আখাউড়া প্রতিনিধি :
আধুনিক সাংবাদিকতায় যুগান্তরের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা।
যুগান্তরের দুই যুগে পদার্পণ উপলক্ষে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক তথ্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় দৈনিক যুগান্তর আজ দেশের সেরা সংবাদপত্র। যা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল থেকে স্বীকৃতপ্রাপ্ত। যুগান্তর ভালোকে ভালো ও মন্দকে মন্দ বলতে দ্বিধান্বিত করেনা। এদিকে আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাংলা টিভির প্রতিনিধি এবং জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলামের উদ্যোগে উপজেলা ডাকবাংলো মিলনায়তনে যুগান্তর স্বজনদের কেক ও মিষ্টি মুখে তুলে দেয়া হয়েছে। এসময় ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ভাতশালা ফ্রেন্ডশীপ ক্লাবের সভাপতি যোবায়ের আহমেদের পক্ষে সংগঠনের সদস্য ইফতি।
যুগান্তরের আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম, রেলওয়ে থানার ওসি আলীম হোসেন শিকদার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সিআই আবু সুফিয়ান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হেসেন বাবুল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান, যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল পারভেজ, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মিয়া মালদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ্, ত্রিপুরার দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি দুলাল ঘোষ, যায়যায়দিন প্রতিনিধি হান্নান খাদেম, ইত্তেফাক প্রতিনিধি ফজলে রাব্বি, বিজয় টিভির আশরাফুল মামুন, দেশ রূপান্তর প্রতিনিধি জালাল হোসেন মামুন, আরটিভি সৌদি আরব জেদ্দা প্রতিনিধি হানিছ সরকার উজ্জল, আজকের পত্রিকার সাদ্দাম হোসেন, বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধি রুবেল আহমেদ, এশিয়ান টিভির মোহাম্মদ আবির, প্রতিদিনের সংবাদের মোহাম্মদ শরীফ, আমাদের নতুন সময় প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ পারভেজ, দৈনিক আমাদের বাংলা ও দৈনিক কুরুলিয়ায়’র আখাউড়া প্রতিনিধি মোঃ ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ সমাচারের অমিত হাসান অপু সাংবাদিক শেখ মনির হেসেন নিজাম ও রিফাত অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যুগান্তরের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদ এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের উৎসবে পরিণত হয়।
অন্যদিকে যুগান্তর পত্রিকা সাহসী অভিযাত্রায় দুই যুগে পদার্পণে আখাউড়া উপজেলার অজস্র পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকারসহ সর্বস্তরের শুভানুধ্যায়ীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সকাল থেকে পিকআপ যোগে উপজেলাজুড়ে মাইক ও ঢাকঢোল বাজিয়ে আনন্দ উদযাপন করেন স্বজন সমাবেশের সদস্য এবং স্থানীয় প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশু।
অনুষ্ঠানে যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের অসামান্য অবদান নিয়ে আলোচনা এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার সময় মাটি ভর্তি ৫টি ড্রাম ট্রাক এবং এক্সভেটরের ব্যাটারি জব্ধ করা হয়েছে। এসময় ট্রাক চালককেও আটক করা হয়। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গাজালা পারভিন রুহি মঙ্গলবার রাতে অভিযান পরিচালনা করেন। তবে মাটি কাটার মূল মালিককে আটক করা যায়নি। জব্দকৃত ট্রাকগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে। ট্রাকের মালিক না পাওয়া গেলে নিলামে বিক্রি করা হবে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাায়ই কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগ আসছিল। বিশেষ করে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে বেশি মাটি কাটা হচ্ছিল। সন্ধ্যার পর কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ড্রাম ট্রাক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গাজালা পারভিন রুহি মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত ধরখার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ধরখার-উজানিসার ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের কৃষি জমি থেকে মাটির কাটার সময় মাটি ভর্তি ৫টি ড্রাম ট্রাক চালকসহ জব্ধ করা হয়। পরে জব্ধকৃত ট্রাকগুলো উপজেলা পরিষদ মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে। ট্রাকচালকরা বেতনভূক্ত কর্মচারী হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
একটি সূত্র জানায়, ধরধার এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র রাতের আঁধারে কৃষি জমি থেকে এক্সভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে বড় বড় ড্রাম ট্রাকে কুমিল্লার বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডে বিক্রি করে। প্রতি রাতে ৪০/৫০টি ড্রাম ট্রাক ৭ থেকে ৮ বার মাটি নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত্র পর্যন্ত মাটি কাটা হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহি বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে বলা আছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা হলে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সাজা দেওয়ার বিধান আছে। ট্রাক চালকরা বলেছে তারা মাটি কাটার মূল ব্যক্তিকে চেনে না। বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে মাটি নিতে এসেছে। ট্রাকগুলো নিতে এলে মাটি কাটার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে জরিমানা করা হবে। নতুবা জব্ধকৃত ট্রাকগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে। অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার বাজেট দিয়েছে ৭ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকা। বিএনপি দাতাদের পরামর্শে বাজেট দিত। সেই চিত্র এখন পাল্টেছে। আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছি। বঙ্গবন্ধুর সেই কথা আমাদেরকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমরা জাতির পিতার সন্তান। আমাদেরকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না ইনশাল্লাহ।
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল আরো বলেন, কর্ণফুলী টানেল হয়েছে, মেট্টে রেল হচ্ছে। বাজেট ঘোষণার পর দেখা গেছে, আমাদের দারিদ্র সীমা কমে এসেছে। চাকরী প্রার্থীর সংখ্যাও আস্তে আস্তে কমে আসছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নতি করার প্রচেষ্টা এগিয়ে চলছে। কিন্তু দু:খের বিষয় সেই উন্নয়ন কারও কারও চোখে ভাল লাগছে না। এরমধ্যে বিএনপি যারা লুটপাট করে বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়েছিল। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি প্রমান করে দিয়েছিল। একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র করার সকল সরঞ্জাম তৈরি করে ফেলেছিল। তারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে পায় না। চোখ থাকতেও তারা অন্ধ। এখন কিছু ষড়যন্ত্রকারীও তাদের সাথে যোগ হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের কথা মনে রাখতে হবে। গতকাল শুক্রবার সকালে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মোগড়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপির শেষ সময়ে বাজেট দিয়েছিল ৬৩ হাজার কোটি টাকা। বিএনপি দাতা দেশের পরামর্শে বাজেট দিত। মিটিং হতো প্যারিসে। বড় বড় রাষ্ট্রগুলো থেকে টাকা নিয়ে বাজেট দিত। বাজেটে লিখা থাকতো শতকরা ৮০ টাকা আসবে বিদেশ থেকে আর বাকী টাকা দিবে দেশের জনগণ। সেই চিত্র এখন পাল্টে গেছে। আজকে এত বিপুল পরিমাণ টাকার বাজেট দেওয়ার পরও শতকরা ৮৩ টাকা দিবে বাংলাদেশের জনগণ। আর বাকী টাকা আসবে বিদেশ থেকে।
সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে না। কারণ নির্বাচন দিলেই তারা বলে নির্বাচনে যাবে না। গত নির্বাচনে বিএনপি প্রতিটি আসনে ৩/৪ জন প্রার্থী দিয়েছে। তারপরে বলে নির্বাচন করবে না। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন করবে না। নিবার্চন নষ্ট করবে। মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মারবে। এ ব্যপারে সবাইকে সর্তক থাকার আহবান জানান তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, সুদখুররা যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকবেন। ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন বাংলার মানুষ, বাংলার ছাত্রছাত্রীরা শেখ হাসিনার সাথে আছে। ষড়যন্ত্র করে পার পাবে না। ষড়যন্ত্র করলে জনগণ উচিত শিক্ষা দিয়ে দিবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বারের পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন, নারী-শিশুসহ হাজারো নিরীহ মানুষ হত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় আখাউড়া উপজেলার মডেল মসজিদ থেকে মিছিলটি বের হয়ে পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে রেলস্টেশনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বিক্ষোভ সমাবেশে শতাধিক ছাত্র অংশগ্রহন করে।
সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ নেওয়াজ, মো: রুবায়েত ও মাওলানা মো: সাইদুল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গাজায় নারী শিশুসহ সবাইকে নির্বিচারে হত্যা করছে ইহুদিরা। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু ধ্বংস দিচ্ছে। এই সব গণ্যহত্যার বিরুদ্ধে মানুষ বিশ্বব্যাপী গর্জে উঠেছে। বক্তারা ইসরাইলী গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধের দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে আখাউড়া ও বিজয়নগর থানার মামলার ওয়ারেন্ট ও গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ১৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো পৌরশহরের দেবগ্রামের শাহ আলমের ছেলে আলী নেওয়াজ, মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামের আক্কাছ মিয়ার মেয়ে মোছা. নরুনাহার আক্তার ওরফে খাদিজা আক্তার, আক্কাছ মিয়ার স্ত্রী মোছা. মিনা বেগম ও স্বামী আক্কাছ মিয়া, ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত আজিজ খন্দকারের ছেলে মো. বিল্লাল মিয়া খন্দকার, দুর্জনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আফজাল হোসেন, পৌরশহরের টানপাড়া গ্রামের রৌফ মিয়ার ছেলে মো. আলাল মিয়া ও একই গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. রায়হান, পৌরশহরের রাধানগর গ্রামের মৃত আলমগীর ভুইয়ার ছেলে মো. রনি ভূঁইয়া, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গোয়াল গাংগাইল গ্রামের জনাব আলীর ছেলে মো. মালু মিয়া ওরফে বাবু, পৌরশহরের খড়মপুর মৃত মুছা মিয়ার ছেলে মো. বাবু মিয়া ও মো. জাকির মিয়া এবং উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মো. রোমান মিয়া।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ছমিউদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃতদেরকে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফাঁসি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে নির্যাতিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলাবাসীর আয়োজন রেলওয়ে স্টেশনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন আবদুর সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ আক্তার হোসেন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান সানী, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাহার মিয়া, বিএনপি নেতা শেখ জীবন, মহিলা দলের নেত্রী অন্তুরা বেগম, আবু বকর প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মানুষের বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার ছিলোনা। সারা দেশের মতো কসবা-আখাউড়ায় বিএনপি অসংখ্য নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। গুম, খুন করেছে। সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের নির্দেশে ২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনের দিন তারাগন ভোটকেন্দ্রে পৌর যুবদলের সহ-সভাপতি হাদিস মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
আওয়ামীলীগ আমলে আখাউড়ায় ক্রস ফায়ার দিয়ে মানুষকে হত্যা করেছে।
তারা লুটপাট ও জনগনের জায়গা জমি দখল করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। মানববন্ধনে উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের নিহত রহিজ মিয়ার স্ত্রী খাদিজা ও তার ছেলে অভিযোগ করেন আনিসুল হকের নির্দেশে সাদা পোষাকে রহিজ মিয়াকে ধরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ক্রয় ফায়ার দিয়ে হত্যা করা হয়। তারা রহিজ হত্যার বিচার চান।
মানববন্ধনে হত্যা, মামলা-হামলায় নির্যাতিত পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।