চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাভার্ডভ্যান চাপায় রবিউল চৌধুরী (১৪) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশ্বর কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ঘটে এই ঘটনা।
নিহত রবিউল সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাঁন্দপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান চৌধুরীর ছেলে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মহাসড়কের পাশ দিয়ে রবিউল নামের এক কিশোর হেঁটে যাচ্ছিল। এসময় কুমিল্লাগামী একটি কাভার্ডভ্যান তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের আব্দুল মোনেম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে জোরপূর্বক কথিত পদত্যাগ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে শিক্ষার্থীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কাছে অধ্যক্ষের কথিত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার চেয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে জড়ো হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৯ আগষ্ট কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বহিরাগত ছেলে মেয়েদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের লেখা একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে অধ্যক্ষকে বাধ্য করেন। যা অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র বলে তারা দাবি করে তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, এই পদত্যাগ আমরা মানিনা, আমরা অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল চাই।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম কলেজে যোগদান করার পর কলেজের সার্বিক শিক্ষার মান বেড়েছে। তিনি কলেজের সার্বক্ষনিক লেখাপড়ার তদারকি করেন। আমরা তাকে স্বপদে বহাল চাই। তাই আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখের কাছে তাকে দ্রুত স্বপদে বহাল করার দাবি জানিয়েছি।
কলেজ শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন, শরীফ উল্লাহ, মুজাহিদ আহমেদ বলেন, কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ষড়যন্ত্র করে অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমরা এই পদত্যাগ মানি না।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, কলেজ অধ্যক্ষকে পূর্ণবহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ একরামুল হক নাহিদ। অভিযানে বিহাইর গ্রামের একটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে ৬০০ ফুট অবৈধ পাইপ লাইন উচ্ছেদ ও ১ কিলোমিটার এলাকার গ্যাস পাইপ লাইন নিষ্ক্রিয় করাসহ ৩১টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহও করে আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযানে যায় বাখরাবাদের আভিযানিক দল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা অভিযানে ৩১ গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ অবৈধ শনাক্ত হওয়ার পর এসব সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম, উপব্যবস্থাপক গোলাম মুক্তাদির, উপব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় বড় কয়েকটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক আমরা উচ্ছেদ করেছি। অভিযানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আঞ্চলিক ভাষা “বাউনবাইরার কতা” নামে ফেসবুকভিত্তিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে দুইশত অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদ-সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো শাড়ি,লুঙ্গি, সেমাই, চিনি ও দুধের প্যাকেট)। এ সময় ১৩টি পরিবারকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নগদ টাকা দেয়া হয়।
গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজিত ঈদ সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সংগঠনের সমন্বয়ক ডঃ মাহবুবুর রহমান এমিলের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য মোঃ মাহাবুব উল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহিদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন ও ফটোগ্রাফার আরিফুর রহমান রুজেল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ শাহগীর আলম বলেন, “বাউনবাইরার কতা” একটি নির্দলীয় সংগঠন। এই সংগঠনটি সমাজের গরীব অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। সারা বছর ধরেই বিভিন্ন কাজ করে থাকে সংগঠনটি। জেলা প্রশাসন সব সময় ভালো কাজের পাশে থাকবে। প্রবীনদের ঈদি প্রদান ও স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে বাউনবাইরার কতা সেই ভালো কাজটি করছে।
সংগঠনের সমন্বয়ক ডাঃ মাহাবুবুর রহমান এমিল জানান, “বাউনবাইরার কতা” একটি ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন। ২০১৩ সালে “বাউনবাইরার কতা” ফেসবুক গ্রুপ চালু হওয়ার পর বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১লাখ ৯ হাজার। সংগঠনটি সব সময় সমাজের অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছে। ষষ্ঠবারের মতো এবারের ঈদে ২০০ জনের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি, লুঙ্গি ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে গরীব ১৩টি পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে ১টি পরিবারকে মক্তব, ১টি পরিবারকে ঘর ও ছাগল প্রদান, ১টি পরিবারকে রান্নাঘর, ঘর মেরামত ও বাথরুম তৈরি করা, ২ টি পরিবারকে টিউবওয়েল, ৭ টি পরিবারকে ছাগল প্রদান ও ১ টি পরিবারকে মুরগীর খামার করে দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির চলতি মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ৮ জুন শনিবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্টিফিকেট সহকারী মোঃ মনির হোসেন।
প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা দরে ২ কেজি করে মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাউল পৌরসভার ১, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, জুন মাসে সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌরসভায় ৪৯৫২জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এ পণ্য বিক্রি করা হবে।
শনিবার পৌরসভার ১, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে, পর্যায়ে ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিতরণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ। অর্থনৈতিক শক্তি, নার্সিং সেবার ভিত্তি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১২ মে রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল পৃথক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তারের নেতৃত্বে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্সের শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অংশ গ্রহনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর সালাউদ্দিন মাধবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রতীকি ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসরাত জাহান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহকারী জেলা পাবলিক হেলথ নার্স মোঃ সাইজুদ্দিন ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নার্সিং এখন শুধুই পেশা নয়, সেবা। ছোটবেলায় নার্সিং এর প্যারাগ্রাফ মুখস্ত করতাম। কিন্তু এর গুরত্ব এখন বুঝতে পারি। পুলিশের কাজের সঙ্গে নার্সদের কাজের মিল রয়েছে। রাস্তায় বা বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা কোনো মৃত মানুষ বা পচন ধরা মৃতদেহকে কেউ না ধরলেও পুলিশকে ধরতে হয়। একইভাবে কোনো রোগীকে কেউ হাত না দিলেও নার্সকে ধরতে হয়। নার্সরা সেবার মহান কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
পরে বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।