অনলাইন ডেস্ক :
কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬ তম শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। দুই দলের ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল চরম নাটকীয়তা। দর্শকদের বিশৃঙ্খলার কারণে খেলা শুরু হয় ১ ঘন্টা ১০ মিনিট পর। এরপর ম্যাচ শুরু হলেও প্রথমার্ধে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন জেমস রদ্রিগেজরাই। লাউতারো মার্টিনেজের ১১২ মিনিটের গোলে ১-০ গোলের জয়ে নিজেদের কোপা শিরোপা নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা।
এর আগে, নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো গোল আসেনি। এতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরুর কথা থাকলেও কলম্বিয়ান দর্শক-সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর মাঠে গড়ায় ফাইনাল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনাকে চাপে রাখে কলম্বিয়া। বলের দখল, লক্ষ্যে শট, কর্নার-সবদিক দিয়েই আধিপত্য বজায় রেখেছিল রদ্রিগেজরা। তবে ম্যাচের প্রথম মিনিটে দুর্দান্ত এক সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মন্টিয়েলের ক্রস থেকে পা ছোঁয়ালেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাননি আলভারেজ।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রথমবার আক্রমণে উঠে কলম্বিয়ানরা। তবে লুইস ডিয়াজের মাটি কামড়ানো শট ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের মিনিটেই বারের পাশ দিয়ে চলে যায় রদ্রিগেজের বাড়নো বলে করডোভা শট। এরপর ম্যাচের ১৩তম মিনিটে ফের আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে কুয়েস্টার হেড সহজেই মুঠোবন্দি করেন আর্জেন্টাইন কিপার।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন লারমা। তবে আর্জেন্টাইন বাজপাখির হাত ছুঁয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় বল। ম্যাচের বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় শেষমেষ গোলশূন্য বিরতি নিয়েই মাঠ ছাড়ে দল দুটি। বিরতি থেকে ফিরেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালায় দল দুটি। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। তবে তাকে হতাশ করেন কলম্বিয়ার রক্ষণভাগ।
ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে ডি মারিয়াও সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তার দুর্দান্ত শট ঠেকিয়ে দেন কামিলো ভার্গাস। ৮ মিনিট পরই দুঃখে ভাসে পুরো হার্ড রক স্টেডিয়াম। চোটে পড়ে ছাড়েন লিওনেল মেসি। এরপর সাইডবেঞ্চে বসেইকান্নায় ভেঙে পড়েন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক।
ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে জালে বল জড়িয়েছিল আর্জেন্টিনা। জালের নাগাল পেয়েছিলেন মেসির বদলি নামা গঞ্জালেস। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে সেটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে আরও একটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ার ক্রসে সামনে বাড়িয়েছিলেন গঞ্জালেস। তবে ঠিকঠাক টাইমিংয়ে সুযোগ লুফে নিতে পারেননি আলভারেজ। এতে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকে ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তির পথ যুব সংগঠনের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়া জেলা ঈদগা মাঠে দুই দলের অংশগ্রহণে এই প্রীতি সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মোঃ মোস্তাক মিয়া এর সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি এড. মোঃ মাসুদ পারভেজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক ও যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদি কৃষকদলের সদস্য সচিব, যুক্তরাজ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদি ফোরামের আহবায়ক শাহ মো ইব্রাহীম মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তি পথ যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোঃ মানিক মিয়া, আলহাজ্ব মোঃ ফরহাদ সিদ্দিকী, মোঃ সাদেকুল ইসলাম, মোঃ জামাল মিয়া(কবিরাজ), মোঃ হানিফ মিয়া, মোঃ ফরহাদ হোসেন আহমেদ, মোঃ অলিউর রহমান(প্র.শি.), মোঃ আজমল ছিদ্দিকী, মুক্তির পথ যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা মোঃ নাদিম মিয়া,মুক্তির পথ যুব সংগঠনের এক্সিকিউটিভ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল মিয়া(দলিল লেখক), উপদেষ্টা এনামুল হক(এনাম), মুক্তির পথ যুব সংগঠনের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ দিদার, সাবেক সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আরাফকত খন্দকার, সাবেক সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য এড. শাহ মোঃ কাউছার, মোঃ হানিফ, আসির হোসেন মিলন, মোঃ খোকা মিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ট্রাইবেকার সাদা দলকে৩-৪গোলে পরাজিত করে নীল দল জয় লাভ করেন।
পরে খেলায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আর্জেন্টিনার ১৯৭৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের ফুটবলার লুইস গালভান মারা গেছেন। ৫ মে সোমবার ৭৭ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। এক বিবৃতিতে এএফএ জানিয়েছে, এই কঠিন সময়ে এএফএ এবং এর নেতৃত্ব তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের প্রতি হৃদয় থেকে সমবেদনা জানাচ্ছে।
আর্জেন্টিনার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, কয়েক সপ্তাহ আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কর্দোবার রেইনা ফাবিওলা ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন গালভান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। সেই ফাইনালে সেন্টার-ব্যাক পজিশনে খেলেছিলেন গালভান।
এরপর ১৯৮২ সালে স্পেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন এই সেন্টারব্যাক। ১৯৮৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়ার আগে ৩৪বার আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন তিনি।
১৯৭০ সালে আর্জেন্টিনার ক্লাব তালেরেস দে কর্দোবায় ফুটবল ক্যারিয়ারে হাতেখড়ি গালভানের। টানা ১২ বছর পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে খেলেন তিনি। মাঝে বলিভিয়ার ক্লাব বলিভারে খেলে ১৯৮৬ সালে আবার শৈশবের ক্লাবে ফেরেন। দুই দফায় ১৭ মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে ৫০৩টি ম্যাচ খেলেন, যা ক্লাবটির হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের রাজধানীর লালমাটিয়ায় দুই হাজার ৫২৩ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, জমি ও তিনটি গাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তার ১২টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশও দেওয়া হয়েছে। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত।
এ দিন দুর্জয়ের এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্য। শুনানি শেষে এ আবেদন আদালত মঞ্জুর করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, এমপি থাকাকালে নাঈমুর রহমান দুর্জয় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মোট ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ৭৯০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড থেকে মোট চার কোটি ২২ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, দুর্জয়ের নিজের নামে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৪৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯০ টাকা জমা এবং ৪৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৯৬০ টাকা তুলেছেন, যা সন্দেহজনক। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় বর্ণিত সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। তার স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারিয়েছে চিটাগং কিংস। এর মধ্য দিয়ে টুর্ণামেন্টে জয়ের খাতা খুললো চিটাগং কিংস।
৩ জানুয়ারি শুক্রবার মিরপুরে চিটাগা কিংসের দেয়া ২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতেই ১১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী।
২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রান তোলায় গতি থাকলেও নিয়মিত উইকেটও হারায় রাজশাহী। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করে তারা। বেশির ভাগ রানই আসে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ৩২ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন তিনি।
রাজশাহীর হয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৯ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ হারিস, সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। এর বাইরে ইয়াসির আলী ও আকবর আলী ২০ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন। ইয়াসির ১৫ বলে ১৬ ও আকবর ১২ বলে ১৮ রান করেন।
বাকি ব্যাটাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। চিটাগংয়ের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম। তিন উইকেট নেন ৪ ওভারে ২৩ রান দেওয়া আরাফাত সানিও।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল চিটাগং কিংস। তাসকিন আহমেদের বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। এরপরের দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার উসমান।
উসমান খানকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন। যদিও ২৫ বলে ৪০ রানে সোহাগ গাজীর বলে ফিরতে হয়েছে ক্লার্ককে।
তবে রানের গতি বাড়ানোর সঙ্গে ইনিংসও বড় করেছেন উসমান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২১ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রান তোলার গতি কমেনি তার। যদিও সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই ফিরতে পারতেন উসমান।
সোহাগ গাজীর শর্ট ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি সাব্বির হোসেন কিংবা শফিউল ইসলামের কেউ। জীবন পেয়ে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কার মারে ১২৩ রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন উসমান।
বিপিএলের ইতিহাসে এটি ৩৩তম সেঞ্চুরি। এছাড়া ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২১৯ রানের পাহাড় গড়েছে চিটাগং। এর আগে ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও উসমান সেঞ্চুরি করেছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগ্রেস মেয়েরা আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে। এই ম্যাচ জিততে পারলেই পরের পর্বের টিকিট কাটবে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের পুঁজি পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। স্লো উইকেটে অল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে এসে দুই উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সুমাইয়া আক্তারের দলকে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অজি মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেস মেয়েরা। দলীয় ১৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সুমাইয়ার দল। এদিন রান সংগ্রহে ব্যর্থ হন, আগের দিন নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশকে চাপ থেকে মুক্ত করা অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার এবং সাদিয়া।
তবে অজিদের বিপক্ষে সহ-অধিনায়ক আফিয়া আসিমা ইরার ব্যাটে লড়ার পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ২৯ রান করেন ইরা। সুমাইয়া সুবর্ণার ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান। আর কেউ দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের স্বল্প পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
স্বল্প পুঁজির জন্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দলীয় ৫০ রনে দ্বিতীয় উইকেট হারাতেই ছন্দপতন হয় অজিদের। টাইগ্রেসদের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে, মন্থর হয়ে যায় রানের গতিও। একপর্যায়ে পাহাড়সম চাপ তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে স্বল্প পুঁজির জন্য শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। অজিরা ৮ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায়।