চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে চুরির অপবাদ দিয়ে সালিশ সভায় ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ১৩ জুলাই শনিবার রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ১৪ জুলাই রবিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য ইসহাক মোল্লা ও একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য হোসেন মিয়া।
বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জামিল খান জানান, কয়েকদিন আগে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের এক চৌকিদারের স্ত্রীকে চুরির অপবাদ দিয়ে সালিশী সভায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার নির্দেশে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন ওই নারীকে মারধোর করে। নির্যাতনের এই ভিডিও শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বিপণিবিতান তৈরির জন্য চার দশকের পুরোনো একটি পুকুর ভরাট করছেন স্থানীয় কয়েকজন। যদিও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিদিন ট্রাক্টরে মাটি ফেলে ভরাট চললেও রহস্যজনক কারণে নীরব কর্তৃপক্ষ। দুই মাস ধরে পুকুর ভরাটের কাজ চলছে।
ভরাটকাজে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, সবাইরে ‘ম্যানেজ’ করেই তাঁরা ভরাট করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। তবে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, তাঁরা কাউকে পুকুর ভরাটের অনুমতি দেননি। একবার ভরাটের খবর পেয়ে ভরাট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আবার ভরাট শুরু হলে তাঁরা উদ্যোগ নেবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, পুকুরটি বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের ৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। ইউএনও, সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রতিদিন পুকুরের সামনে দিয়ে যাতায়াত করেন। তাঁরা এ বিষয়ে কোনো কিছু বলছেন না। দুই মাস ধরে মাটি ফেলার কাজ করলেও তাঁরা শুরু থেকে নীরব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগরের চান্দুরা-আখাউড়া সড়কে ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর মোড়ে রাস্তা-সংলগ্ন পুকুরটি ৪০-৫০ বছরের পুরোনো। পুকুরের পূর্ব দিকের বাসিন্দা জলফু মিয়া, তাঁর ছোট ভাই আজিজুল হক ওরফে মলাই মিয়া, করিম মিয়াসহ কয়েকজন পুকুরটির ৭২ শতকের মালিক। সাড়ে তিন মাস আগে পুকুরটি ভরাট করতে পানি সরানো হয়। এরপর জলফু, মলাইসহ পাড়ের বাসিন্দারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি এনে ভরাটের কাজ শুরু করেন। পুকুরটি ভরাট করে সেখানে বিপণিবিতান নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। এ জন্য তাঁরা ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ভরাট করা বেআইনি। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী, প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি। কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অন্যদিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের (২০১০ সালে সংশোধিত) ৬ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।’
বিজয়নগর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের নাজির মো. সৈয়দ মিয়া ও বুধন্তি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের তহসিলদার কাজল বণিক বলেন, তাঁরা যতটুকু জানেন, জমিটি নালা শ্রেণির। সেটি ভরাটের অনুমতির জন্য তাঁরা ইউএনওর কাছে আবেদন করেছেন বলে শুনেছেন।
বিজয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান খান বলেন, অভিযোগ আসার পর ভরাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবার শুরু করলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। জমিটি জলাশয় না পুকুর শ্রেণির কাগজপত্র না দেখে বলা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন ও শ্রেণিভুক্ত না হলে ভরাটের অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে জমিটি কী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুকুরের মালিক আজিজুল হক বলেন, ‘আপনে আমারে কেন জিগাইতেছেন। ম্যাডামরে (ইউএনও) জিগান। ম্যাডামের কাছে সব কাগজপত্র জমা আছে। সব দিছি। জায়গাটি ২০০০ সালে আমরা কিনছি। এইডা পুকুর না, জলাশয়। এখানে জায়গা আছে ৭২ শতক। আমরার ভাই-বোনদের বাড়িঘরের প্রয়োজনে এইডা ভরাট করতাছি।’
তবে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, ‘আনুমানিক ৪০ বছর ধরে পুকুর হিসেবে দেখতেছি। ভরাট বন্ধের জন্য বলেছি। বিষয়টি ইউএনওকেও জানিয়েছি।’
কোনো পুকুর ভরাটের জন্য কাউকে অনুমতি দেননি বলে দাবি করেন ইউএনও রুবাইয়া আফরোজ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। প্রশাসনকে উৎকোচ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যিনি এই অভিযোগ করছেন, তাঁকে রেকর্ড বা প্রমাণ থাকলে দেখাতে বলেন। আমি তো বলছি, আমাকে একটু সময় দিন।’ দুই মাস ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় ভরাট চলছে উল্লেখ করলে রুবাইয়া আফরোজ বলেন, ‘আমি খোঁজ নেব।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিবসহ তিন নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২২ মে বুধবার বিকেলে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দফতর সম্পাদক (সহ-সভাপতি) কামরুজ্জামান দুলালের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মুখলেছুর রহমান লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ আহমেদ জয় ও মোর্শেদ কামাল।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা বর্হিভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যুবদলের সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় চলমান জাল জালিয়াতির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ আহমেদ জয় (আনারস), ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোর্শেদ কামাল (চশমা) ও সদস্য সচিব মুখলেছুর রহমান লিটন (বৈদ্যুতিক বাল্ব) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বিজয়নগর শাখার উদ্যোগে এক কর্মী সমাবেশ গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রায় মোহন চৌধুরী। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য সঞ্জয় রায় পোদ্দার, মো. বিল্লাল মিয়া, দুলাল মিয়া, সন্তোষ মোহণ ঋষি, আব্দুল আজিজ, হামদু মিয়া, অপূর্ব দেব, জামির আলী, সুহেল মিয়া, মো. মামুন, জন্টু রাজ পাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একদিকে কর্ম সংস্থানের অভাব, প্রতিদিন কর্মহীন হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ, অন্যদিকে হু হু করে বাড়ছে নিত্য পণ্যে র দাম। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ^াস উঠেছে। রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব দেখার দায়িত্বে ভোক্তা অধিদপ্তর, বিভিন্ন সংস্থা ও সরকার নির্বিকার। এভাবে চলতে থাকলে মানুষের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়বে। তাই আমরা অবিলম্বে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে নিত্য পণ্যের দাম কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি। দুর্নীতিবাজদের আইনের আওয়ায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করার দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্রাম শহরে গরীব মানুষের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করো। সভায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত বৃদ্ধিতে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তা কমানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবী জানান। সভায় আসন্ন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুক্তিযোদ্ধার কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই নামধারী সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের জারুইলতলা গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী গ্রামের ভূইয়া বাড়ির ফজলে এলাহী ওরফে উজ্জ্বল ভূইয়া (৫০) ও একই উপজেলার সিঙ্গারবিল গ্রামের ইয়ানুর রহমান (৩৩)। উজ্জ্বল দৈনিক প্রথম বুলেটিং এর প্রতিনিধি। উজ্জ্বলের সহযোগী হলেন ইয়ানুর। উজ্জ্বলের হাতে দৈনিক প্রথম বুলেটিং এবং নিউজ টোয়েন্টিফোর লাইভের লগো মাইক্রোফোন ছিল।
এ ঘটনায় জারুইলতলা গ্রামের বাসিন্দা ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ জহিরুলের বাবা আবু জামাল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। গত শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের জারুইলতলা গ্রামে জহিরুলের বাড়িতে যান নামধারী সাংবাদিক উজ্জ্বল ও তার সহযোগী ইয়ানুর। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালকে বাড়িতে না পেয়ে তারা ফিরে যান। পরে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই নামধারী সাংবাদিকের সাথে মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালের কথা হয়। এক পর্যায়ে তারা আবু জামালের বাড়ি যান। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আবু জামাল। এক পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামাল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন নথিপত্র দেখালে সেগুলোর ছবি মোবাইল ফোনে তুলেন দুই কথিত সাংবাদিক।
সাক্ষাতকার শেষে কমান্ডার সনদপত্র কোথায় জানতে চান তারা। এমন কোনো সনদ হয় না বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামাল উত্তর দেন। এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জামালকে আড়ালে নিয়ে যান উজ্জ্বল। কথিত সাংবাদিক উজ্জ্বল দেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধার কাছে ১২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদা না দিলে মুক্তিযোদ্ধার নাম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় দিয়ে দিবে বলে ভয় দেখান উজ্জ্বল। মুক্তিযোদ্ধা এক পর্যায়ে কথিত সাংবাদিক উজ্জ্বলকে ৫ হাজার টাকা দেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মোহাম্মদ জহিরুল স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তাদের আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানতে পারেন তারা ভুয়া সাংবাদিক এবং সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা চাঁদাবাজি করেন।
পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে তারা সহায়তা চান। রাতে পুলিশ পৌঁছে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রোববার সকাল ১১টায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, তারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তুলে দিবে হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করেছেন। মুক্তিযোদ্ধার ছেলের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। তাতে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের সহযোগিতা ছিল। গত ১৫ বছর বিএনপির নেতাদের অনেক জেল জুলুম খাটতে হয়েছে। কেউ বাড়িতে থাকতে পারেনি। আমরা চাইনা আমাদের মত মিথ্যা মামলায় কেউ হয়রানির শিকার হন।
গতকাল ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে বুধন্তি ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
তিনি বলেন, যারা অপরাধী তাদের বিচার করতে হবে। আমরা ৩১ দফার বাস্তবায়ন চাই এবং বর্তমান সরকারকে সব ধরণের সহায়তা করব। যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবেন।
বুধন্তি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ও আজিজুর রহমান হেলালের পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক পিপি শফিকুল ইসলাম, এড. তরিকুল ইসলাম রুমা, নিয়ামুল হক,উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জমির দস্তগীর, সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল হক, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল মিয়া, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রেজুয়ানুল হক শিষ, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মিজানুল ইসলাম, কাজী সজল মিয়া, হামিদুল হক খোকা, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নয়ন মিয়া প্রমুখ।