বিনোদন ডেস্ক :
কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের গান শ্রোতারা বরাবরই পছন্দ করে। তাঁর ‘নিশিথে আইসো ফুলবনে’, ‘বাবুজি’, ‘শ্যাম পিরিতি’ গানগুলো শ্রোতারা এখনো শোনে। একসময় নিয়মিত গান প্রকাশ করলেও গত কয়েক বছর ধরে কম গান করছেন আঁখি আলমগীর।
সর্বশেষ এ বছর ৩১ মার্চ শওকত আলী ইমনের সঙ্গে ‘কফির পেয়ালা’ শিরোনামের গান প্রকাশ করেছিলেন আঁখি।
দুই জনই ভিডিও চিত্রে হাজির হয়েছিলেন। সমালোচকরা গানটির প্রশংসা করেছিলেন। অথচ এরপর আর কোনো গান প্রকাশ করেননি এই গায়িকা। অনেক অডিও প্রতিষ্ঠান নতুন গানের প্রস্তাব দিলেও সময় নিচ্ছেন তিনি।
কারণ হিসেবে বললেন, ‘গান তো প্রকাশ করলে যখন-তখন করা যায়। কয়েকটি গান তৈরিই আছে। প্রকাশ করছি না অনেক কারণে। একে তো এখন অস্থির সময় চলছে, শ্রোতারা ট্রেন্ডি গানে মজে আছে।
তারা আগে শান্ত হোক, তারপর নতুন গান।’
আঁখি আলমগীর আরো বলেন, ‘আমরা চাইলেও তো সস্তা কথার গান করতে পারব না। চলতি কথার গান এক ধরনের আর সস্তা কথার গান আরেক ধরনের। এমনিতে বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। একটা শ্রোতামহলও আছে আমার।
তাদের নিরাশ করতে চাই না।’
আঁখি আলমগীর এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে কয়েকটি স্টেজ শোতে তিনি অংশ নেবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের হায়দ্রাবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় লক্ষ্য দিয়েও জয় নিশ্চিত করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। এদিকে ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার ৩৪৫ রানের জবাবে ইমাম-উল-হক ও বাবর আজম দুজনেই ফিরে যান দলীয় ৩৭ রানে। এরপর যা ঘটেছে– সেটি পাকিস্তান কেন ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট! লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জোড়া সেঞ্চুরির জবাবে পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আব্দুল্লাহ শফিকও ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেছেন। যার ওপর ভর করে ১০ বল হাতে রেখেই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান টপকানোর রেকর্ড গড়েছে বাবরের দল।
চলারপথে রিপোর্ট :
শেরপুরে প্রতিবছর বারুনী মেলা শেষে ‘বউ মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের গাড়ীদহ নামক স্থানে করতোয়া নদীর পশ্চিম কোল ঘেঁষে এই মেলা বসে। মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই নারী। কোনো পুরুষ আসতে পারে না। তাই বিভিন্ন বয়সী নারীরা প্রাণভরে মেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিনেছেন প্রসাধনীসহ নানা পণ্য সামগ্রী। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই মেলা। বিগত কয়েক যুগ ধরে এই অঞ্চলের নারীদের জন্য মেলাটির আয়োজন হয়ে আসছে।
জানা যায়, প্রতি বছর বিশাল মাঠজুড়ে মেলা বসে। মেলায় স্থান পেয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকান। এক পাশে চলছে হুন্ডা ও নাগরদোলা খেলা। নারীরা দলবেঁধে আবার এলোমেলোভাবে দোকানে দোকানে ঘুরছেন। জিনিসপত্র পছন্দ করছেন। দরদাম করে পছন্দের জিনিসটি কিনছেন। আবার অনেকেই ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নানা ধরনের ভাজিপুরি দোকানে যান। সন্তানদের আবদার পুরনে সেগুলো দোকানে বসে বা পাশে দাঁড়িয়ে অনেককে খেতেও দেখা যায়।
এলাকার নিমাই চন্দ্রের স্ত্রী কল্পনা ঘোষ জানান মেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের খেলনা, কসমেটিকস, হাত পাখা, কাঠের সামগ্রী, মিষ্টান্ন সামগ্রী কিনেছেন। ছেলে-মেয়েকে হুন্ডা খেলা দেখিয়েছেন। নাগরদোলায় চড়ে ওরা ব্যাপক আনন্দ করেছে।
মেলায় আসা সালমা আকতার জানান, বাড়ির কাছে মেলা হওয়ায় সকালে একদফা এসেছিলাম। বিকেলেও আরেকদফা মেলায় এসেছি। অনেক কিছু খেয়েছি। মেলা থেকে কিছু সাংসারিক জিনিসপত্র কেনা হয়েছে। পাশাপাশি সন্তানদের জন্য নানা ধরনের খেলনা কিনেছি। বাদ যায়নি মিষ্টি কেনা। বউ মেলাটি ভীষণ আনন্দ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য আনিছুর রহমান জানান, প্রত্যেক বছর চৈত্রের বারুনী তিথির দ্বিতীয়দিনে এখানে বউ মেলার আয়োজন করা হয়। তবে এবার তিথি অনুযায়ী মেলা হয়নি। রোজার কারণে সেটি করা সম্ভব হয়নি। তাই রোজার ঈদের পরপরই বৈশাখে মাসে এসে ঐতিহ্যবাহী মেলাটি হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বউ মেলায় এসে বিভিন্ন বয়সী নারীরা এসে নানা ধরনের জিনিসপত্র কিনেছেন। এছাড়া এবার মেলা জাকজমকভাবে হওয়ায় সময়সীমা আরও দুই-একদিন বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, বারুনী তিথিতে এককালের প্রমত্তাখ্যাত করতোয়া নদীতে স্নানোৎসব করা হতো। এই তিথিতে এখানে স্নান করলে অতীত জীবনের সব পাপ মোচন করে দেন ইশ্বর। ইশ্বরের অপার কৃপা লাভ করা যায়। তাই উপজেলার গাড়ীদহ এলাকায় বহমান করতোয়া নদীতে স্নানোৎসবের আয়োজন করা হতো। যুগ যুগ ধরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসবকে ঘিরে মেলাটি হয়ে আসছে। সেই থেকে এই মেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশাপাশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। মেলা ঘিরে এই অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। স্বজনদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো গাড়ীদগ গ্রাম ও আশেপাশের এলাকা।
এলাবার প্রবীণ ব্যক্তি আজমল হোসেন জানান, কবে থেকে এখানে স্নানোৎসব ও মেলা হয়ে আসছে তা সঠিক করে বলা মুশকিল। তবে অনুষ্ঠানটি যে শতবর্ষী তা ধারণা করা হয়। আর এখানে কয়েক যুগ ধরে বউমেলা হয়ে আসছে বলেও জানান তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
টলিউড সুপারস্টার অভিনেতা দেব অভিনয় জীবনে ১৮-তে পা দিলেন। রবিবার একটি পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ১৮ বছরের জার্নি উদযাপন করেন দেব।
দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট করে অসংখ্য অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘হ্যালো সবাইকে! অবশেষে আজকে প্রাপ্তবয়স্ক হলাম ( Hello everyone! Finally I’ve become an adult today.. Mane 18 years old in the Industry! Thank you for the Love, Support and Blessings over the years).
গুটি গুটি পায়ে বাংলা সিনেমা জগতে দেব একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছে। একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা দীপক অধিকারি ( দেব) আজ হয়ে উঠেছে সুপারস্টার অভিনেতা।
তবে সিনেমার জগতে দেবের সব চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তার বাংলা উচ্চারণ নিয়ে। তবুও থেমে থাকেননি দেব।এখনও সামাজিক মাধ্যমে দেবকে ট্রোল করার জন্য রয়েছে একাধিক পেজ। তাতে অবশ্য ভাঁটা পড়েনি জনপ্রিয়তা একচুলও।
তারপর সুপারহিট বাংলা ছবির মধ্যে ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘খোকাবাবু’, ‘খোকা ৪২০’, ‘সেদিন দেখা হয়েছিল’, ‘রংবাজ’, ‘পাগলু’-র অন্যমত।
এভাবেই বারবার অনুরাগীদের সারপ্রাইজ দিয়ে সুপারস্টার দেব হয়ে উঠেছেন কাছের মানুষ।
বিনোদন ডেস্ক :
ভারতীয় গোয়েন্দা ভিত্তিক প্রথম টিভি সিরিজ ‘সি. আই. ডি’ এর অভিনেতা দীনেশ ফাদনিস মারা গেছেন। সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মুম্বাইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দীনেশকে। তারপর থেকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আজ তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
প্রথমে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দীনেশ। কিন্তু এ তথ্য সঠিক নয় বলে জানান সিআইডির আরেক অভিনেতা নয়ানন্দ শেঠি। এ অভিনেতা পিঙ্কভিলাকে বলেন, ‘এটি হার্ট অ্যাটাক নয়; তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে দ্রুত তাকে তুঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত দুই দিন তার শারীরিক অবস্থা অনেক বেশি আশঙ্কাজনক ছিল। তবে এখনো তার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়নি। আশা করছি, খুব শিগগির সে সুস্থ হয়ে ওঠবে।’
মূলত, ঔষুধের প্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দীনেশ। তা জানিয়ে দয়ানন্দ শেঠি বলেন, ‘দীনেশের অন্য রোগের চিকিৎসা চলছিল। সেসব ঔষুধের প্রতিক্রিয়ায় দীনেশের লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য খুব ভেবেচিন্তে ঔষুধ খাওয়া উচিত।’
১৯৯৭ সালে প্রচার শুরু হয় সিআইডির। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ সিরিয়ালের ইন্সপেক্টর ফ্রেডরিক্স বা ফ্রেডি চরিত্রে অভিনয় করেন দীনেশ ফাদনিস। তার চরিত্রটি টেলিভিশন দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। নব্বই দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ভারতীয় টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় শোগুলোর একটি সিআইডি।