অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির আশীর্বাদপুষ্ট রক্ষণশীল সাঈদ জালিলিকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। খবর আল-জাজিরার
ইরানের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যানুসারে, প্রথম দফার নির্বাচনে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত মাসুদ পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজারে বেশি ভোট পেয়ে এগিয়েছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী খামেনি সমর্থিত কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলি পেয়েছিলেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৮ ভোট।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দ্বিতীয় দফার ভোটে মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ভোট। বিপরীতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলি পেয়েছেন মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট। অর্থাৎ মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রায় ৩৩ লাখ ভোটের ব্যবধানে খামেনি সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে হারিয়েছেন।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি। তাই নিয়ম অনুসারে নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায় তথা রান-অফে। এই রান-অফে অংশ নেন প্রথম দফার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাঈদ জালিলি।
কট্টরপন্থীদের ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণার মাঝে নারীর অধিকার, অধিক সামাজিক স্বাধীনতা, পশ্চিমের সঙ্গে বৈরিতায় সতর্কতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন মধ্যপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান।
মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদ্রোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ৫৮ বছর বয়সী জালিলি পশ্চিমাবিরোধী অবস্থানে অনড়। তিনি কট্টরপন্থী সমর্থকদের যথেষ্ট সমর্থন ধরে রেখেছেন। অন্য রক্ষণশীল নেতাদের কাছ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা প্রতিদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছেন। এই সংখ্যাটি ইউরোপ আমেরিকাতে উল্লেখ্য করার মতো। তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে লন্ডনে।
জানা যায়, মুসলিমদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন পিসি পল। তিনি ব্রিটিশ পুলিশের কর্মকর্তা। এ সময় মুসলিমদের কর্মকাণ্ড তাকে সন্তুষ্ট করেছে। অবশেষে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই, আল্লাহ এক, মুহাম্মদ (সা.) তার রাসুল ও প্রিয় বান্দা। আমি এখানে শুধু পুলিশ কর্মকর্তা নই। কারও ভাই, কারও চাচা, কারও ছেলে আবার কারও ভাতিজা এবং একজন বন্ধু। ইসলাম গ্রহণ করতে পেরে আমি গর্বিত। ‘আমি ইসলামকে বেছে নিইনি। আল্লাহ আমাকে মনোনীত করেছেন।’
পল বলেন, সবাই আমাকে বলতেন যে আমি একদিন মুসলিম হবো। কিন্তু কেউ আমাকে জোর করেনি। পরে আমি কোরআন পড়া শুরু করি। এরপর আমি ইসলামের দিকে মনোনিবেশ করি। এটি মনোমুগ্ধকর ও শান্তির ধর্ম।
লন্ডনের এই পুলিশ কর্মকর্তা ১৬ বছর ধরে এজওয়্যার রোডে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করছেন।
পল বলেন, আমি এখানে ১৬ বছর ধরে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছি। গত জানুয়ারিতে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুশি।
তিনি বলেন, আমার কাজ হলো সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। আমি তাদের সবাইকে চিনি। শিশু, যুবক, বৃদ্ধ সবাইকে। এটা আসলে একটা বড় পরিবারের মতো।
ব্রিটিশ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ৫ মাসে আমি দুইবার কোরআন পড়েছি। আমি কোনো নামাজে অনুপস্থিত ছিলাম না।
লোকেরা জিজ্ঞাসা করে- কেন আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলাম? আমার উত্তর হলো- আমি ইসলাম ধর্মকে বেছে নিইনি। আল্লাহ আমাকে বেছে নিয়েছেন। সূত্র: টিআরটি
অনলাইন ডেস্ক :
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াই এক ধাপ এগিয়ে গেল। কেননা, আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার মশাবাহিত এই রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বে প্রথমবারের মতো রুটিন টিকা কর্মসূচি চালু করেছে মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন। এই টিকা আফ্রিকাজুড়ে হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী ক্যামেরুন কর্তৃপক্ষ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ক্যামেরুন প্রথম দেশ, যারা নিয়মিতভাবে শিশুদের ম্যালেরিয়ার নতুন একটি টিকা দেবে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আজ সোমবার থেকেই শুরু হওয়া এই ভ্যাকসিন প্রকল্পকে আফ্রিকা মহাদেশে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কয়েক দশকের দীর্ঘ প্রচেষ্টার একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিশ্বে ম্যালেরিয়া রোগে যত মানুষের মৃত্যু ঘটে তার ৯৫ শতাংশ ঘটে আফ্রিকায়।
টিকাটি ১৯৮৭ সালে উদ্ভাবন করে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জিএসকে। ঘানা, কেনিয়া ও মালাবিতে ২০১৯ সাল থেকে পরিচালিত একটি পাইলট কর্মসূচির ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২১ সালে এটি অনুমোদন করে।
ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের (গ্যাভি) তথ্যমতে, ঘানা ও কেনিয়ায় সফল পরীক্ষার পরে, ক্যামেরুন হলো প্রথম দেশ যারা ম্যালেরিয়ার নিয়মিত টিকা কর্মসূচি শুরু করেছে। চলতি বছরে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশে এই কর্মসূচি চালু করা হবে। এই দেশগুলোর প্রায় ৬৬ লাখ শিশুকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
গাভি’র প্রধান প্রোগ্রাম অফিসার অরেলিয়া নুগুয়েন বলেছেন, “ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী টিকার নিয়মিত ডোজ হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাবে। এটি পরিবার ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড় ধরনের স্বস্তি দেবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একটি যৌথ অনলাইন ব্রিফিংয়ে আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে, আমরা এমন একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।”
এবিসি নিউজের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন চলতি বছর ও আগামী বছর প্রায় আড়াই লাখ শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়ার আশা করছে।
গাভি বলেছে, এই টিকা নিয়ে আফ্রিকার আরও ১৯টি দেশের সঙ্গে তারা কাজ করছে। দেশগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ লাখের বেশি শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্যামেরুন সম্প্রতি অনুমোদিত ম্যালেরিয়ার দুটি টিকার মধ্যে প্রথমটি ব্যবহার করবে, যা ‘মসকিউরিক্স’ নামে পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুই বছর আগে এই টিকা অনুমোদন করেছিল। সংস্থাটির মতে, টিকাটির প্রভাব যদিও অসম্পূর্ণ, তবু এর ব্যবহার নাটকীয়ভাবে গুরুতর সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে দেবে। সূত্র: ইউএস নিউজ, এবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ গতিতে এগিয়ে আসছে আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এ নিয়ে নিয়মিত আপডেট দিচ্ছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। আজ ১০ জুন শনিবার ভারতের সরকারি সংস্থাটি জানিয়েছে, আরও শক্তিশালী হবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। বাড়বে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ।ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলতে পারে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
সংস্থাটি জানিয়েছে, শেষ ছয় ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার বেগে উত্তরদিকে অগ্রসর হয়েছে অতি প্রবল ঘূ্র্ণিঝড় বিপর্যয়। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে সেটি পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপরে অবস্থান করছে। এটি গোয়া থেকে ৬৯০ কিমি পশ্চিম, মুম্বাই থেকে ৬৪০ কিমি পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পোরবন্দরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৬৪০ কিলোমিটার দূরে।
আগাম বার্তায় ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হবে এবং উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। পরবর্তী তিন দিনে আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বিপর্যয়।’
আগাম বার্তায় বলা হয়েছে, শনিবার সকাল থেকে পূর্ব-মধ্য আরব সাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। সন্ধ্যায় ঝড়ের দাপট আরও বাড়বে। সেইসময় ঝড়ের বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলবে। অধিকাংশ সময় ঘণ্টায় ১৪০-১৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় চলবে। দমকা হাওয়ার বেগ ৮০ কিলোমিটার হতে পারে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, তবে সন্ধ্যা থেকে কিছুটা বেগ কমবে। সেই সময় ঘণ্টায় ১৩৫-১৪৫ কিমিতে হাওয়া বইবে (সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ১৬০ কিমি)। রবিবার থেকে ক্রমশ কমতে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। সেজন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত পূর্ব-মধ্য আরব সাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস। সাদাছড়ি বহনকারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিরাপদে পথ চলতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
এবারের সাদাছড়ি দিবসের স্লোগান হিসেবে ঠিক করা হয়েছে- ‘দৃষ্টিজয়ে ব্যবহার করি, প্রযুক্তিনির্ভর সাদাছড়ি’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ও সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাদাছড়ি বিতরণ, আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের হিসাবমতে, বিশ্বে ২৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষ পুরোপুরি ও আংশিকভাবে চোখে দেখে না। এসব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ চলাচলের জন্য হাতে সাদাছড়ি ব্যবহার করে। যাতে যারা চোখে দেখে তারা তাদের চলাচলে সহযোগিতা করে। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য এই দিবসটি পালন শুরু হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।