চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পৃথক অভিযানে ৬০ কেজি গাঁজা, ৩০ বোতল ফেনসিডিল এবং ১১ বোতল স্কপ সিরাপসহ মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে ও আজ ১২ জুলাই শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারি ইউনিয়নের সাতপাড়া এবং কসবা-চৌমুহনী আঞ্চলিক সড়কের শাহপুর পশ্চিমপাড়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর আলম মেহারি ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে সাতপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রামের আলমগীরের বাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আলমগীরের বসত ঘর তল্লাশী করে ২০ কেজি গাঁজা, ৩০ বোতল ফেনসিডিল এবং ১১ বোতল স্কপ সিরাপ উদ্ধার করা হয়। জাহাঙ্গীর ও আলমগীর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।
তিনি আরো জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কসবা-চৌমুহনি আঞ্চলিক সড়কের শাহপুর এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকসা তল্লাশী চালিয়ে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী মো. মাসুক মিয়া, ছোটন রাজু ও জসিম পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় প্রাইভেটকারে গাঁজা বোঝাইয়ের সময় দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ৩২ কেজি গাঁজাসহ প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌর এলাকার শাহাপুর রাজাপুর গ্রামে গাঁজাসহ আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- শাহপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর দুই ছেলে মো. সাত্তার (২৮) ও মো. সেলিম (৩২)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাইভেটকারে মাদক বোঝাইয়ের সময় দুই কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে৷
চলারপথে রিপোর্ট :
একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে উল্টে গিয়ে নারী, শিশুসহ অন্তত ২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ ৬ এপ্রিল রবিবার ভোরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার তিনলাখ পীর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন রহমান জানান , সিলেট থেকে ছেড়ে আসা এস, আর পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তিনলাখ পীর এলাকা অতিক্রম করার সময় তিনলাখ পীর ব্রিজের উওর পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে এবং আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১০ হাজার ৭৫০ কেজি ভারতীয় চিনিসহ চার পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় চিনি বহনকারী একটি কাভার্ড ভ্যান ও দুইটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
আজ ১৬ জুন শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার কুটি কাঠের পুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এই ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার রানীয়ারা গ্রামের মরহুম আবদুল মালেকের ছেলে মাসুম পারভেজ (৩২), কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার চরবাকর গ্রামের মরহুম জয়নাল আবেদীনের ছেলে টিপু সরকার (৩০) ও একই এলাকার মরহুম খোকন মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (২৫) এবং বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার দয়াসুর গ্রামের মরহুম শাহজাহান সরদারের ছেলে সোহাগ সরদার (২৫)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে আনা চিনি পাচার হচ্ছে- গোপনে পাওয়া এমন খবরে কুটি কাঠের পুল এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান ও দুইটি পিকআপ ভ্যান আটক করে। পরে এসব গাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে ২১৮ বস্তা ভর্তি চিনি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অগ্নিকান্ডে একটি মাকের্টের চারটি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। আজ ২১ জুন বুধবার বিকেলে কসবা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারের সীমান্ত কমপ্লেক্স সংলগ্ন মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান। খবর পেয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার বিকেল বিকেল ৪টার দিকে সীমান্ত কমপ্লেক্স সংলগ্ন টিনশেডের ওই মার্কেটে আগুন লাগে। আগুনে দু’টি রড সিমেন্টের দোকান, একটি ফুলের দোকান ও একটি এসএস পাইপের দোকান পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কসবা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার আবদুল আল খালিক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এসএস পাইপের দোকানে ঝালাইয়ের কাজ করা হয় বলে সেখান থেকে বৈদ্যুতিক সট সার্কিট হয়ে আগুন লাগতে পারে। তিনি বলেন, তদন্ত না করে আনুমানিক ক্ষতির কথা বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিমুল এহসান খান, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন জুয়েল, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অপহরণের ঘটনায় জড়িত স্কুল শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়েছে।
৩ ডিসেম্বর রবিবার চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানার কাঠগড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত ইকবাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নিবড়া এলাকার আরু মিয়ার ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক। তারই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন ইকবাল। তার উত্ত্যক্তের কারণে একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
গত ২৮ নভেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বাড়ির পাশ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান ইকবাল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে কসবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেন। এতে ইকবালকে একমাত্র আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে রবিবার গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।