অনলাইন ডেস্ক :
কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬ তম শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। দুই দলের ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল চরম নাটকীয়তা। দর্শকদের বিশৃঙ্খলার কারণে খেলা শুরু হয় ১ ঘন্টা ১০ মিনিট পর। এরপর ম্যাচ শুরু হলেও প্রথমার্ধে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন জেমস রদ্রিগেজরাই। লাউতারো মার্টিনেজের ১১২ মিনিটের গোলে ১-০ গোলের জয়ে নিজেদের কোপা শিরোপা নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা।
এর আগে, নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো গোল আসেনি। এতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরুর কথা থাকলেও কলম্বিয়ান দর্শক-সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর মাঠে গড়ায় ফাইনাল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনাকে চাপে রাখে কলম্বিয়া। বলের দখল, লক্ষ্যে শট, কর্নার-সবদিক দিয়েই আধিপত্য বজায় রেখেছিল রদ্রিগেজরা। তবে ম্যাচের প্রথম মিনিটে দুর্দান্ত এক সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মন্টিয়েলের ক্রস থেকে পা ছোঁয়ালেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাননি আলভারেজ।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রথমবার আক্রমণে উঠে কলম্বিয়ানরা। তবে লুইস ডিয়াজের মাটি কামড়ানো শট ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের মিনিটেই বারের পাশ দিয়ে চলে যায় রদ্রিগেজের বাড়নো বলে করডোভা শট। এরপর ম্যাচের ১৩তম মিনিটে ফের আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে কুয়েস্টার হেড সহজেই মুঠোবন্দি করেন আর্জেন্টাইন কিপার।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন লারমা। তবে আর্জেন্টাইন বাজপাখির হাত ছুঁয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় বল। ম্যাচের বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় শেষমেষ গোলশূন্য বিরতি নিয়েই মাঠ ছাড়ে দল দুটি। বিরতি থেকে ফিরেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালায় দল দুটি। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। তবে তাকে হতাশ করেন কলম্বিয়ার রক্ষণভাগ।
ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে ডি মারিয়াও সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তার দুর্দান্ত শট ঠেকিয়ে দেন কামিলো ভার্গাস। ৮ মিনিট পরই দুঃখে ভাসে পুরো হার্ড রক স্টেডিয়াম। চোটে পড়ে ছাড়েন লিওনেল মেসি। এরপর সাইডবেঞ্চে বসেইকান্নায় ভেঙে পড়েন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক।
ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে জালে বল জড়িয়েছিল আর্জেন্টিনা। জালের নাগাল পেয়েছিলেন মেসির বদলি নামা গঞ্জালেস। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে সেটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে আরও একটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ার ক্রসে সামনে বাড়িয়েছিলেন গঞ্জালেস। তবে ঠিকঠাক টাইমিংয়ে সুযোগ লুফে নিতে পারেননি আলভারেজ। এতে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকে ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ।
অনলাইন ডেস্ক :
ফুচকা খাওয়ার কথা বলে মায়ের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে একটি বাঁশি কিনে দুই দিন ধরে নিজের স্কুলের সামনের সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ৭ বছরের শিশু আরাফ মাহিন। ট্রাফিক পুলিশের অবর্তমানে সড়কে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য বাগেরহাট শহরের পুলিশ লাইন স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফের এই প্রচেষ্টা।
৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পুরাতন পুলিশ লাইন্সের সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাতে বাঁশি নিয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকক চালকদের সুশৃঙ্খলভাবে সড়কে চলাচলের আহ্বান করছেন আরাফ। আরাফের হাতে থাকা একটি দিকনির্দেশক লাঠি দিয়ে তিনি যানবাহনগুলোকে সারিবদ্ধ ভাবে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। সড়কের চলাচলরত যানবাহনগুলো তার নির্দেশ পালন করছেন। আরাফের এমন উদ্যোগে খুশি হয়েছেন তার মা লাইলি আঞ্জুমানসহ পথচারীরা।
আরাফের মা লাইলি আঞ্জুমান বলেন, আরাফের উদ্যোগে আমি খুব খুশি হয়েছি। ফুচকা খাওয়ার জন্য ৩০ টাকা নিয়েছিল, পরে জানলাম সে বাঁশি কিনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। ওকে যখন নিতে আসছি তখন আমাকে বলে, আম্মু আমাকে একটা ঘণ্টা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দাও, চার ঘণ্টা বই পড়বো। ওর কথার পরে আর বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করিনি। বৃহস্পতিবার থেকে ও কাজ করছে, আমি দূর থেকে ওর সঙ্গে আছি। আরাফকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি আমি।
প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফ বলে, এই জায়গায় সব সময় পুলিশ আঙ্কেলরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু কয়েকদিন পুলিশরা দায়িত্ব পালন করছেন না। তাই মাঝে মাঝেই বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। এজন্য শৃঙ্খলা ফেরাতে আমি নিজে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি। অটো ও রিকশা চালক আঙ্কেলরাও আমার কথা শুনছেন, খুবই ভাল লাগছে। এছাড়া বড় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কের ময়লা পরিস্কার করতেও দেখা যায় শিশু আরাফকে।
শিশু আরাফ বাগেরহাট শহরের সরুই এলাকার ইমরুল হাসানের ছেলে। সে শহরের পুলিশ লাইন্স স্কুলে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, ট্রাফিক মোড়, দশানী, সাধনার মোড়, শালতলা ও ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিএনসিসি সরকারি পিসি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ ইউনিটের সদস্য, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে এনামুল হক বিজয়ের খুলনার টাইগার্স। রংপুর রাইডার্সকে ২৮ রানে হারিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করলো দলটি।
খুলনার দেয়া ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। দলীয় ৬ রানে এবং ব্যক্তিগত দুই রানে স্বদেশি মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে এলবিডবিøউ হয়ে ফেরেন পাকিস্তানের সুপারস্টার বাবর আজম। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ব্রান্ডন কিংও। তার বিদায়ে মাত্র ২ রানেই টপঅর্ডারে দুই ব্যাটারকে হারায় রাইডার্স। অন্যদিকে, এই ম্যাচেও আশানুরূপ কিছু করতে পারেননি জাতীয় দলের টি-২০’র ওপেনার রনি তালুকদার। টেস্টের মেজাজে ২৫ বল খেলে মাত্র ১৫ রান করে বিদায় নেন তিনি।
চলতি বিপিএলে ব্যাট হাসছে না টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসানের। মাত্র ২ রান করে দাসুন শানাকার বলে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ৮০ রানে ৭ উইকেট হারানো রংপুর শেষ পর্যন্ত ১৩২ করতে পেরেছে মোহাম্মদ নবীর কল্যাণে। তিনিই রংপুরকে আশা দেখাচ্ছিলেন। তবে তার ৩০ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। খুলনার হয়ে শানাকা তিন ওভার বল করে ১৬ রানে শিকার করেছেন তিন উইকেট। আর মোহাম্মদ নওয়াজ দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে নেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ ওয়াসিমও শিকার করেছেন দুই উইকেট।
আজ ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দেন রংপুরের স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই খুলনার অধিনায়ক বিজয়কে রনি তালুকদারের ক্যাচে পরিণত করেন মেহেদী। টাইগার্স অধিনায়ক ৭ বল মোকাবিলা করেও রানের খাতা খুলতে পারেনি।
তিন নম্বরে নামা খুলনার ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ও এদিন ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন। এই ম্যাচে আরেকবার ব্যর্থ বাঁহাতি ব্যাটার আফিফ হোসেন। ৬ বলে মাত্র ৪ রান করেন এই ব্যাটার। ৫০ রান তুলতে খুলনাকে খেলতে হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ওভার। বিনিময়ে উইকেট হারাতে হয়েছে তিনটি। এই ম্যাচে উইন্ডিজ তারকা এভিন লুইস আগ্রাসী শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৫ বলে তিনটি করে চার-ছক্কায় তিনি ৩৭ রানের ইনিংস খেলেই থামেন।
তবে খুলনার জয়ের ভিত গড়ে দেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ ও লঙ্কান অলরাউন্ডার শানাকা। ৫ম উইকেটে এই জুটিতে আসে ৭৭ রান। শানাকা ৩৩ বলে ৪০ করে ফেরেন। আর নওয়াজ খেলেন ৩৪ বলে ৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে খুলনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট ২০২৩-২৪ এর ফাইনাল খেলা নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার অপারেশন ম্যানেজার মোঃ আতিকুল ইসলাম খান।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, আবু কাউছার খান, আহমেদ হোসেন বুলবুল, আইডিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক রাজিব রায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচচ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সামন্নুহার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সার্বিক পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মোঃ রুহুল কুদ্দুছ (শামীম)।
খেলায় টসে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ জয়লাভ করে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ৪৪.৫ ওভারে ১৬৯ রান করে অল আউট হয়। অধিনায়ক তপু দত্ত ৫৫ ও আব্দুর ২০ রান করে। সম্মান ৩টি উইকেট পায়। বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় ২১.৪ ওভারে ৪১ রান করে অল আউট হয়। অধিনায়ক মেহেদী হাসান সর্বোচচ ১০ রান করে। আইডিয়ালের আরমান হোসেন তারেক ৫টি ও তপু দত্ত ২টি উইকেট পায়।
প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের তপু দত্ত।
খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার মোঃ আজিম ও আব্দুল্লাহ আল গাফ্ফার রিমন। স্কোরার আল মামুন ও রাহিম খান।
অনলাইন ডেস্ক :
১০৭ রানের লক্ষ্য পাড়ি দেওয়া খুব একটা কঠিন নয়। তবে শেষ দিনের প্রথম ঘণ্টায় কিউইদের জন্য আতঙ্কের নাম ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। মেঘলা কন্ডিশনে দারুণ বোলিং উপহার দেন তিনি। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জয়ের কাজটাও সহজ হতে থাকে নিউজিল্যান্ডের।
১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম ভারতের মাটিতে টেস্ট জিতল নিউজিল্যান্ড। হলো ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান। আর তাতে মূল্যহীন হয়ে গেল সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থের লড়াই। ঢাকা গেল না ৪৬ রানে অলআউটের লজ্জা। শেষ পর্যন্ত রোহিতদের ৮ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০০৪ সালে ওয়াংখেড়েতে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়াকে ১০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েও ১৩ রানে হারিয়ে দিয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারত। সাবেক কোচের সেই কীর্তি ছুঁতে পারলেন না রোহিত-কোহলিরা। এবার ২০ বছর আগের ইতিহাস ফেরাতে পারলেন না তারা।
নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটে হেরে গেল ভারত। টেস্টের শেষ দিন জয়ের জন্য টম লাথামদের দরকার ছিল ১০৭ রান। রোহিতদের প্রয়োজন ছিল ১০ উইকেট। ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় ১১০ রান তুলে নিলেন কিউইরা।
প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট হয়ে পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছিল ভারত। রোহিত স্বীকার করে নিয়েছিলেন উইকেট বুঝতে তার ভুল হয়েছিল। সেই ভুলের মাসুল দিল ভারতীয় দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্ট হেরে গেলেন রোহিতরা। ৩৬ বছর পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট হারল ভারত।
শনিবার ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৪৬২ রানে শেষ হওয়ার পর শেষ দিন জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১০৭ রান। দিনের দ্বিতীয় বলেই সফরকারী দলের অধিনায়ক টম লাথামকে (শূন্য) আউট করেন যাসপ্রিত বুমরাহ। দিনের শুরুতে উইকেট পেয়েও চাপ ধরে রাখতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। নিউজিল্যান্ডের অপর ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং তিন নম্বরে নামা উইল ইয়াং সাবলীলভাবে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। ইনিংসের ১৩তম ওভারে কনওয়েকে (১৭) আউট করে প্রতিপক্ষ শিবিরে আবার আঘাত হানেন বুমরাহ। তাতেও লাভ হয়নি। রাচিন রবীন্দ্র জুটি বাঁধেন ইয়ংয়ের সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তারা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। সাবলীলভাবে দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তারা।
মোহাম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি। তবু কিছুটা বিস্ময়করভাবে দলের দুই প্রধান স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদবকে প্রথম দেড় ঘণ্টায় আক্রমণেই আনলেন না রোহিত। স্পিনের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব ব্যাটারেরই দুর্বলতা রয়েছে। তাও রোহিত কুলদীপকে প্রথম আক্রমণে আনেন ইনিংসের ১৯তম ওভারে। ততক্ষণে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ২২ গজের সঙ্গে মানিয়ে নেন ইয়ং ও রাচিন। ফলে কুলদীপও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে সিরিচের প্রথম টেস্টে দলকে জেতালেন দুই কিউই ব্যাটার। রাচিন ব্যাট করলেন ওয়ানডে মেজাজে। নিউজিল্যান্ড যখন জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে, তখন অশ্বিনকে প্রথমবার আক্রমণে আনলেন রোহিত।
শেষ পর্যন্ত ইয়ং ৪৮ ও রাচিন ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেন। ভারতের পক্ষে উইকেট পেলেন শুধু বুমরাহ। তিনি ২৯ রান খরচ করে ২ উইকেট নিলেন। প্রথম টেস্ট হেরে তিন টেস্টের সিরিজ়ে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল ভারত।
অনলাইন ডেস্ক :
হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূজা চেরি জাজ মাল্টিমিডিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাসটি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়।
পূজা চেরি লেখেন, ‘আমার ১৪ বছর বয়সে জাজ আমাকে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করিয়েছে। আমি জাজেরই সৃষ্টি, জাজেরই মেয়ে। আগে মনে করতাম জাজ মানে শুধুই জাজ। কিন্তু আসলে আবদুল আজিজ ভাইয়া, খোকন ভাইয়া, বাপ্পি ভাইয়া, মাহি আপু, নুসরাত ফারিয়া আপু, রোশান, সিয়াম, সৈকত নাসির ভাইয়া, রায়হান রাফি ভাইয়াসহ আরো অনেকে মিলেই জাজ। আমার অল্প বয়সের কারণে আমি একটি ভুল করেছি। আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে আপনাদের ছোট বোন ও সহকর্মী হিসেবে ক্ষমা করে দেবেন।
উল্লেখ্য, জাজ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে নাম লেখান পূজা চেরি। এ প্রতিষ্ঠানেরই কয়েকটি চলচ্চিত্রে টানা অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। ‘নূরজাহান’, ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’ ছবিগুলোর নায়িকা তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজের সঙ্গে পূজার প্রেমের গুঞ্জন রটেছিল। এরপর ব্যক্তিগত মনোমালিন্য তৈরি হয়। জাজ থেকে বেরিয়ে আসেন পূজা।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি চাইছিল পূজা চেরি শুধু তাদের সঙ্গেই কাজ করুক। পূজার সঙ্গে তাদের তেমনই চুক্তি ছিল। ১৪ বছর বয়সে চুক্তিটি করেন পূজা।
অল্প বয়সে করা সেই চুক্তি থেকে বের হয়ে পূজা সবার সঙ্গে কাজ করতে চাইলেও স্বাচ্ছন্দ্যে পারছিলেন না।
এদিকে আবদুল আজিজও বারবার পূজা চেরিকে তাদের প্রতিষ্ঠানে ফেরাতে চাইছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার কথাবার্তা হয়েছে বলে জানা গেছে। আবদুল আজিজের মোহাম্মদপুরের আদাবরের বাসায় মিটিংও হয়েছে। এরপরই পূজা ফিরতে জাজে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন বলে জানা গেছে।