অনলাইন ডেস্ক :
জনসেবার জন্য সরকারি ক্যাম্প, সাধারণ মানুষের লম্বা লাইন। নিজেদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে হাজির সবাই। বসে রয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। সমস্যা শুনে তা সমাধানের আশ্বাসও দিচ্ছেন। সেই ক্যাম্পে হাজির এক যুবক। পেশায় তিনি কৃষক। কিন্তু কর্মকর্তাদের কাছে যে সমস্যার কথা তিনি বলেন, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়!
কী চেয়েছিলেন যুবক? তার দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে একা। তাকে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে দিতে হবে। তা শুনে কার্যত হেঁসে লুটোপুটি খাওয়ার জোগাড় সরকারি কর্তাদের। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকে।
জানা যায়, রাজ্যের কোপ্পাল জেলায় ‘জনস্পন্দন’ নামে একটি সরকারি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল প্রশাসন। জনগণের অভাব-অভিযোগ শুনছিলেন কর্মকর্তারা এবং যথাসম্ভব সমাধানও করা হচ্ছিল।
সেখানেই সঙ্গপ্পা নামে ওই কৃষক তার জন্য পাত্রী খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানান। জেলা কমিশনার নলিনী অতুলের কাছে গিয়ে তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে পাত্রী খুঁজছি। কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না। কেউ আমাকে পাত্রী দিতে রাজি নয়। এতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি। স্যার, পাত্রী খুঁজে দেন!
এলাকার অন্যসব বাসিন্দা যখন পানির অভাব, রাস্তা ঠিক করার দাবি জানাচ্ছিলেন; সেখানে ওই যুবকের এ ধরনের দাবি শুনে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে যান সরকারি কর্মকর্তারা। উত্তর কী দেবেন বুঝতে না পেরে মাথা চুলকাতে থাকেন তারা।
সঙ্গপ্পাকে প্রাথমিকভাবে বোঝানো গেলেও তার পাত্রী খোঁজার আবেদনের কী হবে, এখনো ভাবছেন কর্তারা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রকেট বিজ্ঞানী ড. জাহিদুল হাসান মুশফিকুর রহমান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ড. জাহিদুল রহমান নামেই সর্বাধিক পরিচিত এই খ্যাতনামা প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে রকেট ডিজাইন ও উন্নয়নে দীর্ঘ তিন দশক ধরে নিয়োজিত ছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডার সাইনাই হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ড. জাহিদুল রহমান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন এবং টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে অগ্রসর গবেষণায় নিয়োজিত হন।
নাসার খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে পৃথিবীর সীমানা ভেদ করে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে মহাযাত্রা, জানা ও জানানোর প্রচেষ্টায় গবেষণা এবং অগ্রসরে ড. জাহিদুল রহমানের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি নাসার উদ্যোগে মঙ্গল গ্রহ অভিযানে রোভারের ডিজাইন ও নির্মাণে নিয়োজিত দক্ষ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও ছিলেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাংকক সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আন্তরিকতাপূর্ণ একান্ত বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ সবিস্তারে অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এ দিন গভর্ণমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনারে থাই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।
অনলাইন ডেস্ক :
নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজ বাসভবনে প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে৷ গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক৷ আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ এর দুটি পৃথক অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২২ সালে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২৭ ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
আজীবন সম্মাননা যুগ্মভাবে দেওয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু ও চিত্রনায়িকা রোজিনাকে। দেশের বাইরে থাকায় খসরুর পুরস্কার নেন অভিনেতা আলমগীর।
অনলাইন ডেস্ক :
মৃত্যুর ২৫ বছর পর নিলামে উঠছে প্রিন্সেস ডায়ানার একটি টপ। এটি সেই বিখ্যাত টপ যেটি ১৯৮১ সালে ডায়ানা তার বাগদানে পরেছিলেন। নিলামে এর দাম ১ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
গোলাপি ক্রেপ কাপড়ের একটি টপ (স্কার্টের উপরের ব্লাউজ সদৃশ), যার সামনের দিকে রফের মতো কলার এবং আলগা প্লিট রয়েছে। কলারের নিচে একটি সার্টিন ফিতা রয়েছে। এর ডিজাইন করেছিলেন এলিজাবেথ ও ডেভিড ইমানুয়েল, যারা ডায়ানার বিয়ের পোশাকের ডিজাইন করেন।
ডায়ানা লর্ড স্নোডনের তোলা একটি প্রতিকৃতির জন্য পোজ দেওয়ার সময় ব্লাউজটি পরেছিলেন যেটি তখনকার প্রিন্স চার্লসের (পরবর্তীতে রাজা চার্লস তৃতীয়) সঙ্গে তার বাগদানের ঘোষণার সময় ভোগসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা এবং সংবাদপত্র ব্যবহার করেছিল।
বেভারলি হিলসে অবস্থিত জুলিয়ানের নিলামঘর অনুসারে, এলিজাবেথ ইমানুয়েল তার বই ‘এ ড্রেস ফর ডায়ানা’তে লিখেছেন- ওই টপসের ফ্যাব্রিকস এমন একটি পোশাক থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যখন একজন ক্লায়েন্ট এটি পরার সময় স্কার্টে মাস্কারা ফেলে দিয়েছিলেন।
ইমানুয়েল স্মরণ করে বলেন, যখন (ডায়ানা) র্যাকে আমাদের টপটি দেখেছিলেন তখন তিনি এটির প্রেমে পড়েছিলেন, জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এটি কে তৈরি করেছে।
ডায়ানা ব্লাউজটি পরার পর, ডিজাইনার ২০১০ সালে এটি বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত আর দোকানে রাখেননি। এটি রাজকুমারীর পোশাকের একটি প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কেনসিংটন প্যালেসে প্রদর্শিত হয়েছিল।
একই সঙ্গে ডায়ানার আরেকটি পোশাক, যেটি পরে তিনি দুবার জনসমক্ষে এসেছিলেন, একই নিলামে সেটির দাম ২ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
১৯৮০ সালে ডায়ানা এই নীল স্কার্টটি পরে স্টাইল আইকন হয়ে ওঠেন। নিলামের অন্যান্য আইটেমগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে হলিউডের সবচেয়ে বড় তারকাদের দ্বারা ব্যবহৃত বা পরিধান করা স্মৃতিচিহ্ন। ১৯৬৩ সালের ‘চ্যারাডে’ সিনেমায় অড্রে হেপবার্নের পরিধান করা একটি হলুদ উলের গিভেঞ্চি কোট ৪০ হাজার ডলারে বিক্রি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে মেরিলিন মনরোর মালিকানাধীন একটি ঘড়ির দাম উঠতে পারে ৪ হাজার ডলার। বেভারলি হিলস এবং অনলাইনে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে জিনিসগুলো বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: সিএনএন