটি মনোনয়নপত্র গ্রহণের আবশ্যকতা ছিল না।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর প্রস্তাবক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রস্তাবের সমর্থক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত রবিবার রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের নাম নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করা মো. সাহাবুদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন তিনি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত কমিশনের প্রধান ছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন, যিনি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু নামে বেশি পরিচিত।
মো. সাহাবুদ্দিন ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মৃত্যুতে খালি থাকা প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ডেঙ্গুর চেয়ে বিএনপিকে বেশি মারাত্মক বললেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ডেঙ্গু (এডিস) মশা কামড়ায়, আর বিএনপি আগুন জ্বালায়।
আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়ি গোল চত্বর এলাকায় কৃষক লীগ আয়োজিত এডিস মশা নিধন ও সচেতনতা তৈরি কর্মসূচি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু মারাত্মক, বিএনপি আরো বেশি মারাত্মক। ডেঙ্গুর চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে আরও বেশি মারাত্মক। ডেঙ্গু মশা কামড়ায়, বিএনপি আগুন জ্বালায়। বিএনপি গাড়ি পোড়ায়, মানুষ পোড়ায়, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারে। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গু মশার চেয়েও বিএনপি মারাত্মক।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য সামাজিক আন্দোলন দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য সামাজিক আন্দোলন দরকার, রাজনৈতিক কর্মসূচি দরকার। কোনো দল আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণ বা নিধনের জন্য কর্মসূচি দেয় নাই।
তিনি বলেন, করোনার মহামারিতে আমাদের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা করোনায় মারা গেছেন। আমাদের দলীয় ১২ জন সংসদ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আজকে দেশে হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে মারা গেছেন। অনেক দেশে আমাদের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেশি। মৃত্যুর হারও সেখানে বেশি।
বিএনপির সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার সময় মাঝেমধ্যে ফটোসেশন ছাড়া তাদের (বিএনপি) আর কোথাও দেখা যায়নি। এখন আছেন তারেক-জোবায়দার কেন শাস্তি হলো সেটা নিয়ে। তারা রাজনীতিটা জনগণের জন্য করে না। বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং তাদের পরিবারের জন্য।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও কৃষিবিদ সুব্রত কুমার দাস।
কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী, হোসনে আরা এমপি, আব্দুল লতিফ তারিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, শামীমা আক্তার খানম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারে এক বাড়িতে ডাকাতির খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাতে গেলে সশস্ত্র ডাকাতদল ও সন্ত্রাসীদের গুলি-ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন এক সেনা কর্মকর্তা।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোররাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন ডাকাত-সন্ত্রাসী আটক হয়েছে। চকরিয়া থানার ওসি মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সেনা কর্মকর্তার নাম লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরওয়ার নির্জন (২২)। তিনি চকরিয়ায় যৌথ বাহিনীর আভিযানিক টিমের সদস্য ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, এ সময় ডাকাতরা ওই সেনা কর্মকর্তাকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত ও গুলি করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এই অবস্থায় তাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রামু এলাকায় মারা যান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডুলাহাজারার পূর্ব মাইজপাড়ার ওই বাড়িতে ডাকাত হানা দিয়েছে এমন খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযানে যায়। এ সময় আভিযানিক দলে থাকা লেফটেন্যান্ট তানজিম সশস্ত্র এক ডাকাতকে জাপটে ধরে ফেলেন। তখনই ডাকাতের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়। এমনকি অপরাপর ডাকাতরা উপর্যুপরি গুলি করতে থাকে যৌথ বাহিনীর টিমকে লক্ষ্য করে। সেখান থেকে একটি গুলি সেনা কর্মকর্তার শরীরে বিদ্ধ হয়।
স্থানীয়রা জানান, চকরিয়ার ডুলাহাজারার আলোচিত রিভার্জ পাড়া, কাটাখালী, ডুমখালী এলাকাটি হচ্ছে সংরক্ষিত বনভূমি। গত কয়েক বছর ধরে সেই এলাকাটি ডাকাত-সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য এবং নিরাপদ আস্তানা হিসেবে গড়ে ওঠে। সেখান থেকে আশপাশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছিল। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব অপরাধীদের তৎপরতা দমাতে আগে তেমন অভিযান চালাতে পারেনি। কারণ সংঘবদ্ধ এসব ডাকাত-সন্ত্রাসীদলের সদস্যসংখ্যা অর্ধশতাধিক। এমনকি তাদের হেফাজতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘ডাকাতকবলিত একটি বাড়িতে অভিযান চালাতে গেলে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয় সশস্ত্র ডাকাত-সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে। এ সময় এক ডাকাতকে ধরা হলে সেই ডাকাত সেনাবাহিনীর অফিসার লেফটেন্যান্ট তানজিমকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। একটি গুলিও করা হয় তাকে লক্ষ্য করে। এই অবস্থায় তাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রামু এলাকায় মারা যান।
ওসি আরো জানান, ঘটনার পর থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বেশ কয়েকজন ডাকাত-সন্ত্রাসীকে আটক করা হয় বলে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে সবিস্তারে পরে জানানো হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা একটি বদ্ধমূল সমস্যা এবং এর প্রভাব অনেক বেশি বিস্তৃত। লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ছাড়াও পরিবার, সম্প্রদায় ও সামগ্রিকভাবে জাতিকে প্রভাবিত করে। এই সহিংসতা কেবল শারীরিক ক্ষতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে, পারিবারিক কাঠামোকে ব্যাহত করে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্তরে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রগতিতে বাধা দেয়।
আজ ২২ জুলাই শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘জেন্ডার-বেইজড ভায়োলেন্স বেঞ্চ বুক লঞ্চ’’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে ইউএসএআইডি’র প্রোমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যাকটিভিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ‘জুডিসিয়াল বেঞ্চ বুক অন অ্যাড্রেসিং জেন্ডার-বেইজড ভায়োলেন্স ইন বাংলাদেশ’ এবং ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল বেঞ্চ বুক অন দ্য প্রিভেনশন অব অপ্রেশন অ্যাগেইনস্ট উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন অ্যাক্ট, ২০০০’ নামে দুটি বেঞ্চ বুক লঞ্চ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা ও প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদালত এই ধরনের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যাতে তারা প্রতিকার পায় এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ক মামলার জটিল বিষয়গুলোর সহজ সমাধানে বিচার বিভাগীয় বেঞ্চ বুক দুটি বিচারকদের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকল স্তরের মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সমাজের দুর্বল ও অসহায় মানুষদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক পরিসরে আইনি, প্রশাসনিক এবং নীতিগত সংস্কার করেছে।
আনিসুল হক বলেন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে সু-দৃষ্টি দিয়েই শেখ হাসিনার সরকার ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ২০১০ সালে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন করেছে। ২০১২ সালে পর্নোগ্রাফি (নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ আইন করেছে। এই আইনগুলো সহিংসতা ও লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, নারী ও শিশুরা মানব পাচারের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। এই ঘৃণ্য অপরাধ দমনে কৌশলগতভাবে সাতটি বিভাগীয় সদরে সাতটি মানবপাচার বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী ১০১টি বিশেষায়িত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি উল্লেখযোগ্য নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দূরদর্শী পদক্ষেপগুলো নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস, ইউএসএআইডি’র ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর সোনজাই রেনোল্ডস-কুপার, প্রোমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যাকটিভিট‘র চিফ অব পার্টি হেদার গোল্ডস্মিথ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আজ ৪ আগস্ট রোববার থেকে ধাপে ধাপে খোলার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয় বলে জানান তিনি।
মাহবুবুর রহমান জানান, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ধাপে ধাপে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
৪ আগস্ট থেকে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদী জেলার পৌর এলাকা ব্যতীত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম অনুমোদিত সময়সূচি অনুযায়ী চালু হবে বলে জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ চলছে। এটি চালু হলে আমরা আবহাওয়া থেকে শুরু করে সব প্রয়োজনীয় তথ্য পাবো।
আজ ১০ মে শুক্রবার বেলা ১২টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি। এতে কেউ যদি ৫০০ টাকা জমা দেয় তাহলে তাকে সরকারের পক্ষ থেকে আরও ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা চালু করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারে আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে।
তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখা যাবে না। সারা বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাই।