চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ তাকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তি হলো আমোদাবাদ গ্রামের নারায়ণ দাশ প্রকাশ ধনু (৬০)।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এসআই মো. এরশাদ মিয়া সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ গোপন সংবাদে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ উত্তরপাড়ায় একটি পুকুরের পাশে বাঁশঝাড় থেকে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এসময় নারায়ন দাশকে আটক করা হয়। ধৃত নারায়ন দাশের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গায়ে কাঁটাযুক্ত এই ফল দেখতে কিছুটা কদম ফুলের মতো। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে লাল বা গোলাপি রং ধারণ করে। ফলের ওপরের খোসা ফেলে দিলে ভেতরের অংশটা দেখতে লিচুর মতো, স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। এটি বিদেশী ফল রামবুটান।
আখাউড়ায় প্রথম বারের মত রামবুটান চাষ করে সফল হয়েছেন প্রবাস ফেরত রাজু আহমেদ মোল্লা। তিনি আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা মরহুম নাছির মোল্লার পুত্র। কৃষি কাজে রাজু মোল্লার খুবই আগ্রহ। তিনি প্রায় ১ একর ৮০ শতক জায়গা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান করেছেন। তার বাগানে রয়েছে কাঁঠাল, লিচু, বড়ই, লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ।
এদিকে রাজু মোল্লার রামবুটান ফল নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এই ফলের গাছ ও ফল দেখতে তার বাড়িতে ভীড় করেন। রাজু মোল্লার সফলতা দেখে রামবুটান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এলাকার মানুষ।
সরজমিনে চাঁনপুর গ্রামে রাজু মোল্লার ফুলকলি গার্ডেন গাউসে গিয়ে দেখা যায়, রামবুটান গাছে পাতার পাতার ফাঁেক চিকন ডালে থোকায় থোকায় রামবুটান ঝুলছে। সবুজ এবং লালচে রংয়ের ফল। উপরিভাগে সবুজ রংয়ের লোমের মত। দেখতে লিচু মত তবে আকাড়ে লিচুর চেয়ে কিছুটা বড়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ফলটির জন্মস্থল মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে। এখন আমাদের দেশেও বিভিন্ন জায়গায় ফলটি চাষ হচ্ছে। রামবুটান গাছে মার্চ মাসে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং এপ্রিল মাসে কচি সবুজ রঙের ফল ধরতে আরম্ভ করে। ফুল ফোটার ৩-৪ মাস পর জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। ফল পুষ্ট হলে সবুজ রঙের ফল হঠাৎ করে লাল, মেরুন রঙে রূপান্তর হতে থাকে। এ অবস্থা শুরু হওয়ার ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়।
চাষী রাজু আহমেদ মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর মালয়েশিয়ায় কর্মজীবন কাটিয়ে গত বছরের মাঝামাঝি পরিবারের প্রয়োজনে দেশে ফিরে আসি। দেশে এসেই হঠাৎ করে বেকার হয়ে পড়ি। তারপর কৃষিকাজটা মন থেকে বেছে নিলাম। হালাল পথে আয়-রোজগার করার এটা ভালো পথ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন জায়গা যেন অনাবাদি না থাকে। তাই আমি প্রতিটি জায়গায় কৃষি এবং ফসল ফলানোর চেষ্টা করছি। এটা করতে আমার ভালো লাগে। কৃষিকাজ-গাছের যত্ন করে আমার সময় কেটে যায়। নিজে খাওয়ার পাশাপাশি ফল বিক্রি করে ভালো আয় হয়। আল্লাহর রহমতে আমি মোটামুটি স্বাবলম্বী এবং ভালো আছি।
তিনি বলেন, ২০০২ সালে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার সময় সঙ্গে করে একটি রামবুটান ফলের চারা নিয়ে এসেছিলাম। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির আঙিনায় চারাটি রোপন করে যাই। ৬/৭ বছর পর গাছে ফল আসতে শুরু করে। প্রথম কয়েক বছর অল্প পরিমাণে ফল আসতো। নিজেরাও খেয়েছি। কিছু আত্মীয় স্বজনকে দিয়েছি।
এবছর প্রায় এক মন ফল এসেছে। ৩০-৩৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, রাম্বুটান ফল চাষ করতে বাড়তি কোন পরিশ্রম করতে হয় না। লিচু গাছের মতই চারা রোপন করে দিলে আস্তে গাছ বড় হয়ে যায়। স্বাভাবিক যতœ নিলেই হয়। তবে এ গাছের শত্রু বাদুড়, ইঁদুর ও পাখি। এ জন্য গাছে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে দিতে হয়।
আখাউড়া সড়ক বাজারের ফল বিক্রেতা মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, রামবুটান ফলটি আখাউড়ায় কেউ বিক্রি করেনা। তবে ঢাকায় পাওয়া যায়। শুনেছি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, রামবুটান ফলটি লিচু পরিবারের। এটি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় ও ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে বেশি জন্মে। ফলটির খোসায় হালকা চুলের মতো আবরণে ঢাকা। ফলটির ভেতরে লিচুর মতো শ্বাস থাকে। খেতে সুস্বাদু ও মুখরোচক এবং রয়েছে ঔষধি গুণও। আখাউড়া উপজেলার পাহাড়ী এলাকা রামবুটান চাষের জন্য উপযোগি।
বিশেষ করে যেখানে লিচু, কাঠাল ফল হয় সেখানে রামবুটান ভালো চাষ হবে। তিনি বলেন, চাষী রাজু মোল্লাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এ ফল চাষ আখাউড়ায় আরও সম্প্রসারিত হয়।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
পূর্বাঞ্চল রেলপথে ট্রেনে বুকিং করে ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচার হচ্ছে। মালবাহী বগিতে বুকিং করে কুমিল্লা থেকে কিশোরগঞ্জ নেয়ার পথে আখাউড়ায় ১০ বস্তা ভর্তি বিপুল পরিমান ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ আতঁশবাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান পরিচালনার সময় রেলওয়ে পুলিশ এই আতঁশবাজি উদ্ধার করে।
আজ ২১ এপ্রিল সোমবার বিকালে আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় একটি মালের বগিতে তল্লাশী চালিয়ে দশ বস্তা ভর্তি কিং কোবরা নামে ৮৯০০ প্যাকেট ও কালার সিলেকশন ৮০ প্যাকেট আতঁশবাজি উদ্ধার হয়। মাছের খাদ্যের বদলে কুমিল্লা থেকে কিশোরগঞ্জ নেয়ার জন্য আজাদ মিয়া ও রাসেল মিয়া নামে দুই ব্যক্তি এই আতঁশবাজি বুকিং করেছিল ট্রেনে।
আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার এরশাদুর রহমান জানান, মালের বুকিং চালান কপি অনুযায়ী আজাদ ও রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। ট্রেনে চোরাচালান বিরোধী পুলিশের এই ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌরসভায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধে পক্ষকাল ব্যপী মশক নিধন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। পৌরসভার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
পৌরসভারর ৯টি ওয়ার্ডে ফগার মেশিনের মাধ্যমে ওষুধ ছিটানো হবে এবং ঝোঁপ-জঙ্গল পরিস্কার করা হবে।
এময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছেল আহাম্মদ খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, উপজেলা সার্ভেয়ার জহুরুল ইসলাম, মোঃ মাহবুব মোল্লা, আমির হোসেন প্রমুখ।
পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছেল আহাম্মদ খান বলেন, আমরা আগের চেয়ে উন্নত মানের ক্যামিকেল সংগ্রহ করেছি। জন কর্মী পৌরসভার ৪ ৯টি ওয়ার্ডের এ ক্যামিকেল ব্যবহার করে ঔষধ ছিটিয়ে দিবে।
আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মহামারি আকার ধারন করেছে। আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফার নেতৃত্বে মশক নিধনে আমরা পক্ষকাল ব্যপী একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছি।
আজ ইউএনও মহোদয়ের বাসভবনসহ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে ফগার মেশিনে ঔষধ ছিটিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঔষুধ দেওয়া হবে।
এছাড়া ড্রেন, ঝোপ-জঙ্গল যেখানে মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সেখানে ঔষধ দেওয়া হবে। এজন্য তিনি পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিন ব্যাপী সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা আগামী ২০ অক্টোবর শুরু হবে। পুজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপন উপলক্ষে আজ ২ অক্টোবর সোমবার দুপুরে আখাউড়া থানা পুলিশের আয়োজনে মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা-আখাউড়া) সার্কেল মোঃ দেলোয়ার হোসেন। থানার হল রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধি, পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ২৩টি পুজা মন্দিরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ বছর আখাউড়ায় ২৩টি মন্ডপে দূর্গাপুজা উদযাপিত হবে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক, রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের নির্বাহী সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিদু ভুষন বর্মন, সুভাষ দাস, ভজন দেব।
হিন্দু নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে পুজা মন্দিরে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্গাপুজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ও সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। নির্বিঘ্নে সুন্দর ভাবে পুজা উদযাপন করার আহবান জানানো হয়। প্রতিটি পুজা মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় স্কাফ সিরাপসহ আঁখি আক্তার নামে এক নারীকে আটক করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। তবে আঁখি আক্তার মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও মাদক ব্যবসায়ীর গচ্ছিত রাখা স্কাফ সিরাপ তার গোসলখানায় পাওয়ায় আঁখি আক্তারকে আটক করা হয়। এসময় তার গোসলখানায় থাকা ১০০ বোতল ভারতীয় স্কাফ সিরাপ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত সংলগ্ন আনোয়ারপুর গ্রামের আঁখি আক্তারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আঁখি আক্তার ওই গ্রামের ওমান প্রবাসী সুমনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের পুলিশ প্রবাসী সুমনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বাড়ির গোসলঘর থেকে ১০০ বোতল ভারতীয় স্কাফ সিরাপ পাওয়া যায়। পরে স্কাফ সিরাপসহ আঁখি আক্তারকে আটক করা হয়।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম জানায়, আটককৃত আঁখি আক্তার মূলত মাদক ব্যবসায়ী না। তার বাড়িটি সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় ওপার থেকে আসা মাদকের চালান তার বাড়িতে রেখে সুযোগমত অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হত। বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আঁখি আক্তার টাকা নিতেন। কিছুদিন থেকে এমন একটি খবর আমাদের কাছে ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে স্কাফ সিরাপসহ তাকে আটক করি। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়।